somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মাহফুজ
আমি হচ্ছি কানা কলসির মতো। যতোই পানি ঢালা হোক পরিপূর্ণ হয় না। জীবনে যা যা চেয়েছি তার সবই পেয়েছি বললে ভুল হবে না কিন্তু কিছুই ধরে রাখতে পারিনি। পেয়ে হারানোর তীব্র যন্ত্রণা আমাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে।

দুই নীরব ঘাতক : স্মৃতিকাতরতা আর আবেগপ্রবণতা।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মৃত্যু যখন প্রিয়জনকে দূরদেশে নিয়ে যায় মানুষ সেই শোকও সহ্য করে খুব সহজেই। মৃত মানুষটার অনুপস্থিতি খুব বেশীদিন মানুষ উপলব্ধি করেনা। সময়ের প্রয়োজনে বাস্তবতার ছুটে চলায় সেই প্রিয় মানুষটার শারীরিক অনুপস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়। কিন্তু কখনো কখনো একজন জীবিত মানুষই সীমাহীন কষ্টের হয়ে দাঁড়ায় আমাদের জন্য। বলতে পারবেন কেন? কারণ তার অফুরন্ত স্মৃতি আপনার জীবনের সাথে মিশে আছে। এই স্মৃতির পরিমাণ এবং আপনার সাথে সেইসব স্মৃতির জড়িয়ে থাকার গভীরতার উপর নির্ভর করে সে মানুষটিকে ভুলে যাওয়া/না যাওয়া কিংবা তার অনুপস্থিতিতে আপনি কতটা যন্ত্রণা উপলব্ধি করবেন বা করবেননা। অর্থাৎ স্মৃতির পরিমাণ যতো বেশী হবে, যতো গভীর হবে ততোটাই দীর্ঘ হবে আপনার জন্য তার অনুপস্থিতি বা দূরে চলে যাওয়ার যন্ত্রণাকর মুহূর্ত। এমনকি আমৃত্যু আপনি সে মানুষটার শূন্যতা উপল্পব্ধি করতে পারেন যদি আপনি খুব আবেগপ্রবণ মানুষ হয়ে থাকেন।
একজন আবেগপ্রবণ মানুষ এক পলক স্থায়ী হওয়া সুখের স্মৃতিকেও আজীবন যত্ন করে ধরে রাখতে পারে হৃদয়ের গভীরে আবার অসহনীয় যন্ত্রণাদায়ক স্মৃতিও সে আমৃত্যু লালন করে যায় নিজের মাঝে। পৃথিবীতে যে মানুষ যতো বেশী আবেগী তার ততোই কষ্টের ভাণ্ডার ততোটাই সমৃদ্ধ আর হালকা কিংবা আবেগহীন মানুষ অথবা আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারা মানুষগুলি পৃথিবীর সুখী মানুষদের দল ভারী করতে পরিপক্ব। তাদের সুখী হতে পারা কিংবা দু:খ পাওয়া একান্তই নিজের উপর নির্ভর করে। অন্যদিকে দেখবেন আবেগপ্রবণ একজন মানুষের সামান্য হাসির পেছনেও লুকিয়ে থাকে অন্যকারো অবদান। তার প্রতিফোটা চোখের জলে লেখা থাকে অন্যকোনো মানুষের নিষ্ঠুরতা বা তিরস্কার।

জানিনা কার কি অভিমত তবে নিজের জীবনের জটিলতা আর কঠিন বাস্তবতা থেকে মর্মেমর্মে আমার উপলব্ধি হচ্ছে যদি আবেগটাকে পোষা প্রাণী কিংবা দাসদাসীর মতো নিয়ন্ত্রণে আনার ক্ষমতা অর্জন করা যায় তবে জীবনের গল্পগুলো বিষাদময় হয়না।

আমার কাছে মনে হয় এই আবেগ এবং স্মৃতি কঠিন ব্যধির মতোই নীরব ঘাতক! যে ঘাতক তিলে তিলে নিঃশেষ করে দেয় জীবনিশক্তিকে এবং এদের জীবাণু চিকিৎসাবিজ্ঞানে ব্যবহৃত বিশ্বের অত্যাধুনিক কোনো যন্ত্রও ধরতে পারেনা। শুধু অসহায় উপলব্ধি করতে পারে সেই মানুষটি যার শরীরে আর মনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে জীবাণুরা। প্রতিকার কিংবা প্রতিরোধে পুরোপুরি ব্যর্থ তাই আত্মসমর্পণ করা ছাড়া কিছুই করার থাকেনা তখন। চোখের সামনে চোরাবালির গভীরে নিজেকে তলিয়ে যাবার দৃশ্যটাই ভয়ানক ভাবে বারবার চোখের সামনে ভেসে উঠে শুধু।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:৫৬
৬টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×