তার দল অলটারনেটিভ ফর ডয়েসল্যান্ড বা এএফডি'র জার্মানির সাম্প্রতিক নির্বাচনে ৯৪ টি আসন পেয়ে ৩য় স্থানে ছিল। ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর তিনি এফএফডি'র ত্যাগ করেছেন।
এএফডি'র চেয়ারম্যান Kalbitz বলেন টেলিফোনে আর্থার ওয়াগনারের সাথে কথা বলে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের কথা জানতে পারেন। এএফডি মুসলিম শরণার্থী বিরোধিতা করে নির্বাচনে বুরখা, আজান নিষিদ্ধ করা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
এ প্রসংগে ইতিহাসের ফিরে তাকালে দেখা যায়, এক সময় যারা ইসলামের চরম বিরোধিতা করেছিল তারাই আবার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ইসলামের সেবা করেছিল।
চেংগিস খানের সময় থেকেই মোংগলরা চড়াও হয়েছিল ইসলাম আর মুসলমানদের উপর। মোংগলদের মুসলিম বিদ্বেষ এমন পর্যাসে পৌছেছিল যে তারা স্বপ্রনোদিত হয়ে ইউরোপের খ্রিষ্টান শক্তির সাথে ক্রুসেডে হাত মেলায় মুসলমানদের ঘায়েল করার জন্য। হালাগুর বাহিনী জেরুজালেমের প্রান্তে গাজা পর্যন্ত পৌছে যায়। কিন্তু হালাগুর ধংসের হাত থেকে মুসলমানদের তীর্থস্থান মক্কা মদীনা বেচে যায় এক আলৌকিক ঘটনায়। গোল্ডের হর্ডের শাসক ছিলেন বার্কে খান। চেংগিস খান মারা গেলে তার উত্তরাধিকারদের নিয়ে গড়ে উঠে চারটি সাম্রাজ্য। যার একটি ছিল গোল্ডেন হর্ড। বার্কে খান কাকতালীয়ভাবে একটি বুখারার একটি কাফেলার সাক্ষাৎ পান। সেই কাফেলা ভ্রমণকারীরাদের কর্তৃক ইসলাম ধর্মান্তরিত হন বার্কে খান। যখন বার্কে খান কানে পৌছে হালাগু কর্তৃক ইসলামের ধংসযজ্ঞের কথা তখন তিনি আল্লাহর কাছে ওয়াদা করেন এর প্রতিশোধ নেয়ার। এবং তিনি নিয়েছিলেনও, হালাগুকে পরাস্ত করে।
মজার ব্যপার হালাগু যে ইলেকান সামার্জ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তার শেষের শাসকরাও ইলসাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত চেংগিসের উত্তারিধাকের বেশিরভাগই (যারা ইসলামের উপর চড়াও হয়েছিলেন) ইলসাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন।
তাই বলা হয়ে থাকে মোংগলরা ইসলামের প্রভূত ক্ষতি সাধন করে থাকলেও তারা ইসলামের প্রতিষ্ঠায় উল্লেখ্যযোগ্য ভুমিকাও রেখেছিলেন।
১২৫৮সালে বাগদাদের খলিফাকে যখন হত্যা করা হয় তার ৪০ বছরের মধ্যেই ইসলামের ধংসের জন্য দায়ী মোংগলরাই ইসলামকে গ্রহন করে নেয় এবং তাদের সাম্রাজ্য ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসাবে প্রতিষ্ঠা করে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫২