যারা ভারতে সেক্যুলার দেশ বলে গলাবাজি করেন, কিন্তু বাস্তবের চিত্রটি উল্টো।
১১ এপ্রিল পিউ রিসার্চ সেন্টারের ১৯৮ টি দেশের বিশ্লেষণে দেখা গেছে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতায় বিশ্বে চতুর্থ ভারত।
হিন্দুদের অত্যাচার থেকে নিম্ন বর্ণের হিন্দুরাও রেহাই পায়নি। সরকারীভাবেও তাদেরকে চাকুরি শিক্ষাদিক্ষায় ধমিয়ে রাখা হয়েছে। ভারত ন্যাশনাল ক্রাইম পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দলিত মেয়েরা খুন, ধর্ষণ, নির্যাতন, হেনস্থার সবচেয়ে বেশি শিকার হচ্ছে। শাস্তি দেয়া তো দূরের কথা, অপরাধীদের কোনো বিচারই হচ্ছে না বহু ক্ষেত্রে ।
আর গরুদের রক্ষা করতে গিয়ে, হিন্দুদের আক্রমনের শিকার হয়েছে মুসলমানেরা। কিছু হলেই মুসলমানদের পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়ার হুমকি দেয় হিন্দু চরমপন্হীরা।
আমাদের দেশেও পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। যদিও এরা বাংলাদেশি (সম্ভবত মুসলিম), কিন্তু এদের সাথে হিন্দু চরমপন্হীদের কোন ধরণের যোগসূত্র স্থাপন করাটা সঠিক নয় বলে আমি মনে করি।
ভারতের সংবিধান ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা বলা থাকলেও খোদ সরকার ধর্মীয় সংখ্যালগুদের কোনঠাসা করে উচু পর্যায় থেকে। ধর্মীয় সংখ্যালগুরা আক্রান্ত হলে নির্বিকার থাকে।
ছত্তিশগড় উচ্চ আদালতের রায় দেয় যে অহিন্দুদের (মুসলমান, খ্রিস্টান) ধর্মীয় প্রার্থনা, বক্তৃতা ইত্যাদি নিষিদ্ধ করাতে অহিন্দুদের 'সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘিত হয় না।
বিজেপির অংগসংগঠন আরএসএস এর ঘর ওয়াপসি (হিন্দুধর্মে প্রত্যাবর্তন) কর্মসূচিটির উদ্দেশ্য সংখ্যালগুদের উচ্ছেদ করা।
আর আমাদের দেশে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতাকে খুজতে গিয়ে একদল চন্ডাল থেমেসিসের কোলে চড়ে বসেছে। যদিও বোঝা মুসকিল থেমেসিস কোন ধর্মের লোকদের (নাস্তিক!) প্রতিনিধিত্ব করছে।
India is the fourth-worst country in the world for religious violence
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৫২