somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চৈত্র মাসে বাংলাদেশের বড় মার্কেটপেলেসের কাস্টমার আমি ও আমার

২৩ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চৈত্র মাসের খরা রোদকে এড়িয়ে বসে আছি কলেজ ক্যাম্পাসের ব্যাচেলর চত্বরে. পাশে আছে সুন্দরী রমনীরা (মানে বন্ধু-বান্ধবীরা). সামনে একটি বালক; গলায় ক্যামেরা ঝুলিয়ে আর হাতে বোর্ড ও কলম নিয়ে আমার অভিমুখে ছুটে আসল.
- ভাইয়া, আমি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মার্কেটপেলেস “এখানেই ডট কম” থেকে এসেছি.
- ওহ, ভাল। আপনারা কি আপনাদের সাইট কতটা ভাল মানের সেটা জরিপ করছেন?
- নাহ, নাহ. আপনার ফোনটা একটু দিবেন? ছবি তুলবো.
- ছবি তুলে কি করবেন?
- “এখানেই ডট কমে” বিক্রির জন্য এ্যাড করব.
- কিন্তু আমি তো আমার ফোনটা বিক্রি করতে চাচ্ছিনা.
- ভাল দাম পাবেন, প্লিজ ভাইয়া.
- ঠিক আছে, তাহলে নিন.
- ফোনের মডেল?
- নকিয়া N70
- দাম ১২০০ টাকা.
- ১২০০ টাকা দিলেন? তাহলে তো ফোনটা কেনার জন্য অনেক কাষ্টমার আপনাকে ফোন করবে.
- করুক. আমি তো তাই চাচ্ছি.
- আপনার নাম?
- লিমন.
- ওকে, ভাইয়া আপনাকে Many Many Thanks.
- ঠিক আছে, আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ. কিছু মনে না করলে আপনাকে একটা প্রশ্ন করতে পারি?
- জ্বি করেন,
- কোম্পানীর কাছ থেকে আপনি প্রত্যেক এ্যাডের জন্য কত টাকা পান?
- ২০ টাকা. কেন, বলেন তো?
- নাহ এমনিতেই জানতে ইচ্ছা করল. তাই জানলাম.
বলে চলে গেল. ব্যাচেলর চত্বরের আড্ডা সুন্দরী রমনীদের সাথে ভালই আনন্দের হল. গতকাল সন্ধ্যাবেলায় এটা টেলিফোন নম্বার থেকে আমার ফোনে কল আসল.
- আপনি কি লিমন স্যার বলছেন?
- জ্বি, আপনি কে বলছেন?
- জ্বি আমি দেখতে পারছি আপনি “এখানেই ডট কমে” নকিয়া N70 মডেলের একটা ফোন বিক্রি কারার জন্য এ্যাড করেছেন.
- হ্যা, (করিনি, চাইছে তাই দিছে)
- মানে?
- কিছু না, এমনি বলাম. হ্যাঁ বিক্রি করার জণ্য এ্যাড দিয়েছিলাম.
- আমি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মার্কেটপেলেস “বিক্রয় ডট কম” থেকে বলছি. আপনি যদি চান তাহলে আপনার এই এ্যাডটা আমি “বিক্রয় ডট কমে” দিতে পারি, জ্বি স্যার আপনি চাচ্ছেন আপনার এই এ্যাডটা আমি “বিক্রয় ডট কমে” দেই.
- ওকে দেন.
- Thank u স্যার.
হায়রে আমার ই-কর্মাস মার্কেটপেলেস যেখানে সেখানে জিনিস বিক্রি হচ্ছে, তাও আবার বিক্রি করতে না চাইলেও. মাত্র ২০ টাকার জন্য কত কাহিনী আর কত জটিলতা পোহাতে হচ্ছে, আর কতটাই না অন্যের কাছে চাওয়া চাইর মাঝে থাকতে হচ্ছে তাদের. এবার আপনিও প্রস্তুত হয়ে নিন, কেননা ওরা আপনার কাছেও আসতে পারে নতুবা ফোন করতে পারে আপনার কাক্খিত এ্যাড নিতে.
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:০৪
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×