somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মধ্যবর্তী ডায়েরী ১ঃ এলোমেলো কাব্য

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হঠাৎ করে মনে হল আবার ডায়েরী লেখা দরকার।আমার সাথে ঘটতে থাকা এবং মনে চলমান চিন্তা গুলো লিপিবদ্ধ করে রাখা প্রয়োজন।আর বর্তমান সময়ে ব্লগের থেকে ভালো ডায়েরী আর কি হতে পারে ?

আমার গ্রাজুয়েশন প্রায় শেষ। প্রায় শেষ বলতে থিসিস আর ইনপ্লান্ট ট্রেনিং এর ভাইভা এখনও শেষ হয়নি। গ্রাজুয়েশন এর পুরো সময়টা সাভার কাটিয়ে প্রিয় ঢাকায় ফিরেছি। সঙ্গী দাদা, নলেজ দা। গণ বিশ্ববিদ্যালয়, আমার প্রাণের ক্যাম্পাস। এই ক্যাম্পাস আমাকে দু হাত ভরে দিয়েছে,কোন অপূর্ণতা রাখেনি। মনে হয়নি আমি কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িনি। আমার প্রাণের ক্যাম্পাস, প্রাণের সংগঠন গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি(গবিসাস), এই গবিসাস আমাকে পরিনত মানুষ হিসেবে তৈরী করেছে। ছোট ভাই, বড় ভাই, বন্ধু সবাই মিলে আমাদের সার্কেল,আমার সদ্য সাবেক আবাসস্থল পিকুলিয়ারী জোন, এত এত ভালোলাগার মানুষ আর ভালোবাসার স্থান গুলো ছেড়ে হঠাৎ করে ঢাকা শহরে। আমার পরিসরে আমিই ছিলাম রাজা, কিন্তু কোন রাজসিক বিদায় না নিয়ে অনেকটা নীরবে নিভৃতে চলে আসা। খারাপ লাগাটা এখনও তৈরী হতে দেইনি। এখন পর্যন্ত আমি ভেঙে পড়িনি। আর ভাঙবো না বলেই আমার বিশ্বাস।যাইহোক একটা চাকুরীর সন্ধানে ঢাকায় ফেরা সেই সাথে মাস্টার্স করবো।ঢাকা শহর নাকি কাউকে খালি হাতে ফেরায় না। এই কথাটা সত্যি কিনা প্রমান পাওয়ার মত অবস্থাও এখনও তৈরী হয়নি। ক্যাম্পাস জীবনে সাংবাদিকতা করতাম তার ফলশ্রুতিতে কোন এক পত্রিকায় জব হয়ে যাওয়ার কথা। এখনও সেখান থেকে ডাক আসেনি। অপেক্ষা করছি। নিজের চাওয়া পাওয়া, পরিবারের চাওয়া পাওয়া, হারানোর বেদনা সব মিলিয়ে কেমন যেন ঘোলাটে একটা অনুভূতি কাজ করছে। প্রতিদিন ঘুমাচ্ছি, খাচ্ছি, মুভি দেখছি, দাদার সাথে গল্প করছি। সময় কেটে যাচ্ছে বেশ দ্রুতই।


একটা সময় প্রচুর লেখালেখি করেছি , তাই মনে হল লেখি। প্রচুর কথা , প্রচুর লেখা , প্রচুর অনুভূতি মাথার মধ্যে এসে আবার হারিয়ে যাচ্ছে।এই অনুভূতির গুলো লিপিবদ্ধ করে রাখতে ইচ্ছে করছে। কারো জন্য না, কোন উদ্দেশ্যে না। নিজের মনের তাগিদে।


জীবনের অনেকগুলো মুহূর্ত অন্যের ইচ্ছার কিংবা চাওয়ার মূল্য দিতে যেয়ে হারিয়ে গেছে। খুব মন চাচ্ছে একটু নিজের মত করে থাকিনা। একটু একা, একটু হারিয়ে। কিন্তু বাস্তবতা হয়তো কঠিন। পরিবার তা মানবে কেন ? তাদেরও তো চাওয়া পাওয়া আছে। তাই বার বার মতের বনিবনা হচ্ছে না। তাদেরতো আর মনের কথা টা বলতে পারছি না। মনের মধ্যে চেপে রাখা কথাগুলো বলতে পারছি না। পারছি না বুজাতে, আব্বু আর পারছি না, অনেক দৌড়ে ফেলেছি, একটু বিশ্রাম দরকার। মনের বিশ্রাম। আগামীর দিনগুলো আমার জন্য অপেক্ষা করছে এক বিশাল পরীক্ষা নিয়ে। অনেক জোড়ে দৌড়াতে হবে। জীবন যুদ্ধে আমাকে যে জিততে হবে। অনেক প্রশ্নের উত্তর খুজতে হবে। অনেক কিছু প্রমাণ করতে হবে। কিন্তু এই যুদ্ধের জন্যই আমার বিশ্রামটা দরকার। নতুন কোর্স অফ একশন সেট করার জন্য একটু সময় দরকার। আগের প্লানিং এর সাথে নতুন প্ল্যানিংগুলো মিলিয়ে একটা নতুন পথ তৈরী করতে হবে।


হারানোর কষ্ট গুলো বড্ড কঠিন, আর পেয়ে হারানোর কষ্ট আরো অনেক অনেক কঠিন । আমি অনেক বেশী কিছুই হারিয়ে ফেলেছি। আমার নতুন পথে হারানো যে জিনিসগুলো দরকার সেগুলো আবার অর্জন করতে হবে। অর্জিত অনেক কিছুই আবার বাদ দিতে হবে। বুজতেছি, সবই বুজতেছি। একপাশে বাস্তবতা অন্য পাশে আবেগ। আমি আবেগকে জয়ী হতে দেবার মানুষ না। আবার আমাকে ভাবিয়ে তুলছে যে আবেগ ছাড়া তো চূড়ান্ত সফলতাও সম্ভব না। আমি মোটেও হতাশ মানুষ না। আমি বড্ড শান্তিপ্রিয় মানুষ। শান্তি চাই। দিন শেষে সমীকরণ মিলাতে চাই। কখনো কখনো মনে হয় বলেই ফেলি না সব জমে থাকা কথাগুলো। কিন্তু আমি হারতে চাইনা। প্রতিনিয়ত কনফিউশনে পড়তে চাই না। আমার কিছু জিনিস ফিক্সিড চাই যার কোন নড়চড় হবে না। যেগুলোকে মূল ধরে আমি আমার জীবনে এগিয়ে যাবো। সব্য কিছু বড্ড এলোমেলো হয়ে আছে । এলোমেলো কাব্য .......

সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৪৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটা গাছ কাঠ হলো, কার কী তাতে আসে গেলো!

লিখেছেন নয়ন বড়ুয়া, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:০৬



ছবিঃ একটি ফেসবুক পেইজ থেকে

একটা গাছ আমাকে যতটা আগলে রাখতে চাই, ভালো রাখতে চাই, আমি ততটা সেই গাছের জন্য কিছুই করতে পারিনা...
তাকে কেউ হত্যা করতে চাইলে বাঁধাও দিতে পারিনা...
অথচ... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। কালবৈশাখী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৪



গত পরশু এমনটি ঘটেছিল , আজও ঘটলো । ৩৮ / ৩৯ সে, গরমে পুড়ে বিকেলে হটাৎ কালবৈশাখী রুদ্র বেশে হানা দিল । খুশি হলাম বেদম । রূপনগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×