এই মজুরি দেয়ার সামর্থ্য নেই: বিজিএমইএ
টরন্টো শহরে নাকি একটা এলাকার নাম বেগমগঞ্জ। নামটি স্থানীয় বাঙালিরা দিয়েছেন। পয়সা ওয়ালাদের এলাকা নাকি সেইটা। এই এলাকায় বাংলাদেশ হতে ইমিগ্রেশন নিয়ে আসা অনেক পয়সাওয়ালা মানুষ বাড়ী ঘর কিনে বসবাস করেন। তাঁদের বেশীরভাগই দেশের প্রথিতযশা গার্মেন্টস্ ব্যাবসায়ী। কয়দিন আগে বেগমগঞ্জের এক বাঙালির বাড়ীতে চুরি হয়েছে। শত ভরি স্বর্ণালঙ্কার এবং ও হাজারেবিজারে ডলার খোয়া গেছে। যার চুরি গেছে তিনি বাংলাদেশের এক গার্মেন্টস মালিকের স্ত্রী। জামাই থাকেন বাংলাদেশে ব্যাবসাপাতি দেখাশোনা করেন। বৌ/বাচ্চা থাকছেন কানাডায়। শুনেছি বেগমগঞ্জের অনেক বেগম এর নাকি ব্যাক্তিগত গাড়ীর ড্রাইভার, কাজের লোক ইত্যাদি রেখে দিয়ে গেছেন তাঁদের জামাইরা। যেখানে খোদ কানাডিয়ান বড়লোকরাও নিজের গাড়ি নিজে ড্রাইভ করেন। চরম পয়সাঅলা না হলে বিরাট বিলাসিতা শোফার অথবা মেইড রাখারতো প্রশ্নই আসে না।
৫৩০০ বাংলা টাকা মানে ৭০ কানাডিয় ডলার। অন্টারিও কানাডার একটি প্রদেশ। এই প্রদেশে শ্রমিকের নূন্যতম মজুরী হচ্ছে প্রতি শ্রমঘন্টায় ১০.২৫ ডলার। তার মানে দিনে নূন্যতম ৮ ঘন্টা করে কজ করলে দৈনিক মজুরী ৮২ ডলার অর্থাৎ প্রায় ৬৫০০ বাংলা টাকা। যদিও এই দেশে কেএফসি খায় সাধারন পাবলিক বাংলাদেশে দেখে আসছি বড়লোকেরা সখ করে কেএফসি, পিৎজ্জা হাট, নান্দুজ ইত্যাদি খায়। পরিবারের ৩/৪ জন এক বেলা কেএফসি খেলে খরচ ৬০/৭০ ডলার। জানি না বেগমগঞ্জের বেগমেরা এদেশে কি খেয়ে দিন গুজরান করছেন! তবে এ দেশে যেটা ৭ ঘন্টার মজুরী, সাধারন বিত্তের একবেলার খাবার খরচ তাদিয়ে আশুলিয়া হয়ত রহিমা বেগমের নিশ্চিন্তে একটি মাস চলে যাবার কথা। বিনিময়ে সে মাসে ২৮৮ ঘন্টা কাজ করেদিতে রাজি। তবু তাঁকে মাসে ৭০টি ডলার মজুরীর ব্যাবস্থা করে দেবার সামর্থ্য আমাদের কারো নেই। হায় দরিদ্র জীবন, ব্যাংকের ভেতর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ থাকলেই কিবা আসে যায়!
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৪