আধুনিক সুদি ব্যাংক বলতে বুঝায় কম সুদে ডিপোজিট গ্রহণ করে বেশি সুদে ঋণ দিয়ে অতিরিক্ত যে টাকা থাকে তা ইনকাম করা। ডিপোজিটের ওপর যে সুদ আর ঋণের ওপর যে সুদ এ উভয় সুদের পার্থক্যকে স্প্রেড বলে। এই স্প্রেডই হল আধুনিক ব্যাংকের ইনকাম।
সুদি ব্যাংকগুলো ডবল এন্ট্রি হিসাব পদ্ধতি ব্যবহার করে। কারণ এ পদ্ধতিটি আন্তর্জাতিক মানের। এ পদ্ধতিতে হিসাবের নির্ভুলতা প্রমাণ হয়। এ পদ্ধতিতে দায় ও সম্পদ সর্বদা সমান থাকে। দায় ও সম্পদ যদি সমান না থাকে, তবে হিসাবে ভুল আছে বুঝতে হবে। কিন্তু এ হিসাবের সুবাদে সুদি ব্যাংকগুলো কাল্পনিক টাকা তৈরি করে তা লুকিয়ে রাখছে এবং ট্রান্সফার ট্রানজেকশানের মাধ্যমে ঐ কাল্পনিক টাকা ব্যবহার করছে। বিষয়টি বড়ই ভয়ঙ্কর। নিচের উদাহরণের সাহায্যে তা স্পষ্ট বুঝা যায়। কাজেই দায় ও সম্পদ সমান থাকলেই সবকিছু ঠিক আছে এমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই।
মনে করি, X একটি ব্যাংকের নাম। মি. স্মিথ ১ কোটি টাকা ১০% সুদে ডিপোজিট রাখলেন। ব্যাংক উল্লেখিত ট্রানজেকশনটি তার জেনারেল লেজারের মূলধন ও দায়ের ঘরে ডিপোজিট হেডে ১ কোটি এবং পাশাপাশি সম্পত্তি ও পরিসম্পদ ঘরে নগদ স্থিতি হেডে সমান ১ কোটি টাকা এন্ট্রি দিয়ে রাখবে। এখানে দায় ১ কোটি = সম্পদ ১ কোটি উভয় দিক সমান হবে।
স্বাভাবিকভাবে ব্যাংক এক বছর পর মি. স্মিথকে ১০% হারে সুদ প্রদান করবে এবং উক্ত ট্রানজেকশনটি তার জেনারেল লেজারের মূলধন ও দায়ের ঘরে ডিপোজিট হেডে ১ কোটি ১০ লাখ এবং পাশাপাশি সম্পত্তি ও পরিসম্পদ ঘরে নগদ স্থিতি হেডে ১ কোটি ও প্রদত্ত সুদ খরচ হেডে ১০ লাখ টাকা মোট ১ কোটি ১০ লাখ টাকা এন্ট্রি দিয়ে রাখবে। এখানে দায় ১ কোটি ১০ লাখ টাকা = সম্পদ ১ কোটি ১০ লাখ টাকা উভয় দিক সমান হবে।এভাবে ব্যাংক তার জেনারেল লেজারের উভয় দিক চমৎকারভাবে মিল রাখে। এখন মি. স্মিথ ১ কোটি ১০ লাখ টাকার একটি চেক ব্যাংকে দিলেন, ব্যাংক তাকে ১ কোটি টাকা নগদ দিতে পারবে। কিন্তু সুদের ১০ লাখ টাকা দিতে পারবে না। কারণ উক্ত ১০ লাখ টাকা ব্যাংক খরচের হিসাব দেখিয়ে কাল্পনিকভাবে তৈরি করেছে। এ টাকার কোনো অস্তিত্ব নেই। তাই বাস্তবে এ টাকা দেয়া সম্ভব না। তবে এ টাকা প্রদানের একটা উপায় আছে আর তা হলো ট্রান্সফার ট্রানজেকশনের মাধ্যমে। ঐ ব্যাংকে মনে করি, মি. রবিনের একটি একাউন্ট আছে। তিনি মি. স্মিথের কাছে ১০ লাখ টাকা পাবেন। এখন মি. স্মিথ মি. রবিনকে ১০ লাখ টাকার একটি চেক দিলেন। ব্যাংক ঐ চেকটি ট্রান্সফার ট্রানজেকশনের মাধ্যমে মি. রবিনের একাউন্টে ক্রেডিট করে দিল। মি. রবিনও এ টাকা নগদায়ন করতে পারবেন না। কেননা ব্যাংকের নিকট এ টাকা নেই। তবে তিনি পাওনাদারের হিসাবে টাকাটি স্থানান্তর করতে পারবেন এ টাকা দিয়ে ডিডি, পে-অর্ডার, টিটি ইত্যাদি হবে। এ হলো কাল্পনিক টাকা/সম্পদ চলাচলের একটি লাইন। এভাবে প্রতিবছর সুদি ব্যাংকগুলো কাল্পনিক টাকা তৈরি করে থাকে। এক সময় কাল্পনিক টাকা আসল টাকার চেয়ে হাজার হাজার গুণ বেড়ে যায়। ফলে মানি মার্কেট ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। এর ফলে তৈরি হয় তারল্য সঙ্কট, মুদ্রাস্ফীতি, ঋণ সঙ্কট সর্বোপরি অর্থনৈতিক মন্দা। রাষ্ট্রে তৈরি হয় বেকার সমস্যা, শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়, প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি পায়, বাজেট বাস্তবায়ন হয়ে যায় কঠিন। অপরপক্ষে ব্যাংক যখন ব্যবসায়ী ও শিল্প প্রতিষ্ঠানকে সুদভিত্তিক ঋণ দেয় তখন, সুদের ধাক্কা ব্যবসা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের ওপর প্রত্যক্ষভাবে পড়ে। তাদের সুদের টাকা ব্যাংকে নগদে পরিশোধ করতে হয়। কারণ ব্যবসা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের নিকট ব্যাংক তো কোনো একাউন্ট খোলে না। কাজেই তারা ব্যাংকের মতো খরচের হিসাব দেখিয়ে মি. স্মিথের মতো ব্যাংকের একাউন্ট ক্রেডিট করতে পারবে না। কাজেই অচিরেই ব্যবসা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান ঋণ পরিশোধে নগদ টাকার সমস্যায় পড়ে যায়। ফলে ব্যবসা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান নতুন ঋণ নিয়ে পুরাতন ঋণ পরিশোধ করে অথবা ঋণ বৃদ্ধি করে পূর্ববর্তী ঋণ পরিশোধ করে বৃদ্ধিটুকু নিয়ে যায় অথবা ভুয়া লেনদেনের মাধ্যমে একই দিনে ঋণ পরিশোধ ও একই দিনে ঋণ উত্তোলন করে থাকে। এর পরেও যখন সাধ্যের বাইরে চলে যায় তখন ঋণ রিসিডিউল করা হয় এবং পুনঃ পুনঃ রিসিডিউল করা হয়। এভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শুধু ঋণের মধ্যে হাবুডুবু খায়, বের হয়ে আসতে পারে না। এজন্য আলাহপাক পবিত্র কুরআনের সূরা বাকারার ২৭৫নং আয়াতে সুদি কারবারিদের পাগলের সাথে তুলনা করেছেন। বিষয়টি আর একটি উদাহরণের সাথে বুঝান যেতে পারে-
মনে করি, একটি দেশের ভিতর ২ কোটি টাকা ছাপানো আছে। এর ১ কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যাক্তি ১০% সুদে ব্যাংকে জমা রেখেছেন, আর ১ কোটি টাকা মানুষের হাতে আছে। ব্যাংকের ১ কোটি টাকা যদি ব্যবসা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে ১৫% হার সুদে ঋণ দেয়, তবে দশ বছর পর ১ কোটি টাকার সুদ হবে দেড় কোটি টাকা। এই দেড় কোটি টাকার ১ কোটি পাবে ডিপোজিটরগণ, কারণ তারা ১০% সুদে ডিপোজিট রেখেছেন আর ৫০ লাখ টাকা পাবে ব্যাংক। এই ৫০ লাখ টাকা হবে ব্যাংকের ইনকাম। তাহলে দশ বছর পর দেশের ভেতর মোট টাকার পরিমান হবে জনগণের হাতে হাতে ১ কোটি+ব্যাংক ডিপোজিট ১ কোটি+সুদ ১ কোটি ৫০ লাখ= ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২ কোটি টাকা হলো প্রকৃত ছাপানো টাকা আর দেড় কোটি টাকা হলো কাল্পনিক। এখানে রাষ্ট্রে আছে ২ কোটি টাকা আর ব্যাংক ডিপোজিট হলো ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তাহলে প্রকৃতটাকার চেয়ে ব্যাংক ডিপোজিট ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা বেশি। তাহলে শত শত বছর পর প্রকৃত টাকার তুলনায় কাল্পনিক টাকা কতগুণ হবে- তা চিন্তা করে আমাদের শরীর শিউরে উঠে। শুধু তাই নয়, যদি চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ হয়ে থাকে তবে কাল্পনিক টাকার পরিমাণ দেশে ও বিশ্বে যে কতগুণ হয়েছে, তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারবেন না। কাজেই সুদের এ টাকা এমন এক কাল্পনিক টাকা যে তা জাল টাকার চেয়েও ভয়াবহ। কাজেই আমরা নির্দ্বিধায় বলতে পারি, সুদি কারবারের মাধ্যমে এমন এক কাল্পনিক টাকা তৈরি হয় যা জাল টাকার চেয়েও ভয়াবহ। এ টাকা তৈরির এবং আদায়ের আইনগত ভিত্তিও আছে। বিষয়টি তাহলে কেমন অমানবিক ও উদ্বেগের তা ভাবতে অবাক লাগে।
আবার মনে করি, কোনো একটি নতুন দেশ তার স্বর্ণের রিজার্ভ অনুযায়ী ১ কোটি টাকার নুতন মুদ্রা ছাপিয়ে আনল। এই ১ কোটি টাকা ঐ দেশের সরকারি ব্যাংকের নিকট ১০% সুদে ডিপোজিট রাখল। বছর শেষে সুদের পরিমাণ হলো ১০ লাখ টাকা। ঐ ব্যাংকের নিকট সুদাসলে সরকারের পাওনা দাঁড়াল ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। এখন সরকার যদি ঐ ব্যাংকের নিকট ১ কোটি ১০ লাখ টাকার চেক দেয়, তবে ঐ ব্যাংক ১ কোটি টাকা নগদ দিতে পারবে, কিন্তু সুদের ১০ লাখ টাকা দিতে পারবে না। কারণ দেশের মধ্যে টাকা ছাপানো আছে ১ কোটি টাকা। বাকি ১০ লাখ টাকা ছাপানো নাই। কাজেই এই ১০ লাখ টাকা ঐ ব্যাংক কোথায় পাবে? ব্যাংক তো আর ১০ লাখ টাকা ছাপিয়ে পরিশোধ করতে পারবে না। ব্যাংক এক্ষেত্রে ১০ লাখ টাকার দেনার দায়ে আবদ্ধ থাকল। এখানে সরকারের একাউন্টে ব্যাংক ১০ লাখ টাকা ক্রেডিট পোস্টিং দেয়, ব্যাংকের খরচের হিসাব ডেবিট করে। আর এই ১০ লাখ টাকার কাল্পনিক সম্পদের মালিক হলো সরকার, আর কাল্পনিক দেনাদার হলো ব্যাংক। এই ১০ লাখ টাকার নোট বাস্তবে দেশের মধ্যে নেই।
এখন ব্যাংক যে কাল্পনিক টাকা তৈরি করেছে, এটা কাদের জন্য তৈরি করেছে? জবাবে বলব, এটা ডিপোজিটরদের জন্য করেছে। ব্যাংক যে এত কাল্পনিক টাকা তৈরি করল, এ টাকা কি ব্যাংক ডিপোজিটরদের দিতে পারবে? অপরপক্ষে ব্যবসায়ী ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের ঋনের বিপরীতে যে সুদ চার্জ করা হচ্ছে তা কি উনারা দিতে পারবেন? পারবেন না, কারণ দেশের ভেতর অত টাকা ছাপানো নেই।
সুদের হিসাব করতে করতে দেশের সব টাকাই শেষ হয়ে যাবে তবুও সুদের হিসাব শেষ হবে না। শেষে অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে, ব্যাংক ঋণখেলাপিদের নিকট হতে টাকা তুলতে পারে না ফলে ডিপোজিটরদেরও টাকা দিতে পারে না। ফলে ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে পড়ে। তবে ব্যাংকগুলো এই কাল্পনিক টাকা নিয়ে দীর্ঘদিন টিকে থাকে। কারণ এ টাকা ট্রান্সফারের মাধ্যমে এক একাউন্ট থেকে অন্য একাউন্টে লেনদেন করা যায়, এক শাখা থেকে অন্য শাখায় স্থানান্তর করা যায়, ডিডি, টিটি, পে-অর্ডার ইত্যাদি ইন্সট্রুমেন্ট তৈরি করা যায়। আর ব্যাংকের টাকা সবাই এক সঙ্গে তুলতে আসে না। কেউ জমা দেয় আবার কেউ উঠাতে আসে। ফলে, উক্ত সমস্যা ধরা পড়তে অনেক সময় লাগে।
ব্যাংকের তারল্য রক্ষা করার জন্য কমপক্ষে ২০% লিকুইডিটি প্রয়োজন হয়। কিন্তু শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সুদের কাল্পনিক টাকার তুলনায় আসল টাকার হার শূন্যের দিকে ধাবিত হয়। যেমন, ১০% হার সুদে এক বছর পর সুদাসল হয় ১১০ টাকা। তাহলে এক বছর পর মানি মার্কেটে আসল টাকার হার হয় ৯০%, দ্বিতীয় বছর হবে ৮৩ %। দশ বছর পর হবে ৫০%। একশত বছর পর কাল্পনিক টাকার তুলনায় মানি মার্কেটে আসল টাকার হার হবে ১০%। সুদ যদি চক্রবৃদ্ধি হয় আর সুদের হার যদি আরো বেশি হয় তবে আরও আগে আসল টাকার হার ১০% হবে। এভাবে চলতে চলতে আসল টাকার হার শূন্য হয়ে যাবে। এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, সুদ আসল পুঁজিকেই খেয়ে ফেলছে। তাই পবিত্র কুরআনের সূরা আর-রুমের ৩৯নং আয়াতে আলাহপাক বলেন, ‘লোকদের অর্থের সহিত সামিল হয়ে বৃদ্ধি পাবে এইজন্য তোমরা সুদের ভিত্তিতে যে সম্পদ খাটাও আলাহপাকের দৃষ্টিতে তা মোটেই বৃদ্ধি পায় না।’ অর্থাৎ আসল সম্পদ কমতে থাকে। ফলে ব্যাংক মারাত্মক তারল্য সঙ্কটে পড়ে দেউলিয়া হয়ে যায়। রাসূল (সা.) যথার্থই বলেছেন যে, সুদ পরিমাণে বেশি দেখালেও তার পরিণতি শূন্য। মুসনাদে আহমাদ।
সুদের এই কাল্পনিক টাকা পণ্য বাজারকেও অস্থিতিশীল করে। কারণ সুদের এই কাল্পনিক টাকা বৃদ্ধি পেয়ে রাষ্ট্রীয় টাকার চেয়েও বেশি হয়ে সুদখোরদের হাতে চলে যায়। এ টাকা দিয়ে তারা পণ্য ব্যাপকভাবে মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঘটায়। এরপর এ টাকা চলে যায় ক্যাপিটাল মার্কেট বা শেয়ার বাজারে। সেখানেও মনোপলি করে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি করে আবার দরপতন ঘটায়। এভাবে মানিমার্কেট, ক্যাপিটাল মার্কেট ও পণ্য মার্কেট সর্বত্র বিপর্যয় ঘটে। আধুনিক সুদি ব্যাংকগুলোর বয়স কয়েকশত বছর। তাই এখন এগুলোর ভেতরে ভেতরে প্রায় সব ব্যাংক মনে হয় দেউলিয়া হয়ে পড়েছে। দেউলিয়ার হাত হতে বাঁচতে হলে পর্যায়ক্রমে সুদ বন্ধ করতে হবে। প্রথমে চক্রবৃদ্ধি পরে সরল সুদ এবং সর্বশেষে ডেডলাইন দিতে হবে- আজ থেকে সবাইকে সুদের টাকা ছেড়ে দিতে হবে এবং আসল টাকা নিতে হবে। এভাবেই ইসলাম সুদ থেকে বের হয়ে এসেছিল। (সূরা বাকারা-২৭৫; সূরা আলে ইমরান-১৩০; ভাষণ : বিদায় হজ্ব)
উপরোক্ত ব্যাংকিং, একাউন্টিং, মুদ্রাতত্ত্ব, কুরআন এবং হাদিসের আলোচনা, পর্যালোচনা এবং গাণিতিক হিসাবের মাধ্যমে আমরা প্রমাণ করতে পারলাম যে, সুদের মাধ্যমে পুঁজি শুধু ফুলিয়ে-ফাঁফিয়ে উঠে আয়তনে বৃদ্ধি পায়। কিন্তু সংখ্যাগতভাবে বৃদ্ধি পায় না; যেমন- একটি বেলুন ফুলে অনেক বড় হয় আবার একটি রুটি ভাজার সময় ফুলে অনেক বড় হয়। কিন্তু বড় হলে কি হবে- একটি বেলুন বা একটি রুটি শুধু একজনকেই নগদ দেয়া যায়, তেমনি একটি পুঁজি (ক্যাপিটাল) সুদের কারণে ফুলেফেঁপে অনেক বড় হলেও একটি পুঁজির মূলটুকুই নগদায়ন করা যায়। সুদটুকু ব্যবহার করা যায় না বলেই ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যায়। আর ব্যাংকগুলো যাতে কাল্পনিক টাকা তৈরি ও ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য ডবল এন্ট্রি পদ্ধতির পাশাপাশি নিজের অবস্থান যাচাই করার জন্য সিঙ্গেল এন্ট্রি পদ্ধতি চালু করতে হবে এবং এ বিশ্বকে সুদের কবল হতে রক্ষা করতে হবে। ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে এ ধরনের বিপর্যয় সৃষ্টি হয় না। সে আলোচনা পরবর্তিতে হবে, ইনশাআলাহ।
লেখাটি এই লিংক থেকে কপি পেস্ট করা