প্রথম আলো জানাইল, ডিভি ভিসা বন্ধ হইয়া যাইতাছে।
যারা সাম্রজ্যবাদির দেশে যাইতে চাইচিল, তারা আর যাইতে পারিব
না।
কি সুখবর ।
আলহামদুলিল্লাহ !
প্রথম আলো ১৯/৭/২০১১
ডাইভারসিটি ভিসা (ডিভি) লটারির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ ভিসা দেওয়ার কর্মসূচি বন্ধ করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সে দেশের রক্ষণশীলেরা। মার্কিন কংগ্রেসে এই কর্মসূচি বাতিলের জন্য ইতিমধ্যে প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। আগামীকাল বুধবার কংগ্রেসের জুডিশিয়াল কমিটিতে এ নিয়ে আলোচনা হবে।
ভার্জিনিয়া থেকে নির্বাচিত রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান বব গুডলাটে ডিভি কর্মসূচি বাতিলসংক্রান্ত আইনের খসড়া কংগ্রেসে উপস্থাপন করেন। প্রস্তাবটি পাস হলে ডিভি লটারির মাধ্যমে প্রতিবছর হাজার হাজার বিদেশির মার্কিন অভিবাসন পাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯৫ সাল থেকে চালু হওয়া এই কর্মসূচির আওতায় প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ৫০ হাজার লোক অভিবাসন পায়। এই ভিসা প্রাপ্তির দিক থেকে বাংলাদেশ শীর্ষ সুবিধাপ্রাপ্ত দেশ। এই কর্মসূচিতে গত দেড় দশকে এক লাখের বেশি বাংলাদেশির বৈধ অভিবাসন ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে।
কর্মসূচি বাতিলের প্রস্তাব উত্থাপনকারী কংগ্রেসম্যান বব গুডলাটে সম্প্রতি বলেছেন, যেকোনো জঙ্গি সংগঠনের শত শত কর্মী-সমর্থক এই কর্মসূচির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকে পড়তে পারে। তাই এই কর্মসূচি বাতিলের এখনই উপযুক্ত সময়।
গত পাঁচ বছরে কংগ্রেসে দুই দফা ডিভি কর্মসূচি বাতিলের প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। তবে সিনেটের শক্ত অবস্থানের কারণে রক্ষণশীলদের উদ্যোগ ইতিপূর্বে ব্যর্থ হয়েছে।
ডিভি কর্মসূচির অন্যতম রূপকার ছিলেন প্রয়াত সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি। এই কর্মসূচির জন্য জীবিতাবস্থায় তাঁকে তীব্র আক্রমণ সহ্য করতে হয়েছে। বিশ্লেষকেরা বলেছেন, এডওয়ার্ড কেনেডির মতো ব্যক্তিত্বের অনুপস্থিতিতে রিপাবলিকানরা এবার এই কর্মসূচি বাতিলে সক্ষম হতে পারে।
এদিকে অভিবাসী মহল থেকে রক্ষণশীলদের এই উদ্যোগের কঠোর সমালোচনা করা হচ্ছে। ওয়াশিংটন-ভিত্তিক অভিবাসনবিষয়ক বুদ্ধিজীবী মাইকেল ওয়াজলিন বলেন, সমস্যাকে মোকাবিলা নয়, দৃষ্টি অন্যত্র ফেরানোর জন্য রক্ষণশীলেরা ডিভি কর্মসূচি বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বলেন, ভেঙে পড়া অভিবাসন আইনের সংস্কার এবং অভিবাসীদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেওয়াটাই এখন জরুরি।
গত বছর বিভিন্ন দেশ থেকে দেড় কোটি লোক ডিভি লটারির জন্য আবেদন করেন। এতে প্রযুক্তিগত ত্রুটি ধরা পড়ায় ফলাফল ঘোষণার পরও তা বাতিল করে দেওয়া হয়। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিজয়ীদের কাছে প্রাথমিক চিঠিও পৌঁছেছে। প্রযুক্তিগত ত্রুটিতে ফলাফল বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে বিজয়ীদের পক্ষ থেকে মামলা পরিচালনা করা হয়। ওয়াশিংটনের উচ্চ আদালত গত সপ্তাহে মামলাটি বাতিল করে দেন। গত বছরের আবেদনকারীদের মধ্যে এখন নতুন করে লটারি হবে বলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।