পুরোনো বছরের সকল জরা -জীর্ন, শোক -তাপ পেছেনে ফেলে নতুন বছর কে স্বাগত জানাতে প্রবাসী বাঙালিরা মিলিত হয়েছিল জাবিল পার্কে। বাঙালির প্রাণের উৎসব, চিরন্তন ঐতিহ্যের উৎসব-আনন্দে অবগাহন করার উৎসব।বর্ষবরণের সার্বজনীন উৎসবে বাংলার চিরায়ত সংস্কৃতিকে হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করছে প্রবাসীরা। শিশুদের জন্য ছিল বিশেষ ভাবে আনন্দের দিন। চারিদিকে সবুজ সমারোহের মাঝে বাচ্চাদের ছুটাছুটি, গাছে উঠা, ফুটবল খেলা করার দৃশ্য আমাদের ছোটবেলার স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়েছে ।
[আপুদের ফটোসেশন ]
আপুদের জন্য ছিল পিঠা প্রতিযোগিতা। খুব সুন্দর সুস্বাদু পিঠা বানিয়ে নিয়ে এসেছিলেন। হরেক রকম পিঠা খেতে পারার মজাই আলাদা। স্বাদ অতুলনীয় !
বাঙালি ভজন রসিক এটা বলার অপেক্ষাই রাখে না। বাঙালি হয়ে পহেলা বৈশাখে ইলিশ খাবেন না, তা কী করে হয়! ইলিশ ছাড়াও বৈশাখী মেন্যুতে ছিল হরেক রকম ভর্তা , ইলিশ ভাজা, সাদা ভাত, খাসির ভুনা সহ নানান দেশিয় খাবার। বাঙালির প্রাণের উৎসবকে পূর্ণতা দিতে আয়োজকরা বিশেষ করে হুদাইবিয়া রেস্টুরেন্টর খাবারের মেনু ছিল অসাধারণ।
[বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান এর ম্যাচ চলছে মোবাইলে ]
[বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান এর ম্যাচ চলছে মোবাইলে ]
বাচ্চাদের জন্য ছিল চিত্রাংকন , দৌড় , 'যেমন খুশী তেমন সাজ' প্রতিযোগীতা।
বড়দের জন্য ছিল দড়ি টানাটানি প্রতিযোগিতা।
একদল হেরে অভিযোগ, বহিরাগতরা অন্য দলে সাহায্য করেছে। আমার ক্যামেরায় দেখুন বহিরাগতদের ছবি।
মইনুল ভাই পুরা অনুষ্ঠান খুব সুন্দর ভাবে অর্গানাইজ করছেন, ছুটাছুটি করছেন এবং সব সময় মুখে মিষ্টি হাসি মেখে। খুব সুন্দর এবং সুচারুভাবে আয়োজন সম্পন্ন করার জন্য ,ছালাম ভাই , রশিদ ভাই গনি ভাই , সর্বোপরি যারা এই অনুষ্ঠানের সাথে জড়িত ছিল সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
[মইনুল ভাই]
আমাদের সবার প্রত্যাশা , অতীতের সব গ্লানি ও বিভেদ ভুলে বাংলা নববর্ষ সর্বক্ষেত্রে আমাদের ঐক্য আরও সুদৃঢ় করবে এবং বয়ে আনবে অফুরন্ত আনন্দের বারতা। পরস্পরের সঙ্গে জানাশুনা, আড্ডা, খাওয়া-দাওয়া, সবমিলিয়ে সবাই দারুণ একটি দিন উপভোগ করছি।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪২