আমার আগে একজন ডেক্সপোটেনের abuse potential নিয়ে অনেক কিছু লিখেছেন। পুরোটাই জনসচেতনামূলক। ধন্যবাদ লেখককে। পোস্টি লম্বা সময় স্টিকি ছিল। সাধুবাদ জানাই সামু মডু প্যানেলকে। ডেক্সপোটেন কার প্রতিষ্ঠান তৈরি করে সে সম্পর্কে কিছু লিখেননি। হয়তো তিনি জানতেন না।
দেশে অনেক প্রয়োজনীয় ঔষধের অনুমোদন নেই। অথচ এই অপ্রয়োজনীয় বাজে ড্রাগটি সরকার নিষিদ্ধ করেনা। ADHD মানে Attention Deficit hyperkinetic disorder এর মত সমস্যার ঔষধ সরকার অনুমোদন দেয়না। কারণ এগুলোর কিছুটা abuse potential আছে। আর Dexpoten এর মত বাজে ড্রাগ চলছে দেদারছে যা তরুণ সমাজকে ধ্বংস করছে আর যার abuse potential ফেনসিডিল এর চেয়েও বেশি। Dexpoten তৈরি করে ESKAYEF কোম্পানি যা ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠান। ট্রান্সকম গ্রুপের পত্রিকা প্রথম আলো এত মাদকবিরোধী ক্যাম্পেইন করে অথচ নিজেরাই ভয়াবহ মাদক তৈরি করে দেশ ও জাতিকে ধ্বংস করছে। কি নির্মম পরিহাস এই ট্রান্সকম গ্রুপের।
তাদের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেক ফার্মা কোম্পানিই বিভিন্ন নামে এই মাদকটি তৈরি করছে। এটা এখন আর কাশির ঔষধ হিসেবে কেউ খায়না। অনেক ভাল ঔষধ বাজারে আছে এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই বললেই চলে। এটার ৯৫ ভাগ ব্যবহার এখন মাদক হিসেবে। আমি একটি নাম করা কোম্পানির হেড অফ সেলসকে জিজ্ঞেস করেছিলাম ADHD এর ঔষধ launch করার জন্য। তিনি জানালেন ড্রাগ অথরিটির অনুমোদন নেই কারণ অল্প পরিমাণ abuse potential আছে। আমি একজন ট্রেইনি সাইকিয়াট্রিস্ট হিসেবে বলছি ADHD এর ড্রাগগুলোর abuse potential ধ্বংসাত্মক dexpoten এর তুলনায় নস্যি। আরো একবার ঘৃণা পোষণ করছি ট্রান্সকম গ্রুপের বিরুদ্ধে। আরেকটি তথ্য হল বছরে প্রায় শতকোটি টাকা ব্যবসা হয় শুধু এই dexpoten থেকে।
ট্রান্সকম গ্রুপ তাদের প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে "বদলে যাও, বদলে দাও" স্লোগান দিচ্ছে আর অন্যদিকে নিজেরা অনুসরণ করছে জঘন্য ডাবল স্ট্যান্ডার্ড। ট্রান্সকম গ্রুপ তো বদলে দিচ্ছে। সেটা হোক ইতিবাচক, হোক নেতিবাচক। তারা তো ইতিবাচকভাবে বদলে দেওয়ার কথা বলেনি। ডেক্সপোটেনের মাধ্যমে যুব সমাজকে ধ্বংস করে তারাই আবার সমাজকে, জাতিকে, রাষ্ট্রকে বদলে দেওয়ার কথা বলে! সত্যিই সেলুকাস বিচিত্র এই ট্রান্সকম গ্রুপ!!
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:৪৭