somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

টেলিভিশন বনাম মানবিক সমাজ

০১ লা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আবার অনেক দিন পর সামহোয়ার ইন ব্লগে লেখার জন্য বসলাম, একেতো অবসরে আসা মানুষ সময়টা মোটেই কাটতে চায় না, তার মাঝে একটু অসুস্থ্যতা দুটো মিলেই বসে থাকা ছাড়া আমার হাতে আর কোন কাজ নাই। ওয়ার্ড প্রেসে কাজ করতাম তাও ছেলে ও স্তীর নিষেধের কারনে হয়ে উঠে না। তা ছাড়া আমার হাতে তেমন কোন কাজ বর্তমানে নাই বললেই চলে। আর বুড়ো মানুষকে কেউ কাজ দিতে চায় না। যারা আমাকে চিনে তারাই কাজ দেয়। বেশীর ভাগ সময় টা কাটে স্ত্রীকে সময় দেয়া, তার সাথে বসে টিভি দেখা।

আমি বেশীর ভাগ সময়ই বাংলাদেশ টেলিভিশন দেখে সময় কাটতে চেষ্টা করি, কারন সরকারের কাজের পরিধি ও উন্নয়ন সুধু এখানেই দেখা যায়, তার মধ্যে হানিফ সংকেত হলে তো আরে কোন কথাই থাকে না। এটা আমার একানই প্রিয় অনুষ্ঠান, এখানে অনেক কিছু শেখার আছে, জানার আছে বুঝার আছে, তাকে ধন্যবাদ দিয়ে খাটো করবো না, তিনি একজন যথেষ্ট জ্ঞানী ব্যক্তি, তিনি ফজলে লোহানীর হাত ধরে এই টেলিভিশনে প্রবেশ করেছেন। ফজলে লোহানীই একমাত্র ব্যক্তি যিনি প্রতান্ত গ্রামের ও সাধারন মানুষকে টেনে এই টেলিভিশনের অনুষ্টানে উপাস্থাপন করেছেন। তার জন্য দোয়া করি, তার গুনা আল্লাহু য্নে মাফ করেন। এক মাত্র নামাজের সময় ছাড়া উঠার তো কোন জো নাই বললেই চলে। কিন্তু অন্যান্য চ্যানেল গুলো দেখতে আমার কোন আগ্রহ নেই। তবে ঐ যে বললাম, স্ত্রীকে খুশি করা, তিনি যেই চ্যানেলেই যায়, সেই চ্যানেলই দেখি, কি আর করা, তার মধ্যে বর্তমানে ভাল লাগতে আরম্ভ করেছে, এস এ টিভি, সেখানে একটি কাহিনী দেখায, আর সেটা হলো, "আসহাবে কাহাফ" আমি সুরা-কাহাফ পড়েছি পবিত্র কোরআনে।

আমার আগ্রহ একটু বেশীই বেড়েই গেল, আমি প্রথমে একটু বাংলায় দেখার পর, মনে হলো আমি এটা সম্পর্কে কতটুকু জানি, জানার আগ্রহ বেড়ে গেল, তখন আমি উহা উর্দতে দেখার চেষ্টা করলাম এবৎ পবিত্র কোরআনের সাথে মিলাতে চেষ্টা করলাম। আমার কাছে একটা বিষয় পরিস্কার হলো, ইরানিরা বা স্পেন যদি এমনি করে কোরআন এর আলোকে এই ধরনের ছবি বানাতে পারে তবে, আমরা কি তা প্রচার ও তো করতে পারি, আমার দু:খ হয় আমাদের দেশের চ্যানেল গুলো, সুদুই আধুনীকতার নামে যৌনতার আর্কষনে পরিপূর্ন ছাড়া আর কিছুই না। পেপার খুললেই দেখতে পাই ধর্ষন, হায়রে সমাজ, আমরা যে বাচঁতে চাই, একটু শান্তিতে, আকটু আরামে, আমরা সন্ত্রাস চাই না, মারামারি চাই না।

আমার এবার আগ্রহ হলো, এই "আসহাব এ কাহাফ" কয় জনে দেখে বাংলাদেশের লোক জন। আমি আমার ফেইজ বুক ম্যাসেঞ্জারে আলাপ করতে সুরু করলাম একমাসে আমি দেখলাম আমি ছাড়া সবাই দেখে। এবার মোবাইল জড়িপে গেলাম, সেখানেও দেখলাম সবাই দেখে। আরে আমিই তা হলে পিছে পড়ে আছি। এবার কথা হলো এস এ টিভি সবাই দেখে, তার মানে এস এ টিভির সম্প্রচার সুধু বাংলাদেশে নয়, সাড়া পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়তাছে, আমি যত জন প্রবাসীর কাছে জানতে চেয়েছি তার সবাই এই আসহাবে কাহাফ দেখে।

আমার এবার চিন্তা হলো, আমাদের জাতীয় চ্যানেল যদি আমরা না দেখি তবে সরকারের সম্প্রচার গুলো আমরা জানবো কি করে, এটা কি সরকার একবার ও চিন্তা করেননি। আমার অনুরোধ এই ধরনের চিন্তাশীল এবং জাতীয় স্বার্থে এই ধরনের অনুষ্ঠান যদি জাতীয় টেলিভিশন কেন্দ্রে সম্প্রচার করা হয়, তবে মানুষ বিটিভি দেখবে, তাতে সরকার লাভবান হবে, রেভিনিউ বেশী আসবে, কারন কখন কোম্পানীগুলো বিজ্ঞাপন বেশী দেবে, বিজ্ঞাপনের রেট বেশী হবে, জাতী লাভবান হবে, রাজস্ব বাড়বে। সমাজিক ভাবে উপকৃত হবো মানুষ গুলো তা থেকে শিক্ষা গ্রহন করে শান্তির পথে আসবে। সমাজ থেকে সন্ত্রাস দুর হবে। সরকার লাভবান হবেন। আমরা তো সবাই চাই সমাজ থেকে সন্ত্রাস দুর হোক, এক মাত্র শয়তান ছাড়া।

"তারা ছিল সাতজন এবং অস্টমটি ছিল তাদের কুকুর" আল্লাহু রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে ঘোষনা করেছেন, মৃতুর পড়ে আবার সকলকে আবার জীবিত করা হবে, একথা যে সত্য তারই প্রমান, ইতিহাস ও যে স্বাক্ষী দেয়। এরা মাত্র একরাত্র ঘুমিয়ে ছিল তাতে তিনশত বছর কেটে গেল। একবার ভেবে দেখুন, আল্লাহু সব কিছুর মালিক, তিনি সবাইকে রোজ হাসরের দিন আবার জীবন দান করে হিসাব নিবেন, এই ভয়ে মানুষ অন্যায়ের পথ পরিহার করবেন, এটা আমার বিশ্বাস, আর এটা যদি কেউ মনে মনেও অস্বীকার করে তবে সে সাথে সাথে কাফেরে পরিনত হয়ে যাবে। তাই আল্লাহু যেন আমাদের সবাইকে ঈমানে সহিত বাচাঁর তৈফিক দান কেরন, আমিন।

আমার কথা হলো, যদি আমাদের সমাজের মানুষ গুলো এই কাহিনী টেলিভিশনে দেখেন তবে, তাতে সমাজের মানুষের মধ্যে ঈমান মজবুদ হবে, হানাহানি, দাঙ্গা-হাঙ্গামা থাকবে না। সন্ত্রাস-জঙ্গির আর কোন অস্থিত্যর আশা করাও যাবে না। মানুষ আল্লাহুকে ভয় পাবে, সমাজে পরিপূর্ণ শান্তি ফিরে আসবে। আর আমরা সবাই শান্তিই চাই, কি তাই না? পৃথিবীতে শান্তিতে বাচঁতে চায় না, এমন মানুষ একটিও নাই, কি আছে? বলুন ? একমাত্র শয়তান ছাড়া সবাই শান্তি চায়। তবে আমার এই লেখা যদি এস এ টিভির কোন কর্তৃপক্ষের দুষ্টি গোচর হয়ে, তবে তাদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, তারা যেন এশারের নামাজের সময়টা একটু এড়িয়ে চলে, তবে আমরা সবাই দেখতে পারবো। আমি বলবো এদিক থেকে আমাদের জাতীয় টেলিভিশন ও সম্প্রচার গুলো যথেষ্ট পিছিয়ে আছে, তারা যদিও হিন্দু পুরানিক কাহিনীগুলো সুধু দেখায় তাতে আরো বেশী মানুষের মধ্যে অনিহা সৃষ্টি করছে। আমি একজন লেখক হিসাবে আমার জানার পরিধি যতটুকু সুধু তাই আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি মাত্র। তবে কর্তৃপক্ষের নিকট আমার অনুরোধ যদি সম্ভব হয় তবে একবার জড়িপ করে দেখুন, তবে এই জড়িপে মুন্নি সাহার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না, তিনি সুধুই তার পছন্দের মানুষগুলোর কাছে জানতে চাইবেন, আর যদি প্রকৃত পক্ষের কোন ভাল সঠিক মাপের মানুষ দিয়া জানতে চাওয়া হয়, আমার মনে হয় তবে সবার চোখ কান খুৃলে যাবে।

যেহেতু বাংলাদেশের ৯৫% লোক ডান পন্থি, তবে মুন্নি শাহার মত ৫% বাম পন্থি কাছে জানতে চাওয়া হয়, তবে তা বোকামি ছাড়া আর কিছুই না। তবে আমি বাম পন্থিদের কে বাদ দিতে চাই না।মোট কথা সংখ্যা গরিষ্টদের মতের মূল্য তো অবশ্যই দেবেন, এটা তো অস্বীকার করার কোন পথ খোলা আছে কিনা আমার জানা নাই , আপনাদের কারো জানা থাকলে বলতে পারেন। আমি চাই বাংলাদেশ জাতীয় সম্প্রচার কে যেন সবাই দেখে সেই মানের প্রোগ্রাম সম্প্রচার করুন। এস এ টিভির মত চ্যানেল কালকে আরম্ভ হলো এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন আজ ৫০ বৎসরে তার কাছেও যেতে পারতেছেন না। তার কারনটা একটু ভেবে দেখবেন কি?

এখানে বাংলাদেশ টেলিভিশনকে ছোট করে দেখার অবকাশ নাই, আমি আমার জাতীয় উন্নয়ন চাই। চাই বাংলাদেশ টেলিভিশন এর উন্নয়ন, সেদিন সিনেমা নির্মাতাদের কথা ও কান্না দেখলাম, সিনেমা হলগুলো বন্ধের কথা জানলাম, ভাই একবার এই ধরনের ভাল ছবি চালান না, একবার পরিক্ষা করুন, সিনেমা দেখার লোকের অভাব আছে কিনা। সিনেমায় যৌনতা তার আর কি কিছু আছে, মানুষ এই গুলো দেখতে দেখতে রোগাগ্রাস্থ্য হয়ে পরেছে। মানুষ বাচঁতে চায় মননশীলতার মধ্যে, তারাও আর এই বেলাপ্পা পানা চায় না। সিনেমা নির্মতারা যদি এই বিষয় টা বুঝে থাকেন তো ভাল, না হয় একদিন এই শিল্প হারিয়ে যাবে তাতে আমার কোন আর সন্ধেহ রইলো না।

পরিশেষে আমি বলতে চাই, জাতীয় স্বার্থে আসুন জাতীয় টেলিভিশন দেখি, ভাল অনুষ্ঠান সম্প্রচার করি, ভাল শিক্ষা গ্রহন করি, আমাদের সন্তানদেরকেও ভাল কিছু উপহার দিয়া, তাদের জীবনকে স্বচেতন করে তুলি, কারন এরাই আমাদের ভবিষাৎ জাতি, বিদেশী নোংরা কালচার পরিহার করি। অশুভ পিচাসের হাত হতে জাতি বাচঁতে চায়। যে কালচার শুধুই ৫% লোক পছন্দ করে তা পরিহার করি। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে শান্তি উপহার দিয়া, পৃথিবীর নিকট ইতিহাস সৃষ্টি করি।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:০৯
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমিও যাবো একটু দূরে !!!!

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২২

আমিও যাবো একটু দূরে
যদিও নই ভবঘুরে
তবুও যাবো
একটু খানি অবসরে।
ব্যস্ততা মোর থাকবে ঠিকই
বদলাবে শুধু কর্ম প্রকৃতি
প্রয়োজনে করতে হয়
স্রষ্টা প্রেমে মগ্ন থেকে
তবেই যদি মুক্তি মেলে
সফলতা তো সবাই চায়
সফল হবার একই উপায়।
রসুলের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×