somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মাহফুজ
আমি হচ্ছি কানা কলসির মতো। যতোই পানি ঢালা হোক পরিপূর্ণ হয় না। জীবনে যা যা চেয়েছি তার সবই পেয়েছি বললে ভুল হবে না কিন্তু কিছুই ধরে রাখতে পারিনি। পেয়ে হারানোর তীব্র যন্ত্রণা আমাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে।

মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি নীরব দর্শক

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সামান্য এদিক সেদিক কোনো কথা বলা মাত্রই মামলা, হামলা, বিক্ষোভ, অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি কতকিছুই না করি আমরা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত আমাদের এমন করাটাই স্বাভাবিক। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অস্তিত্ব, আমাদের গৌরব। লাখো লাখো শহীদের ত্যাগে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা নামল অমূল্য রত্ন। স্বাধীনতা অর্জনের সিংহভাগ কৃতিত্ব কি আমাদের নয়?

২৬ শে মার্চের ভয়াল রাত্রির পর হায়েনাদের জবাব দিতে শুরু করা, প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং সর্বশেষে শত্রুশিবিরকে নাস্তানাবুদ করে স্বাধীনতা, লাল সবুজের পতাকাটা ছিনিয়ে এনেছে কারা? বাঙ্গালি জাতি নাকি অন্য কেউ? প্রশ্নটা হাস্যকর শুনালেও এটিই মিলিয়ন ডলার কুশ্চেন।

মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য প্রদানকারী প্রতিবেশী ভারত তাদের বিভিন্ন চলচিত্রে, ডকুমেন্টারিতে স্পষ্ট করে বলে ১৯৭১ সালে ভারত পাকিস্তানের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে নাকি বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়েছি। সবচাইতে অবাক লেগেছে এরকম বক্তব্য যখন আমাদের বিজয় দিবসের দিন ভারতীয় সেনাবাহিনীর ফেইসবুক পেজে পোস্ট করা হয়।

এমন গুরুতর ঘটনা ঘটলেও আমরা বাংলাদেশিরা নীরব। কেন? তাহলে কি মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা প্রাপ্তি আমাদের প্রতি কোনো দয়াদাক্ষিণ্য? যদি না হয় তাহলে কেন সরকারি, বেসকারি দলের রাজনীতিবিদরা নীরব ভূমিকা পালন করছেন? কোথায় আজ শাহবাগিরা, তাদের চোখে কি পড়েনা এসব? মিডিয়া কি দেখেনা ভারতের এমন অযৌক্তিক দাবী? মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ও কি নজরে পড়েনি কখনো ভারতের এই মিথ্যাচার? তিনি কি ভুলেই গেলেন প্রধানমন্ত্রীত্বটা এসেছেই মুক্তিযুদ্ধের প্রতি আন্তরিকতার প্রকাশ ঘটিয়ে। তার সরকার ক্ষমতায় এসেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত জনসংখ্যার হাত ধরে। তাহলে তিনি কিভাবে ভারতের এই মিথ্যাচার নীরবে সহ্য করেন।
আমি বলবো বাংলাদেশের প্রতিটা রাজনৈতিক দল এই মুহূর্তে মেরুদণ্ডহীন। দেশের প্রতি, মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সামান্যতম শ্রদ্ধাবোধ থাকলে অবশ্যই ভারতের এমন মিথ্যাচারের প্রতিবাদে বাংলার আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত হয়ে উঠতো।

শুনতে খারাপ লাগলেও বলতে হয় মুক্তিযুদ্ধকে রাজনীতি ব্যবসার পুঁজি করে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নামক ভুয়া লেবাস পরিধান করে সবাই শুধু ক্ষমতাটাকেই পেতে চায়। প্রকৃত মুক্তিচেতনায় বলীয়ান আসলে কেউই না। লজ্জা লাগে, ঘৃণাও লাগে কিন্তু এই লজ্জাও নিজেদের জন্য, ঘৃণাটাও নিজেদের জন্য কারণ আমরা মুক্তিযুদ্ধের মতো মহান অর্জনেও অন্যের অন্যায় দাবী নীরবে হজম করে যাই। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম জানবে আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে ভারতের দয়ায়। আমরা বসে বসে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ দেখেছি আর ভারত ভারত বলে গলা ফাটিয়েছি। ভারতকে সাপোর্ট দিয়ে গেছি কারণ তারা পাকবাহিনীকে পরাজিত করে বাংলাদেশ দান করে যাবে। তাই নয় কি? ঠিক যেরকমটি স্টেডিয়ামে ক্রিকেট ম্যাচে হয় তেমনি।
ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ হয়েছে, বাংলাদেশিরা ছিলো দুই ভাগে বিভক্ত দর্শক। এক ভাগে ভারতকে সমর্থন প্রদানকারী আরেক ভাগে পাকিস্তান। যারা পাকিস্তানকে সমর্থন দিয়েছে তারাই রাজাকার আর ভারত সমর্থনকারী মুক্তিযোদ্ধা। এমন ইতিহাসই কি রেখে যাবো পরবর্তী প্রজন্মের জন্য?
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:২২
১৯টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×