somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য ক্যান্সার , তাই দেশপ্রেমিক ব্লগারদের উচিৎ ব্লগ জগতে এই নিয়ে আরেকটি যুদ্ধ ঘোষণা করার

১০ ই এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ২:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেকেই প্রশ্ন করে রোহিঙ্গা কি ?
রোহিঙ্গাইংরেজি ভাষায়: Rohingya) জনগোষ্ঠী পশ্চিম মায়ানমারের আরাকান রাজ্যের একটি উলেখযোগ্য নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী। এরা ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত। রোহিঙ্গাদের আলাদা ভাষা থাকলেও অধিকাংশই বাংলা ভাষায় কথা বলে। মায়ানমারের আকিয়াব, রেথেডাং, বুথিডাং এলাকায় এদের বাস।
বাংলাদেশে যেভাবে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ,
১৯৬০ সালের শুরু থেকেই মায়ানমার সরকার কৌশলগতভাবে সব ধরনের উন্নয়নমূলক ধারা থেকে রোহিঙ্গাদের দূরে সরিয়ে রাখে। এমনকি তাদের নাগরিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত করা হয়। ১৯৪৮ থেকে ১৯৫৮ সাল দীর্ঘ ১০ বছর গণতান্ত্রিক সরকার দেশ শাসন করার পরও রোহিঙ্গারা পূর্ণ মর্যাদা পায়নি। অবস্থার অবনতি হয় ১৯৬২ সালে সামরিক সরকার ক্ষমতায় আসার পর। ১৯৭৭ সালে অপারেশন নাগামিন নামক এক সমীক্ষায় মায়ানমারের নাগরিকদের রেজিস্ট্রেশন করে নাগরিক মর্যাদা দেয়া হলেও রোহিঙ্গাদের সে তালিকায় রাখা হয়নি।
এক পর্যায়ে মায়ানমার সামরিক জান্তার অত্যাচার ও উৎপীড়নে অতিষ্ঠ হয়ে ১৯৯১ এর নভেম্বর থেকে ১৯৯২ সালের শুরম্নর দিকে মিয়ানমারের তৎকালীন সামরিক জানত্মা সরকারের বিভিন্ন অত্যাচার নির্যাতন এবং ব্যাপক উচ্ছেদের শিকার হয়ে সীমানত্মে অতিক্রম করে ২ লাখ ৫১ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে চলে এসেছিল। এই বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে তৎকালীন সরকার মানবিক করনে নাইৰ্যংছড়ি, টেকনাফ, রামু ও উখিয়া উপজেলার ১১টি ক্যাম্পে শরণার্থীর মর্যাদা দিয়ে রেখেছিল , জাতিসংঘ ও এর কয়েকটি সহযোগী সংস্থার তত্বাবধানে থেকে রোহিঙ্গারা শরণার্থীর মর্যাদা পায়। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নভূক্ত প্রভাবশালী রাষ্ট্রসমূহ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের লালন পালনে অর্থ সাহায্য দিয়ে আসছে। পরবর্তীতে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনের মধ্যস্থতায় এবং আনত্মর্জাতিক মহলের চাপে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়। এরই প্রেৰিতে ৯৪ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসন শুরম্ন হয়। ইউএনএইচসিআরের তত্ত্বাবধানে সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরে যেতে শুরম্ন করে। এক পর্যায়ে ১৯৯৭ সালের আগষ্ট মাসে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরৎ নেয়া বন্ধ করে। পরে দু'দেশের সরকারের পরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কয়েক দফা বৈঠকের পর মিয়ানমার সরকার আবারও রোহিঙ্গা শরণার্থী ফেরৎ নিতে শুরম্ন করে। তবে এই পর্যায়ে মিয়ানমার কর্তৃপৰ ছোট ছোট দলে রোহিঙ্গা শরণার্থী নিতে থাকে। ১৯৯৪ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যনত্ম এখানকার ক্যাম্পের অবস্থানকরা শরণার্থীর মধ্য থেকে ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫৯৯ জন শরণার্থী স্বদেশে ফেরৎ যায় । সর্বশেষ ২০০৫ মালে ২৯ জনের শরণার্থীর দল স্বদেশে ফিরে গিয়েছিল। বর্তমানে দু'ট ক্যাম্পে যেসব রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়ে গেছে মিয়ানমার সরকার তাদেরকে ছাড়পত্র দেয়নি ।
কক্সবাজারস্থ রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয় সূত্র জানায় বর্তমানে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে ১১শ ৭১ পরিবারের ১৪ হাজার ৭২১ জনসহ প্রায় ২৫ হাজার বৈধ রোহিঙ্গা শরণার্থী অবস্থান করছে। তবে ইউএনএইচসিআর এর কক্সবাজার কার্যালয়সহ সংশিস্নষ্ট একাধিক সূত্র মতে দুটি ক্যাম্পে বৈধ শরণার্থীরও সংখ্যা শিশুসহ ২৮ হাজারের কিছু বেশি।
এই ২৮ হাজার রোহিঙ্গার দ্বায় ভার জাতিসংঘ এবং পশ্চিমা বিশ্ব নিলেও, অবৈধ প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গার দায়িত্ব কেউ নেয়নি আর যার কারণে পরিবেশের মারাত্মক ৰতি হচ্ছে। মানবেতর জীবন যাপন করছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা। এ বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার কারণে উখিয়া ও টেকনাফসহ পুরো কক্সবাজার জেলায় দেখা দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি সহ নানা সামাজিক অস্থিরতা।
বর্তমানে বাংলাদেশে অবৈধ রোহিঙ্গার সংখ্যায় প্রায় ৫ লাখের ও বেশি
সরকারের কাছে হিসাব নেই অবৈধভাবে কী পরিমাণ রোহিঙ্গা শরণার্থী বসবাস করছে তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই। অবৈধ রোহিঙ্গাদের সরকারের কোনো যথাযথ তদারকি না থাকায় দেশের সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রোহিঙ্গাদের তদারকির জন্য স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি জাতীয় সমন্বয় কমিটি গঠিত হলেও অদৃশ্য কারণেও ওই কমিটি নিষ্ক্রিয় হয়ে আছে। ফলে থমকে আছে রোহিঙ্গাদের অবৈধ অনুপ্রবেশসহ তাদের অন্যান্য কর্মকান্ডের তদারকি কার্যক্রম।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সরকার রোহিঙ্গা শরনার্থীদের অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নানা পদক্ষেপ নিলেও বাস্তবে তা তেমন কার্যকর হচ্ছে না। এমনকি যে বিপুল পরিমাণ রোহিঙ্গা শরনার্থী দীর্ঘদিন ধরে এদেশে বসবাস করছে তাদেরও নিজ দেশে ফেরত পাঠানো যাচ্ছে না। বরং দিন দিন এদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত ৯ বছরে এদেশে অবৈধভাবে প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে । এসব অবৈধ অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন কক্সবাজার জেলার টেকনাফ এবং বান্দরবান জেলার বিভিন্ন এলাকায় শরণার্থী হিসেবে বসবাস করছে পরবর্তীতে তারা এদেশের ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে নিজেদের নামে বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশ চলে যাচ্ছে। আর বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়ে রোহিঙ্গা নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডেও জড়িয়ে পড়ছে। এ দায় নিতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।
দেশের স্বাধীন স্বার্বভৌম রোহিঙ্গাদের কারণে হুমকির মূখে
মায়ানমারের এসব নাগরিক কক্সবাজারে চুরি-ডাকাতিসহ বাংলাদেশিদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে। তাদের এসব কর্মকাণ্ড জেলা প্রশাসনকে অস্থির করে তুলছে। অন্যদিকে যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে চলে গেছে, তারা মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এতে করে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন এবং দেশ শ্রমবাজার হারাচ্ছে।
কক্সবাজার প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, শরণার্থী শিবিরের বাইরে স্তূপে যারা রয়েছে, তারা এলাকায় সড়ক ডাকাতি, গরু চুরি, মাদক ব্যবসা ও নানা অপরাধ সংঘটিত করছে এবং বাঙালি নাগরিকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। এতে করে জেলা প্রশাসন আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। গত ১ বছরে শরণার্থী ক্যাম্পের আশপাশে বাংলাদেশি ও মায়ানমার নাগরিকদের মাঝে প্রায় দুই ডজন সংঘর্ষ হয় বলেও দাবি স্থানীয় প্রশাসনের।
অভিযোগ রয়েছে, অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি জমিয়েছে। তারা অনেকে ওই দেশে নানা অপকর্ম করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। বিদেশে পাড়ি জমানো রোহিঙ্গাদের কারণে বাংলাদেশকে মধ্যপ্রাচ্য বিশেষ করে দুবাই ও সৌদি আরবে শ্রমবাজার হারাতে হচ্ছে। আবার তাদের অনেকে অর্থ রোজগার করে বাংলাদেশে ফেরত এসে জায়গা-জমি ক্রয় করে বসবাস শুরু করছে।
পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে সামপ্রতিককালে যে অভিযোগটি অত্যন্ত গুরুতর তা হলো এদের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা। সহজেই এদেরকে কাআক্বীদাগত দিক থেকে এরা জঙ্গিদের সমধর্মী। আর গরীব হওয়ার কারণে জঙ্গিরা জে লাগাচ্ছে।
আর আরেক কথা হলো এই রোহিঙ্গারা প্রায় সবাই অস্ত্র চালানো সম্পর্কে ভালো ধারণা আছে তাই কোন ভাবে যদি এরা ভারী অস্ত্র পেয়ে যায় তাহলে কক্সবাজার সহ উখিয়া ও টেকনাফের কুতুপালং সহ পাহারি এলাকা দখল নিতে পারে এইতি মধ্যেই তারা বিভিন্ন পাহারি এলাকা দখন করে বসবাস শুরু করেছে । কক্সবাজার জেলার বিস্তীর্ণ বনাঞ্চলে রোহিঙ্গার আগ্রাসান বৃদ্ধি । কক্সবাজার জেলার বিস্তির্ণ বিভিন্ন সরকারী বনাঞ্চল থেকে রোহিঙ্গারা গাছ কেটে জ্বালানি হিসেবে বিক্রি করছে। বেশীর ভাগ কাঠ জেলার বিভিন্ন ইটভাটায় সরবরাহ দিয়ে যাচ্ছে। ফলে সবুজ সম্পদ বিলুপ্ত হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বনকর্মীরা বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে হাজার হাজার ঘনফুট জ্বালানি কাঠ উদ্ধার করলেও কাঠ পাচার ঠেকাতে পারছেনা। জানা গেছে, কক্সবাজার উত্তর ও দক্ষিণ বন বিভাগের বিস্তির্ণ বনাঞ্চলে অবৈধভাবে বসবাসরত লক্ষাধিক রোহিঙ্গা আয়-উপার্জনের জন্য বৈধ- অবৈধ যে কোন কাজ করতে দ্বিধাবোধ করছে না। এসব রোহিঙ্গারা চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের পাশাপাশি সরকারি বনবাগানে হানা দিয়ে মূল্যবান বনসম্পদ কেটে পানির দামে বিশেষ করে ইট ভাটায় বিক্রি করে
আরো উদ্বেগের বিষয়, বাংলাদেশ ভূখণ্ডে রোহিঙ্গাদের জঙ্গি তৎপরতার ঘটনাটি। অনেক আগে থেকেই গণমাধ্যমে রিপোর্ট বের হয়েছিল, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। তাদের অর্থ ও অস্ত্রের জোগান দেওয়া হচ্ছে। অথচ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। অথবা কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে প্রতিনিয়তই রোহিঙ্গারা এ দেশে আসছে। তারা কক্সবাজার , রাঙামাটি ও বান্দরবান এলাকায় বনভূমি উজাড় করে বসতি গাড়ছে। জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে। তারা ওই অঞ্চলের সামাজিক সমস্যার মূল কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
চুরি ডাকাতি সহ বিভিন্ন ঘটনা ঘটছে রোহিঙ্গাদের দ্বারায় প্রায়ই নিউজ পেপারে দেখা যায় রোহিঙ্গারা রাঙামাটি , কক্সবাজার চিটাগাং সহ বিভিন্ন স্থানে চুরির ঘটনার সাথে জড়িত ।
রোহিঙ্গারা এলাকায় পরিকল্পিত আইন শৃংখলার অবনতি ঘটাতে প্রতিনিয়ত চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অস্ত্রবাজী, চাঁদাবাজী, পতিতাবৃত্তি, নারী ও শিশু পাচার, মদ এবং জুয়াসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড জড়িয়ে পড়ছে। তাছাড়া দিনের বেলায় বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে ভিার জন্য ঢুকে পরিস্থিতি পর্যবেণ করে বাড়ির কাউকে সামনে না দেখলে চুপিসারে বাইরে থাকা বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। এসব রোহিঙ্গারা এলাকায় অবাধে বিচরণ করলেও যেন থানা পুলিশের কোন গরজ নেই। নেই কোন মাথা ব্যাথা। দিব্যি কতিপয় পুলিশ অফিসার ধান্ধাবাজীতে ব্যস্ত থাকে। ফলে দিন-দিন রোহিঙ্গাদের কারণে এলাকার আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ভেঙ্গে পড়েছে।
গত (১৩ সেপ্টেম্বর ২০১১) কালের কণ্ঠে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রায় ৫০ হাজার রোহিঙ্গা বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত। এর মধ্যে অনুপ্রবেশকারী ও শরণার্থী মিলে ১০ হাজার ভয়ংকর অপরাধী। তাদের হাতে রয়েছে রকেট লঞ্চার, এম-১৬ রাইফেলসহ নানা ধরনের অস্ত্র ও সরঞ্জাম। মানবপাচার, জঙ্গি তৎপরতা, অস্ত্র ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে তারা জড়িত। পার্বত্য অঞ্চলের গহিন অরণ্যে তাদের অস্ত্রের কারখানাও রয়েছে।
আরেকটি পত্রিকায় রিপোর্ট বেরিয়েছে, রোহিঙ্গারা অস্ত্র কেনার জন্য ২০ কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহ করেছে। মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের বিভিন্ন সূত্র থেকে তারা এ তহবিল সংগ্রহ করেছে বলে জানা গেছে। মাদকপাচারের সঙ্গেও রোহিঙ্গাদের সংশ্লিষ্টতার তথ্য রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বিজিবির হাতে জানিয়েছে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে টেকনাফ পৌরসভার বাসস্ট্যান্ডে বিজিবি জওয়ানরা অভিযান চালিয়ে এক হাজার ১০টি ইয়াবাসহ সেতারা বেগম ও তার স্বামী মো. খানকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা উভয়ই রোহিঙ্গা। এর আগে ১৫ আগস্ট টেকনাফ সদরের জওয়ানরা ট্রানজিট নিয়ে আসা মিয়ানমারের মংডু শহরের মোহাম্মদ শহীদকে ৯৮৯টি ইয়াবাসহ আটক করেছে।
এ ধরনের হাজারো উদাহরণ দেওয়া যাবে


যুব সমাজকে ধব্বংসের মুল অস্ত্র ইয়াবা ব্যবসায়ে প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার রোহিঙ্গা জড়িত । প্রতিদিনই অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশ করছে শত শত রোহিঙ্গা আর সাথে নিয়ে আসছে মায়ানমার থেকে যুব সমাজ ধব্বংস করার অস্ত্র ইয়াবা ইয়াবা সহ বিভিন্ন সময়ে রোহিঙ্গারা আইন শৃংখলার বাহিনীর হাতে ধরা পরলেও এই জমজমাট ব্যবসা থেমে থাকেনি চলছে তো চলছেই আর সাথে আইন শৃংখলার বাহিনীর কিছু অসাধু কর্মকর্তা জরিত থাকার কারণে এই লাভ জনক ব্যবসা দিন দিন বেড়েই চলেছে আর তায় ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে ।
যৌন ব্যবসায় রোহিঙ্গা যুবতিদের ব্যবহার করা হচ্ছে
উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা বস্তি থেকে নিরবে পাচার হচ্ছে যুবতী মেয়েরা। ঢাকা-চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন হোটেল বাসা বাড়ীতে তাদের অবস্থান। । ঢাকা-চট্টগ্রামে অবস্থানরত টেকনাফ উপজেলার কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি হচ্ছে তাদের গডফাদার। বাসা বাড়ীতে কাজের মেয়ে বলে প্রলোভন দেখিয়ে যুবতী মেয়েদের কৌশলে ঢাকা-চট্টগ্রাম নিয়ে ব্যবহার করছে অবৈধ ও অনৈতিক কর্মকান্ডে। রোহিঙ্গা যুবতীরা ক্যাম্প ও টালের ভেতরে সুখি সমৃদ্ধ জীবন যাপনে ব্যর্থ হয়ে ঐ সব অনৈতিক আবদার চোখ বুঝে গ্রহণ করে নেয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোহিঙ্গা প্রাইম নিউজ বিডি ডটকমকে জানান, তার চোখের সামনে অনেক মহিলা এলাকা ছাড়া হয়ে কোথায় চলে গেছে তারা জানে না। অভিভাবকরা বাহিরে কাজের মেয়ে হিসাবে দিয়েছে বলে জানালেও রহস্য অন্যরকম। চট্টগ্রামের ফকিরা পুল এলাকার বিভিন্ন হোটেলে প্রায় শতাধিক রোহিঙ্গা যুবতী অনৈতিক ব্যবসায় লিপ্ত রয়েছে বলে জানা গেছে। বিদেশ যাওয়ার উদ্দেশ্যে মিয়ানমার থেকে আশা শত-শত রোহিঙ্গা ফকিরাপুল এলাকার বিভিন্ন হোটেলে সব সময় অবস্থান করে। তাদের চাহিদা অনুযায়ী দেশীয় যুবতীরা ফকিরা পুলে অবস্থান নিয়েছে বলে জানা গেছে। তাছাড়া চট্টগ্রামে মিয়ানমারের অনেক লোক গাড়ী বাড়ী সহ জমিদারী গড়ে তুলার সুবাদে অধিকাংশ রোহিঙ্গারা কক্সবাজারের চেয়ে চট্টগ্রামকে বেশি নিরাপদ মনে করে। এদিকে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় রোহিঙ্গা যুবতীদের কলিজার সন্তানের জন্য আদরের স্ত্রী বানিয়ে ঘরে তুলছে স্থানীয়রা। কম পরিশ্রমে সুন্দরী স্ত্রী পাওয়ায় স্থানীয়রা এদিকে ঝোকছে। । আর রোহিঙ্গারাও তাদের মেয়ে বাংলাদেশীদের কাছে বিয়ে দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা হয়ে যাচ্ছে । আর বাঙালীরাও সুন্দরী বউ পেয়ে খুশি :) । রোহিঙ্গা ছেলেমেয়েরা বৃহত্তর চট্টগ্রাম এলাকায় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে। এ প্রক্রিয়ায়ও তারা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নিচ্ছে। এই প্রবণতা বন্ধ করতেই হবে। অন্যথায় বাংলাদেশ সামনে আরো ভয়ংকর সংকটে পড়বে।
প্রায় ১ লাখ বেশি রোহিঙ্গার বাংলাদেশে জাতিয় পরিচয় পত্র সহ ভোটার লিস্টে নাম আছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শুধু কঙ্বাজার জেলায় নয়, পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান ও রাঙামাটিতে ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ রয়েছে।
ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময় ২০০৯ সালের ২ আগস্ট সশস্ত্রবাহিনী বিভাগ নির্বাচন কমিশনকে জানায়, বান্দরবান জেলার সদর, নাইক্ষ্যংছড়ি, আলীকদম ও লামা উপজেলায়; কক্সবাজার সদর, উখিয়া, টেকনাফ, রামু, চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলায় এবং রাঙামাটির কাপ্তাই ও বিলাইছড়ি উপজেলার ভোটার তালিকায় অনেক রোহিঙ্গাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন তাদের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে এ তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করে। কমিটিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর প্রতিনিধি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের সদস্য করা হয়। ওই কমিটির মাধ্যমে হালনাগাদ ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তদের তথ্য বিশেষ ফরমের মাধ্যমে নতুন করে যাচাই শুরু হয়। এসব ভোটারের মা, বাবা, দাদা, অন্য আত্মীয়স্বজনের ঠিকানাসহ প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হয় এবং ওই তিন জেলার ১২টি উপজেলার তালিকা থেকে রোহিঙ্গা ৪৮ হাজার ৬৭৩ জন ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হয়। এর মধ্যে বান্দরবানের চার উপজেলায় দুই হাজার ২২০, কক্সবাজারের ছয় উপজেলায় ৪৫ হাজার ৮৬৬ ও রাঙামাটির দুই উপজেলা থেকে বাদ দেওয়া হয় ৫৮৭ জনকে। এবং এর হিসাবের বাহিরে আরো কত হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশের পরিচয় পত্র সহ বাংলাদেশের নাগরিক হয়েছে তার হিসাব নাই । আর চিটাগাং এ রোহিঙ্গারা সব চাইতে বেশি নিরাপদ তাই রাঙামাটি , কক্সবাজার ছেড়ে তারা চিটাগাং শহরের বিভিন্ন বস্তিতে স্থান নিচ্ছে এবং ক্রমানুসারে নাগরিক্ত লাভ করছে ।
২০১২ সালের ১০ মার্চ সারা দেশ ব্যাপী হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রনয়ন কার্যক্রম হওয়া কম করে হলেও ২৫ হাজারের বেশি রোহিঙ্গারা এবারো ভোটার তালিকায় তাদের নাম লিখিয়েছে । কক্সবাজার , রাঙ্গামাটি , উখিয়া , টেকনাফ সহ ঐ এলাকার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম , রোহিঙ্গারা ভোটার হচ্ছে এই শিরোনামে হাজারো নিউজ ছাপানো হয়েছে কিন্তু প্রশাসনের তেমন তৎপরতা দেখা যায় নাই তাই এবারও কম করে হলেও ২৫ হাজার রোহিঙ্গা ভোটার হয়েছে ।
ঐ এলাকার স্থানীয় কিছু পত্রিকার শিরোনাম দেখে নেই
দৈনিক সত্যের সন্ধানী লিখেছে ঃ উখিয়ায় হালনাগাদ ভোটার তালিকা সামনে রেখে আসছে রোহিঙ্গা : সাবধানতা জরুরী
উইখিয়া নিউজ , কম লিখেছে ঃ ভোটার তালিকায় নাম লেখাতে রোহিঙ্গারা মরিয়া
বিডি ২৪ লাইভ লিউজ লিখেছে ঃ উখিয়ায় হালনাগাদ ভোটার তালিকায় অর্ন্তভূক্তির জন্য রোহিঙ্গারা তৎপর
এমন প্রায় ৫০ টি নিউজ আশার পরেও তেমন কোন ব্যবস্থা না নেওয়া এই বারো হাজার হাজার রোহিঙ্গা ভোটার তালিখায় নাম লিখালেন ।
এই দিকে আমাদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ নিজেই স্বীকার করলে এইবারও রোহিঙ্গারা ভোটার হয়েছে তায় ছাপানো হয় প্রথম আলো পত্রিকায় তারিখ: ০৬-০৪-২০১২ রোহিঙ্গার ভোটার হওয়ার কথা স্বীকার করলেন সিইসি
অর্থনীতিতে একটা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে রেমিটেন্স
আর এই ক্ষাত রোহিঙ্গাদের কারণে ব্যপক ঝুকির মুখে । বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে , তাদের অপকর্মের ফল আমাদের দেশের সাধারণ প্রবাসী শ্রমিকদের ভোগ করতে হচ্ছে । বর্তমানে সৌদি আরবে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা বন্ধ আর বন্ধ হওয়ার মুল কারণ হলো এই রোহিঙ্গাদের উৎপাত তাদের উৎপাতের কারণেই আজকে সৌদি আরবে নিরিহ বাংলাদেশীরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে ।
এই নিউজটি আজকের প্রথম আলো পত্রিকায় ছাপানো হয়েছে
সৌদি আরব, কাতার, আরব-আমিরাত, ইরাক, কুয়েতসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা বাংলাদেশী পরিচয়ে শ্রম বাজার দখল করে নিচ্ছে। আর এতে বাংলাদেশী শ্রমিকেরা পড়েছে সমস্যায়। মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা বিভিন্ন পন্থায় বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে মধ্য প্রাচ্যের দেশ গুলোতে গিয়ে চুরি, ডাকাতি,ছিনতাই,ধর্ষণ,খুনসহ নানা অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ছে। আর তাদের সকল অপরাধের দায়ভার বহন করতে হচ্ছে প্রবাসী বাংলাদেশীদের। এ নিয়ে সেখানে প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে বলে জানিয়েছে মধ্যপ্রচ্য থেকে সদ্য ফিরে আসা শ্রমিকেরা। রোহিঙ্গাদের অপরাধের দায়ভার বহন করতে গিয়ে বাংলাদেশ ক্রমেই মধ্যপ্রাচ্যের বিশাল শ্রমবাজার হারাতে বসেছে। সৌদি আরবে মক্কা থেকে সদ্য ফিরে আসা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির নুরুল হাকিম জানান, রোহিঙ্গাদের অপরাধ কর্মকান্ডে মক্কায় থাকা প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশী শ্রমিক চরম বিপাকের মধ্যে আছে। মক্কায় যে সংখ্যক বাংলাদেশী আছে তাদের চেয়ে দ্বিগুন রয়েছে বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক। তারা সেখানে বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে গেলেও তারা কথায় কথায় বাংলাদেশ নিয়ে তাচ্ছিল করে থাকে।
দুবাই ফেরত চকরিয়ার মফিজ উদ্দিন, ইরান থেকে আসা সুমন জানান মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নাগরিকরা বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে মধ্যপ্রাচ্য পাড়ি দিচ্ছে। তারা জানান,রোহিঙ্গাদের ব্যবহৃত অধিকাংশ পাসপোর্ট কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা এবং ঢাকা পাসপোর্ট অফিস থেকে ইস্যু করা। তারা আরো জানান রোহিঙ্গারা ভালোভাবে বাংলা জানার কারণে সেখানকার বাংলাদেশী বসতির আশেপাশেই তারা আস্তানা গাড়ছে। অনেকটা নিরক্ষর এসব রোহিঙ্গারা বেশিরভাগই আইন-কানুন সম্পর্কেও অবগত নয়। ফলে তারা প্রায়ই সেখানে আইন ভঙ্গ করাসহ নানাবিধ অপরাধকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। এরপর যখন তারা ধরা পড়ছে তখন পাসপোর্ট বাংলাদেশী হওয়ার কারণে এর খেসারত দিতে হচ্ছে বাংলাদেশীদের।

মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে গিয়েই রোহিঙ্গারা হয়ে যায় বাংলাদেশি ঃ এই শিরোনামে সমকাল নিউজে একটা রিপোর্ট আছে মালয়েশিয়ায় রোহিঙ্গাদের কারণে বাংলাদেশি শ্রমিকরা নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও নষ্ট হচ্ছে চরম্বাভাবে । রোহিঙ্গাদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করেছে সমুদ্রপথে অবৈধভাবে। দালাল চক্রের মাধ্যমে রোহিঙ্গারা মালয়েশিয়ায় গিয়ে ধরা পড়লে নিজেদের বাংলাদেশি বলে পরিচয় দেয়। এতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে চরমভাবে। সূত্র জানায়, মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন কারাগারে বাংলাদেশি পরিচয়ে আটক প্রায় ৪ হাজার বন্দির রোহিঙ্গা।
আরেকটি নিউজ বাংলাদেশী পাসপোর্টে ৫ লাখ রোহিঙ্গা সৌদি আরবে : কর্মসংস্থানমন্ত্রী
এই ৫ লাখ রোহিঙ্গা সৌদি আরবে কিয়ামত থেকে কিয়ামত করে ফেলছে আর এই দ্বায়ভার সব আমাদের কাধে পরেছে এবং পরবে । এত কিছু সত্ত্বেও সৌদি আরব ফের বাংলাদেশী শ্রমিক নেয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছে বলে তিনি জানান। চলতি মাসেই সৌদি আরব থেকে একটি টিম বাংলাদেশে আসবে। কিভাবে শ্রম জনশক্তি নেয়ার বন্ধ দরজা খোলা যায় সে বিষয়ে তারা কথা বলবেন বলেও জানান প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রায় ২৬ লাখ শ্রমিক বর্তমানে সৌদিআরবে অবস্থান করছে। সৌদি আরব এখনও বাংলাদেশী শ্রমিকদের একক বৃহত্তর বাজার। বর্তমানে সেখানে ৫টি মেগাসিটি নির্মাণের কাজ চলছে। ওই মেগাসিটির স্থাপনা নির্মাণে ব্যাপক সংখ্যক নির্মাণ শ্রমিক প্রয়োজন। বন্ধ হওয়া শ্রমবাজার যদি ফের উন্মুক্ত করা যায় তাহলে দেশের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ হবে বলে মনে করছেন বায়রা নেতারা। তাদের দাবি, রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে এনে জেলে পুরতে হবে। তাদের অপকর্মের দায় বাংলাদেশ কেন নেবে। তারা তো বাংলাদেশের নাগরিকই না।
এই দিকে গত দুই দিন আগে ডেসটেনি পত্রিকায় একটি রিপোর্ট করেছে রোহিঙ্গারা ক্যান্সার, ওদের ফেরত দিন
বাংলাদেশ নিউজ নামে একটা প্রত্রিকা আজকে নিউজ করেছে এখনি সতর্ক না হলে রোহিঙ্গা সমস্যা বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে
http://ukbdnews.com নামে একটি প্রত্রিকা নিউজ করেছে খাদ্য নিরাপত্তায় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে রোহিঙ্গা হ্যা তাই নয়কি জাতিসংঘ মাত্র ২৮ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী দ্বায় ভার নিয়েই নিজেদের দ্বায়িত্ব শেষ করেছে আর বাকি ৫ লাখ রোহিঙ্গার দ্বায় ভার কে নিবে আজকে ২১ বছর হলো এই গরিব বাংলাদেশের যেখানে নিজেদের চলতেই কষ্ট হচ্ছে সেখানে ৫ লাখ বিশাল জঙ্গোষ্টিকে ভরণপোষণ করা কি একটু দুয়েকটু কাজ ।
এই দিকে কক্সবাজার বাংলদেশের প্রধান পর্যটক স্থান, এখানেও রোহিঙ্গাদের অধিপত্ত ,
আর সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্য হারচ্ছে সরকার ঃ কক্সবাজারে বার্মিজ পন্যের বিলাশ বাজার যায় সম্পূর্ণ মায়ানমার হতে অবৈধো পথে কোটি কোটি টাকার পন্য আসছে যায় থেকে বিপুল পরিমানের রাজস্য হারাচ্ছে সরকার । এবং কোটি কোটি বৈদেশিক মুদ্রা পাচার হচ্ছে এই কাজে ।এই নিয়ে নিউজ করেছে একটি নিউজ পেপার এই হলো তার লিংক


মোট কথা রোহিঙ্গারা বাংলাদেশটাকে ক্ষুদে ক্ষুদে খাচ্ছে । এতো কিছুর পরেও সরকারী ভাবে তেমন কোন তৎপরতা নাই । আর বাংলাদেশের ব্লগ জগতে প্রায় ২৫ হাজারের বেশি ব্লগার হলেও তাদের কোন আগ্রহ নেই এই ব্যাপারের । তাই আমাদের এখনই উচিৎ ব্লগ জগতে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার তায় না হলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ খারাপি আছে । তাই আসেন আরেকটি যুদ্ধ ঘোষণা করি এবং বাংলাদেশকে রোহিঙ্গা মুক্ত করি ।
১১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×