somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমের রসালাপ

২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভাই সাহেব বাড়ী কোথায়,
ভাই সাহেব রাজশাহী,
আপনার কথা তো আমের মতোই মিষ্টি লাগতাছে!

আমের কথা মাথায় আসলেই রাজশাহীর কথা মনে হয়। তখন চাকুরী মাত্র ৫ বৎসর চলে, তখন আমার বদলী হলো আমের শহর রাজশাহীতে, এটাকে শিক্ষা নগরীও বললে চলে। হযরত শাহ মাখদুম (রহঃ) রওজার পাশ্বেই ভাড়া বাসায় ছিলাম, বিকেলে পদ্মার পারের হাওয়া আজও আমার মনকে দোলা দেয়।


ছয়টি ঋতুর দেশ, আর প্রতিটি মৌসুমে ভিন্ন ভিন্ন হাওয়া নিয়ে আসে যেন ভিন্ন রকমের বৈচিত্র্য। তেমন একটি মৌসুমে আমাদের প্রিয় ফল আমের আগমন আসে, এই সময়টাকে মধুমাসও বলেন অনেকে, কারণ এই মাসেই মধুময় ফলের বন্যা বয়। আমের চাহিদা অনেক বেশি কারন ফলটি অনেক সুস্বাদু ও মজাদারও বটে। স্বাদের দিক থেকে এটি শুধুমাত্র সুস্বাদু ও তরতাজাই নয়, আমের রয়েছে চমৎকার স্বাস্থ্য উপকারিতা। একে ফলের রাজাও বলা হয়ে থাকে। তাছাড়া আমকে ভাল ভাসেনা এমন লোক পাওয়া ভার।
- এই আমের ইংরেজী নাম (Mango)।
- বৈজ্ঞানিক নাম Mangifera indica।
এই উপমহাদেশের সবচাইতে সু-স্বাদু ফল আম। সুমিষ্ট গন্ধ এবং স্বাদই এই ফলটাকে করেছে অতুলনীয়। কাচা অবস্থায় এর রং সবুজ এবং পাকা অবস্থায় হলুদ রং হয়ে থাকে। পৃথিবীতে বিভিন্ন প্রজাতির আম আছে। আমের বিভিন্ন জাত (Varity) আছে,


যেমন - ফজলি, আশ্বিনা,ক্ষীরমন, সেন্দুরা গুটি,ল্যাংড়া, গৌড়মতি, গোপালভোগ, মধু চুষকী, বৃন্দাবনি, লখনা, তোতাপুরী (ম্যাট্রাস), রাণী পছন্দ, ক্ষিরসাপাতি, আম্রপালি, হিমসাগর, বাতাসা, ক্ষুদি ক্ষিরসা, বোম্বাই, সুরমা ফজলি, সুন্দরী, বৈশাখী, রসকি জাহান, হীরালাল বোম্বাই, ওকরাং, মালদা, শেরীধণ, শামসুল সামার, বাদশা, রস কি গুলিস্তান, কন্দমুকাররার, নাম ডক মাই, বোম্বাই (চাঁপাই), ক্যালেন্ডা, রুবী, বোগলা, মালগোভা, হিমসাগর রাজশাহী, কালুয়া (নাটোর), চৌষা লখনৌ, সিডলেস, কালিভোগ, বাদশাভোগ, কুষ্ণকলি, পাটনাই, গুটি লক্ষনভোগ, বাগান বিলাস, গুটি ল্যাংড়া, পাটুরিয়া, পালসার, আমিনা, কাকাতুয়া, চালিতা গুটি, রং ভীলা, বুদ্ধ কালুয়া, রাজলক্ষী, মাধুরী ব্যাঙ্গলোরা, বন খাসা, পারিজা, চন্দনখোস, দুধ কুমারী, ছাতাপোরা, চোষা, জিলাপি কাড়া, শীতল পাটি, পূজারী ভোগ, জগৎ মোহিনী, দিলসাদ, বিশ্বনাথ চ্যাটার্জি, বেগম বাহার, রাজা ভুলানী, নাবি বোম্বাই, সিন্দি, ভূতো বোম্বাই,গোলেক, বারি আম ৭, কালী বোম্বাই, চকচকা, পেয়ারা ফুলী, ভ্যালেনাটো, সিন্দুরী ফজলী, আমব্রা, গুলাবজামুন, আলম শাহী, অস্ট্রেলিয়ান আম, মায়া, দাদাভোগ, শরবতি, ব্রাউন, আলফান, রত্না, লাড্ডু সান্দিলা, ছোটীবোম্বাই, কালিজংগী, দ্বারিকা ফজলি, মিঠুয়া, বোম্বে সায়া, বোম্বে গ্রিন, তোহফা, কাচ্চা মিঠা , মালিহাবাদ, তৈমুরিয়া, জাহাঙ্গীর, কাওয়াশজি প্যাটেল, নোশা, জালিবাম, বাগান পল্লি, ভারতভোগ, ফজরী কলন, সাবিনা,
সেন সেশন, লতা বোম্বাই, আল্লামপুর বানেশান, আর-২ এফ-২, শ্রাবণী, ইমামপছন্দ, জনার্দনপছন্দ, কৃষ্ণভোগ, সারুলী, ইলশে পেটী,
কলম বাজি, ইয়াকুতিয়া, গুটী, ভুজাহাজরী, ম্যাটরাজ, সামার বাহিতশত আলীবাগ, গোলাপবাস, জুলী, ভেজপুরী, কালুয়া গোপালভোগ,
কলম সুন্দরী, বনারাজ, ম্যাডাম ফ্রান্সিস, মিক্সড স্পেশাল, মোহাম্মদ ওয়ালা, সফেদা মালিহাবাদ, খান বিলাস, জাফরান, মধু মালতী, জিতুভোগ, পলকপুরী, কাকরহিয়া সিকরি, পাথুরিয়া, বোম্বে কলন, কেনসিংটন, কাকরহান, মিছরি দমদম, সামার বাহিশ্ত, মানজানিল্লো , নুনেজ, নাজুকবদন, ফারুকভোগ, রুমানি, টারপেন টাইন, কেনসিংটন, কাকরহান, মিছরি দমদম, সামার বাহিশ্ত, মানজানিল্লো নুনেজ, নাজুকবদন, ফারুকভোগ, রুমানি, কুমড়া জালি, দুধিয়া, মহারাজ পছন্দ, ম্যানিলা, পিয়ারী, জান মাহমুদ, সামার বাহিশত রামপুর, মাডু
লা জবাব মালিহাবাদ, লাইলী আলুপুর, নীলম, মিশ্রীভোগ, পদ্মমধু, বাঙামুড়ী, পুনিত (হাইব্রিড-১৩), বেলখাস, শ্রীধন, আমান খুর্দ , বুলন্দাবাগ, পালমার, কারাবাউ, অ্যামিলী, কোরাকাও ডি বই , নিসার পছন্দ, পাহুতান, বোররন, হিন্দি, সফেদা বাদশাবাগ, আরুমানিস
বাংলা ওয়ালা, মোম্বাসা, রোসা, ক্যাম্বোডিয়ানা, ফজরী জাফরানী, বোম্বাইখুর্দ, এক্সট্রিমা, বদরুল আসমার, শাদওয়ালা, সামার বাহিশত কারানা, এসপাডা, বাশীঁ বোম্বাই, কর্পূরা, হুসনে আরা, সফেদা লখনৌ, শাদউল্লা, আজিজপছন্দ, কর্পূরী ভোগ, জিল, সারোহী, গ্লেন,
টমি অ্যাটকিনসন, স্যাম-রু-ডু, মাবরোকা, হিমাউদ্দিন, ফ্লোরিডা, কেইট, ইরউইন, নাওমী, কেন্ট, টাম অ্যাটকিন্স, আলফন্সো, নারিকেল ফাঁকি,জামাই পছন্দ, লক্ষণভোগ, ভাদুরিয়া কালুয়া, চিনি ফজলী, মল্লিকা, সূর্যপুরী, হায়াতী, পাউথান, দুধস্বর, গোলাপ খাস, বেনারসী ল্যাংড়া, পাটনামজাথী, জালিবান্দা, মিছরিদানা, নাক ফজলী, সুবর্ণরেখা, কালা পাহাড়, বারি আম-২, বউ ভুলানী, জমরুদ, অরুনা ,হাইব্রিড-১০), নীলাম্বরী, ফোনিয়া, চৌষা, ডায়াবেটিক আম, সিন্ধু, বোগলা গুটি, রাজভোগ, দুধস্বর ( ছোট ), মোহন ভোগ, হাঁড়িভাঙ্গা, টিক্কা ফরাশ, আম্রপলি (বড়), হিমসাগর (নাটোর), মৌচাক, মহানন্দা, তোতাপুরী, বাউ আম-৩, বারি-৩, পুকুর পাড়, কোহিতুর, বিলু পছন্দ, কাগরী, চিনিবাসা, দুধ কুমার, মন্ডা, লাড্ডু, সীতাভোগ, শোভা পছন্দ, গৃঠাদাগী, ছোট আশ্বিনা, ঝুমকা, দুসেহরী, কালী ভোগ, ভবানী চরুষ, আলফাজ বোম্বাই, মধুমনি, মিশ্রীকান্ত, গিড়াদাগী, কুয়া পাহাড়ী, বিড়া, দ্বারভাঙ্গা, বারি আম-৪, আরাজাম, গোবিন্দ ভোগ, কাঁচামিঠা, মতিমন্ডা, পোল্লাদাগী, দাদভোগ, শ্যামলতা, মিশ্রীদাগী, কিষান ভোগ, ভারতী, বারোমাসি, দেওভোগ, বারি-৮, আম্রপলি (ছোট), সিদ্দিক পছন্দ, লতা, বাদামী, জহুরী, রাখাল ভোগ, গুটি মালদা, বারি আম-৬, রগনী, বাউনিলতা, গৌরজিত, বেগম ফুলি, আপুস, ফজরীগোলা, সফেদা, আনোয়ার রাতাউল, বাবুই ঝাঁকি, মনোহারা, রাংগোয়াই, গোল্লা, কাজি পছন্দ, রাঙামুড়ী, বড়বাবু, করল্লা, জালিখাস, কালিয়া, সাটিয়ারকরা, সফদর পছন্দ, ছুঁচামুখী, বারি আম-৫, কাদের পছন্দ, এফটি আইপি বাউ আম-৪, দিল্লির লাড়ুয়া, টিয়াকাটি,


বাউ আম:
এফটি আইপি বাউ আম-৯(শৌখিন চৌফলা)
এফটি আইপি বাউ আম-১(শ্রাবণী-১)
এফটি আইপি বাউ আম-৭(পলি এ্যাম্বব্রায়নী-২)
এফটি আইপি বাউ আম-২ (সিঁন্দুরী)
এফটি আইপি বাউ আম-১০(শৌখিন-২)
এফটি আইপি বাউ আম-৩(ডায়াবেটিক)
এফটিআইপি বাউ আম-৮ (পলিএ্যাম্বব্রায়নী-রাংগুয়াই-৩
এফটি আইপি বাউ আম-১১(কাচা মিঠা-১)
এফটি আইপি বাউ আম-৬(পলিএ্যাম্বব্রায়নী-১)
এফটিআইপি বাউ আম-১২(কাচা মিঠা-২)
এফটি আইপি বাউ আম-১৩(কাঁচামিঠা-৩)
এফটি আইপি বাউ আম-৫(শ্রাবণী-২)


আমের পুষ্টিগুণঃ

প্রতি ১০০ গ্রাম আমে রয়েছে ক্যালোরি ৭০ কিলোক্যালরি কার্বোহাইড্রেট ১৭ গ্রাম প্রোটিন ০.৫ গ্রাম চর্বি ০.২৭ গ্রাম খাদ্যআঁশ ১.৮০ গ্রাম ফলেট ১৪ µg নায়াসিন ০.৫৮৪ মিলিগ্রাম প্যান্থোথেনিক এসিড ০.১৬০ মিলিগ্রাম প্যরিডক্সিন (ভিটামিন “বি৬”) ০.১৩৪ মিলিগ্রাম রাইবোফ্লাবিন ০.০৫৭ মিলিগ্রাম থায়ামিন ০.০৫৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন “সি” ২৭.৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন “এ” ৭৬৫ IU ভিটামিন “ই” ১.১২ মিলিগ্রাম ভিটামিন “কে” ৪.২ মাইক্রোগ্রাম সোডিয়াম ২ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম ১৫৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম ১০ মিলিগ্রাম কপার/তামা ০.১১০ মিলিগ্রাম আয়রন/লৌহ ০.১৩ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম ৯ মিলিগ্রাম ম্যাঙ্গানিজ ০.০২৭ মিলিগ্রাম জিংক/দস্তা ০.০৪ মিলিগ্রাম বিটা-ক্যারোটিন ৪৪৫ মাইক্রোগ্রাম আলফা-ক্যারোটিন ১৭ মাইক্রোগ্রাম ক্যাপত-জিয়াজেন্থিন ১১ মাইক্রোগ্রাম।


পাকা আমের উপকারীতাঃ

১.ক্যানসার প্রতিরোধী

ক্যুয়েরসেটিন,আইসোক্যুয়েরসেটিন,অ্যসট্রাগালিন,ফিসেটিন,গ্যালিক এসিড ও মিথাইলগ্যালেট সম্বৃদ্ধ এ্যান্টিআক্সিডেন্ট থাকার কারনে আম ক্যানসারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম।বিশেষত কোলন,ব্রেস্ট ক্যানসা্‌র,লিউকেমিয়া ও প্রস্টেট ক্যানসারের বিরুদ্ধে আম বেশ কার্যকর।


২.কোলস্টেরল কমাতে সাহায্য করে

আমে আছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি,পেকটি্‌ন ও ফাইবার বা আশঁ। এই উপাদানগুলো আমাদের রক্তে কোলস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া পটাশিয়াম আমাদের হৃদপিন্ডের স্পন্ধন ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে সহায়ক।


৩.ত্বক পরিষ্কারক

আম ত্বক পরিষ্কারেও আপনি ব্যবহার করতে পারেন।মুখে ব্রনের কারনে সৃষ্টি গর্ত ঠিক করতে পাকাঁ আম কার্যকর।আম পাতলা করে কেটে ১৫/২০ মিনিট মুখে মেখে ধুয়ে ফেলুন।নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি পাবে এবং মুখের গর্ত ভরাটে সহায়তা করবে।

৪.দেহে ক্ষারীয় উপাদানের সরবরাহ

আমে আছে টারটারিক এসিড ও ম্যালিক এসিড।এই উপাদান সমূহ প্রাথমিক ভাবে আমাদের দেহে ক্ষারের পরিমান নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে।

৫.আম ওজন কমাতে সাহায্য করে

বিভিন্ন উপকারী ভিটামিন ও অন্যান্য পূষ্টিগুন সম্বৃদ্ধ আম আমাদের ওজন কমাতেও সহায়তা করে।উচ্চ আশঁ সম্বৃদ্ধ আম হজম শক্তি বাড়ায় এবং অতিরিক্ত ক্যালরি পুড়িয়ে ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে।

৬.ডায়বেটিক নিয়ন্ত্রন

আমের পাতা হালকা সিদ্ধ করে সারারাত রেখে দিয়ে সকালে সেই পানি পান করলে ডায়বেটিক নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে।আম লো গ্লাইসেমিক সম্বৃদ্ধ (৪১-৬০),তাই ডায়বেটিক রোগীরা আম খেলেও খুব বেশী ব্লাড সুগার বাড়ার আশংকা কম।

Mango-fruit-2

৭. যৌন ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা

পুরুষদের যৌন ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা ও সেক্স হরমোন বৃদ্ধির জন্য আম কে লাভ ফ্রুট হিসেবেও ডাকা হয়!

৮.চোখের যত্নে আম

আমে অনেক ভিটামিন এ আছে এবং তা আমাদের দৃষ্টিশক্তি ভাল করে।এছাড়াও আম রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে।

৯.হজমে সহায়ক

আমের উচ্চগুন সম্পন্ন ভিটামিন ও প্রি-বায়োটিক ডায়েটারি ফাইবার আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।

১০.হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা করে

প্রচন্ড গরমে আমের রস আপনার দেহ কে দ্রুত ঠান্ডা করে এবং হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা করে।

১১. দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

আমের ভেতরে থাকা আসাধারন পূষ্টিগুন সম্পন্ন ভিটামিন সমূহ এবং এ্যান্টিআক্সিডেন্ট আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

১২.বডি স্ক্রাব

পাকা আম,মধু এবং দুধ ব্যবহার করে পেষ্ট তৈরি করুন।পেষ্টটি স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহৃত করলে ত্বক নমনীয় ও কোমল হবে ।

১৩.স্মৃতি শক্তি এবং মনোযোগ বৃদ্ধি করে

আমে আছে গ্লুটামিন এসিড যা আমাদের স্মৃতি শক্তি এবং মনোযোগ বৃদ্ধি করে।ছোট শিশুদের কে নিয়মিত আম খাওয়ালে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

১৪.দেহে উচ্চ আয়রন বা লৌহ সরবরাহ করে

মহিলাদের জন্য প্রয়োজনীয় আয়রন এবং ক্যালসিয়ামের যোগান দেয় আম।এজন্যই আম এনিমিয়ার বিরুদ্ধে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

১৫.কিডনী পাথরের বিরুদ্ধে কার্যকর

চাইনিজ সনাতন চিকিৎসায় আমকে কিডনী পাথর দূরীকরনে ব্যবহার করা হয়।আমের টক-মিষ্টি স্বাদ এবং দেহকে ঠান্ডা রাখার ক্ষমতার কারনে এটা কিডনীতে পাথর হওয়া রোধ করে।

১৬.সুষম নাস্তা

আম একটি পূষ্টিকর সুষম ফল।নাস্তায় অস্বাস্হ্যকর ডুবো তেলে ভাজা খাবার বাদ দিয়ে নিয়মিত আম খান।মজা পাবেন ষোল আনা আর স্বাস্হ্যের জন্য অত্যন্ত আর্দশ খাবার।

১৭.পাকস্হলির টনিক


আমের পাতা পাকস্হলির টনিক হিসেবে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।রাতে ১০/১৫ টি আম পাতা কুসুম গরম পানিতে সিদ্ধ করে সারারাত রেখে দিন।সকালে মিশ্রনটি ছেঁকে নিয়মিত পান করুন, পাকস্হলির টনিক হিসেবে কাজ করবে।


কাঁচা আমের উপকারিতা

১। লবন দিয়ে কাঁচা আম খেলে শরীরের অতিরিক্ত ক্ষতিকর পানি থেকে দেহকে রক্ষা করে এবং শরীরের তৃষ্ণা মিটায়। উপরন্তু, এটা খুব উচ্চ তাপমাত্রার নেতিবাচক প্রভাব থেকে আমাদের রক্ষা করে।

২। গ্রীষ্মকালে কাঁচা আমের জুস অত্যধিক ঘাম এর কারনে সোডিয়াম ক্লোরাইড এবং লোহার অত্যধিক ক্ষতি রোধ করে।

৩। শুকনো আম পাউডারকে বলা হয় ‘আমচুর’। এটি স্কার্ভি চিকিৎসায় অত্যন্ত উপকারী (ভিটামিন সি এর অভাব)।

৪। কাঁচা আম পেক্টিন (pectin) একটি সমৃদ্ধশালী উৎস, মধু এবং লবণ দিয়ে মিশিয়ে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রোগের চিকিত্সা অত্যন্ত উপকারী। এটি গ্রীষ্মকালীন ডায়রিয়া, আমাশয়, পাইলস, দীর্ঘস্থায়ী এঁড়ে, বদহজম এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের জন্য ওষুধ হিসেবে খুব কার্যকর হিসাবে বিবেচনা করা হয় ।

৫। কাঁচা আম এর উচ্চ ভিটামিন সি রক্তনালীসমূহের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে এবং নতুন রক্ত কোষ গঠনে সাহায্য করে। এটা, যক্ষা, রস্বল্পতা, কলেরা এবং অতিসার রোগের বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

৬। কাঁচা আমের সঙ্গে চিনি, জিরা এবং চিম্টি লবণ, মিশিয়ে সেদ্ধ করে জুস করে খেলে ঘামাচি রোধ করতে সাহায্য করে, এবং গ্রীষ্মকালে স্ট্রোকের ঝুকি হতে রক্ষা করে।

৭। এটা যকৃতের রোগ চিকিত্সায় সাহায্য করে ও পিত্ত অ্যাসিড কমায় এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হতে লিভারকে রক্ষা করে।
এটা পিত্ত অ্যাসিড লুকাইয়া বৃদ্ধি ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ আঁত পরিষ্কার হিসেবে যকৃতের রোগ চিকিৎসায় সাহায্য করে।

৮। কাঁচা আমে পাকা আমের তুলনায় অধিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি আছে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে শরীরকে রক্ষা করে।

৯। এটা মর্নিং সিকনেস চিকিৎসার সহায়ক হিসেবে কাজ করে।

১০। কাঁচা আম ভিটামিন সি এর সমৃদ্ধ উৎস এবং এটি মনোবল উন্নত করে ও রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে।

১১। পাকা আম রক্ত পরিষ্কার করে আমের টারটারিক, ম্যালিক, সাইট্রিক এসিড শরীরে অ্যালকোহল ধরে রাখতে সহায়তা করে।

১২। আমের ভেষজ গুন আম আমাদের স্কিন ক্যান্সার সহ বিভিন্ন জটিল রোগ নিরাময় করে।


*আপনাদের আমের রসালাপ কেমন লাগলো জানালে আমারও ভাল লাগবে বটে, অনেক লেখক হয়তো তাদের মত করে লিখেছেন, তাই আমি আমার মত করে লিখতে চেষ্টা করেছি, যদি কেউ বিরক্ত না হন, তবে এখানে অবশ্যই কিছু জানার বা শেখার আছে বেকি।*
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।

লিখেছেন সাইয়িদ রফিকুল হক, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫



ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×