somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

কুতুবদিয়া
দীর্ঘদিন ধরে কুতুবদিয়া দ্বীপের গঠন প্রক্রিয়া শুরু হলেও এ দ্বীপ সমুদ্র বক্ষ থেকে জেগে উঠে চতুর্দশ শতাব্দীর শেষের দিকে। ধারণা করা হয়, পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষের দিকে এ দ্বীপে মানুষের পদচারণা। “হযরত কুতুবুদ্দীন” নামে এক কামেল ব্যক্তিআলী আকবর, আলী ফ

আলো জ্বলুক নিয়মিত=বাতিঘর

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গভীর সমুদ্রে চারদিকে শুধু পানি থৈ থৈ, কোনো কূলকিনারা নেই, পূর্ব-পশ্চিম-উত্তর-দক্ষিণ চেনার কোনোই উপায় নেই, নাবিকরা দিশেহারা, কোনটা তাদের সঠিক পথ_ সেই ভয়ানক বিপদ মুহূর্তে নাবিকদের সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকে কুতুবদিয়া বাতিঘর। বিপদের বাতি হিসেবে কুতুবদিয়া বাতিঘরটি বিগত কয়েক শত বছর ধরে জ্বলছে, মাঝে মধ্যে নিভছে, আবার জ্বলছে। এখন আবার নিভে গেছে। এ বাতিঘরটি এখন শুধু কালের সাক্ষী হয়ে আছে, এটি নিয়মিত জ্বলে না।
সমুদ্রপথে জাহাজ চলাচলে সুবিধার জন্য ব্রিটিশরা এ বাতিঘর নির্মাণ করেছিল। দূর থেকে এই বাতি দেখে জাহাজের নাবিকরা পথভ্রান্ত না হয়ে সঠিক পথ নির্ণয় করতে পারবেন সেটিই ছিল নির্মাণের মূল উদ্দেশ্য। সুতরাং এ বাতিঘর শুধু কালের সাক্ষী নয়, সমুদ্রপথে সঠিক পথে চলাচলের একটি অতি জরুরি বিষয়। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বাংলাদেশের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে এ বাতিঘরটির অবস্থান এর ৪৫ কিলোমিটার উত্তরে দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম, ৩০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে গভীর সমুদ্রে সাঙ্গু গ্যাসক্ষেত্র। ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে বাস্তবায়নাধীন সোনাদিয়া গভীর সমুদ্র বন্দর। এ ছাড়াও বর্তমানে কুতুবদিয়ায় দেশের সর্ববৃহৎ গ্যাসক্ষেত্রের সফল জরিপ কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। কাজেই এ বাতিঘরটির বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে যে বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে এতে কারো দ্বিমতের কোনো অবকাশ নেই। অথচ নানা অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও অযত্ন-অবহেলায় এই অতীব জরুরি বাতিটি নিয়মিত জ্বলছে না; নাবিকদের সমুদ্রপথে নিতান্তই কষ্ট হচ্ছে। অনেক জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ জিনিস অযত্ন-অবহেলা ও প্রকৃত নজর না দেয়ার অভাবে নষ্ট ও ধ্বংস হয়ে যাওয়ার নজির এ দেশে ভূরি ভূরি রয়েছে। সুচিকিৎসার জন্য মূল্যবান এক্স-রে, ইকোকার্ডিওগ্রাম মেশিন বহুদিন খোলা আকাশের নিচে থেকে পানিতে-রোদে নষ্ট হয়ে যাওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। কুতুবদিয়া বাতিঘরটি তেমন অবহেলার শিকারে পরিণত হয়েছে, বর্তমানে বাতিঘরের আলো জ্বলা-না জ্বলা কর্মরত কর্মচারীদের ওপর নির্ভর করছে খবরে আমরা মর্মাহত না হয়ে পারি না। অভিযোগ রয়েছে, সেখানকার কর্মচারী বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে জায়গা ও দিঘি লিজ না দিয়ে নিজেরাই ভোগ করছে। বাতিঘরে জেনারেটরের মাধ্যমে ১৫টি ব্যাটারিতে চার্জ করা হয়। ওই ব্যাটারির মাধ্যমে বাতিঘরে আলো জ্বলে। জেনারেটরের জন্য বার্ষিক ৩ হাজার ৫০০ লিটার ডিজেল বরাদ্দ থাকে। প্রায় সময় ইঞ্জিন বিকল দেখিয়ে ডিজেলগুলো বাইরে পাচার করে দেয়া হয়। লক্ষ্যণীয়, সমস্যাটি খুব বড় নয়। প্রকৃত তত্ত্বাবধানের অভাবে এমনটি ঘটছে। বাতিঘরটির রক্ষণাবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধান অভ্যন্তরীণ নৌ-বাণিজ্য অধিদফতরের। আমরা আশা করবো, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অনতিবিলম্বে বাতিঘরটির প্রতি নজর দেবে এবং বাতিটি যেন নিয়মিত জ্বলে নাবিকদের পথ দেখায়, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১২
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিব নারায়ণ দাস নামটাতেই কি আমাদের অ্যালার্জি?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৭


অভিমান কতোটা প্রকট হয় দেখেছিলাম শিবনারায়ণ দাসের কাছে গিয়ে।
.
গত বছরের জুন মাসের শুরুর দিকের কথা। এক সকালে হঠাৎ মনে হলো যদি জাতীয় পতাকার নকশাকার শিবনারায়ণ দাসের সঙ্গে দেখা করা সম্ভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতি মাসে সামু-ব্লগে ভিজিটর কত? মার্চ ২০২৪ Update

লিখেছেন জে.এস. সাব্বির, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

মার্চ ২০২৪ সালে আমাদের প্রিয় সামু ব্লগে ভিজিটর সংখ্যা কত ছিল? জানতে হলে চোখ রাখুন-

গত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিউ ছিল জানুয়ারি মাসে। ওই মাসে সর্বমোট ভিজিট ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×