somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফেসবুক থেকে নেয়া - একটি শিশুর জন্য আর্থিক সাহায্যের আবেদন

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কি বলবো কি দিয়ে শুরু করবো বুঝে উঠতে পারছি না। শুধুই চোখে পানি চলে আসছে। এই ছেলেটির নাম তাসিন।আমার ছেলে ও সে একই স্কুলে একই সেকশন এ পড়ে। এবার ক্লাস six এ পড়ে। সেন্ট যোসেফ স্কুলে। আপনারা জানেন বাংলাদেশে যতোগুলো স্কুল আছে তাঁর মধ্যে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি করা হয় সেন্ট যোসেফ স্কুলে কোন তদবির ও ভিন্নভাবে ভর্তির এই স্কুলে সুযোগ নাই। আর এই স্কুলে টিকে থাকতেও অনেক কস্ট। আমার ছেলের মতো এই ছেলেটিও সেন্ট যোসেফ স্কুলে পড়ে এবার PSC পরীক্ষা দিলো। ওর ক্যান্সার ধরা পড়েছে। PSC পরীক্ষা দিয়ে মাকে বলেছিলো মা তুমি চিন্তা করো না আমার খাতায় একটা কলম বসাতে পারবে না। ও এমনই ও তিন ঘন্টার পরীক্ষা দেড় ঘন্টায় দিয়ে বের হয়। মাঝে মাঝে আমরা অবাক হই। সবচেয়ে অবাক লাগে সে একটি পড়া একবার পড়তো দু' বার পড়তে বললে খুব বিরক্ত হতো। পরীক্ষায় একটা কমাও ভুল হতো না। আবার এক এক দিন এক এক হাতের লেখা অসম্ভব সুন্দর। টিচাররা কিছুটা অবাক হয়ে বলতো তাসিন এটা কি তোমার হাতের লেখা ও হাঁসতো।ক্লাসে সবার চেয়ে লম্বায় ছোট কিন্তু বুদ্ধিতে সবার বড়। আজ যখন হাসপাতালে গিয়ে দেখলাম নিস্তেজ শুয়ে আছে ঘুমের ঔষুধে। আর ওর মার ফুপিয়ে কাঁদা। আমি নির্বাক হয়ে গেলাম কি বলবো কি করবো হাত পা কাঁপছিলো। ভাবী বললো ভাবী গাঁয়ে হাত দেওয়া যায় না প্রচন্ড ব্যথা আমি তো সব সহ্য করতে পারি ও যখন ক্যান্সারের ব্যথায় চিৎকার করে আমি তখন সহ্য করতে পারি না।আমি ওকে থামিয়ে বলতে পারি না বাবা এ কস্ট আমাকে দে আমি কি করবো! আমিও থামাতে পারি নাই এই মায়ের কান্না। তাসিন নাকি সব বুঝে ডাক্তার ইংরেজিতে কথা বলে ওর মা বাবার সাথে তখন বলে আপনি যা বলছেন আমি বুঝি সব আমি সেন্ট যোসেফের ছাত্র। আমি তো জানুয়ারি থেকে স্কুলে যাবো নতুন বই নিয়ে নতুন ক্লাসে ডাক্তার কেন এমন পঁচা কথা বলেন। ডাক্তারও কেঁদে ফেলে। সন্তান সে যারই হোক প্রতিটি মা বাবার কাছে তার পার্থক্য নাই। আমি বললাম এর চিকিৎসা কি বাংলাদেশে সম্ভব। ডাক্তার বলেছে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব বাইরে নিয়ে যান। কিন্তু ওর পরিবারের এতো ক্ষমতা নাই আমরা যারা আছি যতটা করতে পারবো করবো আর বাকি টাকা না হলে কি এই মেধাবী শিশুটি চলে যাবে? এ কথা চিন্তাও করতে পারি না। ওর মা বলে আজ এগারো বছর যাবৎ আমি একটি দিনের জন্য ও কে রেখে থাকিনি। ও বলে মা আমি যখন চাকরি নিয়ে বিদেশ যাবো তখন তুমি বাবাকে সময় দিও। কিভাবে থাকবো আমি ছেলে ছাড়া। পাগলের মতো একই কথা বলে যাচ্ছে। আমি জানি আমি একা এর সব দায়িত্ব নিতে পারবো না। আমি আপনারা যারা পারবেন একটু এই ছেলেটার নতুন জীবন দানের জন্য সাহায্য করেন। জীবনে কোনদিন আমি এভাবে কিছু চাইনি এই ছেলের দিক তাঁকিয়ে আমিও তো মা সবাইকে সাহায্যের হাত বাড়াতে অনুরোধ করছি। আমরা একটু একটু করে এগিয়ে আসলে বেঁচে যাবে এই মেধাবী শিশুটি।আমরা কতো টাকা কতো ভাবে খরচ করি। একটু যদি এ ছেলেটার জন্য হাত বাড়াই এই নিস্পাপ শিশুটি বেঁচে যাবে। মানবতার হাত বাড়াই আসুন।ওর জন্য দোয়া করি সবাই।
Md. Abdullah Al Mamun,
Savings Account no- 7103, Panthapath branch, Islami bank Bangladesh limited এটা ওর বাবার একাউন্ট / বিকাশ নাম্বার 01618144474 এই নাম্বারে দিলে পাবে personal

সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১৩
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×