somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মাহফুজ
আমি হচ্ছি কানা কলসির মতো। যতোই পানি ঢালা হোক পরিপূর্ণ হয় না। জীবনে যা যা চেয়েছি তার সবই পেয়েছি বললে ভুল হবে না কিন্তু কিছুই ধরে রাখতে পারিনি। পেয়ে হারানোর তীব্র যন্ত্রণা আমাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে।

জীবনের প্রথম রোজায় বেহেশতি শরবত

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ২:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ইফতারের সময় হঠাৎ আদিল বায়না জুড়ে দিলো সে রোজা রাখবে।
বাবা বললেন তোমার এখনো বয়স হয়নি রোজা রাখার।
মায়ের দিকে প্রশ্নবোধক চাহনী দিলো আদিল।
মায়েরও একই কথা। বাবা তুমি অনেক ছোট এখনো। আগামী বছরে রেখো।

বয়স মোটে চার হলো আদিলের এই রমজানে। তাতে কি তার খুব ইচ্ছা সারাদিন সবার মতো না খেয়ে থাকবে তারপর আব্বু আম্মুর সাথে ইফতার করবে। এমনিতেও ইফতার করে কিন্তু সে তৃপ্তি পায়না। নিজেকে তার অপরাধী লাগে। সবাই না খেয়ে কষ্ট পায় আর সে হাবিজাবি কতোকিছু খেয়ে আবার ইফতারও করে।

তাহলে আমি আজ সেহরি খাবো তোমাদের সাথে, জানিয়ে দিলো আদিল।

সেহরি খাবে এতে কেউ আপত্তি করলেননা।

ছোট আদিলের রাতে খাবার পরে আর ঘুম আসেনা। তার ভেতরে ভয়। যদি ঘুমিয়ে যায়, যদি মা বাবা তাকে না ডাকেন। সে জেগে রইলো। সেহরির জন্য মসজিদের মাইকে প্রথম বার ডাক দিতেই সে তার আম্মুকে ডাকা শুরু করলো। আম্মু বিরক্ত হয়ে বললেন, উঠবো তো। এতো তাড়াতাড়ি উঠতে হয়না।

আদিল চুপচাপ পড়ে থাকলো মা বাবার মাঝখানে। একটু পরে অধৈর্য হয়ে বাবাকে ডেকে তুললো। বাবা নিরুপায় হয়ে উঠে পড়লেন। তারপর আদিলের মাকেও ডেকে উঠালেন।

সবাই মিলে সেহরি খাওয়া সেরে ঘুমিয়ে পড়লেন।আব্বু অফিশে চলে যাবার পর আম্মু আদিলকে ডেকে তুলে নাস্তা দিলেন। এক গ্লাস গরম দুধ আর দুই পিস ব্রেড। আদিল ব্রেড আর দুধ নিয়ে সোজা টেলিভিশনের রুমে গেলো।

কি আপনারা ভাবছেন সে ভুলে গেছে রোজার কথা? নাহ তার মনে আছে। সে টিভিরুমে গিয়ে দুধের গ্লাস আর ব্রেড লুকিয়ে রাখলো দরোজার পর্দার আড়ালে। তারপর অনেক্ষণ টিভিতে কার্টুন দেখলো।

আম্মু ভুলেই গেলেন কাজের বেস্ততায় সব। ধীরেধীরে দুপুর হলো। তৃষ্ণায় রোজাদারদের বুক ফেটে যাবার যোগাড় সে তপ্ত দুপুরে। ছোট বাবু আদিলের খুব তৃষ্ণা পেলো। কিন্তু তাতে কি পানির ধারেকাছে গেলনা।
জোহরের নামাজ শেষে আদিলের আম্মু তাকে গোসল করিয়ে দিলেন। তার তৃষ্ণা যেন হাওয়ায় মিলিয়ে গেলো। ভাত বেড়ে আদিলকে ডাকলেন আম্মু। আদিল বললো, আম্মু আমি পরে খাবো। কার্টুনটা শেষ হোক। আম্মু রাজি হলেননা। তিনি বললেন, নাহ তুমি খেয়ে তারপর কার্টুন দেখবে। আদিল তো নাছোড়বান্দা।
ছেলের জেদের কাছে পরাস্ত হলেন মা।

আদিল তো খুব খুশী সে বেলকনিতে গিয়ে কতোকিছু দেখতে লাগলো। মানুষ, পাখি, রিকসা, গাড়ি। একটা টং দোকানে কয়েকটা বড়বড় ছেলে চা আর সিগারেট খাচ্ছে দেখে তার খুব খারাপ লাগলো। দৌড়ে মায়ের কাছে গিয়ে নালিশ করলো, আম্মু ঐ ছোট্ট দোকানটায় বড়বড় মানুষ চা খাচ্ছে, সিগারেট খাচ্ছে। ঐ দোকানে কি রোজা নেই আম্মু?

আম্মু খুব বিরক্ত হলেন মানুষের কাণ্ডজ্ঞান দেখে। রোজা রমজানে কেন যে মানুষ খায় এভাবে। ছেলেকে বুদ্ধি করে বললেন, বাবা ওরা রোজা রাখেনা। ওদের রোজা রাখতে হয়না। আল্লাহ তাই ওদেরকে ভালোবাসেন না, তাদের মাঝে ঈদের আনন্দও দেননা। আর যারা আল্লাহর ভালোবাসা পায়না তারা পৃথিবীর সকল আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়।
আদিল কি বুঝলো কে জানে। কিছু না বলে চলে গেলো। আম্মু ইফতার তৈরী নিয়ে ব্যস্ত হয়ে ভুলেই গেলেন তার সোনাবাবুটা দুপুরের খাবারটা এখনো খায়নি। ওদিকে আদিলের প্রচণ্ড ক্ষুধা লাগা শুরু হলো। তার মাথা বনবন করে ঘুরতে লাগলো। ইচ্ছে করলো এখুনি ফ্রিজ খুলে ঠান্ডা পানি, আইস্ক্রিম যা আছে সব খেয়ে ফেলবে। দৌড়ে গিয়ে আদিল ফ্রিজ খুলেই থমকে গেলো। কানে বাজতে লাগলো আম্নুর কথা। ওরা রোজা রাখেনা তাই ঈদও পায়না। না না, আমাকে ঈদ পেতেই হবে। ঈদে কতো আনন্দ হয়! ফ্রিজটা চুপিচুপি বন্ধ করে দিলো কিন্তু শরীর খারাপ ভাবটা গেলোনা। বিছানায় গিয়ে অনেকটা অচেতন হয়েই ঘুমিয়ে পড়লো। আছরের পর আম্মু ঘড় ঝাড়ু দিতে গিয়ে আবিষ্কার করলেন দুধের গ্লাস আর ব্রেড। খাবার টেবিলে খাবারও পড়ে আছে যেমন ছিলো তেমনি। তিনি দৌড়ে গেলেন আদিলের কাছে। তক্ষুনি আদিলের বাবা এসে উপস্থিত। সব শুনে আদিলের বাবা গেলেন আদিলের বিছানায়। দেখলেন সে সটান শুয়ে আছে। তিনি মাকে বুঝালেন, যা হবার হয়েছে। সারাদিনই তো পার করে দিয়েছে। এখন রোজা ভাঙ্গার দরকার নাই। মায়ের মন তবুও খচখচ করতে লাগলো। এতটুকুন বাচ্চা রোজা রাখবে কিভাবে?

ঘুমের ঘোরে আদিল স্বপ্ন দেখলো। অত্যন্ত ঝমকালো পোশাকে সে ঘুরে বেড়াচ্ছে। চারিদিকে অনেক বাচ্চাকাচ্চা। ফুলের মতো সুন্দর সাবাই আর সবার সাথে বাচ্চাদের বাবা মা। আদিলের মা বাবাকেও দেখা গেলো ভীড়ের মাঝে হাসিখুশী ভাব নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

হঠাৎ চারিদিক উজ্জ্বল আলোয় ভরে গেলো। সবকিছু সে আলোয় ঝলমল করছে। আলোর ভেতর থেকেই মনে হলো, এক বিশাল মানুষ, লম্বা দাড়িওয়ালা, ধবধবে সাদা পোশাক পড়ে বাচ্চাদের ভীড়ে এসে হাজির হলেন।

ভীড়ের ঠিক মাঝখানে দাঁড়ালেন অদ্ভুত মানুষটি সবার মধ্যমণি হয়ে।

তিনি খুব সুন্দর সংক্ষিপ্ত একটা বক্তব্য দিলেন। তার দিকে সবাই মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে চেয়ে রইলো। এতো সুন্দর মানুষ আর এতো মিস্টি যাদুকরী কণ্ঠ কারো হয় ভাবাই যায়না।
অদ্ভুত লোকটি তার বক্তব্যে বললেন, ছোট বেলা থেকেই মা বাবাদের উচিৎ সন্তানদের ধর্মীয় শিক্ষা এবং অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করা। যতো অল্পবয়সে নামাজ পড়া, রোজা রাখার অভ্যাস গড়তে পারবে সেটা ততো শক্ত এবং আন্তরিক ভাবে হৃদয়ের গভীরে স্থান করে নেবে।

শিশুকিশোররা যাতে ধর্মীয় রীতিনীতি, আচার অনুষ্ঠান ইত্যাদিকে সমীহের চোখে দেখে সেরকম শিক্ষা দেয়া উচিৎ।

এরকম আরো কিছু সুন্দর কথা বলে উজ্জ্বল আলোতে ঘেরা সুন্দর মানুষটি সকল বাচ্চাদের উদ্দেশ্যে বললেন, তোমরা যারা আজ জীবনে প্রথম রোযা সম্পন্ন করতে যাচ্ছো তাদের সবার জন্য আছে অসম্ভব সুস্বাদু এক বেহেশতি শরবত। দেখি ছোট্ট সোনামণিরা তোমরা নিজেদের দুই হাত সামনে বাড়িয়ে দাও। সকল ফুলের মতো সুন্দর শিশুরা তাদের হাত সামনে প্রসারিত করলো আর চমকে উঠলো সাথে সাথেই। কারণ তাদের হাতে সোনালী রঙয়ের একটি গ্লাসের অস্তিত্ব অনুভব করলো যেটা থেকে ঠিকরে বেরহচ্ছে সোনালী আলো আর গ্লাসে রূপালি রঙয়ের কোনো পানীয়।
আযান পড়তেই তোমরা এই পানীয় পানের মাধ্যমে রোজা ভাঙ্গবে সোনামণিরা।

আম্মু আম্মু এই দেখো আমার বেহেশতি শরবত বলে চিৎকার দিয়ে ঘুম থেকে উঠে পড়লো আদিল। আসলে উত্তেজনায় ঘুম ভেঙ্গে গেছে তার। চোখ মেলেই দেখতে পেলো আব্বু আম্মু গভীর মনোযোগে তাকে দেখছেন। সে কিছুটা ভয় পেল তারা যদি জোর করে কিছু খাইয়ে দিতে চায়!
আম্মু আমি আজ রোজা। ভয়ে ভয়ে বললো আদিল। আম্মু আদিলকে জড়িয়ে হুহু করে কেঁদে উঠলেন। ওরে আমার লক্ষীসোনাটা। আমরা জেনে ফেলেছি তুমি রোজা। আর মাত্র ঘন্টাখানেক পরেই ইফতার ও মাগরিবের আজান। জীবনের প্রথম রোজা রাখা উপলক্ষ্যে আদিল আব্বু আম্মুর কাছে কি চায় দেখি শুনি?

আদিল চট করে বলে বসলো বেহেশতি শরবত। খুব অবাক হয়ে আদিলের আব্বু আম্মু বললেন, বেহেশতি শরবত তো শুধু বেহেশতেই পাওয়া যায় বাবা। আর বেহেশতে তো কেউ চাইলেই যেতে পারেনা।
আদিল তা মানতে নারাজ। সে বললো- তোমরা তাহলে জাননা, খুব সুন্দর এক হুজুর ধবধবে সাদা রঙয়ের পোশাক ছিলো তার গায়ে তিনি আমাদের সবার জন্য একটি সুন্দর সোনালী গ্লাসে রূপালী রঙয়ের শরবত দিয়েছিলেন। আমি ঘুম ভাঙতেই তাকে আর খোঁজে পাচ্ছিনা।
বাবা মায়ের বুঝার বাকী রইলোনা যে, সে চমৎকার এবং অর্থবহুল একটি স্বপ্ন দেখেছে।

যাই হোক আব্বু দৌড়ে বাজারে গিয়ে সোনালী রঙয়ের র‍্যাপিং পেপার দিয়ে একটা গ্লাস সাজালেন খুব সুন্দর করে। তারপর ডিপার্টমেন্টাল স্টোর থেকে ফয়েল পেপার নিয়ে বাড়ী আসলেন আযানের তখনো ১০ মিনিট বাকী।
তিনি ঘরের তৈরী মিক্সড জোস সেই গ্লাসে ঢেলে উপরে ফয়েল পেপার দিয়ে ঢেকে দিলেন। ইফতারের সময় হতেই সবাই ডাইনিং টেবিলে বসলেন। সময়ের সাথে সাথে আদিল নিস্তেজ হয়ে পড়েছিলো। হঠাৎ সোনালী রঙয়ের গ্লাস দেখেই সে আনন্দে চিৎকার করে উঠলো। হুররে আমার বেহেসতি শরবত।

ছেলের আনন্দে আব্বু আম্মু প্রায় কেঁদে ফেললেন। আজ তাদের জীবনের স্মরণীয় একটি দিন। তাদের মাত্র চার বছরের শিশুটি আজ সবাইকে অবাক করে রোজা রেখে ফেললো। আব্বু আম্মু আল্লাহর কাছে ছেলেটির জন্য অনেক কিছু দোয়া করলেন তাদের সাথে যোগ দিলো আদিল। তারপর আজান দিতেই সে বেহেশতি শরবতে চুমুক দিয়ে রোজা ভাঙ্গলো।



সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ২:৩৯
৮টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×