somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যাত্রা বিরতি

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মেইন প্লাটফর্ম থেকে বের হতেই ষ্টিলের বেঞ্চগুলি চোখে পড়লো। চার জনের মত বসা যাবে। পাশে আরেকটি লাগোয়া। এখানে বসলে সামনের ডলার ভাঙানোর বুথগুলো স্পষ্ট দেখা যায়। আমি অল্প কিছু ডলার টার্কিশ লিরায় ভাঙিয়ে নিলাম। আতাতুর্কের লোগো লাগানো টাকাগুলো হাতে নিয়ে ভালোই বিদেশি বিদেশি মনে হচ্ছিল। আমার পাশের সিটে যে এক ভদ্রলোক বসে আছেন, তা মাত্রই খেয়াল করলাম। মুখ ভর্তি দাড়ি। মোচও রেখেছেন। উজ্জল ফর্সা, তবে মনে হচ্ছে রোদে ঘুরাঘুরির কাজ তার একটু বেশিই করতে হয়। উৎসুক চোখে তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে। আমি নিজেই আগ বাড়িয়ে কথা বলা শুরু করলাম। কারণ, আমার কানেক্টিং ফ্লাইট ধরতে আরো ৯ ঘন্টা এই আতাতুর্ক এয়ারপোর্টেই কাটাতে হবে। তো, বিদেশিদের দেশে বিদেশি হওয়ার অনুভূতিটা এই টার্কিশই ভালো বোঝাতে পারবেন। কথা বলে মনে হলো ইংরেজির জন্য বেশ কাঠখড় পুড়িয়েছেন, কিন্তু কাজের কাজ তেমন হয়নি কিছুই। ভাঙা ভাঙা দুই একটি শব্দ শুনেই উনার বলতে চাওয়া কথা বুঝে নিতে হচ্ছে আমার।

এই ভিন দেশে একলা এক ছোট মানুষ, এসব আগ-পিছ চিন্তা করে তার সাথে সেল্ফি তোলার মাধ্যমেই গল্পের মেইন পটভূমিতে ঢোকার চেষ্টা করলাম। সে বলেই চলেছে- বাড়িঘর, পড়াশুনা, কি করে… সময় যে বেশ ভালোই কাটছে তা ঘড়ির কাঁটা দুই ঘন্টা এগিয়ে যাওয়ার মাধ্যমেই বুঝতে পারলাম। এরই মাঝে ক্ষুধায় পেটের চোঁ চোঁ শব্দও কানে আসতে শুরু করলো। অনেক ইশারা ইঙ্গিতে বুঝালাম, ভাই খাবার কই পাবো। আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিয়ে বলল সমস্যা নাই, আমি নিয়ে যাচ্ছি। নিয়ে তো গেলোই, সাথে সাথে নিজের পকেটের টাকা খরচ করে খাবারও কিনে দিলো। টার্কিশ এয়ারলাইন্সের তেতো জয়তুন প্রধান খাবার খেয়ে ভেবেছিলাম তুরস্কের লোকগুলোও বুঝি তেতো স্বভাবের। কিন্তু এই নতুন পরিচিত লোকটি আমার সকল ভুল ধারণা নিমেষেই দূর করে দিল। এয়ারপোর্টের অনেকেরই হাতে মেয়েদের হাতের ব্যাগের মত ব্যাগ দেখলাম। আমার সাথের ভদ্রলোকটিরও এ রকম একটি আছে। একবার ওয়াশরুমে যাবেন বলে আমার হাতে সেই ব্যাগ দিয়ে বললেন- এখানে আমার টাকা, ব্যাংক কার্ডসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আছে, ভালোভাবে রেখো। আমিও আমানত বেশ ভালোভাবেই রাখলাম। দেখতে দেখতে দ্বিতীয় ফ্লাইটের সময় হয়ে এলো। ওয়াশরুমটা কোথায় জিজ্ঞেস করতেই বললো, সামনের কাউন্টার পয়েন্টের পেছনেই। ব্যাগ নিয়ে কষ্ট করার দরকার নেই বলে আমার ল্যাপটপের ব্যাকপ্যাকটা রেখে যেতে বললেন। আমি সময় নষ্ট না করে ভদ্র লোকের কাছে ব্যাগ রেখে ওয়াশরুমে গিয়ে এলাম। এসে দেখি ভদ্রলোক তার স্থানে নেই। ভদ্রলোকের কার্ডে দেয়া নম্বরে ফোন দিতেই *আরাদিনিজ কিসি সুয়ান উলাসামিয়র *(আপনার কাঙ্খিত নম্বরে এই মুহুর্তে সংযোগ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না)।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:১৪
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×