somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্যক্তিগত কথা: শুদ্ধতা

২১ শে মে, ২০০৯ সকাল ৯:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১.

বাবাকে কখনও জিজ্ঞেস করা হয়নি, কেন টাকাটা তিনি নিজেই আমার হাতে দিয়েছিলেন। সত্যি বলতে কি সে প্রসঙ্গটা আমরা আর কখনও তুলিওনি। সে রাতে আমরা দু'জন দু'জনকে সচেতনভাবে এড়িয়েছিলাম ঠিকই, তবে পরদিন থেকে এমন ভাব করেছি যেন কিছুই হয়নি। এটা মনে আছে, সেদিন বাবার মাথা নীচু হয়ে ছিলো, এবং যতদূর সম্ভব তাড়াতাড়ি আমার হাতে টাকাটা গুঁজে দিয়েই তিনি ভেতরের রূমে চলে গিয়েছিলেন। একটুও মাথাটা উঁচু করেননি, অথচ তিনি মাথা উঁচু করে বুক টানটান করে হাঁটতে ভালোবাসেন; এবং, এটাও ঠিক যে তিনিও জানেন, আমার মাথাটাও একইভাবে নীচুই হয়ে ছিলো। তিনি হয়তো দেখেননি, কিন্তু হয়তো বুঝেছেন অথবা ধারনা করে নিয়েছেন, অথবা হয়তো এখনও জানেননা -- সে রাতের বাকীটা সময় আমি বারান্দায় বসে বোবা আর্তনাদ আর আক্রোশে ফেটে পড়ছিলাম। আমার ইচ্ছে হচ্ছিলো সব কিছু ভেঙে গুঁড়িয়ে দিই, বারান্দার গ্রীল, ঘরের দরজা, ভেন্টিলেটরের কাঁচ, বাগানের গাছ, খাণনচার মুরগী -- সব!! বারবার মনে হচ্ছিলো এখনও দৌড়ালে হয়ত লোকটার রিক্সাকে ধরা যাবে, তারপর রিক্সা থেকে হারামজাদাকে টেনে নামিয়ে এলোপাথাড়ি কিছু চড়-থাপ্পড়ও দেয়া যাবে। বাবাকে বলা হয়নি, সে রাতের পর বেশ কিছুদিন ধরে আমি এ স্বপ্নটা বারবার দেখতাম, দেখতাম আর অদ্ভুত আনন্দে ফেটে পড়তাম সাময়িকভাবে। তার পরপরই স্বপ্ন শেষ হয়ে যেত -- আবার এসে ঘিরে ধরতো বিষাদ, অনুশোচনা, হতাশা, বিরক্তি, ক্রোধ, ঘৃণা -- আর যা যা আছে।

সেসময় আমার বারবার মনে হতো, "কি হয় এসব না হলে? কি হবে এত টাকা দিয়ে? এখন কি খুব খারাপ আছি? এরচেয়ে ভালো থেকে কি করবো? হাতি মারবো, না ঘোড়া মারবো? সামান্য একটা লোককে কিছু করতে পারলামনা! আবার হাতি-ঘোড়া!"


২.
সংসারে সেই অর্থে অভাব না থাকলেও, যখনই যা মনে চাইতো, বাবা-মা'র কাছে তাই আবদার করার মতো অবস্থা আমাদের ছিলোনা। হয়তো কোনদিন এমন যায়নি যে না খেয়ে থাকতে হয়েছে, বা ছেঁড়া শার্ট তালি দিয়ে পরতে হয়েছে। তবে বাংলাবাজার থেকে বাবা যখন পাইকারী দরে পাঁচ ভাইবোনের জন্য সারাবছরের বাংলা, ইংরেজী আর অংক খাতা কিনে আনতেন, তখন স্কুলের নাম খোদাই করা খাতা না ব্যবহার করার কারণে ক্লাস টিচারের বকা খেয়ে চুপ করেই থেকেছিলাম, বাসায় ফিরে এসে মাকে বলতে পারিনি যে "নতুন খাতা কিনে দ্যান"। এটা এমন কোন কারনে ছিলোনা যে আবদার করলে মা রেগে উঠতেন বা অভাবের দোহাই দিতেন, কিন্তু এখন ভাবলে টের পাই, সেই ছয়-সাত বছর বয়েসেই চারপাশ দেখে "সংযম করে চলতে হবে" ব্যাপারটা ঠিকই বুঝে ফেলেছিলাম। পিকনিকের টাকা মা দেবে কিনা অথবা কাকে কাকে এবছর দেবে সেটা নিয়ে বোনদের টেনশন, "গত বছর তো তুই গিয়েছিলি, এবার আমি যাই" বলে ওদের নেগোসিয়েশন -- এর সবই আমার চোখের সামনেই ঘটেছিলো। সব মিলিয়ে আমরা জানতাম, একেকটা পয়সার মূল্য অনেক। বাসায় টিভি ছিলোনা, যেদিন ছায়াছন্দ বা বাংলা ছায়াছবির দিন ছিলো, আমরা ভাইবোনেরা আস্তে করে দরজার ছিটকিনি খুলে নিঃশব্দে চলে যেতাম পড়শীর বাসায়, ফেরার পরও কড়া নাড়তাম খুব সাবধানে। আমরা নিচু গলায় আক্ষেপ করতাম বাসায় টিভি নেই বলে, আবার একই সাথে ভাইবোনদের নিজেদের মাঝে আমরা ফিসফিস করে "আব্বা তো ঘুষ খায়না" বলে অনেক গর্বও করতাম। এখনও করি, যদিও বাবা রিটায়ারমেন্টে চলে গেছেন আজ আট-ন' বছর।

মাসের পঁচিশ ছাব্বিশ তারিখ সকালে আমি প্রস্তুত থাকতাম, কারণ একটু পরেই দামামা বাজবে। শুরু হবে বাবা-মা'র মাসিক ঝগড়া। আপারা সবাই স্কুলে চলে যেত, বাবা-মা'র সেই মাসিক ঝগড়ার সাক্ষী থাকতাম আমি আর মামা। প্রতিমাসেই ঝগড়া, ঝগড়া করতে করতেই বাবা মা'র হাতে পরম যত্নে বানানো রুটি আর ভাজি দিয়ে নাশতা করে, চা খেয়ে, মুখ মুছে তবেই অফিসে যেতেন। কিন্তু ঝগড়াটা হতোই। ঝগড়ার বিষয়ও ছিলো প্রতিমাসে একই -- বাবা আশ্চর্য হতেন "এতটাকা কিভাবে মাস শেষ হবার আগেই খরচ হয়ে যায়!" আর মার বক্তব্যটা ছিলো "এত কম টাকায় কিভাবে আট-দশজনের সংসার চলে সেটা যাতে উনি আরেকটু ঠান্ডা মাথায় ভাবেন!" যখন বড় হলাম, ক্লাস নাইন টেনে পড়তাম, তখন প্রতিমাসেই এই ঝগড়া দেখে আমি সিদ্ধান্ত নিতাম যে ব্যবসা করবো, আমাকে অনেক আয় রোজগার করতে হবে, অনেক টাকা হতে হবে আমার; আর সেইসাথে মনে মনে রবিঠাকুরকে গালিগালাজ করতাম; "শালা, কত সহজেই বইলা ফালাও হরিপদ কেরানী আর আকবর বাদশার মধ্যে কোন ভেদ নাই! পাবলিকের খাজনার টাকায় পায়ের উপর পা তুইলা ঐসব কবিতা আমিও লেখতে পারতাম!! হাহ্"।

কিন্তু এতসবের পরও পাবার বোধটাই বেশী ছিলো। সবচেয়ে বড় যে পাওনাটা ছিলো সেটা সেই গর্ববোধ -- বাবা-মাকে নিয়ে নিখাদ গর্ববোধ। সে গর্ববোধটা আরো বড় হয়ে গেল, যেদিন নিজের চোখে দেখলাম ড্রইংরূম থেকে একটা লোককে বাবা গালিগালাজ করতে করতে তাড়িয়ে দিচ্ছেন, অথচ আমার এই বাবাকে আমি কোনদিন সন্তানদের ছাড়া আর কারো প্রতি উঁচু গলায় কথা বলতেও শুনিনি। লোকটাকে সোজা দরজা দিয়ে বের করে দিয়ে বাবা গজগজ করতে করতে বলছিলেন, "কত্ত বড় সাহস! কত্ত বড় সাহস!" বারবার! পরে জেনেছিলাম, পাঁচলাখ টাকা ছিলো লোকটার হাতের খসখসে প্যাকেটটায়, সেই এরশাদ আমলের শেষ দিকে। সেই ঘটনার পর কখনও কখনও বাসে ওঠার জন্য স্প্রিন্ট করতে করতে যে "ইস্, এক বিকেলেই গাড়ী হয়ে যেত আমাদের!" -- এমনটা মনে হয়নি, তাও কিন্তু না। তারপরও অদ্ভুত কারণে আমরা ভাইবোনেরা বাবার সেই গোয়ার্তুমিতেই খুশী ছিলাম, মাস শেষের বাবা-মা'র ঝগড়া দেখে রবিঠাকুরের উপর সাময়িক বিরক্তি আসলেও মনে হতো এমন ঝগড়া যেন শেষ না হয়ে যায় কোন কালে, কোন ভুলে। গর্ববোঢের প্রাক্কালে প্রশ্ন জাগতো, আকবর বাদশা'র সাথে হরিপদ কেরানীর ভেদটা কোথায়?

যেদিন বুয়েটে ভর্তি হয়ে বাসায় আসলাম, বাবার শংকিত চেহারা আমি আশা করিনি। ছেলে ইঞ্জিনিয়ার হবে -- এনিয়ে তাঁর খুশী হবার কথাই ছিলো, অথচ তিনি তা ছিলেননা! বিশেষ করে ছেলে যদি বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ঢোকে সেই নিয়ে তাঁর ভয় খুব বেশীই ছিলো! সেসময় ইঞ্জিনিয়ার, বিশেষ করে সিভিল মানেই ঘুষখোর এমন একটা ইমেজ দাঁড়িয়ে গিয়েছিলো সবখানে। বাবার বাঁধা দেয়ার উপায় ছিলোনা, অতটা হস্তক্ষেপ তো আর করা যায়না! তবে প্রাণপণ হয়ে পড়েছিলেন ছেলে যাতে বোঝে যে তাকে উল্টোস্রোতে চলতে হবে। মনে আছে, সেজন্যই, কতরকম উপদেশ, কোরানের আয়াত, হাদীসের উদ্ধৃতি, তাঁর নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা -- সবকিছু সেসময়ই প্রথম মন খুলে শেয়ার করলেন। বিয়ের পরপরই নাকি মাকে বেছে নিতে বলেছিলেন কিরকম জীবন মা চান; বলেছিলেন দুটো পছন্দের কথা -- একটা বেছে নিতে হবে। মা তৎক্ষণাৎই "টাকাপয়সার কষ্ট থাকলেও সৎভাবে বেঁচে থাকা"র পক্ষেই বলেছিলেন। এসব বাবা কেন বলতেন সে কারণও আমি জানতাম; বড় হয়ে চাকরীতে ঢুকে ঘুষ খেলে শুধু তিনি না, মাও সমান কষ্ট পাবেন -- আমার বুঝতে কষ্ট হয়নি। সেসময় বাবার নানান কথায় এটাও বুঝেছিলাম, বাবা চাকরীতে ঘুষ খেলে স্কুলের বন্ধুদের কাউকে দেখে আমার কখনও হিংসা করার কথা ছিলোনা। বাবার ত্যাগের কথা শুনে ঘুষ খাবোনা বলে কতটুকু পণ করেছিলাম মনে নেই, তবে এটুকু বলতে পারি যে এখন পর্যন্ত এর চেয়ে বেশী গর্ববোধ এই জীবনে আর কোনদিন কিছুতে হয়নাই।

নিজের ঘুষ না খাওয়া নিয়ে বাবার কতটুকু গর্ব ছিলো আমি জানিনা। তবে তাঁর ছেলে হয়েই আমি যদি এতটা গর্ববোধ করি, তখন এটা বুঝতে কষ্ট হয়না যে, মাসে মাসে লাখ লাখ টাকার হাতছানি উপেক্ষা করে কর্মজীবনের হার্ডল রেস পার হতে থাকা তাঁর নিজের গর্বটা আরো অনেক বেশীই ছিলো, আপোসহীনতা ছিল জীবনীশক্তি।


৩.

আমাদের পিতা-পুত্রের সেই গর্বের শক্ত দেয়ালে একটা গর্ত করে দিয়ে গিয়েছিলো সেই লোকটা, যাকে আমি প্রায়ই স্বপ্নের ঘোরে প্রায় খুনই করে ফেলতাম। তারপর, স্বপ্নের শেষে তার পকেটের একশো টাকার নোটটা নিয়ে, টাকার গায়ের নাম্বার মিলিয়ে আমি হনহন করে বাসায় ফিরে আসতাম; চিৎকার করে বলতে চাইতাম, "আব্বা, দেখেন, আমার ঘুষ দেয়া লাগেনাই, এক পয়সাও ঘুষ দেয়া লাগে নাই।"

৯৬ এর জানুয়ারীর দশ তারিখ, যেদিন জাপান সরকারের মোনবুশো স্কলারশীপের রেজাল্ট এসেছিলো, মুখ থেকে আনন্দের হাসি সরাতে পারিনি এক মুহূর্তের জন্য -- সেটা বাবা-মা দুজনেই দেখেছিলেন নিশ্চয়ই। দেশে ইঞ্জিনিয়ারের চাকুরী নিতে হবেনা, এই ভেবে ছেলের "সুযোগের অভাবে হলেও ঘুষখোর না হবার সম্ভাবনা"র বৃদ্ধি দেখে তাঁরা খানিকটা স্বস্তিও পেয়েছিলেন নির্ঘাৎ। আর, আমার নিজের চারপাশে তখন প্রতিটি দিনই ঈদের আনন্দ, চোখজুড়ে অনেকরকম স্বপ্ন। মনের দুঃখ লুকোনো যায়, আনন্দ বা স্বপ্ন -- এগুলো কি লুকোনো যায়?

সেই আনন্দ, সেই স্বপ্ন প্রতিদিন বাবা-মা'র চোখে ধরা পড়ে, ছেলে দূরে চলে যাবে ভেবে যে কান্নাটা উথলে আসে সেটা চেপে রেখে হাসি হাসি মুখ করে তাঁরা তাকান ছেলের দিকে। জাপানের থাকা-খাওয়ার খরচ অনেক; সব খরচের পর বছরে অন্ততঃ একবার সেমিস্টার শেষের ছুটিতে দেশে এসে ঘুরে যেতে পারবে কিনা, বসে বসে দিনরাত শুধু সে হিসেব কষেন বাবা-মা। হিসেব মিলবে কিভাবে? জাপানের থাকা-খাওয়ার খরচ তো আর আমার বাবা-মায়ের জানা ছিলোনা। শেষে তাই হাল ছেড়ে দেন, চোখের পানি সংবরণ করতে করতে কাঁপাকাঁপা গলায় বলেন, "একবার দেশে আসার মতো বিমানভাড়া তোমাকে আমি দিতে পারবো ইনশাল্লাহ, তুমি এসব নিয়ে ভেবোনা"; তারপর হয়ত টোকিও-ঢাকার বিমানভাড়া কত সেটা জেনে খানিকটা গম্ভীর হয়ে পড়েন, শূন্যের দিকে তাকান; বাবার সে চোখের দিকে তাকানোর সাহস আমার হতোনা। মনে মনে ভাবতাম, একটু খারাপ চলে হলেও পয়সা জমিয়ে ঠিকই চলে আসবো বছরে একবার। এভাবেই চলছিলো আমার জাপান আসার আগের কয়েকটা দিন, জানুয়ারী থেকে এপ্রিল, সিনেমার মতো, সুখে ভরা, আবেগে ভরা, ভালোবাসায় ভরা, গর্বে ভরা -- যেন দ্যা আলটিমেইট ইউটোপিয়া।

আমার সেই আলটিমেইট ইউটোপিয়ার দিনগুলোতেই কাদা মাখাতে এসেছিলো লোকটা। আমি জানি, বাবা সে রাতে ভেবেছেন আমি তাঁকে নিয়ে যে গর্ব করতাম সেখানে ফাটল ধরেছে; অথচ যেটা সত্য তা হলো, আমি বাবাকে কোনদিন বলতে পারিনি, "সারাজীবন, সারাটা জীবন কষ্ট করে করে নিজেকে নিয়ে যে অসামান্য গর্বের মিনার আপনার গড়ে উঠেছিলো, সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে সেই মিনারে এত সহজে আঘাত হানতে দিলেন? এত বেশী ভালবাসা কি উচিত?"

শূয়োরের বাচ্চা পুলিশ অফিসার, পাসপোর্টের পুলিশ ভেরিফিকেশনের নামে তোমরা মানুষের বাসায় গিয়ে বসা দাও, ঘন্টার পর ঘন্টা পার হয়ে যায়, বিস্কুটে কামড় দিতে দিতে চা খাও আর নির্বিকার ভাবে বসে বসে টিভি দেখো; ভাবো "না দিয়া যাইবো কই!"। শালার সবই করো আর এটা টের পাওনা যে, "পাসপোর্ট না হলে ছেলেটার সব আনন্দ শেষ হয়ে যাবে"-- এই ভেবে একশো টাকার নোট হাতে মাথা নীচু করে একজন আজন্ম যোদ্ধা যখন নতমস্তকে নিজের ছেলেকে বলে, "যাও, লোকটাকে দিয়ে এসো", তখন সেই একশো টাকার নোটটা কত অসভ্য রকমের ভারী হতে পারে!


৪.
সেদিন বাবা আমার কাছে আর আমি বাবার কাছে অদ্ভুত এক অপরাধবোধে ভুগেছিলাম -- এটা নিশ্চিত। আমরা এ নিয়ে আর কথা বলিনি।

মাঝে মাঝে ভাবি, বাবা নিজে এসে আমার হাতে টাকাটা না দিয়ে অন্যকোনভাবেও তো লোকটাকে দিতে পারতেন।

আবার, মাঝে মাঝে মনে হয়, বাবা ঠিকই করেছেন, এটার দরকার ছিলো।



**************************************************************
*পুরোনো লেখা, সচলায়তনে আনোয়ার সাদত শিমুল সম্পাদিত কাঠগড়ার গল্প ই-বুকে প্রকাশিত।
৪৬টি মন্তব্য ২৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩

ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×