-মামুনুর রশিদ
কাঁদছে হিমালয় কন্যা;
ধরাধাম কাঁদছে, কাঁদছি আমি, সুরম্য গিরিচুঁড়ায় ঝরছে
অজুত অশ্র“কণা, অলৌকিক বিভীষিকাময়তা অনমিত
দৃষ্টিতে দেখেছি চরাচরে তোমার ঘরবাড়ি গাছপালা
ওলটপালট সবকিছু তাকিয়ে থাকে বিস্ময়ে অপার।
হে নিরূপমা সৌন্দর্য কোকিল ললিত ধৃতিমান চিত্তে
মহাকম্পন ভুমিকম্পে সব শেষ এক নিমিষে লণ্ডভণ্ড
শরীরের সৌকর্য এক ফুৎকারে নীভে গেল প্রাণ সহস্র
ক্ষতি হয়ে গেল জগতের অসামান্যÑ তাবৎ
কাঁদছে হিমালয় কন্যা;
সাহসী ক্ষধার্ত মানুষ পান করেছে তোমার স্বপ্নের সৌন্দর্য
সূধা এভারেষ্টের চঁড়ায় পাদপ্রদীপের নীচে এখন শুধুই
হাহাকার ঘোর অমানিশা।
সুশোভিত এলোকেশী মনিষায় চকচকে শাদা সোনার
জড়িতে মেড়ানো হাসি ঝরতো তোমার জোৎস্নায় গলে
গলে স্মৃতিতে থাকবে গাঁথা।
কাঁদছে হিমালয় কন্যা;
সুকণ্ঠী সোহাগ তোমার গিরিময় সুকুমারী আথিথেয়তায়
ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের গভীরের আনাচেকানাচে থাকবে মনে
ললাটের ভাঁজে অনাদিকাল।
এপ্রিলের পচিশ তারিখ দুহাজার পনের সাল ঘড়েিত ঠিক
বারোটা চৌদ্দ মিনিট হবে লিখছিলাম দূরগামী বন্ধুর
জন্য এপিটাফ স্বাভিমান সবকটি আঙুল কীবোর্ডে আমার
শরীরে দ্রোনের মতো সেল এসে পরলো হঠাৎ মেঘের
রেণুতে রেণুতে হাহাকার মুর্হুমুহু বেহাগে পরলো ছেদ।
হে পাহড়ী দীপান্বিতা
পরিক্লিষ্ট বিশ্ব প্রতিবেশীনী কাচুলীর খুব কাছে আমি
থাকবো দু:খের এই পলে প্রতিদিন তোমার সান্বিধ্যে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:৩৪