তোমার জন্য আমি আমার ক্যারিয়ার নষ্ট করব না, অনেক কষ্ট করে বিশ্ববিদ্যালয় পাস করতে হয়েছে আমাকে।
সোহানার দিকে ক্রুদ্ধ দৃষ্টিতে তাকায় হাফিজ।
আমার চাইতে তোমার ক্যারিয়ারটা বড় হয়ে গেল। বিয়ের পর কটি মাস সোহানার চাকরি নিয়ে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকত দুজনার মধ্যে।
এক সপ্তাহের মধ্যে তোমায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমি নয়ত তোমার চাকরি। একদিন রাগের মাথায় বলে বসে হাফিজ।
কিন্তু সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রয়োজন পড়েনি সোহানার। একটি দূর্ঘটনা অানাকাংখিত স্বস্তি নিয়ে আসে সোহানার জীবনে। মটর সাইকেল চালাতে গিয়ে ট্রাকের ধাক্কায় মারা পড়ে হাফিজ।
চাকুরিতে মনোনিবেশন করায়, ঘটনার ধকল কাটিয়ে উঠতে শুরু করলে, মা বাবা চাপ দেন নতুন বিয়ে করার। মনস্থির করে সোহানা একটি ছেলেকে বিয়ে করার, যে কিনা তার ক্যারিয়ার পথে কাটা হয়ে দাড়াবে না।
সোহানা আর তার চাকুরি, দুটির প্রতিই যত্নশীল, এমন একটি ছেলে খুজে পেতে কষ্ট হয়না।
কিন্তু আরেকটি ঘটনায় নতুন করে সিদ্ধান্ত বদলাতে হয় সোহানার।
সোহানার গর্ভে হাফিজের সন্তানের আগমনে বিড়ম্বিত হয় সোহানার পরিবার। এমনকি গর্ভের সন্তানটি নষ্ট করার প্রস্তাবও করে কয়জন কাছের আত্মীয়, রাজী হয়না সোহানা, তার মাতৃত্ববোধ জেগে উঠে।
অনেক বছর পর এক জোস্না রাতে মায়ের কোলে মাথা রেখে, আকাশের চাদের দিকে অপলক তাকিয়ে আনমনা হয়ে পড়ে সোহেল। কৈশোর পেড়োতে শুরু করা সোহানার ছেলেটি হঠাত করেই মাকে শুধায়, মা তুমি আর একটি বিয়ে করে সংসারী হওনি কেন।
তোর ভবিষতের কথা চিন্তা করে। মা উত্তর দেন। তোর দিকে তাকিয়ে পৃথিবীর সব সুখ খুজে পেয়েছি আমি।
মা আমি কি দেখতে অবিকল আবার বাবার মত। আবার শুধায় সোহলে।
মা খুব আস্তে করে উত্তর দেন, হ্যা তুই অবিকল তোর বাবার মত।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:০০