somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব
এটাই আমার একমত্র আইডি। আমার আর কোন আইডি নেই। আমার নাম,ছবি দিয়ে ফ্যাক কয়েকটা আইডি খোলা হয়েছে। সো সাবধান থাকুন। পারলে ওদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করুন। আমি করেছি,লাভ হয় নাই। ওদের যন্ত্রণায় কমেন্ট অপশনও বন্ধ রাখা হয়েছে ধন্যযোগ,সাথে থাকার জন্য।

রোহিঙ্গা নিয়ে সু-শীল(ভালো নাপিত)সমাজের ধারনা এবং সরকার কতটা আন্তরিক সমস্যা সমাধানে?

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রোহিঙ্গা নিয়ে সু-শীল(ভালো নাপিত)সমাজের ধারনা এবং সরকার কতটা আন্তরিক সমস্যা সমাধানে?

অনেকেই অভিযোগ করছেন
“রোহিঙ্গারা ঐ সব এলাকায় মাদক চোরাচালান সহ নানান ক্রাইমে জড়িয়ে পরতে পারে বা জড়িয়েছে। তাই নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে হলেও তাদের জায়গা দেয়া উচিৎ না।”

কেউ কেউ বলেন তারা যদি এতই ভালো হত,তাহলে তাদের সে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেয় কেন? এরা আসলে অনেক খারাপ।
(যারা এটা বলে তাদের মা,তাদের জন্মের বছরখানেক আগ থেকে আয়োডিন লবন খাওয়া অফ করে দিছে)

পরিবেশের ক্ষতি করতেছে,পাহাড় কাটতেছে,এলাকার জনসংখ্যার ঘনত্ব বেড়ে যাচ্ছে,এদের জন্মহার বেশি। আসছে ১০ লাখ,১০ বছর পর এরাই ১৫ লাখ হয়েযাবে।

ফিলিস্তিন, ইসরাইলের কথাও তুলে ধরেন,ইসরাইলিরা,ফিলিস্তিনে সাহায্য নিতে এসে নিজেরাই তা দখল করে নিয়েছে। রোহিঙ্গারাও তাই করব।
(যারা এই তুলনা দেখায়,তারা ফিলিস্তিন এবং ইসরাইল সম্পর্কে কচুও জানে না! ফিলিস্তিন ত নিজেরাই নিজেদের স্বাধীন জাতি হিসাবে মানছে না ভূখণ্ড জটিলতা নিয়ে! হামাস আর ফাতাহ নামে দুই দলে ভিক্ত হয়ে নিজেরাও কম রক্ত ঝরালো না,সেখানে আরও আরও অনেক রাজনীতি আছে! আর ফিলিস্তিনিদের এই অবস্থার জন্য তারা নিজেরা এবং আরব রাষ্ট্র সহ কিছু মুসলিম রাষ্ট্র দায়ী।ইহুদীদের আশ্রয় দেয়ার সময়ও স্বাধীন ফিলিস্তিন নামে কোন রাষ্ট্র ছিল না,যা ছিল তা ব্রিটিশদের আন্ডারে। সো বাংলাদেশের সাথে ইসরাইল,ফিলিস্তিন তুলনা দেয়া বোকামি)

অনেক রোহিঙ্গা ঘুষ দিয়ে,দালাল ধরে এদেশের নাগরিক হয়ে যাচ্ছে। এরা নাগরিক হয়েও থেমে নেই মধ্যপ্রাচ্য সহ বিভিন্ন দেশে চলে যাচ্ছে,সেখানে যদি তারা ক্রাইম।করে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুন্ন হবে।
( দোষটা কি তাহলে শুধুমাত্র রোহিঙ্গাদের? ঘুষটা নিচ্ছে কে? অবশ্যই প্রভাবশালী কেউ? আর বর্তমানে প্রভাবশালী কারা? যাদের ক্ষমতা আছে তারাই! মানুষ চায় একটু উন্নত জীবন। একতরফা দোষ দিয়ে লাভ নাই। আমাদের দোষের কারনেই তারা সুযোগ পাচ্ছে,আগে আমরা ঠিক হই,ওরাও তখন ঠিক!)

রোহিঙ্গাদের এই পালিয়ে আসার মিছিল মনে করিয়ে দেয় ৭১ র কথা। নতুন প্রজন্ম ভালোভাবে বুঝতে পারতেছে ৭১ এ মানুষ কতটা অসহায় ছিল। বিশেষ করে আমার কাছে মনে হয়েছে
“জহির রাহয়হান নির্মিত ‘Stop Genocide’ ৭১ এর দেশ ছেড়ে ভারত যাওয়া বাংলাদেশিদের সেই দৃশ্য নতুন করে রঙ্গিন টেলিভিশনের পর্দায় দেখতেছি,কোন পার্থক্য নাই।

কেউ কেউ আবার দোষ দিতে চাচ্ছেন রোহিঙ্গারা নাকি বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল,তারা পাকিস্তানের সাথে মিলিত হতে চেয়েছে তাদের সাহায্য করা উচিৎ না।

আমাদের মুক্তি যুদ্ধের সময় আমেরিকা, ইংল্যান্ড আমাদের পক্ষে ছিল না,আর কয়েকদিন যুদ্ধ চললে আমরা স্বাধীন হতাম কিনা সন্দেহ ছিল,আমেরিকার কারনে। আজ আমাদের সবার স্বপ্নের দেশ সেই আমেরিকা।

সৌদিআরব সহ আরব কোন রাষ্ট্র আমাদের পক্ষে ছিল না। আজ আরব দেশে থেকে রেমিট্যান্স আসা বন্ধ হয়েগেলে আমার দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা করুণ রুপ ধারন করবে।
চীনের কথা না হয় বাদই দিলাম!

কই এখানে ত ৭১ সালের ভূমিকা খুঁজেন না? কাউকে ত বলতে শুনি নাই,৭১ এ এরা আমাদের পক্ষে ছিল না,এদের সাথে সম্পর্ক রাখাযাবে না বা এসব দেশে যাব না। ইভেন কিছুদিন আগে পাকিস্তান থেকে পিয়াজ আমদানি করা হয়েছে। লেদমেশিন, ইলেকট্রিক ফ্যান পাকিস্তানেরটা খুব উন্নত মানের বলে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলি,আদা সব পাকিস্তান থেকেই আসে। কই তখন ত মুক্তিযুদ্ধ বাধা হয় না,এখন রোহিঙ্গা নিয়ে কেন মুক্তি যুদ্ধ চলে আসলো?

যারা এতদিন ধর্মের উর্ধে মানবতাকে রেখেছে,সেই তারাই আজ শুধুমাত্র মুসলিম হওয়ার কারনে রোহিঙ্গা আশ্রয়ের বিপক্ষে কথা বলে। আমার দেখা কিছু হিন্দু,বোদ্ধ ধর্মের বন্ধুরা এমন করতেছে। চট্রগ্রামের লংদুতে যখন সাম্প্রদায়িক হামলা হয়,মানবতার দোহাই দিয়ে সাহায্যের কথা বলেছিল,আমাদের গ্রুপ থেকে তাদের সাহায্য করা হয়েছিল। লজ্জ্বার কথা আমাদের গ্রুপেরই এক বুদ্ধিষ্ট ভাই সাঙ্গপাঙ্গ সহ রোহিঙ্গা ইস্যুতে নেগাটিভ প্রচারণা চালাচ্ছে,সে আমাকেই বুঝাতে চায় সেখানে কিচ্ছুই হচ্ছেনা!
“” কিছুনা স্বভাবিক বন্যা বস”” টাইপের কথা!

অথচ তাদের সময় ২/৩ টা পোড়া বাড়ির পিক দিয়ে ফেসবুক তোলপাড় করেফেলছে,সাহায্য চেয়েছে,ত্রান চেয়েছে। আজ হাজার হাজার পোড়া বাড়ি, লাশের মিছিল,আশ্রয় চাওয়া মানুষের ঢল তার কাছে স্বাভাবিক বা কিছুই হয় নাই মনে হয়। শুধু ধর্মের কারনেই। এই হল মানবাতা!

রোহিঙ্গাদের নিয়ে আওয়ামীলীগ সরকার বাংলাদেশের মানুষের মন থেকে ৬০%-৭০% উঠেগেছে। জনপ্রিয়তা হারিয়েছে। অনেক আওয়ামী নেতাও বিরক্ত সরকারের শুরুর দিকের ভূমিকা নিয়ে। এখনো তাদের ভুমিকা ক্লিয়ার না।
“”মায়ানমারের বিরুদ্ধে কথা বলেনা, চাপ দেয়না দাদাদের কারনে,আবার আশ্রয় না দিয়ে পারেনা নিজ দেশের জনগনের সমর্থন হারনোর ভয়ে””
এখানেও গদি নিয়ে চিন্তা!

“”একজন ত মুখ ফসকে বলেই দিয়েছেন,রোহিঙ্গারা হবে দেশে একটা বিশেষ দলের ভোটব্যাংক,তাই আওয়ামীলীগ না পারছে গিলতে,না পারছে ফালাতে””

আওয়ামীলীগ সরকার না পারতেছে এদের তাড়াতে না পারতেছে এদের জায়গা দিতে কারন,সরকার চাচ্ছে ক্ষমতা। আর ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারত,চীনকে পাশে চাচ্ছে আওয়ামীলীগ সরকার। আর ভারত,চীন মিয়ানমারের পক্ষে। তাই ত আমাদের অতিমানবীয় সরকার রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করা পরে,নিন্দা না জানিয়ে,মায়ানমারকে প্রস্তাব দিয়েছে
“”রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের দমনের জন্য যৌথ অভিযানের””

কতটা ক্ষমতার লোভী হলে তারা, ভারতের দেখানো পথে হাটতে পারে। অথচ এই সমস্যার সমাধানের জন্য দরকার কূটনৈতিক ব্যবস্থা। আন্তর্জাতিকভাবে জনমত গঠন করে,জাতিসংঘে এর বিরুদ্ধে নালিশ দিয়ে হোক আর যা করেই হোক রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মায়ানমারকে চাপ দেয়া।

এর অগ্রানি ভূমিকা পালন করা উচিৎ বাংলাদেশেরই, কারন ঐপাড়ে সমস্যা হলে ঝামেলা হয় আমাদের এখানে,মাথাব্যথা বাংলাদেশের, ভারত বা চীনের নয়! তারা বড় রাষ্ট্র, তারা স্বার্থের কারনে চুপ!

ভারত,চীন,যুক্তরাষ্ট্র তারা মায়ানমারে নৌ-ঘাটি করতে চাচ্ছে বা করবে তাই মায়ানমারকে চাপ দিচ্ছেনা, তাদের পাশে আছে কিন্তু বাংলাদেশ কিশের আশায়?
“”নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য কি এই নতজানু পররাষ্ট্র বা কূটনৈতিক নীতি চলছে? দাদা তোষণ””

সারাবিশ্ব যেখানে মায়ানমারকে, সুচিকে নিন্দা জানাচ্ছে,যেখানে মায়ানমার ১৭ বার আমাদের আকাশ সীমা লঙ্ঘন করেছে,সীমান্তরেখায় স্থল মাইন পুতে রাখতেছে,গুলি চালাচ্ছে সেটার কড়া প্রতিবাদ না করে চুপ রয়েছে। মালদ্বীপ যেখানে ব্যবসায়ীক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে,সেই ক্ষতি পুশিয়ে দিতেই কি বাংলাদেশের খাদ্যমন্ত্রী সস্ত্রীক মায়ানমার ভ্রমনে গিয়েছেন, ১০ লাখ টন চাল আমদানি করার মাধ্যমে?

মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা দীর্ঘদিন এদেশে থাকলে একদিন আমাদের সমস্যা হবেই,অভাবেই স্বভাব নষ্ট। কে না চায় একটু উন্নত জীবন? তারা যদি এখানে দীর্ঘ সময় ধরে বসবাস করে,পরিবেশের ক্ষতি সহ,আমাদের আইনশৃঙ্খলারও অবনতি হবে, হতে বাধ্য। তারা নিজেদের বাঁচাতেই ক্রাইমে লিপ্ত হবে। তাদের ব্যবহার করে একটি চক্র দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলবে।

তাহলে এর সমাধান?
তাদের মানবিক দিক বিবেচনা করে আশ্রয় দিলেও যত দ্রুত সম্ভব তাদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য্য মিয়ানমারকে কূটনৈতিক ভাবে চাপ দেয়া।

অনেকেই দেখলাম এফবিতে পোষ্ট করতেছে
“”রোহিঙ্গা মেয়েদের বিয়ে করতেছে এলাকার কিছু মুমিন ভাই,ব্রাদারেরা। অসহায় তারা, তাই তাদের এই বিয়ে করে নিজের ঘরেই রেখে দিচ্ছে””
খুবই ভালো কাজ,সাধুবাদ জানাই।

কিন্তু এর পিছনেও যে ক্রাইম লুকিয়ে নেই তার কি ভরসা?
আপনি হয়ত চাচ্ছেন ভালোর জন্য কিন্তু বাকিরাত এটাকে ব্যবসায় পরিনত করতেছে। আমরা কন্ট্রাক্ট মেরিজ নাম শুনি নাই এমন কেউ কি আছি? বিদেশে যেয়ে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য টাকার বিনিময়ে চুক্তিভিত্তিক বিয়ে। বাঙ্গালি পারেনা এমন কোন কাজ নাই!

এর আগে অভিযোগ উঠেছে রোহিঙ্গাদের ধর্ষণ এবং পাচার করা হচ্ছে,এবার না হয় এটাই হালাল উপায়েই করা হোক!

যে যাই বলুক,আমার মতে তাদের নিবন্ধনের মাধ্যমে সাময়িক আশ্রয় দেয়া উচিৎ,ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে নিবন্ধন হবে। এক্ষেত্রে মোবাইল কোম্পানি এবং নির্বাচন কমিশনের হেল্প নিতে পারে সরকার। আর বুয়েট সহ অন্যান্য ভার্সিটির ক্রিয়েটিভ লোকেরা ত আছেই,২/১ সপ্তাহেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়ার মত ডিভাইস, সফটওয়্যারের ব্যবস্থা হয়েযাবে। আর যা ইহোক, আমরা ডিজিটাল সেটারও একটা প্রমাণ হয়েযাবে।

নতুন পুরাতন, যারা আসবে তাদেরই নিবন্ধন হবে। তাহলে ইন ফিউচারে ভুয়া পরিচয় দিয়ে ভোটার বা নাগরিক হতে চাইলে ধরা পরেযাবে খুব সহজে। আর যাকে সামান্য ক্রাইমের সাথে জড়িত পাওয়াযাবে,ফিঙ্গারপ্রিন্ট মাধ্যমে শনাক্ত করে তাকে মরুক-বাচুক ওপারে পুশব্যাক করা হবে,তাহলে বাকিরাও ক্রাইম করার সাহস পাবেনা!

আমরা ৭১ সাল থেকেই শিক্ষা নিতে পারি। ভারত আমাদের নাগরিকদের আশ্রয় দিয়েছিল,এবং সমস্যা সমাধানে তারা কাজ করেছিল। সাহায্য করেছিল আমাদের স্বাধীনতার জন্য। তাই বলে তাদের সামরিক ভাবে সাহায্য করে বা বার্মাকে আক্রমণ করে নয়।

চালাতে হবে কূটনৈতিক মিশন,সারাবিশ্বকে সাথে নিয়ে মায়ানমারকে বাধ্য করতে হবে তাদের ফিরিয়ে নিতে,তাদের সমস্যা তাদেরই স্থায়ী ভাবে সমাধান করতে হবে।


মায়ানমার বারবার বলে আসতেছে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশি, তারা তাদের নাগরিক না বাংলাদেশের নাগরিক। তাই তাদের বাংলাদেশে ঠেলে দিচ্ছে। রোহিঙ্গাদের জন্য না হলেও নিজেদের জন্য হলেও বাংলাদেশের এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাওয়া উচিৎ। জাতিসংঘের মাধ্যমেই প্রমাণ হয়েযাক তারা কোনদেশের নাগরিক? অথবা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী নিয়োগের মাধ্যমে এই সমস্যার সময়াধান করা হোক!

নতজানু হয়ে নয়,কারো রক্তচক্ষুকে ভয় করে বা নিজেদের ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য, অন্যদেশকে পাশে পাবার জন্য নয়। আমাদের লড়তে হবে আমাদের উপর একটা বোজা চাপিয়ে দেয়া থেকে রেহাই পেতে। রোহিঙ্গা সমস্যা শুধু রোহিঙ্গাদের না,এই সমস্যা বাংলাদেশেরও। এক মিথ্যা আপবাদ, দুই উদ্বাস্তু সমস্যা। এর প্রভাব আমাদের উপরেও আসতেছে। এবারই হয়েযাক এর স্থায়ী সমাধান।

আর না হয়,আমাদের ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য নতজানু কূটনৈতিক ব্যবস্থার কারনে,বর্তমানে যে রোহিঙ্গারা আমাদের কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতেছে আশ্রয় দেয়ার কারনে, তারাই আমাদের গলার ফাশ হয়ে দাঁড়াবে! আর এর জন্য যতটানা তারা দায়ী থাকবে,তার থেকে বাংলাদেশীরা নিজেরাই বেশি দায়ী থাকব।

কিছুদিন আগে সন্ত্রাস দমনের নামে ভারত মায়ানমারে সেনা অভিযান চালিয়েছিল। রোহিঙ্গারা বর্তমানে সশস্ত্র সংগ্রাম করতেছে। পাশাপাশি আলকায়দা,আইএস, আল সাবাব সহ সারাবিশ্বের সব জঙ্গিগ্রুপ প্রধানরা মায়ানমারে তাদের অনুসারীদের রোহিঙ্গাদের সাহায্য করতে যেতে বলেছে।

ভবিষ্যৎতে যদি মায়ানমার দাবি করে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে ট্রেনিং নিয়ে তাদের উপর হামলা করে,জঙ্গিগ্রুপ সব বাংলাদেশের এই বিশেষ অঞ্চলে ট্রেনিং নিচ্ছে। আর ভারত ত বারবারই চায় উলফা দমনের অজুহাতে আমাদের সীমান্তে ঢুকতে,মায়ানমার ত আরও আগ্রাসী। তখন কি হবে? যুদ্ধ অনিবার্য! লঙ্ঘিত হবে আমাদের সার্বভৌমত্ব। বাংলাদেশের অবস্থা তখন অনেকটা পাকিস্তানের মত হবে। আমেরিকা ড্রোন হামলা করলেও তার প্রতিবাদ করার ক্ষমতা তাদের নেই।

তাই এখনই সময় মায়ানমারকে কূটনৈতিকভাবে মোকাবেলা করে,চাপ প্রয়োগ করে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে বাধ্য করতে।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪৫
২৫টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদী নামের এই ছেলেটিকে কি আমরা সহযোগীতা করতে পারি?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৪


আজ সন্ধ্যায় ইফতার শেষ করে অফিসের কাজ নিয়ে বসেছি। হঠাৎ করেই গিন্নি আমার রুমে এসে একটি ভিডিও দেখালো। খুলনার একটি পরিবার, ভ্যান চালক বাবা তার সন্তানের চিকিৎসা করাতে গিয়ে হিমশিম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভালোবাসা নয় খাবার চাই ------

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:০৬


ভালোবাসা নয় স্নেহ নয় আদর নয় একটু খাবার চাই । এত ক্ষুধা পেটে যে কাঁদতেও কষ্ট হচ্ছে , ইফতারিতে যে খাবার ফেলে দেবে তাই ই দাও , ওতেই হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতীয় ইউনিভার্সিটি শেষ করার পর, ৮০ ভাগই চাকুরী পায় না।

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৭



জাতীয় ইউনিভার্সিটি থেকে পড়ালেখা শেষ করে, ২/৩ বছর গড়াগড়ি দিয়ে শতকরা ২০/৩০ ভাগ চাকুরী পেয়ে থাকেন; এরা পরিচিত লোকদের মাধ্যমে কিংবা ঘুষ দিয়ে চাকুরী পেয়ে থাকেন। এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×