***১***
করজোড়ে স্বরি ঈশ্বরে প্রাণপণে,
বিনিদ্র রজনী জপি নাম ক্ষণে ক্ষণে;
অনেক হয়েছে হেঁয়ালী তবে আর নয়; আর নয়;
তমসাচ্ছন্ন দিনলিপি হতে মুছে যাক সংশয়।
অক্ষম আমি, পারিনা এড়াতে অযাচিত সংযোগ
তোমাতেই ফিরি, এই আকুতি - ঘটাও দৈবযোগ।
***২***
তোর মনের ভিতরে হাজার সাওয়াল দেয় রে উঁকি
হোমের আগুন জ্বলে বুকে ধিকি ধিকি
সাত জনমের কথা আছিল দুইজনাতে
আধেক হয় নাই এক জনমও এই বেলাতে!
দুই চক্ষু তোর ইটের ভাটির মতন পোড়ে
পিঞ্জরের হাড় রাইখা আইলি আন্ধার গোরে!
***৩***
বেদনার রঙ নীল কিংবা শোকের রঙ কালো,
দীঘল আখিঁ বিবর্ণ জলে ক্ষণে ক্ষণে ছলছল।
ছুঁয়েও ছুঁইনি, বুঝেও বুঝিনি; কতশত না হেলা,
দিক হারিয়ে, চেয়ে চেয়ে দেখি, দিশাহীন ভাসে ভেলা ।
হিসেব মেলেনা; কিছুতেই না! খাঁ খাঁ হৃদয় জমিন,
বিষন্নতায় অপরাধী পোকা দংশায় নিশিদিন।
*** তারার হাসি'র একটা লেখা পড়ে একবার মন্তব্যের ঘরেই লিখেছিলাম : Click This Link
***৪***
ভীষণ স্বাবলম্বী হতে দেখলাম তোমাকে;
এখন আর এটা-ওটা জেনে নিতে, বুঝে নিতে ডাকো না আমাকে!
দেখো আমায় ঠিকই, খোঁজোনা শুধু; প্রয়োজন নেই আগের মত,
অবশ্য আমি জানি, গড়ালে সময়, মুছে যাবে এই হেলার ক্ষত।
আলগোছে তাই দেখে, সরে যাই, তোমার সৃষ্টি বন্দনা,
পেছনে ভাঙ্গন; বলবোনা তবু, কতটা কাঁদায় যন্ত্রনা।
***৫***
বিবেক হতে আটপৌঢ়ে মানব নয়; নেহায়েত পুরুষ হলে তুমি!
দ্রবীভূত নেশায় হাতড়ে বেড়াও উত্তাপ, খোঁজো উত্তপ্ত কোন ভূমি।
কেবলি উন্মাদনায় মজো; উষ্ণতা তোমায় করেনা রোমাঞ্চিত,
শর্তহীন প্রেমে ডুবুডুবু আর্দ্রতায় আপাদমস্তক আলোড়িত।
ক্লান্ত তৃপ্তিতে গাঢ় নিঃশ্বাস অতঃপর বলে আগুনে পুড়িয়ে তুষ -
এখন তুমি যে কোন পুরুষ!
***৬***
ফেরাও আমারে-
এই মিনতি তোমাতেই বারেবারে।
পুড়ে নাও বাহুডোরে,
ঠুনকো রীতির নাগপাশ ছিঁড়ে-খুঁড়ে।
হাঁসফাঁস পিঞ্জরে,
স্বস্তি আনে তোমার নিঃশ্বাস হৃদয় মাঝারে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:৫৯