প্রথমেই বলে রাখছি আমি নারী বিদ্বেষী নই। পৃথিবীর কোনো মানুষই নারী বিদ্বেষী হতে পারেনা কারণ নারীর নাড়িছেঁড়া ধন সবাই। তবে আজ নারীজাতির মাঝেই বসবাস করা অন্য এক নারীকুলের কথা বলবো যে নারীদের আমরা কখনোই মা, বোন, স্ত্রী, প্রেয়সী বা সন্তান কোনো রূপেই কামনা করিনা। যে নারীদের প্রাণভরে ঘৃণা আর অভিসম্পাত করি।
ইদানীং ফেইসবুকের কিছু গ্রুপে, পেইজে এমনকি ব্যক্তিগত প্রফাইলে কিছু মেয়েদের দেখা যায় যাদের মেয়ে বলে আপনি বিশ্বাস করতে চাইবেননা। তাদের কমেন্টে যে ভাষা কিংবা তাদের কিছু স্টেটাস দেখলে আপনি প্রথমেই হিজড়া কিংবা ফেইক আইডি বলে গালি দিবেন। তবে যদি একটু খেয়ালের কারণে চ্যাক করতে যান তাহলে যারপরনাই অবাক হবেন আইডিগুলো সত্যি মেয়েদের দেখে। এইসব মেয়েরা এতো জঘন্য ভাষা কিংবা অশ্লীল কোনো বিষয় নিয়ে এত্ত অনায়াসে আলাপ আলোচনা করে যে অবিশ্বাস্য লাগে। ছেলেরাও পাবলিক প্লেসে যে ভাষা ব্যবহার করতে একটু দ্বিধা করে সেই ভাষা সাবলীল ভাবেই মেয়েগুলো ব্যবহার করছে এখন। মেয়েগুলো হয়তো নিজেদের আধুনিক ভাবে, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলছে ভাবে কিন্তু তারা জানেনা তারা তাদের যে আধুনিকতা প্রকাশ করছে সেটা কাউকে মুগ্ধ নয় বরং বমির কারণ হচ্ছে। মেয়ে বা নারী জাতির যে সম্মান প্রাপ্তি তার বিন্দুবিসর্গ তারা পায়না কারো কাছ থেকে। অনেক ছেলে হয়তো তাদের এই বেপরোয়া চাল, চলন বলনকে বাহবা দেয় কিন্তু আড়ালে তারাই মেয়েগুলকে মা..
বে... ডাকে। এরকম মেয়েদের হয়তো খুব বেশী হলে কিছু মুহূর্তের জন্য বিছানা বা চ্যাট, ভিডিও কলে সঙ্গিনী হিসেবে খুব বাজে ছেলেরা কামনা করতে পারে কিন্তু বউ হিসেবে কোনোদিনও না আর ভদ্র ফ্যামেলির ছেলেরা এদের ফেইসবুক ফ্রেন্ড হিসেবেও রাখতে লজ্জা পায়।
তাহলে এইসব তথাকথিত আধুনিক মেয়েরা যে এতো কিছু করছে, কেন করছে? প্রত্যেকটা মানুষের তাদের প্রতি যে ঘৃণ্য মনোভাব তা বুঝতে পারা এতো ই কি কষ্টের?
শুনো মেয়েরা ছেলেদের সাথে পাল্লা দিতে চাও দাও, অধিকার আদায় করতে চাও করো কিন্তু নারী বা মেয়ে জাতি বলতেই যে নমনীয়তা, লজ্জা এবং সৌন্দর্যময় একটা অবয়ব আজীবন ধরে ফুটে উঠছে সেই অবয়ব বা আকৃতিকে কলঙ্কিত করোনা।
অনেক এগিয়ে গিয়েছ সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে। মুখের ভাষা ব্যবহারে কিছুটা পিছিয়ে থাকলে কি এমন ক্ষতি হয়ে যাবে তোমাদের? নারী বলতে আদিকাল থেকে যে চিরন্তন ধারণা সৃষ্টি হয়েছে সেটা অন্তত বজায় রাখো। তা না হলে তোমরাই কিন্তু নিজেদের অস্তিত্ব সংকটে পড়ে যাবে অদূর ভবিষ্যতে! তখন হয়তো আর কিছুই করার থাকবেনা প্রজন্মের অভিসম্পাত গেলা ছাড়া।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬