somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মাহফুজ
আমি হচ্ছি কানা কলসির মতো। যতোই পানি ঢালা হোক পরিপূর্ণ হয় না। জীবনে যা যা চেয়েছি তার সবই পেয়েছি বললে ভুল হবে না কিন্তু কিছুই ধরে রাখতে পারিনি। পেয়ে হারানোর তীব্র যন্ত্রণা আমাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে।

লাশের রাজনীতি

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :





আগামীকাল মিছিল, মিছিলের প্রস্তুতি চরছে নিরলশভাবে।
তাহের, বাবর ফেস্টুন বানাচ্চে, জাবেদ, খোকন লিখছে প্লে কার্ডে। মতিন বড় ব্যানারটায় পাইপ ঢুকিয়ে ফিটিং করছে। মানবিকা, জহুরা সবাইকে সাহায্য করছে।

একটা মানুষ একটু দূরে চুপচাপ বসে আছে, তার ভেতরে কোনো ভাবনার ঝড় উঠেছে। মিছিল কিংবা আগামীকালের কর্মসূচীর নেতৃত্বে আছেন হাবিব, সোহেল, আজিজ ভাইরা। তারা বসে শলাপরামর্শ করছিলেন।

হাবিব ভাই প্রথম খেয়াল করলেন সেই ভাবনায় তলিয়ে যাওয়া বালকটিকে।
কিরে রবি কি হলো, সবাই কাজ করছে আর তুই চুপচাপ বসে আছিস যে! কাল মিছিলে যাবিনা?

রবি তড়াক করে লাফিয়ে উঠলো হাবিব ভাইয়ের প্রশ্ন শুনে। কি কন ভাই! যামুনা মানে, আরে আমি তো সবার আগেই থাকুম কিন্তু যামু কি নিয়া সেইটা ভাবতেছিলাম।

কি নিয়া যাবি মানে? ব্যানার, ফেস্টুন, কার্ড সবকিছুই তো আছে।

এগুলান তো আছে ভাই কিন্তু... রবি ইতস্থত করতে লাগলো।

আরে ব্যাটা কিন্তু কি, বলবি তো।

আমতা আমতা করে রবি বললো, ভাই আমারে একটা রঙয়ের ডিব্বা কিন্যা দিবেন?

হাবিব ভাই অবাক হলেন। রঙ দিয়ে কি করবি তুই এখন? ভাই আমি আমার গতরে লেইখা যামু মিছিলে। ঐ সব ব্যানার বুনার ধইরা হাঁটতে ভাললাগেনা আমার।

হাবিব ভাই রবির কথা শুনে চমকে উঠলেন। এখানে উপস্থিত সকলের চাইতে কম শিক্ষিত একটা ছেলের মুখে এমন সৃষ্টিশীল চিন্তার কথা শুনে অবাক হবারই কথা। সোহেল আর আজিজ ভাই উৎসাহ দিলেন রবিকে। কোনো চিন্তা করিসনা রঙ তো কিনে আনবোই এবং তোর শরীরে আমরা সুন্দর করে লিখেও দেবো যা প্রয়োজন। রবির মলীন মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠলো আশ্বাস পেয়ে। হাবিবকে ডেকে নিয়ে বাইরে চলে গেলো আজিজ আর সোহেল। তারা রঙ যোগাড় করবে এখনই যেহেতু হাতে সময় নেই। সকাল ১১ টায়ই মিছিল নিয়ে এগুতে হবে প্রধানমন্ত্রীর বাসার দিকে। তাদের আন্দোলন দেশের সরকারের বিরুদ্ধে। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে রাখা সরকারের পতন কিংবা যে কোনো উপায়ে পদত্যাগ চায় তারা। শুধু রবিরা নয় আরো শতসহস্র আন্দোলনকারীর সমাগম হবে কাল।

রবির উদম শরীরের সামনে হাবিব সুন্দর করে লিখে দিলো-অবৈধ সরকার, ক্ষমতা ছাড়। সোহেল লিখলো পিঠে-ভোটের অধিকার চাই।

হাবিবকে একটু অন্যরকম লাগছে, চেহারায় কি রকম এক বিষাদের ছায়া নেমেছে তার। রবিকে কাছে ডেকে জিজ্ঞেস করলো- কিরে দেশকে খুব ভালোবাসিস?
খুব ভালোবাসি ভাই।
সবসময় দেশকে এভাবে ভালোবাসবি।

মিছিল নিয়ে বের হবার সময় হয়েছে, সদস্যরা ইতিমধ্যে সবাই উপস্থিত হয়ে গেছে। সোহেল রবিকে ডাকলো এবার- শুন রবি তুই সবসময় আগে থাকার চেষ্টা করিস মিছিলের। কারণ তুইই আমাদের প্রধান আকর্ষণ।

রবি ঝটপট উত্তর- হ ভাই আমি সবার আগেই থাকমু চিন্তা কইরেন না।

মিছিল বেরিয়ে পড়লো মুখরিত স্লোগানের ছন্দে। রবির উচ্ছাস দেখে কে? বারবার মাথা নীচু করে দেখছে তার শরীরের লেখাগুলো আর পিঠের লেখাগুলো দেখা যাচ্ছেনা বলে আফসোসও করছে।

রবিদের মিছিলটি প্রেসিডেন্টের বাসভবনের সামেন হাজির হলো, আরো অনেক মিছিল এসে যোগ দিচ্ছে তাদের সাথে। স্লোগানে স্লোগানে প্রায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে যেনো। হাবিব ভাই খুব আস্তে আস্তে স্লোগান দিচ্ছেন। আজও চিন্তিত লাগছে। সোহেল এবং আজিজকে কোথাও দেখা গেলোনা। ইতিমধ্যে পুলিশ এসে পড়েছে। তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করছে এবং প্রেসিডেন্টের বাসভবনের সামনে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে ।

হাবিবকে হঠাৎ কোথাও পাওয়া যাচ্ছেনা, এত মানুষের ভীড়ে মানুষ খুঁজে বের করা চরম দুরূহ বিষয়। দলের অন্যান্যরা তাই সেদিকে মনোযোগ না দিয়ে স্লোগান দিতে থাকলো। সোহেল, আজিজও যোগ দিয়েছে আবার দলের সাতে। রবির মুভমেন্টটাই বেশী চোখে পড়ছে সবার।

ভীড়ের মাঝে আজিজের মোবাইল কেঁপে উঠলো পকেটে। হাবিবের ফোন। হাবিব কই তুই, কোথায় নেই হয়ে গেলি? চিৎকার করে জিজ্ঞেস করলো আজিজ।

আছি তোদের পাশেই, তুই রবিকে বল এক জায়গায় দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে। ও বেশী নড়াচড়া করছে।

হাবিবের এমন কথা শুনে আজিজ অবাক হলো, সে আশেপাশে তাকিয়ে হাবিব কোথায় আছে দেখার চেষ্টা করলো। না নজরে পড়লনা।

আরে তুই আগেপিছে তুই কি দেখছিস, রবিকে বল জায়গায় দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে।

হাবিব যে আজিজদের দেখতে পাচ্ছে এ কথায়ই বুঝা যাচ্ছে।

আচ্ছা বলছি আর তুই এখানে আয় তাড়াতাড়ি। একথা বলে লাইন কেটে দিল আজিজ। আজিজ রবিকে কিছু বললোনা, কেন জানি তার কিছু একটা সন্দেহ লাগছে। সন্দেহটা কি হাবিবের উপর বুঝতে পারছেনা। মিছিলের উপস্থিতি বেড়েই চলছে, বাড়ছে স্লোগানের ধ্বণিও।

হাবিবকে কেউ খেয়াল করতে পারলনা, সে ভীড়ের মধ্যেই সবার অগোচরে অপরিচিত এক মানুষের সাথে কথা বলছিলো, অপরিচিত লোকেটা বিদায় নেয়ার আগমুহূর্তে একটা সাদা বান্ডিল ঢুকিয়ে দিলো সন্তর্পণে হাবিবের প্যান্টের পকেটে। সবার অন্তরালে চিত্রায়িত হওয়া এই দৃশ্যটাই আজকের দিনের নিকৃষ্ট পটভূমি তৈরী করতে যাচ্ছে কেউ তখনো জানেনা।

রবি অনেক্ষণ লাফালাফি করে ক্লান্ত হয়ে গেছে। তাদের দল সবার সামনে আর সে তারও সামনে। রবির খুব ইচ্ছে করছিলো এক গ্লাস পানি খাবে। আশেপাশে তাকিয়ে দেখলো কারো কাছে পানি আছে কি না? তেমন কেউ চোখে পড়লনা যার হাতে পানির বোতল বা পানিজাতীয় কিছু আছে। রবির তেষ্টা যেন দ্বিগুণ বেড়ে গেল পানি না পেয়ে। সহজে যে বেরিয়ে যাবে এখান থেকে তারও উপায় নেই। জনস্রোত ঠেলে বেরিয়ে যাওয়া অসম্ভব। ছোট্ট মাথায় একটা বুদ্ধি এলো রবির, সামনেই একটা গোল চত্বরের মতো ছোট একটা জায়গা, রাউন্ড সিঁড়ি আছে দুই তিন ধাপ। রবির ইচ্ছা ওখানে গিয়ে পানি চাইবে চিৎকার করে যাতে সবাই তার কথা শুনে, তার দিকে নজর পড়ে।

সিঁড়ির দ্বিতীয় ধাপে গিয়ে রবি সবার দিকে মুখ ফিরে চাইলো। মনে হচ্ছে সে দলনেতা। ভাষণ দিবে এখন রবি এরকমই লাগছে। তার বুকে সাদা রঙয়ে লেখা "অবৈধ সরকার, ক্ষমতা ছাড়" দিনের আলোর মতই ফোঁটে উটেছে যেন।

রবি ভাষণ নয় তবে কিছু বলার জন্য মুখটা খোলতে যাবে ঠিক তখনই ঠাসসসসস করে বিকট একটা শব্দ হলো, পরক্ষণেই দেখা গেলো রবি গগণবিদারি এক চিৎকার দিয়ে কয়েক ফুট পেছনে ছিটকে গিয়ে পড়লো। তার বুকের সাদা লেখার উপর টগবগে লাল রঙ গড়িয়ে মিশে যাচ্ছে। গুলি করা হয়েছে রবিকে, সবাই জানপ্রাণ নিয়ে দৌঁড়াতে শুরু করেছে, আতঙ্কে জায়গাটা মুহূর্তের মধ্যে এক নরকে পরিণত হলো।

রবির সাথীরাও যে যেদিকে পারছে পালাচ্ছে কিন্তু একজন মানুষ দেখা গেলো রবির কাছে প্রাণপণ যাবার চেষ্টা করছে। লোকটা আজিজ, আজিজ অনেক কষ্টে ছুটন্ত ভীড় ঠেলে রবির পাশে গিয়ে হাটুমুড়ে বসলো । রবির মাথা কোলে নিয়ে বুঝার চেষ্টা করলো বেঁচে আছে কি না? না রবি বেঁচে নেই, বুলেটের তীব্র আঘাত তৃষ্ণার্থ রবির প্রাণ মুহূর্তেই কেড়ে নিয়েছে। আজিজ যেন পাথর হয়ে গেল রবির রক্তাক্ত্ব শরীরের দিকে চেয়ে। আজিজের দুই হাত নিমিষেই রক্তেরাঙ্গা হয়ে উঠলো রবির তাজা রক্তে। একটু আগেও তো রবি সরকার বিরোধী স্লোগান তার বুকে পিঠে নিয়ে ছুটোছুটি করছিলো তাদের সামনে। এখন সেই প্রাণবন্ত জীবনটি একটি মৃতদেহ মাত্র।

আজিজের শরীর গুলিয়ে উঠছে, সে নিজেও মনে হয় লুটিয়ে পড়বে মনে হচ্ছে। নিজেকে কোনো রকম নিয়ন্ত্রণ করলো সে। রবির মুখের দিকে চাইতেই বেশ কিছু প্রশ্ন উকি দিল আজিজের মনে। বুলেটটা কাদের ছোঁড়া? পুলিশের তো অবশ্যই না। বিনা কারণে তারা কেন গুলি করবে? আন্দোলনকারীরা এখনো তো কোনো উগ্র কর্মকাণ্ড করেনি যে গুলি করতে হবে। হাবিব কোথায়, দলনেতা হাবিব মিছিল শুরুর পর থেকেই কেন দূরে দূরে আর কেনইবা আজিজকে ফোন করে বলেছিল, রবিকে বলতে স্থির দাঁড়িয়ে থাকতে? তবে কি এখানে অসহায় রবি কোনো স্বার্থান্বেষী মহলের স্বার্থ উদ্ধারে বলি হলো। তার নিবেদিত নিষ্পাপ প্রাণটা কি নোংরা রাজনীতির লাশের ব্যবসায় উৎসর্গ করলো মানুষরূপী কোনো জানোয়ারের দল? রবির লাশটাই কি তবে এবার পূঁজি হবে ক্ষমতার পালা বদলে? কোনো উত্তর পাচ্ছেনা আজিজ, শুধু একের পক এক প্রশ্ন যেন ঝাঁক বেঁধে তীরের মতো তার দিকে ছুটে আসছে।

বর্তমান ভয়াবহ পরিস্থিতিতে রবির লাশ কোলে নিয়ে আজিজ যে প্রশ্নের উত্তরগুলি পাচ্ছেনা সে উত্তরগুলি আমাদের কাছে আছে। আমরা জানি ক্ষমতার পালা বদলের খেলায় সমাজের কিছু অসহায় এবং রাজনীতির জন্য নিবেদিত প্রাণ কিছু মানুষের লাশ নিয়ে সওদা হয়। সে লাশগুলি দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল হয, সে লাশগুলো কোন দলের কর্মী তা নিয়ে নোংরা টানাহেঁচড়া চলে দলে দলে। যে জীবন্ত মানুষটিকে জীবিত অবস্থায় দলের নেতানেত্রীরা চিনতেনইনা সেই নেতানেত্রী আর সংগঠন লোকটার লাশকে নিজেদের কর্মট এবং অত্যন্ত আন্তরিক সদস্য বলে পরিচয় দেন, লাশের দায়িত্ব নিতে চান, বিশেষ সম্মান দিয়ে তার শেষকৃত্য আয়োজন করেন। লাশটা তাদের ক্ষমতা নামক সোনার হরিণ অর্জনের একটি টিকিট বা মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেন। এটাই রাজনীতি আর রাজনীতিতে শেষ বলে কোনো কথা নেই তা আমরা সবাই জানি।

আমরা তো এমন রাজনীতির প্রত্যাশী না, আমরা রক্তের হোলী খেলায় কোনো রাজনীতি বা গনতান্ত্রিকতার চর্চা দেখিনা। দেখি শুধু তরতাজা আর টগবগে প্রাণের বলি হতে। আসুন আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে রাজনীতি চর্চা করি, মানুষের অধিকার আদায়ের নামে রাজনীতি করতে গিয়ে এভাবে রবিদের বলির পাঁঠা না বানাই, খালি না করি সন্তানকে নিয়ে সোনালী স্বপ্নে বিভোর মা বাবার বুক।

সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০১
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×