নয়া গণতন্ত্র সম্পর্কে (জানুয়ারি ১৯৪০)
১. চীন কোন পথে?
জাপ-বিরোধী প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দেশব্যাপী জনসাধারণের মধ্যে একটা স্ফূর্তি ও উদ্দীপনার ভাব দেখা দিয়েছি।। আগে যারা ভুরু কুঁচকে থাকতো, তাদের আর দেখা মিলত না; কারণ সবাই বিশ্বাস করেছিলো যে, আমাদের জাতি শেষ পর্যন্ত অচল অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসবার একটা পথ খুজেঁ পেয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি আপোষ করার ও কমিউনিজম-বিরোধিতার কলরব আকাশ বাতাস ভরে ফেলেছে এবং জনসাধারণকে আবার একবার বিভ্রান্তির মধ্যে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। সাংস্কৃতিক কর্মী ও তরুণ ছাত্রেরা সর্বাপেক্ষা অনুভূতিপ্রবণ বলে তারাই সর্বপ্রথমে এর দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। 'কি করা যায়?' 'চীন কোন পথে?' প্রভৃতি প্রশ্ন আবার উত্থাপিত হচ্ছে। এই জন্যই 'চীনা সংস্কৃতি' [প্রচারকার্য সম্পর্কে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির জাতীয় সম্মেলন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক ১৯৫৭ সালের ৬ মার্চ থেকে ১৩ মার্চ তারিখ পর্যন্ত পিকিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় এবং প্রাদেশিক (বা কেন্দ্রশাসিত শহর) স্তরের পার্টির প্রচার, সংস্কৃতি ও শিক্ষা বিভাগের ৩৮০ জনেরও বেশি দায়িত্বশীল কর্মী এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। তা'ছাড়া বিজ্ঞান, শিক্ষা, সাহিত্য, শিল্পকলা, সংবাদপত্র ও প্রকাশনালয় প্রভৃতির বিভিন্ন বিভাগ ও সংস্থার শতাধিত পার্টি-বহির্ভূত লোকও এই সভায় যোগদান করেছিলেন।] নামক সাময়িক পত্রিকায় প্রকাশনার সুযোগে চীনের রাজনীতি ও চীনের সংস্কৃতির ধারা সম্পর্কে কয়েকটা কথা বললে হয়ত কিছু উপকার হতে পারে। সাংস্কৃতিক সমস্যার ব্যাপারে আমি অনভিজ্ঞ, এ সম্পর্কে আমি গবেষণা করার আশা রাখি এবং গবেষণা করতে কেবল শুরু করেছি। সৌভাগ্যবশত: এই বিষয় নিয়ে ইয়েনানের আমাদের অনেক কমরেড ইতিপূর্বেই বহু বিশদ ও বিস্তৃত প্রবন্ধ লিখেছেন। আমার এই সাদামাঠা কথাগুলি নাট্যানুষ্ঠানের পূর্বাহ্নে ঘন্টা বাজানর যে উদ্দেশ্য সেই রকম উদ্দেশ্য সাধন করতে পারে। আমাদের মন্তব্যসমূহ জাতির সাংস্কৃতিক জীবনের অগ্রগামী কর্মীদের কিছু কিছু সত্যের সন্ধান দিতে পারে এবং তারা যাতে তাদের মূল্যবান অবদানসমূহ নিয়ে এগিয়ে আসতে উদ্ধুদ্ধ হন সে ব্যাপারে এগুলি কিছু প্রেরণা যোগাতে পারে। আমরা আশা করি, এর ভিতর দিয়েই সম্মিলিত আলোচনা শুরু হবে এবং তা থেকেই এমন নির্ভুল সিদ্ধান্তে পৌছানো যাবে বা আমাদের জাতির প্রয়োজনগুলো মেটাতে পারবে। 'বাস্তব তথ্যাবলী থেকে সত্যের সন্ধান করাই' হচ্ছে বিজ্ঞানসম্মত মনোভাব; 'আমি সবসময়েই নির্ভূল', 'আমি তোমাদের বলছি' প্রভৃতির মতো অহঙ্কারী মনোভাব নিয়ে সমস্যার সমাধান কোনো দিনই করা যায় না। আমাদের জাতি গভীর বিপদে নিমজ্জিত। কেবলমাত্র বিজ্ঞানসম্মত ও দায়িত্বশীল মনোভাবই আমাদের জাতিকে মুক্তির পথে নিয়ে যেতে পারে। সত্য একটি মাত্রই আছে এবং কেউ তার সন্ধান পেয়েছে কি না এই প্রশ্নের মীমাংসা আত্মগত অহমিকার উপর নির্ভর করে না, নির্ভর করে বাস্তবমুখী অনুশীলনের উপর। লক্ষ কোটি জনগণের বিপ্লবী অনুশীলনই সত্য বিচারের একমাত্র মাপকাঠি। আমি মনে করি, এই দৃষ্টিভঙ্গীকে 'চীনা সংস্কৃতি' প্রকাশ করবার মনোভাব হিসেবে গণ্য করা যায়।
আলোচিত ব্লগ
স্বাগতম ইরান
ইরানকে ধন্যবাদ। ইসরায়েলকে দাত ভাঙ্গা জবাব দেওয়ার জন্য।
হ্যাঁ, ইরানকে হয়তো এর জন্য মাসুল দেওয়া লাগবে। তবে, কোন দেশ অন্য দেশের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপে করবে আর সেদেশ বসে থাকবে এটা কখনোই সুখকর... ...বাকিটুকু পড়ুন
হ্যাঁ, ইরানকে হয়তো এর জন্য মাসুল দেওয়া লাগবে। তবে, কোন দেশ অন্য দেশের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপে করবে আর সেদেশ বসে থাকবে এটা কখনোই সুখকর... ...বাকিটুকু পড়ুন
প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন?
আমরা পৃথিবীর একমাত্র জাতী যারা নিজেদের স্বাধীনতার জন্য, নিজস্ব ভাষায় কথা বলার জন্য প্রাণ দিয়েছি। এখানে মুসলিম হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান চাকমা মারমা তথা উপজাতীরা সুখে শান্তিতে বসবাস করে। উপমহাদেশের... ...বাকিটুকু পড়ুন
দ্যা লাস্ট ডিফেন্ডারস অফ পলিগ্যামি
পুরুষদের ক্ষেত্রে পলিগ্যামি স্বাভাবিক এবং পুরুষরা একাধিক যৌনসঙ্গী ডিজার্ভ করে, এই মতবাদের পক্ষে ইদানিং বেশ শোর উঠেছে। খুবই ভালো একটা প্রস্তাব। পুরুষের না কি ৫০ এও ভরা যৌবন থাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমার প্রিয় কাকুর দেশে (ছবি ব্লগ) :#gt
অনেক অনেক দিন পর ব্লগ লিখতে বসলাম। গতকাল আমার প্রিয় কাকুর দেশে এসে পৌছালাম। এখন আছি নিউইয়র্কে। এরপরের গন্তব্য ন্যাশভিল তারপর টরেন্টো তারপর সাস্কাচুয়ান, তারপর ইনশাআল্লাহ ঢাকা। এত লম্বা... ...বাকিটুকু পড়ুন
যেরত
এবারও তো হবে ইদ তোমাদের ছাড়া
অথচ আমার কানে বাজছে না নসিহত
কীভাবে কোন পথে গেলে নমাজ হবে পরিপাটি
কোন পায়ে বের হলে ফেরেশতা করবে সালাম
আমার নামতার খাতায় লিখে রেখেছি পুরোনো তালিম
দেখে দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন