somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অভিজিৎ রায় কি সত্যিই বিজ্ঞানমনষ্ক লেখক ছিলো ? নাকি বিজ্ঞানের নাম দিয়ে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দেওয়া ছিলো তার কাজ ?

০৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এ বিষয়টি নিয়ে ঘাটাঘাটি করার আগে আপনাদের জানাতে চাই, অভিজিৎ রায়ের একটি বই বের হয়েছিলো যার নাম ছিলো ““সমকামিতা : একটি বৈজ্ঞানিক এবং সমাজ-মনস্তাত্ত্বিক অনুসন্ধান” । বইটিতে বিজ্ঞানের নাম দিয়ে একগাদা মিথ্যাচার সম্বলিত ছিলো। বইটির বিষয়বস্তু ও বিজ্ঞানের নাম দিয়ে মিথ্যাচার খণ্ডন করেছিলো ডক্টর মুশফিক ইমতিয়াজ চৌধুরী। সামু ব্লগ থেকে ঐ খণ্ডমূলক পোস্টটি এ স্ট্যাটাসে দেওয়া হলো:

---------------------------------------------------------------------------------
অভিজিৎ রায় বলতে চেয়েছে –

১) অনেকেই ভুলভাবে মনে করেন, সমকামিতার মত বিকৃত যৌনতার কারণেই বোধ হয় এইডস হয়ে থাকে । সমকামিতার কারণে কারো দেহে এইডসের জীবাণু গজায় না । বাহকের দেহে এইচআইভির জীবাণু থাকলে সমকামী যৌনসংসর্গে রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ঠিক ততটুকুই যা বিষমকামী যৌনসংসর্গেও ঘটতে পারে । এইডস সমকামিতা-বিষমকামিতায় বাছবিচার করেনা, যৌনসঙ্গীর দেহে এইচআইভি জীবাণু থাকলে এইডস হবে, নচেৎ হবেনা ।

২) আমেরিকার সমকামীদের মধ্যে এইডস রোগের হার বেশির পেছনে সমকামিতা অতটা দায়ী নয়, বরং আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটই বেশি দায়ী । আফ্রিকা মহাদেশে এইডসের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি এবং সেখানে সমকামী নয় বরং বিষমকামী ব্যক্তিদের এইডস সংক্রমণ অনেক বেশি । শুধু আফ্রিকা নয়, সারা বিশ্ব জুড়েই বিষমকামীদের মধ্যে এইডসের প্রকোপ সমকামীদের থেকে অনেক বেশি দেখা যায় ।

৩) এইডসকে সমকামিতার সঙ্গে ট্যাগ করে দেওয়ার একটি ইতিহাস আছে, আমেরিকার সমকামীদের মধ্যে এই রোগের হার বেশি লক্ষ্য করে বিশেষজ্ঞরা ধরে নিয়েছিলেন এটা বোধহয় “সমকামিতা সংক্রান্ত” কোন রোগ হবে, সেখান থেকে এই ভুল ধারণাটি প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে ।

৪) এরিখ মার্কোসের বইয়ের একটি লাইন তুলে দিয়েছেন –
Worldwide, the majority of people who have contracted HIV have been – and are – heterosexual. HIV/AIDS does not discriminate. It’s an equal opportunity disease that infects people who fail to use the well-understood methods to prevent its spread.

আমার (ডক্টর মুশফিক ইমতিয়াজ চৌধুরী) বক্তব্য

চিকিৎসক না হয়ে শুধু সাইট ঘেটে চিকিৎসক হওয়া যায়না, যন্ত্রকৌশল প্রকৌশলী অভিজিৎ বাবু । ৫ বছর ধরে এমবিবিএস পড়তে হয়, তারপর একজন চিকিৎসক হয় । আপনি ভেবেছেন, এইডস আক্রান্ত পুরুষের লিঙ্গ নারীর যোনীতে প্রবেশ করলেই নারীর এইডস হয়ে যাবে, যা সত্য নয় । শুধু আপনি নন, আমাদের দেশের আস্তিক নাস্তিক অজস্র ব্যক্তির এই ধারণাটি রয়েছে যে একবার প্রবেশ করলেই এইডস হয়ে গেল – যা একেবারেই ভুল । সঠিক তাহলে কি ? আসুন জেনে নেই, কেন সমকামীদের মধ্যে এইডস প্রবণতা বেশি –

১) নারীর যোনীগাত্র ৩টি পুরু লেয়ারের সমন্বয়ে গঠিত এবং তাই, এটি অনেক শক্ত এবং স্থিতিস্থাপক বিধায় যৌনসঙ্গমের সময় যোনীগাত্রের চামড়াতে যে ইনজুরি হবেই, এমনটি নিশ্চিতভাবে বলা যায়না । উল্লেখ্য, ইনজুরি হলেই শুধুমাত্র এইডস হবে, কিন্তু ইনজুরি না হলে এইডসের জীবাণু ব্লাড স্ট্রিমে প্রবেশ করতে পারবেনা, অর্থাৎ এইডস হবেনা । দেখা যাচ্ছে যে, পুরুষ সঙ্গীর এইডস থাকলেও তার জীবাণু নারীর ৩ লেয়ার বিশিষ্ট পুরু ও শক্ত যোনীগাত্রের কারণে অনেক ক্ষেত্রেই ইনজুরির স্বীকার না হয়ে রক্তপ্রবাহে মিশতে পারেনা, ফলে এইডস হয়না । কিন্তু মলাশয়গাত্র অনেক নরম এবং অস্থিতিস্থাপক, তাই লিঙ্গের ঘর্ষণে এটিতে সহজেই ইনজুরি হয়, রক্তপাত ঘটে। পেনেট্রিটিভ অ্যানাল সেক্সের কারণে মলদ্বারের চারপাশের মেমব্রেন (ঝিল্লী) সহজেই ছিড়ে যায় এবং বীর্যরসে থাকা এইডসের জীবাণু ছিড়ে যাওয়া মেমব্রেন থেকে ব্লাড স্ট্রিমে প্রবেশ করে। এজন্যেই বিষমকামী যৌনসঙ্গমে এইডস আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম এবং সমকামী যৌনসঙ্গমে অনেক বেশি।

২) একটি লিঙ্গ সহজেই রক্তপাত না ঘটিয়ে নারীযোনীতে ঢুকে যেতে পারে কিন্তু একটি লিঙ্গ মলাশয়ে সহজেই ঢুকে যেতে পারেনা, তাকে প্রেশার দিয়ে ঢোকাতে হয় এবং ঢোকাতে যেয়ে প্রায়শই রক্তপাত হয় যেখান থেকে এইডসের জীবাণু এইচআইভি রক্তপ্রবাহে চলে আসে ।

৩) যৌনসঙ্গমের সময় যোনী বেশ পরিমাণে লুব্রিক্যান্ট পদার্থ নিঃসরিত করে, কিন্তু মলাশয় থেকে এরকমের কোন লুব্রিক্যান্ট পদার্থ নিঃসরিত হয়না । তাই যৌনসঙ্গমে যোনীর সচারাচর ইনজুরি না হলেও মলাশয়ের অতিসহজেই ইনজুরি হয় যার থেকে এইডসের জীবাণু এইচআইভি অতিসহজে ব্লাড স্ট্রিমে প্রবেশ করে ।

৪) মলাশয়ের লেয়ার না থাকার কারণে ব্লাড ভেসেলগুলো একেবারে মলাশয়ের গাত্রের নিকটে অবস্থান করে, যোনীর বেশ কটি লেয়ার থাকার কারণে ব্লাড ভেসেলগুলো একেবারেই সম্মুখে থাকেনা, তাই এইচ আইভি জীবাণু মলাশয়ের মাধ্যমেই বেশি সংক্রমিত হয় ।

৫) মলাশয়ের ছিদ্রের অভ্যন্তরে জায়গা অপ্রশস্ত এবং তাই যৌনসঙ্গমের সময় মলাশয়গাত্রের সাথে লিঙ্গের ঘর্ষণের মাত্রাও বেশি, ফলে মলাশয় গাত্রের ইনজুরি হওয়াটা একেবারেই সহজ, কিন্তু যোনীছিদ্রের অভ্যন্তরে জায়গার পরিমান বেশি, তাই যোনীগাত্রে সেরূপে ঘর্ষণ হয়না এবং তাই ইনজুরিও অস্বাভাবিক ।

৬) বাচ্চাকাচ্চা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই ভয়ে না চাইলেও বাধ্য হয়ে বিষমকামিগণ কনডম ব্যবহার করেন, কিন্তু সমকামীদের ক্ষেত্রে বাচ্চাকাচ্চা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে যৌনানন্দ পরিপূর্ণভাবে পেতে তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কনডম ব্যবহার করেননা ।

৭) জন্মনিয়ন্ত্রণ করার জন্য সারা বিশ্বে (Coitus Interruptus) নামক যৌনসঙ্গম মেথডটি প্রচলিত যেখানে বীর্যস্খলনের আগেই লিঙ্গকে নারীর যোনী থেকে পুল-আউট করা হয়, যাতে করে নারীর যোনী এবং ইউটেরাসে বীর্যরস গমন করে তাকে গর্ভবতী করে ফেলতে না পারে । এইচআইভি জীবাণু রয়েছে – এমন বীর্যরস যদি নারীর যোনী এবং যোনী অভ্যন্তরে না যেতে পারে, তাহলে এইডসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই ।

বাংলাভাষায় এর চেয়েও সহজ করে কখনো সমকামিতার সঙ্গে এইডসের সম্পর্ক বর্ণনা করা হয়নি । যোনীতে লিঙ্গ প্রবেশের মাধ্যমেই যে এইডস হবে এই ভ্রান্ত ধারণাটি আমাদের দেশের অনেকের মধ্যেই বিরাজমান ছিলো, আশা করি এই ভুল ধারণাগুলোর অবসান ঘটবে এই লেখাটির মাধ্যমে ।

শ্রী অভিজিৎ রায়ের সুচতুরতার সঙ্গে বলেছেন, আফ্রিকাসহ সারা বিশ্বে বিষমকামীদের মধ্যে এইডস বেশি । আমিও সেটাই বলছি, আসলেই বেশি, আমি একেবারেই অস্বীকার করিনা, কিন্তু তার কথার খুঁত বা চালাকিটা কোথায়, সেটি পাঠককে ধরিয়ে দেওয়ার লোভ সামলাতে পারছিনা । সূক্ষ্ম চালাকিটি হলো –

পৃথিবীর জনসংখ্যার মাত্র ১০% সমকামী, অর্থাৎ বিশাল ৯০% বিষমকামী ( অ্যাপ্রক্সিমেট হিসাব, এর চেয়ে কমও হতে পারে ।

দেখুনঃ Homosexuals Admit 10% Is Wrong

সূত্রঃ http://www.traditionalvalues.org/urban/two.php

আমেরিকার জনসংখ্যারও মাত্র ৩.৫% সমকামী, অর্থাৎ বাকি ৯৬..৫% বিষমকামী ।

সূত্রঃ Click This Link

Gates, Gary J. (April 2011) Williams Institute, University of California School of Law. Retrieved 2011-04-07.

৯০% একটি বিশাল পারসেন্টেজ, তাতে তো এইডসে আক্রান্ত বিষমকামীর সংখ্যা মোটের ওপর বেশি হবেই, এটা তো কমন সেন্সের ব্যাপার, কিন্তু এইডস আক্রান্ত মোট জনসংখ্যার ৫৪% যদি সমকামী হয় (অর্থাৎ, ৪৬% এইডস আক্রান্ত বিষমকামী) , তাহলে সেটি কি তুলনামূলক অনুপাতে বিষমকামীদের থেকেও বিশাল পারসেন্টেজ নয় ?

সূত্রঃ As of 1998, 54 percent of all AIDS cases in America were homosexual men and according to the Center for Disease Control (CDC) nearly 90 percent of these men acquired HIV through sexual activity with other men.
(Centers for Disease Control and Prevention, 1998, June, HIV/AIDS Surveillance Report 10 (1)).

অতিরিক্ত পাঠঃ Click This Link

কয়েকটি দেশের উদাহরণ দেই -

২০১০ সালের বিবিসি রিপোর্ট অনুসারে যুক্তরাজ্যের মাত্র ১% জনসংখ্যা সমকামী, ৯৯% বিষমকামী ।

সূত্রঃ http://www.bbc.co.uk/news/uk-11398629

২০০৬ সালের রিপোর্ট অনুসারে অস্ট্রেলিয়ার মাত্র ২-৩% জনসংখ্যা সমকামী, অর্থাৎ বিশাল ৯৭-৯৮% বিষমকামী । এতে তো মোটের উপরে এইডস আক্রান্ত রোগীর বিচারে বিষমকামীদের সংখ্যাই বেশি হবে !

সূত্রঃ Click This Link

২০০৩ সালের রিপোর্ট অনুসারে কানাডার মাত্র ১.৩% জনসংখ্যা সমকামী, অর্থাৎ ৯৮.৭% জনসংখ্যা বিষমকামী !

সূত্রঃ King et al. (1988). Canada, Youth and AIDS Study. Kingston, ON: Queen’s University

১৯৯২ সালের র‍্যান্ডম সার্ভে অনুসারে ১৩৭৩ জনের মধ্যে ডেনমার্কে মাত্র ২.৭% সমকামী ।
সূত্রঃ Sundet, J.M., et al. Prevalence of risk-prone sexual behaviour in the general population of Norway. In: Global Impact of AIDS, edited by Alan F. Fleming et al. (New York: Alan R. Liss, 1988), 53–60

২০০৩ সালের ডিউরেক্স গ্লোবাল সেক্স সার্ভে অনুসারে ১২% নরওয়েজিয়ান সমকামী ।

সূত্রঃ Click This Link

২০০৯ সালে সাও পাওলো ইউনিভার্সিটির সার্ভে অনুসারে ৭.৮ % জনসংখ্যা সমকামী অর্থাৎ ৯২.২% বিষমকামী ।

সূত্রঃ Click This Link

উল্লেখ্য, সমকামের মারাত্মক কুফলের কথা চিন্তা করে এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানের প্রভূত উন্নতির কারণে সমকাম থেকে অনেকে তাদের ইচ্ছাশক্তির জোরে বের হয়ে আসতে পেরেছে, জনসংখ্যায় তাদের ক্রমহ্রাসমান পারসেন্টেজ এই কথাটিকে প্রমাণ করে । আর অনেকে মেন্টাল ও বিহ্যাভেরিয়াল কাউন্সেলিং ও মডিফিকেশনের মাধ্যমে এই দশা থেকে মুক্ত হয়েছে ।

অতিরিক্ত পাঠঃ Click This Link

সমকামী জনসংখ্যার এত কম পারসেন্টেজে তো মোটের ওপর কম জনসংখ্যাই এইডস আক্রান্ত হবে, কিন্তু রেশিও বা আনুপাতিক বিচারে সমকামীদের মধ্যে এইডস হওয়ার প্রবণতা কি বিষমকামীদের থেকে অনেকগুণ বেশি নয় ?

বাকি থাকলো এরিক মার্কাস প্রসঙ্গ ( অভিজিৎবাবু নাম ভুল লিখেছেন, এটা মার্কাস, মার্কোস নয় ) । অভিজিৎ বাবু ভেবেছেন – মানুষ অত খেয়াল করেনা, তারা নিশ্চয়ই তথ্যসূত্র বা কে বিশিষ্ট কে বিশিষ্ট নয় তা এত যাচাই করে দেখবে না। তাই, যার তার নাম উল্টোপাল্টা তুলে দিলেই কেল্লাফতে হয়ে যাবে ! কিন্তু ডঃ মুশফিকের ঈগলদৃষ্টি এড়ানো সম্ভব নয় । এরিক মার্কাস কোন বিখ্যাত কেউ নয় । তার সম্পর্কে আসুন একটু উইকিপিডিয়া ঘুরে দেখি –

Eric Marcus is an American non-fiction writer. His works are primarily of LGBT interest

সূত্রঃ http://en.wikipedia.org/wiki/Eric_Marcus

উইকিপিডিয়াতে তার সম্পর্কে কয়েক লাইন মাত্র লেখা রয়েছে, কেননা বিখ্যাত ব্যক্তি তিনি নন, সাধারণ লেখক যিনি সমকামী সাহিত্য নিয়ে আগ্রহী । পাঠকদের কাছে প্রশ্ন রাখছি – সমকামী সাহিত্যের প্রতি ঝোঁক কাদের ? সমকামীদের নাকি বিষমকামীদের ?

আসুন দেখা যাক সমকামিতার সঙ্গে এইডসের গভীর সম্পর্ক রয়েছে কিনা সে সম্পর্কে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মেডিক্যাল সাইট এবং বিশ্বস্বাস্থ্যসংস্থা কি বলে -

১) আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (CDC) জানাচ্ছে - এইডসের হার সমকামীদের মধ্যে বিষমকামী অপেক্ষা ৫০% বেশি

AIDS Rate 50 Times Higher in Homosexual Men: Center for Disease Control

MSM account for nearly half of the approximately 1.2 million people living with HIV in the United States (49%, or an
estimated 580,000 total persons).
t MSM account for more than half of all new HIV infections in the United States each year (61%, or an estimated 29,300
infections).
t While CDC estimates that only 4 percent of men in the United States are MSM, the rate of new HIV diagnoses among
MSM in the United States is more than 44 times that of other men (range: 522 – 989 per 100,000 MSM vs. 12 per
100,000 other men).

সূত্রঃ

ক) Click This Link

খ) Click This Link

গ) Click This Link

২) নামকরা চিকিৎসা বিষয়ক সাইট http://www.mayoclinic.com বলছে -

Men who have sex with men are at increased risk of contracting HIV, the virus that causes AIDS, as well as other sexually transmitted infections, including gonorrhea, chlamydia and syphilis.

সূত্রঃ http://www.mayoclinic.com/…/health-issues-for-gay-m…/my00738

৩) নামকরা চিকিৎসা বিষয়ক http://www.medicinenet.com সাইট জানাচ্ছে

According to UNAIDS, HIV is more common among gay and bisexual men than adults in general in all areas of the world, even Africa. In North America, an estimated 15 percent of gay and bisexual men are infected with HIV; the rate is the highest, 25 percent, in the Caribbean.

সূত্রঃ http://www.medicinenet.com/script/main/art.asp…

৪) নামকরা চিকিৎসা বিষয়ক http://emedicine.medscape.com সাইট জানাচ্ছে

In the United States, HIV disease was first described in 1981 among 2 groups, one in San Francisco and the other in New York City. Numerous young homosexual men presented with opportunistic infections that, at the time, were typically associated with severe immune deficiency: Pneumocystis pneumonia (PCP) and aggressive Kaposi sarcoma

সূত্রঃ http://emedicine.medscape.com/article/211316-overview

৫) আমেরিকান এফডিএ (ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) কর্তৃক আমেরিকায় সমকামীদের রক্তদান নিষিদ্ধ করা হয়েছে -

The United States currently prohibits men who have sex with men from donating blood "because they are, as a group, at increased risk for HIV, hepatitis B and certain other infections that can be transmitted by transfusion.

সূত্রঃ

১) Click This Link

৬) যুক্তরাজ্যেও এইডসসহ বিভিন্ন যৌনরোগের সঙ্গে সমকামিতার গভীর সম্পর্ক রয়েছে বলে সমকামীদের রক্তদান করা নিষিদ্ধ -

সূত্রঃ Click This Link

৭) নামকরা চিকিৎসা বিষয়ক http://www.webmd.com সাইট জানাচ্ছে

"Men who also had sex with women had similar levels of HIV and STDs [as exclusively homosexual men] and higher levels of many risk behaviors," Valleroy and colleagues note in their presentation abstract.

Another study presented at the AIDS conference -- based on interviews with nearly 2,500 bisexual men by the San Francisco Department of Health -- shows that 14% of men who have sex with men also has sex with women. But the study, led by Willi McFarland, MD, PhD, suggests that these men may have fewer risk behaviors than exclusively homosexual men.

সূত্রঃ http://www.webmd.com/…/20061101/hiv-bisexual-bridge-to-women

৮) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এইডস বিষয়ক অর্গানাইজেশন জানাচ্ছে -

UNAIDS strategy goals by 2015:

Sexual transmission of HIV reduced by half, including among young people, men who have sex with men and transmission in the context of sex work

Countries with punitive laws and practices around HIV transmission, sex work, drug use or homosexuality that block effective responses reduced by half

সূত্রঃ Click This Link

অভিজিৎ রায় যেভাবে যুক্তিরহিত ও বিজ্ঞানরহিতভাবে বিভিন্ন ভুল ও মনগড়া তথ্য দিয়ে, সাধারণ লোককে বিশিষ্ট লোক বানিয়ে এভাবে সেভাবে গোঁজামিলে সমকামকে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রয়াসী হয়েছেন, তাতে সচেতন মানসে অনেক প্রশ্নের উদ্রেক ঘটাই স্বাভাবিক । তার অপযুক্তি হলো - যেহেতু প্রাণীজগতের বিভিন্ন প্রাণীতে সমকামিতা দেখা যায়, সেহেতু মানুষেও সমকামিতা থাকলে দোষের কি ? এই যুক্তি যে একেবারেই খোঁড়া যুক্তি তা কমন সেন্স থেকেই বোঝা যায় কেননা - প্রাণীজগতের অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে অনেক কিছুই দেখা যায় যা মানুষ করে না। উপরন্তু, প্রাণীজগতের অনেক প্রাণীই নগ্ন হয়ে থাকে, তাই বলে কি মানুষকেও নগ্ন হয়ে থাকতে হবে ? অভিজিৎ রায় যে কত বড় মূর্খ তা কি এখান থেকেই সুস্পষ্ট নয় ? মানবাধিকার অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু সমকামিতার ফলে সৃষ্ট যৌনরোগগুলোর কারণে যদি জীবনই চলে যায়, তাহলে মানবাধিকার নিয়ে কে কথা বলবে ?

-------------------------------------------------------------------------------------
ডক্টর মুশফিক ইমতিয়াজের লেখার সূত্র: Click This Link

বিডিনিউজ২৪ এ অভিজিৎ রায়ের সমকামীতার পক্ষে লেখার সূত্র:
http://opinion.bdnews24.com/bangla/archives/10903

-----------------------------------------------------------------------------------------

উপরের লেখাটি পড়লে সহজেই একজন বুঝতে পারবে, বিজ্ঞানের নাম ব্যবহার করে অভিজিৎ ছিলো একজন প্রকৃত ধোকাবাজ এবং মানবতা বিরোধী। সে কথিত মুক্তিচিন্তার নাম দিয়ে পশ্চিমাদের অনৈতিকতা মুসলমানদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতো। তাই যে বলবে, অভিজিৎ বিজ্ঞানমনষ্ক লেখক তার মুখে সাথে সাথে জুতো মেরে দিন।
২১টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×