somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অামার জন্মকথা !

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাঙালীর জন্মের ইতিহাস বলতে কি বোঝেন?
১৪৯৮ সালে অামাদের দেশে পর্তুগীজরা এসে ব্যাবসা শুরু করছিল, দস্যুতা-প্রতিযোগীতামূলক ব্যাবসায় টিকতে না পেরে তারা বাংলা থেকে কাথাকম্বল গুটিয়ে চলে যায় কিন্তু বাঙালী নারীদের পেটে দিয়ে যায় তাদের ভ্রুন ! ধরি সেই ভ্রুন থেকে যে সন্তান জন্মগ্রহন করলো সেটির নাম 'পর্তু-বাঙালী' ভ্রুন ! তাদের পর ১৬০২ সালে উপমহাদেশে ব্যাবসার উদ্দেশ্যে অাসলো ওলন্দাজরা ! তারা অাবার ইংরেজদের সাথে ব্যাবসায়িক দ্বন্দ্ব, এদেশের শাসকদের সাথে বিরোধের ফলে ১৮০৫সালে যখন বাংলা ছাড়লো, তখন তারা এদেশের নারীদের গর্ভে তাদের অস্তিত্ব উপহার দিলো, তখন যে সন্তান জন্মগ্রহন করলো তাদের মধ্যে প্রবাহিত হচ্ছিলো পর্তু-বাঙালী-ওলন্দাজের সমন্বয়ের মিলিত জিন ! তারপর ১৬২০ সালে অাসলো দিনেমাররা ! তারা ব্যাবসাতে খুব একটা সুবিধা করতে না পারলেলেও জায়গামতো ঠিকই সুবিধা করে নিয়েছিল, ফলাফল স্বরূপ, যে জাতির সৃষ্টি হলো, তারা বহন করছিল, পর্তু-বাঙালি-ওলন্দাজ-দিনেমারের সমন্বয়ে এক মিলিত রক্ত ! তারপর আসলো, ইংরেজরা ! পর্তু-বাঙালি-ওলন্দাজ-দিনেমার-ইংরেজ সব মিলিয়ে জগাখিচুড়ি রক্ত ! এদিকে আমার দাদার বাবা আবার ছিল মীর-জাফর ! পরে ঘাড়ে চড়ে বসলো পাকিস্তান, তারা আবার লিস্ট ধরে ধরে তাদের বীজ আমার দাদীর শরীরে দিয়ে গেলো ! সেই মীর জাফরীয় বীজ আবার আমাদের মাঝে এসে প্রবাহিত করে দিল বেঈমানির রক্ত ! আমার বাবা সেই রক্ত নিয়ে তার নিজের জাতির সাথে শুরু করলো বেঈমানি ! পর্তু-বাঙালি-ওলন্দাজ-দিনেমার-ইংরেজ-পাকিস্তানী-বেইমানির সমন্বয়ে আমার শরীরে তৈরি হলো, আজব এক রক্ত, যার নাম দিতে গিয়ে কিবোর্ড হ্যাং হয়ে যাচ্ছে ! সেই বারোমিশালি রক্ত নিয়ে কিভাবে আমি দেশের সব ইস্যুতে এক হবো ? মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমি দুই রুপ প্রকাশ করি, ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে পুরো জাতি দুইভাগ হই, যে জাতিকে শুধু কথার ফুলঝুড়িতেই দাবিয়ে রাখা যায়, রাস্তার মাঝে পিলার উঠলেই যারা ভাবে, এইতো উন্নয়ন হচ্ছে, আমরা এগিয়ে যাচ্ছি ! আসলেই এগুচ্ছি ?
অথচ এসব নিয়ে আমার ভাবার বা চিন্তার সময় নেই, প্রয়োজনও নেই ! এসব ভাবার জন্য যে বিশুদ্ধ রক্ত দরকার সেটা তো আমার মাঝেই নেই, আমি কিভাবে সেসব নিয়ে ভাববো ! আবার এসবের জন্য আমিও দায়ী না, কারন আমার জন্মটাই তো বেজন্মার ! সেই পর্তুগিজ থেকে ভাবনা শুরু করলে আজ আমার মাঝে যে রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে, তা হলো,...............
ওহ ! আবার কীবোর্ডটা হ্যাং হয়ে গেলো !
আমার মতো বেজন্মাকে দিয়ে আপনি কিভাবে উন্নয়নের কথা ভাবেন!
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×