একটা গল্পের প্লট নিয়ে কাজ করছি বলতে পারেন।
এই পোস্টে গল্পটার প্লটের মোটামুটি সবটাই তুলেদিলাম, শুধু মাঝখানের কিছুটা অংশ বাদ দিয়ে। আপনার কাজ হচ্ছে মাঝখানের অংশটা কি হতে পারে সেটা বলা।
তাহলে শুরু হয়ে যাক ব্লগারদের কল্পনার বিচরণ।
/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/
১.
তমাল, তমালের বউ তানিয়া আর তানিয়ার বান্ধবী তৃষা -- এরা তিনজনই ভীষন এ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়। চিটাগাংয়ের এমন কোন পাহাড় নেই যেটায় ওরা ওঠেনি, আর সুন্দরবনের তো প্রায় পুরোটাই চষে ফেলেছে। তিনজনই একই কোম্পানীতে চাকুরী করে, তমাল আর তৃষা একই পোস্টে, তানিয়া তাদের চেয়ে এক পোস্ট নিচে। কে কোন পোস্টে তার বিশদ বিবরণে এখানে যাবনা, তবে যেটা বলা যায় তাহলো চাকুরী নিয়ে ওরা তিনজনই খুব সন্তুষ্ট, মনপ্রাণ দিয়ে খাটে, আবার অবসর সময়টা চাকুরীর জগৎকে পুরোপুরি ভুলে গিয়ে মেতে থাকে একেবারে নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। শুধু যখন ওরা লম্বা ছুটি পায়, তখনই তিনজন একত্র হয়, বেরিয়ে পড়ে নতুন স্থানের সন্ধানে। ঘোরাঘুরিটা ওরা এতই পছন্দ করে যে, শুধু বাংলাদেশই না, গত কয়েকবছরে ভারত, নেপাল আর চীনেরও অনেক জায়গায় ওরা ঘুরতে গিয়েছে। যেমন গত সামারের লম্বা ছুটিতে হিমালয় ঘুরে এসেছে, এর আগের লম্বা ছুটিতে চীনের প্রাচীর।
এবছরও গরমে লম্বা ছুটি; তমাল আর তৃষা দুজনেই লাফাচ্ছে এবার দক্ষিণ মেরু ঘুরতে যাবে। তানিয়া যদিও প্রথমে অতটা রাজী ছিলনা, কিন্তু তমালের ছেলেমানুষী উৎসাহ দেখে সেও রাজী হয়ে যায়। যথারীতি জুনের মাঝামাঝি সাতদিন দক্ষিণ মেরুতে ঘুরে আসার জন্য বেরিয়ে পড়ে ওরা। সঙ্গে প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র, যেমন তাঁবু, আলো জ্বালাবার জিনিসপাতি, সারভাইভাল কিটস, পরিমাণমতো খাবারদাবার -- সবনিয়ে নিলো। দক্ষিণ মেরুতে যাওয়া এখন কোন ব্যাপার না, সেখানে এয়ারপোর্ট আছে, প্লেনে যাওয়া যায়। খুব সহজেই এ্যান্টার্কটিকায় পৌঁছে যায় তিন অভিযাত্রী। বরফে গড়াগড়ি খেতে খেতে উল্লাস করতে থাকা তমালকে দেখে তানিয়ার চোখে পানি এসে যায়, মনে মনে ভাবে, "ভালোই হলো।"
এ অংশটা ফাঁকা রাখলাম পাঠক, আপনার জন্য
২.
তিন বছর পরের কথা। তমাল আর তানিয়া ঢাকার আগের কোম্পানী ছেড়ে আমেরিকা চলে এসেছে। এখানে একটি বিশাল কোম্পানীতে স্বামী-স্ত্রীতে চাকুরী করে, আর ছুটিছাটাতে দুজনে বেরিয়ে পড়ে নতুন নতু অভিযাত্রায়। দূর্ভাগ্যবশত, ওদের কোন সন্তান হয়নি। তাই পুরোনিো শখটা প্রাণভরে মেটাটে পারছে। এমনই এক ছুটিতে ওরা ঘুরতে যায় ফ্লোরিডায়। সেখানেই হঠাৎ তানিয়ার চোখে পড়ে এক রেস্টুরেন্ট, রেস্টুরেন্টের গায়ে স্পেশাল একটা মেন্যু! শুধু দক্ষিণ মেরুতেই খেয়েছিলো। সেটা দেখার সাথেসাথেই সে বেশ নস্টালজিক হয়ে পড়ে। দক্ষিণ মেরুর সেই একমাসের কথা মনে পড়ে যায় তার। তমালের হাত ধরে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে ঢোকে সেই রেস্টুরেন্টে। এখানে বলে রাখা ভালো যে তানিয়া বেশ শক্তিশালী মেয়ে, মারামারি লাগলে তমালই হারবে নির্ঘাত।
এখানেও কিছু অংশ ফাঁকা রাখলাম পাঠকের জন্য
রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে তমাল টের পায় তানিয়া বেশ চুপচাপ, উদাস হয়ে গেছে। তমাল পাত্তা দেয়না, ভাবে মেয়েদের মন!
সেদিন সন্ধ্যায় বারে বসে একা একা হুইস্কি খাচ্ছিল তমাল। ওর অনলাইন বান্ধবী লিন্ডার আসার কথা ছিলো পান করার জন্য, আসেনি। রাত দশটার দিকে যখন সে ক্লান্ত শরীরে হোটেলের রূমে এসে ঢোকে, ততক্ষণে যা হবার তা হয়ে গেছে। নির্বাক বিস্ময়ে হা করে তমাল তাকিয়ে থাকে সিলিং থেকে ঝুলে থাকা তানিয়ার দিকে।