ব্লগে আমার বয়স খুব বেশী দিন না। আমি ব্লগ লিখছি ৭ মাস ২ সপ্তাহ। অবশ্য এর আগে ভিজিটর হিসাবে ৬ মাস ব্লগ পড়েছি। যখন ভিজিটর হিসাবে ব্লগ পড়তাম তখন ব্লগের কিছু বিষয় আমাকে আকৃষ্ট করে। তার মধ্যে ব্লগীয় ক্যাচাল আমাকে সবচেয়ে বেশী আকৃষ্ট করে। বিশেষ করে ছাগু-পাদা-ভাদা, আস্তিক-নাস্তিক, জামাত-তাবলীগ, সিন্ডিকেট বিষয়ক ক্যাচাল অন্যতম। প্রথম দিকে ছাগু-পাদা-ভাদা, ব্লগীয় সিন্ডিকেট এই সব শব্দগুলো বুঝতাম না।আস্তে আস্তে বিষয় গুলো আমার কাছে পরিষ্কার হয়। ছাগু-পাদা-ভাদা বিষয়ক ক্যাচাল যখন শুরু হতো তখন ব্লগে বসে যেতাম ক্যাচাল উপভোগ করার জন্য। মাঝে মাঝে মন খারাপ হতো যখন দেখতাম কিছু কিছু পোষ্টে ছাগুর সংখ্যা বেশী। আর তখন ব্লগ লেখার জন্য উৎসাহ বোধ করলাম এবং রেজিস্ট্রেশন করলাম (উদ্দেশ্য ছাগুদের গদাম দেওয়া)।
ভাদা-পাদা কেন বলা হয় এবং শব্দ দুটোর যৌক্তিক কারন সহজেই বুঝতে পারলেও ছাগুদের কেন ছাগু বলা হয় তা আমি বুঝতে পারি নাই। অবশেষে গতকাল রাতে ব্লগার সামদ এর একটি পোষ্ট ময়লা যায় না ধুলে আর স্বভাব যায় না মলে: হাইতিতে ১৪ বছরের বালককে যৌন নির্যাতনের দায়ে দুই পাকি সৈন্যের কারাদন্ড-একটি পর্যবেক্ষণ পড়ে ছাগুদের ছাগু নামের যৌক্তিক কারন খুজে পেলাম।
ছাগুরা আসলে মানুষরূপী পশু। তাই পশুর নামেই তাদের নামকরন হওয়া উচিত। আর পাকিস্তানের জাতীয় পশু যেহেতু ছাগল (মারখোর ) সেহেতু পাকিস্তানের জাতীয় পশুর নামে তাদের নাম করন হয়েছে বলে আমি ধরে নেব।
পাকিস্তানের জাতীয় পশু মারখোর ছাগল
গত রাতে আমি আরো একটি তথ্য পেয়েছি। ব্লগার সামদ এর ঐ পোষ্টে ব্লগার এবিসি১০ কমেন্ট করে জানান পাকিস্তানের জাতীয় সংগীতের সুরকার হলেন আহমেদ গোলামআলি ছাগলা ।
Ahmed Ghulamali Chagla (1902-1953) wrote the score for the national anthem of Pakistan, in 1950.
আহমেদ গোলামআলি ছাগলা। আমার কথা যদি বিশ্বাস না হয় তাহলে লিংক গুলোতে গিয়ে দেখেন।
পাকিস্তানের জাতীয় পশু ও জাতীয় সংগীতের সুরকারের নামের সাথে যেহেতু ছাগল নামের যোগসুত্র আছে তাই পাকি বীর্য থেকে সৃষ্ট ছাগুদের ছাগু নামের এর চেয়ে ভালো কোনো যৌক্তিক কারন থাকতে পারে না।
যিনি যে কারনেই ঐ সম্প্রদায়কে ছাগু নাম দিক না কেনো আমার কাছে এখন ছাগু নামকরনের অর্থ পরিস্কার।
এই তথ্য জানার পর সারারাত ধরে আমি শুধু হেসেছি।