কোহিনূর হীরা- সত্ত্ব দাবী করেছিল বাংলাদেশও
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
কোহিনূর হীরার রাজকীয় ইতিহাস শুরু ১৩০৪ সালে, নির্দিষ্ট করে বলা যায় ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ থেকেই উদ্ভব এই রত্নের, এই চমৎকার হীরাটির ওজন ২১.৬ গ্রাম এবং এটি ১০৫.৬ মেট্রিক ক্যাডেটস হীরক খণ্ড। এর মূল্য ধরা হয় ১ দিনে পৃথিবীর সমস্ত উৎপাদন খরচের অর্ধেক। এই হীরক খণ্ডের আত্মকাহিনী জানতে রাজকীয় কায়দায় কুর্নিশ করে ডুব দিতে হবে মধ্যযুগে!
আসুন এই হীরক খণ্ডের সংক্ষিপ্ত রাজকীয় ভ্রমণের ইতিহাস জেনে নেই।
ষোড়শ শতাব্দীতে কোহিনূর মালওয়ার রাজাদের অধিকারে ছিল। পরে এটি মোগল সম্রাট বাবরের হাতে আসে, বাদশা হুমায়ুন কোহিনুর উদ্ধার করে পিতাকে উপহার দেন, পিতা বাবর পুত্রের ওপর খুশি হয়ে পুনরায় হুমায়ুনকে উপহার দেন, পরে সম্রাট শাহজাহান নির্মিত ময়ুর সিংহাসনের শোভা বর্ধন করেছিল এই মহা মূল্যবান রত্ন। এছাড়াও বাবর, শাহজাহান, আকবর, জাহাঙ্গীর , আওরঙ্গজেবের সিংহাসন আলোকিত করেছে কোহিনুর। মোগল সাম্রাজ্য যখন বিক্ষিপ্ত ও ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে তখন নাদির শাহকে আমন্ত্রণ জানানো হয় মুসলিম শাসনের গৌরবোজ্জ্বল দিন ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করতে। কিন্তু তাকে প্রতিশ্রুত অর্থ না দিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নেয় মোঘল রাজা। এর পরিপ্রেক্ষিতে নাদির শাহ কৌশলে মোগলদের কাছ থেকে কোহিনূর উদ্ধার করে নিয়ে যান ইরানে।
নাদির শাহের মৃত্যুর পর আফগান রাজা হুমায়ুনের পুত্রের দখলে আসে এই কোহিনুর। আফগানিস্তান থেকে মহারাজা রণজিত্ সিং সেটি গ্রহণ করেন।
শেষ পর্যন্ত রণজিত্ সিংএর পুত্র সেটি আনুষ্ঠানিকভাবে ১৮৫০ সালে তুলে দেন রাণী ভিক্টোরিয়ার হাতে। মূলত আফগান থেকে এটিকে বাজেয়াপ্ত করেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। রানী ভিক্টোরিয়া এটি তার হাতে ব্যবহার করেছেন, পরে এটি স্থান পায় ব্রিটিশ রাজমুকুটে, কত রাজার হাত ঘুরে আজ কোহিনুর অবসর নিয়েছে টাওয়ার অফ লন্ডনে।
১৯৯৭ সালে কোহিনুর ভারতে ফিরিয়ে আনার জন্য ভারতীয় পার্লামেন্ট থেকে জোর দাবি উঠে। এ সময় ইরান, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, এমনকি বাংলাদেশ পর্যন্ত এর সত্ত্ব দাবি করেছিল।
২০১৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে এসে এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং এ সকল দাবী অযৌক্তিক বলে আখ্যায়িত করেছে।
২৫টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।
ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন
ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক
বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ... ...বাকিটুকু পড়ুন
মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )
যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন
কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন
একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।
এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।
ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন