somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পটি আপনি কিভাবে শেষ করবেন?

৩১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটা গল্পের প্লট নিয়ে কাজ করছি বলতে পারেন।

এই পোস্টে গল্পটার প্লটের মোটামুটি সবটাই তুলেদিলাম, শুধু মাঝখানের কিছুটা অংশ বাদ দিয়ে। আপনার কাজ হচ্ছে মাঝখানের অংশটা কি হতে পারে সেটা বলা।

তাহলে শুরু হয়ে যাক ব্লগারদের কল্পনার বিচরণ।

/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/_/

১.
তমাল, তমালের বউ তানিয়া আর তানিয়ার বান্ধবী তৃষা -- এরা তিনজনই ভীষন এ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়। চিটাগাংয়ের এমন কোন পাহাড় নেই যেটায় ওরা ওঠেনি, আর সুন্দরবনের তো প্রায় পুরোটাই চষে ফেলেছে। তিনজনই একই কোম্পানীতে চাকুরী করে, তমাল আর তৃষা একই পোস্টে, তানিয়া তাদের চেয়ে এক পোস্ট নিচে। কে কোন পোস্টে তার বিশদ বিবরণে এখানে যাবনা, তবে যেটা বলা যায় তাহলো চাকুরী নিয়ে ওরা তিনজনই খুব সন্তুষ্ট, মনপ্রাণ দিয়ে খাটে, আবার অবসর সময়টা চাকুরীর জগৎকে পুরোপুরি ভুলে গিয়ে মেতে থাকে একেবারে নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। শুধু যখন ওরা লম্বা ছুটি পায়, তখনই তিনজন একত্র হয়, বেরিয়ে পড়ে নতুন স্থানের সন্ধানে। ঘোরাঘুরিটা ওরা এতই পছন্দ করে যে, শুধু বাংলাদেশই না, গত কয়েকবছরে ভারত, নেপাল আর চীনেরও অনেক জায়গায় ওরা ঘুরতে গিয়েছে। যেমন গত সামারের লম্বা ছুটিতে হিমালয় ঘুরে এসেছে, এর আগের লম্বা ছুটিতে চীনের প্রাচীর।

এবছরও গরমে লম্বা ছুটি; তমাল আর তৃষা দুজনেই লাফাচ্ছে এবার দক্ষিণ মেরু ঘুরতে যাবে। তানিয়া যদিও প্রথমে অতটা রাজী ছিলনা, কিন্তু তমালের ছেলেমানুষী উৎসাহ দেখে সেও রাজী হয়ে যায়। যথারীতি জুনের মাঝামাঝি সাতদিন দক্ষিণ মেরুতে ঘুরে আসার জন্য বেরিয়ে পড়ে ওরা। সঙ্গে প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র, যেমন তাঁবু, আলো জ্বালাবার জিনিসপাতি, সারভাইভাল কিটস, পরিমাণমতো খাবারদাবার -- সবনিয়ে নিলো। দক্ষিণ মেরুতে যাওয়া এখন কোন ব্যাপার না, সেখানে এয়ারপোর্ট আছে, প্লেনে যাওয়া যায়। খুব সহজেই এ্যান্টার্কটিকায় পৌঁছে যায় তিন অভিযাত্রী। বরফে গড়াগড়ি খেতে খেতে উল্লাস করতে থাকা তমালকে দেখে তানিয়ার চোখে পানি এসে যায়, মনে মনে ভাবে, "ভালোই হলো।"



এ অংশটা ফাঁকা রাখলাম পাঠক, আপনার জন্য



২.
তিন বছর পরের কথা। তমাল আর তানিয়া ঢাকার আগের কোম্পানী ছেড়ে আমেরিকা চলে এসেছে। এখানে একটি বিশাল কোম্পানীতে স্বামী-স্ত্রীতে চাকুরী করে, আর ছুটিছাটাতে দুজনে বেরিয়ে পড়ে নতুন নতু অভিযাত্রায়। দূর্ভাগ্যবশত, ওদের কোন সন্তান হয়নি। তাই পুরোনিো শখটা প্রাণভরে মেটাটে পারছে। এমনই এক ছুটিতে ওরা ঘুরতে যায় ফ্লোরিডায়। সেখানেই হঠাৎ তানিয়ার চোখে পড়ে এক রেস্টুরেন্ট, রেস্টুরেন্টের গায়ে স্পেশাল একটা মেন্যু! শুধু দক্ষিণ মেরুতেই খেয়েছিলো। সেটা দেখার সাথেসাথেই সে বেশ নস্টালজিক হয়ে পড়ে। দক্ষিণ মেরুর সেই একমাসের কথা মনে পড়ে যায় তার। তমালের হাত ধরে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে ঢোকে সেই রেস্টুরেন্টে। এখানে বলে রাখা ভালো যে তানিয়া বেশ শক্তিশালী মেয়ে, মারামারি লাগলে তমালই হারবে নির্ঘাত।


এখানেও কিছু অংশ ফাঁকা রাখলাম পাঠকের জন্য



রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে তমাল টের পায় তানিয়া বেশ চুপচাপ, উদাস হয়ে গেছে। তমাল পাত্তা দেয়না, ভাবে মেয়েদের মন!

সেদিন সন্ধ্যায় বারে বসে একা একা হুইস্কি খাচ্ছিল তমাল। ওর অনলাইন বান্ধবী লিন্ডার আসার কথা ছিলো পান করার জন্য, আসেনি। রাত দশটার দিকে যখন সে ক্লান্ত শরীরে হোটেলের রূমে এসে ঢোকে, ততক্ষণে যা হবার তা হয়ে গেছে। নির্বাক বিস্ময়ে হা করে তমাল তাকিয়ে থাকে সিলিং থেকে ঝুলে থাকা তানিয়ার দিকে।
৪৬টি মন্তব্য ৪০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩

ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×