শানে নযুনঃ জীবনের কোন পর্যায়ে বাংগালী পুরুষ কবিতা লিখা নাই এই নজির পাওয়া দুস্কর। যদি কবিতা নাও লিখে থাকে কবিতাকে ভালোবেসেছে। যদি নাও ভালোবেসে থাকে তাহলেও মনের অজান্তে বিভিন্ন ছন্দ মুখস্ত করেছে। যেমনঃ তেতুল পাতা, তেতুল পাতা; তেতুল বড় টক। তোমার সাথে প্রেম করিতে আমার বড় শখ। আমিও একসমসয় কবিতা লিখতাম। পুরোন্ বই পত্র ঘাটতে ঘাটতে বেরিয়ে এলো আমার হারিয়ে যাওয়া কবিতার খাতা। সাথে সাথে ঝাপি খুলে বেরিয়ে পড়লো প্রায় দশ বছর আগের সৄতি। আমি তখন নিতান্তই বালক। সেই বালকের মাথার ভিতর দশ বছর আগে কি ঘুরতো তার নথি পত্র এই কবিতা। কেন লিখেছিলাম এই রকম কবিতা সেই সৄতি আজ বিসৄতি।
তোমার নাম দেব কি?
প্রতি রাতে আমার কৌমার্য হরণ করে কিছু বিকৄতিমনা পুরুষ।
চোখ বুজে সুখ খোজে আমার উরু সন্ধিক্ষনে।
আমার চোখে চোখ রেখে দেখে কখনো,
আমিও দেখিনা বহু দিনের অভ্যাসের ফলে।
কিন্তু আমিও একদিন কারো চোখে খুজেছিলাম অথৈ সমুদ্রের জল,কিছু স্বপ্ন,ভালোবাসা
সেই সেই সুখ স্বপ্নের ফসল ,
অসংখ্য সরু গলি, আধো অন্ধকারে নোংরা ঘর, ঘামে ভেজা পাউডার, সস্তা লিপিস্টিক।
আর সারা শরিরে অসংখ্য কামকাতুরে পুরুষের নখের আচড়।
প্রতি রাতে প্রতিটা পুরুষ দায় সারে আমার শরিরে।
বিনিময় ময়লা জমা টাকা আর আমার আচড় কাটা শরির।
মানুষের চোখে আমরা মানুষ না, পতিতা।
কিন্তু হে, পুরুষ সাধু ,
তোমার নাম দেব কি!!!!
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:০৩