somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মাহফুজ
আমি হচ্ছি কানা কলসির মতো। যতোই পানি ঢালা হোক পরিপূর্ণ হয় না। জীবনে যা যা চেয়েছি তার সবই পেয়েছি বললে ভুল হবে না কিন্তু কিছুই ধরে রাখতে পারিনি। পেয়ে হারানোর তীব্র যন্ত্রণা আমাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে।

ক্ষণিকালয়

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৫:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ক্ষণিকালয়
সৈয়দ মাহফুজ আহমদ

২০১৪ সালে লিখেছিলাম গল্পটা। এই গল্পের একটা ছোট ব্যাকগ্রাউন্ড স্টোরি আছে যা গল্পের শেষে পাবেন। ধৈর্য ধরে যদি শেষ পর্যন্ত যদি পড়েন আশা করি মন্দ লাগবেনা। আমি যখন নিয়মিত ফেইসবুকে লিখালিখি করতাম সেই সময়ের লেখা আমার নিজের প্রিয় লেখাগুলোর একটি।




আমার ছাদটা খুব ছোট কিন্তু এর বিশেষত্ব অনেক। স্যাড মাইন্ড জোন,হ্যাপি মাইন্ড জোন,ক্রায়িং জোন এন্ড রেইন জোন নামক চারটি জোন আছে সামনের অংশে আর "স্মোকিং এন্ড ড্রিংক জোন" টা স্বাভাবিক ভাবেই পানির ট্যাংকির আড়ালে। একেকটা জোন রং করে বৃত্ত দেয়া আর নামও লেখা। এখন যদিও রং অনেকটাই উঠে গেছে তবে আমার মুখস্থ। চোখ বন্ধ করেও আমি যে কোন জোনে চলে যেতে পারি। প্রতিটা জোনের আলাদা কাজ নাম দেখেই বুঝার কথা। মন খারাপ হলে স্যাড মাইন্ড জোন, ভালো থাকলে হ্যাপি মাইন্ড,কাঁদতে মন চাইলে ক্রাইং জোন আর বৃষ্টিতে ভিজলে রেইন জোন ব্যবহার করি। স্মোক জোন নিশ্চই ভাত খাবার জন্য না সেটা আর বললামনা। আমি যখন আমার বাসা ছেড়ে কোথাও যাই তখন আর কেউ বা কিছুর জন্য না আমার ছাদটার জন্য মন খারাপ লাগে। যেকোন বাসার ছাদে আমার ভাল্লাগে কিন্তু স্বস্তিদায়ক ভালো না অস্বস্তিকর ভালো লাগে। মনে হয় যেনো, চারপাশে অনেক সুন্দরী মেয়েরা ঘুরছে কিন্তু সবাই অপরিচিত। আমার বাসার ছাদ ছাড়া যে ছাদেই যাইনা কেন,যত সময়ই থাকি উঠেই আমি একটা বৃত্ত আকি হাতের কাছে যা পাই তা দিয়েই। সেটার নাম দেই "ক্ষণিকালয়"। আমার গল্পটা এই ক্ষণিকালয় দিয়েই। ঢাকা মিরপুর সাড়ে এগারোতে গিয়েছিলাম এক আত্মীয়ের বাসায় কিছু কাজে। থাকতে হয়েছিলো কয়েকদিন। বিকেল বেলা ছাদে গেলাম ঘুরতে। এটা আমার অভ্যাস। যেখানেই যাই সে বাসার মানুষগুলোর সাথে কোশলাদি জেনেই ছাদটা দেখতে যাই। প্রথম দিন বিকালে উঠেই স্বভাবসুলভ ভাবেই একটা কংক্রিটের টুকরো দিয়ে বৃত্ত একে লিখলাম ক্ষনিকালয়। বেশ বড় করে বৃত্ত দিলাম। সবে বিত্তটা করেছি আর তখনই
-এই আপনি কে, কি চাই এখানে?
অপরিচিত আর রিনরিনে এক কণ্ঠ শুনে তাকিয়ে দেখি একটা মেয়ে। প্রথমেই যেটা নজরে পড়ে সেটা মেয়েটার হাইট। ৫'-৬" হবে। চুলগুলো বাতাসে উড়ছিলো। গায়ের রং শ্যামলা। আমার একটা ধারণা আছে যে, লম্বা মেয়েদের সৌন্দর্য টা তাদের উচ্চতায়। চেহারার গঠন বা শরীরের রং যাই হোক লম্বা মেয়েরা মানেই সুন্দরী। কিন্তু এই মেয়েটা সবদিকেই সুন্দরী। যাই হোক আমি বললাম, আমি বেড়াতে আসছি এই বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলায়।
-অহ আচ্ছা।
অহ আচ্ছা বলে মেয়েটা তাচ্ছিল্য দেখিয়ে যেন চলে গেল। আমি আমার ক্ষণিকালয়ে বসে বসে মেয়েটার চলে যাওয়া দেখলাম।
♦♦♦
এর পরদিন বিকালে আবার গিয়েছিলাম আমার ক্ষনিকালয়ে। রোদের তেজ তখন একেবারেই নেই। পশ্চিম আকাশে সূর্যটা তখন সারাদিনের ক্লান্তি নিয়ে হেলে পরেছে। যদিও তার কোন ক্লান্তি নেই। এখানে ডোবে তো ওখানে সে জাগে। শিফট ডিউটির মত। গোধুলীর আলোটা প্রাণ ভরে দেখছিলাম এমন সময় কেউ বললো "এই যে আপনি অন্যদিকে যান। আমি টলু মলু কে নিয়ে এখানে থাকবো।"
আমি ঘুরে তাকিয়ে দেখি গতকালকের সেই মেয়েটা। কোলের মধ্যে একটা সাদা আরর ধূসর রংয়ের একটা বিড়াল। আর আরেকটা বিড়াল মেয়েটার পায়ের কাছে। বুঝতে বাকী রইলোনা টলু আর মলু কারা। মেয়েদের মাতৃত্ব জিনিসটা আসলেই তাদের রক্তে মিশে থাকে। বিড়ালের বাচ্চা সহ মেয়েটাকে দেখে মনে হলো, এক মা তার অতি আদরের দুই সন্তানকে ছাদে বেড়াতে নিয়ে এসেছে। আমি কোন কথা বললামনা। ওখান থেকে সরে সোজা নীচে নেমে যাওয়ার রাস্তা ধরলাম। কারণ আমি ক্ষণিকালয় এর বাইরে থাকিনা অন্য কোন ছাদে উঠলে। সিঁড়ি ঘরের দরোজায় আসতেই মেয়েটা ডাক দিল পেছন থেকে "এই যে শুনুন"।
আমি দাঁড়ালাম। মেয়েটি টলু মলুকে নিয়ে হেটে আসলো আমার কাছে।
-আপনাকে তো আমি চলে যেতে বলিনি ছাদ থেকে,একটু সরে দাঁড়াতে বলেছি।
মেয়েটার গলার স্বর মোটেই সুন্দর না। কণ্ঠ শুনলে প্রাণ জুড়ায় এমন টাইপ না আরকি। অনেকটা রোবটিক।
-চলে যেতে না বললেও আমাকে আমার ক্ষণিকালয় থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন।
-মানে,কি বলছেন এসব!
-আচ্ছা এদিকে আসুন দেখাচ্ছি।
মেয়েটাকে নিয়ে আমার ক্ষনিকালয়টা দেখালাম। যেখানে একটু আগে আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম। লেখাটা খুব একটা স্পষ্ট নয়। তবে বুঝা যাচ্ছে। মেয়েটা সেদিকে ভ্রু কোঁচকে চেয়ে আছে কোলের বিড়ালটাকে নিয়ে। আর নীচের বিড়ালটা এখন আমার ক্ষনিকালয়ের ভেতরেই অববস্থান করছে। কোনটা টলু আর কোনটা মলু জিজ্ঞেস করতে হবে মেয়েটাকে।
-আচ্ছা এই ক্ষনিকালয়টা কি?
-এই বিল্ডিংয়ে যতদিন থাকবো ততদিন আমার ছাদের ঠিকানা। যতক্ষন আমি ছাদে থাকবো এখানেই থাকবো। এর বাইরে না।
-কিছুই বুঝলামনা,এত বড় ছাদের এই একটুখানি জায়গায় থাকবেন কেন! রোবটিক কণ্ঠে মেয়েটার অবাক হওয়াটা দেখতে ভালোই লাগছে। কোলের বিড়ালটাও আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আর নীচেরটা একটু দূরে সরে গেছে আমাদের কাছ থেকে। মনে হলো সে একটু অপমানিত বোধ করছে। ওর নামটা জানলে ডাক দিয়ে আনা যেতো। বেচারা হয়তো ভেবেছে ওর দিকে কারো নজর নেই। অভিমানে তাই দূরে সরে দাঁড়িয়েছে।
-এই যে আপনাকে কিছু জিজ্ঞেস করেছি আমি। শুনতে পাননি?
-জ্বী পেরেছি। আচ্ছা আপনার টলু আর মলুর সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেননা?ওরাতো অস্বস্তি বোধ করছে।
-হোয়াট?
-না মানে,আমি একজন নতুন মানুষ। আমার সম্পরকে ওদের একটা কৌতুহল থাকতে পারেনা?ধরুন আপনি আপনার আম্মুর সাথে ঘুরতে গেলেন কোথাও। এখন আম্মু হঠাৎ কারো সাথে গল্প জুড়ে দিল কিন্তু আপনি পাশেই আছেন কিন্তু একটাবার পরিচয় করিয়ে দিলেননা। কেমন লাগবে? ওইযে দেখুন আপনার অন্য বিড়ালটা দূরে চলে গেছে রাগ করে।
আমার কথা শুনে মেয়েটা সেদিকে তাকিয়ে আবার আমার দিকে ফিরলো। অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো আমার দিকে। ভয়ই পেলাম আমি। কিন্তু পরক্ষনেই হাসতে লাগলো।
-হাসছেন কেন?
-আপনার কথা শুনে হাসছি। আপনি আমার পরিচয় জানতে না চেয়ে ওদের পরিচয় জানতে চাচ্ছেন তাই। যাই হোক,এই যে আমার কোলে ও টলু আর অন্যটা মলু। টলু একটু বোকাতো তাই কোলে কোলে রাখি। ওদের কথা পরে হবে আপনার এই ক্ষণিকালয় সম্পরকে বলুন।
-সে তো লম্বা কাহিনী।
-আমার হাতে মাগরিবের আযান অবধি সময় আছে বলুন।
অগত্যা কি আর করা শুরু করলাম বলা মেয়েটিকে আমার ছাদ নিয়ে বিশেষ ফিচার। মলুটা মনে হয় একটু বিরক্ত হচ্ছে আমার উপর। সে ছটফট করছে। আর একটু পর পর মিয়াউ বলে ডেকে উঠছে। মেয়েটাকে যেন বলছে, "তোমারও খেয়ে দেয়ে কাজ নেই। কি সব উদ্ভট কথা শুনছো অচেনা লোকটার কাছে। চলো চলো নীচে যাই।
আর টলুটাকে দেখে মনে হচ্ছে ফাস্ট বেঞ্চে বসে থাকা মেধাবী স্কুল বয়ের মতো। যে হা করে টিচারের দিকে তাকিয়ে থেকে টিচারের লেকচার শুনে। টলুটা তেমনি আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। তবে আমার আর বেশীক্ষন এখানে থাকতে মন চাইছেনা। কারণ আমার ক্ষণিকালয় এখনো বেদখল হয়ে আছে। আমার মন খারাপের কথা জেনেই হয়তো মেয়েটার মোবাইল বেজে উঠলো। মেয়েটার আম্মু ফোন করেছে।
-জ্বী আম্মু আমি ছাদে।......তাই নাকি? আসছি আমি এক্ষুনি।
-আমার বাসায় মেহমান আসছে আমি যাচ্ছি। বাই। ওই মলু আয়।
আমার চাইতে মলুই বেশী খুশী হয়েছে মনে হয়। আমার দিকে একবার চোখ তুলে তাকিয়ে লেজ নাড়তে নাড়তে মেয়েটার পিছু পিছু যাচ্ছে। আমাকে যেন বলে যাচ্ছে,অনেক হইছে মিয়া তোমার ফ্যাচ ফ্যাচ। এবার থাক একলা বইয়া তোমার ক্ষণিকারে নিয়া।
এইরেহ! মেয়েটার নামই জানা হলোনা। যাকগে,নাম জেনে কি হবে। আসছি ক্ষনিকের জন্য আবার চলেও যাব হুট করে। নাম ধাম না জানলে ক্ষতি নেই। তাছাড়া নিজেই নিজেই একটা নাম দিয়ে দিলেই তো হয়। কি নাম দেয়া যায়? প্রথমেই মাথায় আসলো টলু মলুর মা। পরক্ষনেই মাথা থেকে তা ঝেড়ে ফেললাম। মেয়েটা আমাকে আস্ত রাখবেনা জানতে পারলে। ধ্যাত্তেরিকা। নাম দেয়ার দরকার নেই। নাম দেয়া কঠিন কাজ। এর চাইতে মেয়েটাকেই একদিন জিজ্ঞেস করবো। আপাততো শান্তিতে কিছুটা সময় ক্ষণিকালয়ে কাটাই।
♣♣♣♣

একটা কাজে দৌড়াদৌড়ি করায় দুই দিন আর ছাদে যাওয়াই হয়নি একদম। তৃতীয় দিনও কাজে বেরিয়ে গেলাম। বিকেলে বাসায় আসতেই আমার মামাতো বোন, যার বাসায় থাকতাম সে ডাকলো আমাকে।
-এই তুই সাবরিনাকে চিনিস কিভাবে?
আমিতো আকাশ থেকে পড়লাম যেন! এই নামের কেউ আমার পরিচিতো কোন জোনে আছে বলে মনে হলনা। তারপরও ত্রিশ সেকেন্ড ভেবে নিলাম। নাহ সাবরিনা কিংবা সাবমেরিন টাইপের কিছুর সাথে আমার পরিচয় নেই।
-আপু সাবরিনা কে?
-ওরে ফাজিল আমার প্রশ্ন আমাকেই ফেরত দিচ্ছিস? দুই দিনে এসেই বিল্ডিংয়ের মেয়ের সাথে ভাব নিয়ে ফেলেছিস!
-আপু তুই বিশ্বাস কর আমি চিনিনা।
-তুই না চিনলে তরে চিনে কিভাবে?
-ধুর তুই খুলে বলতো কে?
-দুতলায় থাকে,সব সময় বিড়াল নিয়ে ঘুরে।
এতক্ষনে বুঝলাম কাহিনী কি। মেয়েটার নাম তবে সাবরিনা।
-টলু মলুর মায়ের কথা বলছিস তুই?
-কাদের মা?
আপুর চোখ একদম ছানাবড়া।
-ওর বিড়াল দুটোর নাম নাকি টলু মলু।
আপু হাসতে লাগলো আমার কথা শুনে। হাসি আর থামেনা।
-তুই কি ওকে টলু মলুর মা ডাকিস!
-মনে মনে ডাকতাম। নাম তো এইমাত্র জানলাম।
-তোকে খোঁজে গেছে আজ সকালে। কি নাকি দেখাবে। কিরে প্রেম ট্রেম করছিস নাকি?
-আরে ধুর আপু কি যে বলিস। আমি এমন জায়গায় জায়গায় প্রেমে মজিনা। ওর নামই জানলাম আজ। ছাদে দেখা হয়েছিলো দু-তিনবার। এই আর কি।
-আচ্ছা ভালো। কি জন্য খোঁজেছে কি জানি। তুই ফ্রশ হো। আমি খাবার দিচ্ছি।
★★★
জীবনে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে অবাক হয়েছি। কিন্তু সেদিন পড়ন্ত বিকেলে ছাদে গিয়ে যতটা অবাক হয়েছিলাম তা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছিলো। ছাদের চতুর্দিক বড় বড় লাল বিত্তে ভরা। কেউ রীতিমত রং আর রংতুলি দিয়ে বিত্ত এঁকেছে। আর প্রতিটা বিত্তের নামকরণ করেছে। নামগুলোও অসাধারণ। বাংলায় লিখা।
"বৃষ্টি বিলাস"
"জ্যোতস্না স্নান"
"গোধুলী বেলা"
"মন খারাপ"
"কাঁদো মন প্রাণ খুলে"
"সুখের সময়"।
নামগুলো সারা ছাদ ঘুরে দেখলাম আমি। কাজটা কার বুঝার বাকি নেই। তারপরই মন খারাপ আর কিছুটা অভিমানও হল। কারণ আমার ক্ষণিকালয় কোথাও নেই। অবশ্য ক্ষণিকালয় মেয়েটার দরকারও ছিলনা। সে তো আর এখানে ক্ষণিকের অতিথি নয়। জীবনে প্রথম বার সেদিন আমার বাসার ছাদ ছাড়া অন্য একটি ছাদের প্রেমে পড়লাম। আর তখনই সাবরিনা আসলো ছাদে টলু মলুকে নিয়ে। আজ কোনটাই কোলে নেই। টলু মলু হেটে হেটে আসছে। মলু যেন আমাকে দেখেই কপাল কোঁচকে ফেললো। মলু যেন বলছে " তুই ব্যাটা জ্বালিয়ে খেলি। তোর বুদ্ধিতেই আমার মালকিন ছাদে কি সব আকা আকি করছে।

-এই যে কোথায় হাওয়া হয়ে গিয়েছিলেন দুই দিনের জন্য? আমি তো আপনার খোঁজে বাসায় গিয়েছিলাম। আপনার কিছু সাজেশন প্রয়োজন ছিল। তাহলে হয়তো আরো ভালো হত।
মেয়েটার কথা শুনে আমি কি বলবো বুঝতে পারছিলামনা।
-আপনি একা একাই যা করেছেন। স্রেফ লা-জওয়াব। কিভাবে করলেন এত কিছু। বাংলা নামগুলো সত্যিই খুব সুন্দর হয়েছে।
আমার অকৃত্রিম প্রশংসায় মেয়েটা সত্যকার ভাবেই খুশী হল। আর প্রশংসা মেয়েটার প্রাপ্যই।
ওদিকে টলু মলু কি বুঝছে কে জানে একেক জন একেকটা ঘরে গিয়ে বসছে আর চারিদিকে তাকাচ্ছে। আমি ক্ষণিকালয় থেকে সব লক্ষ্য করছিলাম। সাবরিনা গিয়ে দাঁড়ালো সুখের ঘরে। অবাক করার বিষয় হলো সাবরিনা সেখানে যেতেই মলু ছুটতে ছুটতে হাজির। ভাব দেখে মনে হচ্ছে মলুরও মনে অনেক সুখ। কিন্তু টলু বেচারা লেজ গুটিয়ে অবাক করে শুয়ে পড়লো "কাঁদ মন খুলে" তে। ব্যাপারটা হয়তো কাকতলীয়। সে একটা অবলা জীব। তারপক্ষে বুঝার কথাও না বৃত্তটাতে কি লেখা! কিন্তু আমি অবাক হচ্ছি টলুর ঐ বৃত্তটাতে বসা বা শুয়ার ষ্টাইল দেখে। আমার কাছে মনে হচ্ছে একটা মানুষ অনেক বেশী মন খারাপ করে সেখানে শুয়ে আছে। কাছে গেলে হয়তো দেখবো চোখের কোন বেয়ে দু-ফোটা জলও নামছে।
বিষয়টা মনে হয় সাবরিনাও খেয়াল করেছে।
-এই টলু এখানে আয় সোনা। তোর কি মন খারাপ নাকি রে? হিহিহিহি। কান্নার ঘরে গিয়ে কার জন্য কাঁদছিস?
সাবরিনা বিষয়টাকে কৌতুকের ছলে নিল। টলু ডাক শুনে তাকালো একবার সাবরিনার দিকে। কিন্তু বৃত্ত থেকে উঠলনা। আমার কাছে মনে হল সাবরিনার ফানটা সে সহজ ভাবে নেয়নি। বেচারার মনটা সত্যি খুব খারাপ।
★★★
দুদিন পর বেশ আজব একটা ঘটনা ঘটলো। আপুর বাসায় ফেরার পথে মোড়ের একটা দোকানের সামনে দেখি টলু বসে আছে। দেখে অবাক হলাম। সাবরিনা তো ওকে কখনোই একা ছাড়েনা দেখেছি। আশে পাশে তাকালাম। নাহ কেউ তো নেই। কেউ বলতে আমি আসলে সাবরিনাকেই খোঁজছিলাম। কি করবো ভাবলাম। তারপর টলুর দিকে এগিয়ে গেলাম।
-এই টলু কি করিস একা একা?
-মিউউউউ।
কি বললো বুঝলামনা।বুঝার কথাও না। রাস্তা হারালো নাকি? তবে আমাকে চিনতে পেরেছে নিরীহ বিড়ালটা। সন্ধ্যাও প্রায় হয়ে গেছে। টলুকে কোলে তুলে নিলাম। বিনা প্রতিবাদে আমার কোলে উঠলো সে। হাবভাবে মনে হচ্ছে বাচ্চা শিশু বাড়ীর রাস্তা হারিয়ে অপ্রত্যাশিত ভাবে পরিচিত কাউকে পেয়ে গেছে। আমি বাসায় যাবার আগেই আপুকে ফোন দিলাম। সাবরিনারা কয় নাম্বার ফ্লোরে থাকে জানলাম। আপু সুযোগ পেয়ে ফাজলামো করলো। যাই হোক সেকেন্ড ফ্লোরে গিয়ে বেল বাজানো মাত্রই একটা মেয়ে দরজা খোলে বের হল। চিনলামনা তবে চেহারা দেখে অনুমান করলাম সাবরিনার বোন হবে। আমাকে দেখেই মেয়েটা চিকৎকার দিয়ে বললো "আপু তোর টলু এসেছে"।
সাবরিনা যেন প্রায় উড়ে আসলো। ছোঁ মেরে টলুকে নিয়ে গেল আমার কাছ থেকে।
-আপনার কি কোন কমনসেন্স নেই! এভাবে না বলে টলুকে নিয়ে কোথায় গিয়েছিলেন। আপনি একটা অভদ্র।
আমি ঘটনার আকষ্মিকতায় বিমূঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে আছি।
টলুও আমার দিকে মায়া মায়া চোখে তাকিয়ে আছে। তারপর সাবরিনা চলে গেল সেখান থেকে। ওর বোন আমাকে ওর হয়ে সরিও বললো। আমার প্রচণ্ড রেগে যাবার কথা,মন খারাপ হয়ার কথা। কিন্তু কেন জানি আমার কিছুই হচ্ছেনা। মেয়েটার মনটা খুব বেশী আবেগী।
আর বিড়াল গুলোকে সে খুবই ভালবাসে। তাই হয়তো টলুকে না পেয়ে এভাবে রিয়েক্ট করেছিল।
★★★
সাবরিনার সাথে তো আর কথা হবেনা। কারণ ভোর ছয়টার ট্রেনেই চলে যাচ্ছি বসায়।
ভোর চারটার দিকে ঘুম ভেংগে গেল আমার। আমার ঘুম একবার ভাংলে আর সহজে আসেনা। তাই গিয়ে বেলকনিতে দাঁড়ালাম। একটা সিগারেট ধরালাম। নীল ধূয়াগুলো কিভাবে ল্যাম্প পোস্ট এর আলোর সাথে গিয়ে মিশে যাচ্ছে তা দেখছিলাম। ল্যাম্প পোষ্টটি জ্বলছে স্বমহিমায়। রাতের নিস্তব্ধতাকে গলা টিপে ধরে সো সো করে ছুটে যাচ্ছে দুই একটা যানবাহন বিকট হরন বাজিয়ে। এমন সময় একটা ছোট অবয়ব আমার চোখে! পড়লো। তিন তলা থেকে দেখছি তাই খুব স্পষ্ট নয়। রাস্তার অপর পাশে একটা বিড়াল। সিগারেটের ধোয়া চোখের সামনে একটা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছিলো। একটু সময় নিয়ে এবার তাকালাম। আরে এটাতো টলু। কি মেয়েরে বাবা এই সাবরিনা। বিড়াল এতো ভালবাসে তাহলে সামলে রাখেনা কেন? টলু রাস্তা পার হবে মনে হচ্ছে। ধীর লয়ে হেটে আসছে। কোথায় গিয়েছিলো সাত সকালে নাকি রাত কাটিয়ে এলো বাইরে কোথাও? হাহাহাহা। কিসব ভাবছি আমি। আচ্ছা অসুবিধা কি? হতেও তো পারে। যতসব প্রেম ভালবাসা, ডেটিং,লেট নাইট পার্টি, কিংবা লিভ টুগেদার বিড়াল সমাজেও তো হতে পারে। টলু হয়তো কোন সভা সেমিনার বা বিড়ালদের রাত্রিকালীন ভোজ শেষ করে আসছে।
একটা গাড়ী দ্রুত গতিতে পাশ কাটিয়ে গেল টলুকে। টলু দেখছি বেশ সাবধান। স্থির দাঁড়িয়ে আছে একদম মানুষ যেমন গাড়ীকে কেয়ারফুলি এভয়েড করি তেমনি। ওর দিকে চোখ দিতে গিয়ে আমার সিগারেটটাই জ্বলে শেষ। আরেকটা সিগ্রেট এনে শান্তিতে টানতে। ভোরের শেষ সিগ্রেট যাকে বলে। ঢাকা থেকে আজ চলেই যাচ্ছি আর কবে আসবো কে জানে। সিগারেট আনতে ঘুরতে যাব এমন সময় একটা বিভৎস কাণ্ড ঘটে গেলো নীচে। টলু একটা গাড়ীকে পাশ কাটিয়েই ভেবেছিলো রাস্তা ফাঁকা। অপর দিক থেকে আসা প্রাইভেট কারটা খেয়ালই করেনি। সোজা ওটার নীচে পরে গেছে। আমি শুধু দেখলাম কারের সামনের চাকা বা কিছু একটার সাথে ধাক্কা লেগে টলু দূরে ছিটকে গেলো। নিজের অজান্তেই মুখ দিয়ে টলু বলে চিৎকার বেরিয়ে এলো। আমার চিৎকারে দুলাভাইতো ঘুম থেকেই উঠে এলেন।
-কি ব্যাপার শালা বাবু কি হইছে? আর তুমি এত জলদি ঘুম থেকে উঠেছ কেন,ট্রেনতো ছয়টার পরে।
আমি কোন রকম বললাম, ভাইয়া টলু এক্সিডেন্ট করেছে। উনিতো আকাশ থেকে পরলেন যেন। -টলু কে,কিভাবে এক্সিডেন্ট করলো?
এতকিছু ডিটেইলস বলার সময় আমার নেই তখন। আমি শুধু বললাম যে, ভাইয়া প্লীজ ইন্টারকমে আপনাদের সিকিউরিটি গার্ডকে ফোন দিয়ে বলেন গেটটা খোলে দিতে। আমাকে বাইরে বাসার সামনে যেতেই হবে এখন। বলেই গায়ে একটা গ্যাঞ্জি চাপিয়ে দুলাভাইকে বিষ্ময় এর সমূদ্রে ফেলে দরোজা খোলে দৌড় দিলাম। নীচে এসে দেখি সিকিউরিটি গার্ড কোন রকম ঘুম থেকে হাচড়ে পাচরে উঠে তালা খোলছে। এর মানে ভাইয়া ফোন দিয়েছে বিষ্ময় কাটিয়ে। সিকিউরিটি আমার দিকে তাকিয়ে মনে মনে আমার চৌদ্দ গোষ্ঠী আবিষ্কার করছে উপলব্ধি করলাম। কিন্তু কেয়ার করলামনা। এই ব্যাটার গালি এখন কিছুইনা। কারণ এমন অসময়ে কেউ আমার ঘুম ভাংগালে তাকে মারতেও পারি। আমি দ্রুত রাস্তায় বেরিয়ে টলুকে খোঁজতে লাগলাম। এদিক ওদিক তাকাতেই নজর গেলো সেই অনাকাঙ্ক্ষিত দৃশ্যের দিকে। বাসার দেয়ালের পাশে টলু পরে আছে। কাছে গেলাম। কোনদিন কোন মানুষের অন্তিম সময়ে কাছে যাইনি। কিন্তু টলুর বেলায় সেই সময়ই উপস্থিত হলাম। আমি গিয়ে শুধু ওর শরীরের ছোট একটা ঝাঁকুনি দেখলাম। এর পরেই নিথর হয়ে গেলো টলু। ওর আত্মাটা বেরিয়ে গেল আরকি শরীর থেকে। যদিও জানা নেই প্রাণীদের আত্মা আছে কি না। থাকলে তাও জানিনা টলুর আত্মা এখন গিয়ে তার মালকিন সাবরিনাকে স্বপ্নে তার মৃত্যূ সংবাদ পৌঁছে দেবে কি না। তবে আমি আমার সিদ্ধান্ত চ্যাঞ্জ করলাম। ভোরের ট্রেনে বাড়ী ফিরছিনা।
★★★
গার্ডের সাহায্যে টলুর দেহটা মাটি চাপা দিয়ে দিলাম। বাসার বাউন্ডারীর ভেতরে। চাইলে বাইরেও দিতে পারতাম। কিন্তু তা করিনি সাবরিনার কথা ভেবে। আর চাইলে টলুর দেহটা সাবরিনাকে দেখাতে রেখে দিতে পারতাম। তাতে কোন লাভ হতনা। মৃত দেহ গন্ধ ছড়াতো আর সাবরিনা দেখলে খুব কষ্ট পেত। প্রিয়জন হোক আর প্রিয় প্রাণী হোক ছিন্নভিন্ন মৃত দেহ দেখে কারো ভালো লাগার কথা না। আপু দুলাভাইকে অবাক করে দিয়ে আমি আর গেলামনা সকালের ট্রেনে। দিলাম একটা ঘুম। ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখলাম কোথায় গিয়ে যেন টলু রাস্তা হারিয়ে মিউ মিউ করে কাঁদছে আর মলু সারা বিল্ডিংয়ের এদিক ওদিক টলুকে খোঁজছে। না পেয়ে মন খারাপ করে ছাদে গিয়ে কাঁদছে মলু "কাঁদ মন প্রাণ খোলে" ঘরে বসে। আমার ঘুম আবার ভাংলো মলুর এই কান্নার দৃশ্য দেখে স্বপ্নে। তখন অবশ্য বেলা ১০ টা। আমি সকালে যাচ্ছিনা শুনে আমাকেও আর ডাকা হয়নি। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে পেপার নিয়ে বসতেই সাবরিনা আসলো। আমাকে ড্রইং রুমে দেখেই জানতে চাইলো আমি টলুকে দেখেছি কি না। আজ মলু সাবরিনার কোলে। কিন্তু মলুকে দেখে খুব বিষন্ন লাগছে। টলুর মৃত্যূ সংবাদ কি আঁচ করতে পারছে মলু? আমার মনে হয় পারছে। মানুষ তো কাছের মানুষের বিপদ আপদ টের পায়। লক্ষণ অনুভব করে। বিড়ালরা না পারার কি?
সাবরিনাকে আমি বললাম-হুমমম। আমি জানি টলু কোথায়?
আমার আসলে হুট করে টলু গাড়ীর নীচে পরে মারা গেছে বলতে ইচ্ছা করছেনা। তাছাড়া আমি মৃত্যূ সংবাদ হজম আর দেয়া এই দুইটাতেই প্রচণ্ড অনভিজ্ঞ। কোন আত্মীয় মারা গেলে তার সন্তান বা বাসার মানুষকে শান্তনা দিতে পারবোনা বলে মরা বাড়ীতে আমি যেতেই চাইনা। আর আমার আম্মুকেও বলে দিয়েছি আমাকে কোনদিন ঘুম থেকে ডেকে তুলে কারো মৃত্যূ সংবাদ যাতে না দেয়া হয়।
সাবরিনাকে নিয়ে আমি ছাদের দিকে চললাম। মেয়েটা এক সিঁড়ি উঠেই বললো,
-আমি তো ছাদে দেখে এসেছি। টলু নেই ছাদে।
আমি কিছুই বললাম না। সিঁড়ি টপকাচ্ছি একে একে। মেয়েটা নিরুপায় হয়ে আমাকে ফলো করলো। আমি সাবরিনাকে নিয়ে ছাদের মাঝখানে গেলাম। যেখানে সে নিজেই অনেক যত্ন করে রংতুলি দিয়ে লিখে বানিয়েছে "কাঁদ মন প্রাণ খোলে" ঘরটা।
-আপনার টলু আজ এখানে আছে।
-হোয়াট? ফাজলামো করছেন আমার সাথে?
সাবরিনা রেগে গেলো। রাগাটাই স্বাভবিক।
আমি আজও প্রতিবাদ করলামনা।
-আপনার মনে আছে টলু এখানে বসেছিলো তাই আপনি ঠাট্টা করেছিলেন?
-আছে। তো কি হয়েছে।
-আসলে টলুর এই ঘরটা পছন্দ ছিলো। আর শুনেছি মৃত্যূর পর আত্মা প্রিয় সব জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। টলু জানে আপনি ওর জন্য কাঁদবেন এবং এই ঘরে এসে কাঁদবেন। আমি নিশ্চিত টলুর আত্মা এখন এই ঘরে আছে। কারণ টলু আজ ভোর রাতে রোড এক্সিডেন্টে মারা গেছে। টলুর কবরটা গার্ডকে বললেই দেখিয়ে দেবে। ভালো থাকবেন আমি গেলাম।
কথাগুলো বলে আমি আর এক সেকেন্ডও দাঁড়ালামনা সেখানে। জানি সাবরিনা এখন কাঁদবে। মন প্রাণ খোলেই কাঁদবে। সাথে হয়তো মলুও কাঁদবে। টলুর আত্মাও এই দুজনের সাথে কান্নায় সামিল হবে। এই সম্মিলিত কান্নার দৃশ্য দেখলে আমিও কেঁদে ফেলবো নিশ্চিত। তাই পালিয়ে যাচ্ছি আমি।


ব্যাকগ্রাউন্ড স্টোরি : এটা নিছক একটা গল্প। তবে টলু নামের অতি আদরের একটা বিড়াল সত্যি মারা গিয়েছিলো এক্সিডেন্টে। যে দুটি বিড়ালের ছবি দিয়েছি তারাও আসলেই টলু ও মলু। গল্পের টলু,মলু আর সাবরিনা তিনটাই বাস্তব চরিত্র। সাবরিনা নামের আমার ফেইসবুক ফ্রেন্ড+পাঠিকাকে কথা দিয়েছিলাম টলু মলুকে নিয়ে গল্প লিখে দেব তাই এই গল্প লিখা। তবে আর জীবনে কোন দিন এভাবে কাউকে কথা দেবনা বা রিকোয়েষ্টের গল্পও লিখবোনা। কারণ এই কাজ খুব কঠিন। আমি একজন শখের লেখক। একমাত্র প্রফেশনাল আর আমার চাইতে শতগুন ভালো লেখকরাই অনুরোধের গল্প লিখতে পারার কথা।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৫:৪৮
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। কালবৈশাখী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৪



গত পরশু এমনটি ঘটেছিল , আজও ঘটলো । ৩৮ / ৩৯ সে, গরমে পুড়ে বিকেলে হটাৎ কালবৈশাখী রুদ্র বেশে হানা দিল । খুশি হলাম বেদম । রূপনগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

আমরা সবাই জানি, ইরানের সাথে ইজরায়েলের সম্পর্ক সাপে নেউলে বললেও কম বলা হবে। ইরান ইজরায়েলকে দুচোখে দেখতে পারেনা, এবং ওর ক্ষমতা থাকলে সে আজই এর অস্তিত্ব বিলীন করে দেয়।
ইজরায়েল ভাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

নগ্ন রাজা কর্তৃক LGBTQ নামক লজ্জা নিবারনকারী গাছের পাতা আবিষ্কার

লিখেছেন মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪০

LGBTQ কমিউনিটি নিয়ে বা এর নরমালাইজেশনের বিরুদ্ধে শোরগোল যারা তুলছেন, তারা যে হিপোক্রেট নন, তার কি নিশ্চয়তা? কয়েক দশক ধরে গোটা সমাজটাই তো অধঃপতনে। পরিস্থিতি এখন এরকম যে "সর্বাঙ্গে ব্যথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×