somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কনডমে ভরা ন্যাপকিন !

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক মেয়ের বান্ধবি, তার বাবাকে ইশারায় বুঝায় যে তার ন্যাপকিন লাগবে !

এটা নিয়ে মেয়েটির যে কতো ইগোতে লেগেছে সেটা সে নিজেও ভাষায় প্রকাশ করতে পারে নি ! বাবাকে কেন ইশারায় বুঝাতে হবে যে, আমার ন্যাপকিন লাগবে ? বাবাকে ন্যাপকিনের কথা মুখে বলতে অসুবিধা কোথায় ? সবশেষে মেয়েটির আহবান, আসুন একটু সভ্য হই... মেয়েটির সেই পোস্টে ছেলে মেয়ে জাতি ধর্ম বর্ণ গোত্র সেই সাথে মানুষ গড়ার কারিগর নামে খ্যাত তার টিচার সহ সবাই মিলে মেয়েটিরে এপ্রিশিয়েট করেছে ! করারই কথা !......
আপনাদের আপন ভেবেই আমার একটা গোপন ঘটনা বলি, আপ্নারা আবার কাওকে বলে দিয়েন না, সেটা হলো বছর তিনেক আগে বিয়ে করেছি ! বিয়ের পরই জানলাম, একটা প্যাকেটে ৩টা কনডম থাকে ! তো সেদিন রাতে হুট করে কনডম শেষ ! বাপকে গিয়ে বললাম, বাবা একটা কনডম দাও তো ! বাপ বলল, আমার কাছে একটাই আছে ! এটা আজকে আমারই লাগবে...
এদিকে বউ ছন্নছাড়া ! পিল খেয়ে তার সাইড ইফেক্ট নিতে সে রাজি না ! বললাম, সাবধানে থাকবো, অসুবিধা নেই ! কাজ হল না, তার বক্তব্য হলো, সেই সময় নাকি আমার হুশ থাকে না ! তাই কনডম লাগবেই ! বাধ্য হয়ে গেলাম ছোটভাইয়ের কাছে ! সে মাত্র কয়েক মাস আগে বিয়ে করেছে ! বল্লাম, একটা কনডম দে ভাই আমার ! কালকেই শোধ কইরা দিমু কথা দিলাম ! ভাই বলল, একটাই ছিল, মাত্র শেষ হয়ে গেল ! থামো দেখি, একাদটা খুজে পাই কি না ! ২-৩ মিনিট পর রুম থেকে ১টা 'আসল পুরুষ' নিয়ে এসে বলল, অনেক আগে থেকেই এই ব্র্যান্ড বাদ দিয়ে দিসিলাম ! এইটাই ছিল, আপাতত কাজ চালাও...
আমার আবার 'এক্সট্রিম' ছাড়া চলে না ! কি আর করা, নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো ! সেই রাতটা কোনরকম রক্ষা পেলাম ! পরদিন থেকে পুরো বক্স ধরে কিনি ! আর কারো কাছে চাইতে যেতে হয় না ! বরং তারাই মাঝে মাঝে আমার কাছে এসে চায় ! আমার আবার দয়ার শরীর..... !
আপনারাও যদি আমার এই পোস্টে আমারে এপ্রিশিয়েট না করেন, তাহলে আপনাদের সবার কপালে ফুটাওয়ালা কন্ডম আছে ! এরকম বাবা-ভাইয়ের সাথে সম্প্রীতির পরিবার আমাদের দেশে খুব কমই আছে, শিগগির আমারে এপ্রিশিয়েট করেন ! তারপর বাকিটা পড়েন !

ভাইয়েরা আমার বোনেরা তোমার, এবার একটা কথা নিরপেক্ষ কথা বলি, অন্দরের জিনিস অন্দরে থাকাই ভালো ! ভিতরের কথা, গোপন কথা, যেটা সবাইকে জানানো উচিত নয়, সেটা গোপন রাখাই ভালো ! বাবাকে যদি ইশারায় বুঝাতে পারেন যে, আপনার ন্যাপকিন লাগবে, তাহলে মুখে বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না ! তার অর্থ এই নয় যে, এটা ট্যাবু ! এটা হলো একে অপরের প্রতি সম্মান জানানো ! স্রদ্ধা জানানো ! আমি আমার বাবার সাথে খুব ফ্রি, তার মানে এই নয় যে, তার কাছে কনডম(আমার তো ন্যাপকিন লাগে না) চাইতে যাবো ! এই না চাওয়াটাই তার প্রতি আমার স্রদ্ধা ! বাবা-সন্তানের এই দূরত্বের নামই একে অপরের প্রতি সম্মান, শ্রদ্ধা ! এটাকে ট্যাবুর সাথে গুলিয়ে ফেলাটা আপনার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা !
আর যদি একান্তই গুলিয়ে ফেলেন, তাহলে উপরের ঘটনাই ঘটবে ! সেটা আমাদের সমাজের জন্য খুব বেশি সম্মানের হবে বলে মনে হয় না ! যদি সম্মানের হত তাহলে এই পোস্ট লাইক কমেন্ট শেয়ারে ভেসে যেতো ! এই যে এখন এই পোস্ট শেয়ারে ভেসে যাওয়া থেকে রক্ষা পাচ্ছে, এটাই আমাদের সমাজের শালীনতা ! বাবাকে ন্যাপকিন কেনার কথা বলতে আমরা এখনো প্রস্তুত নই ! আমাদের বাবারাও সেসব শুনতে প্রস্তুত না !

জেগে উঠতে তো অসুবিধা নেই বোন, আমাদের বোনেদের অনেক বিষয়ে জেগে উঠতে হবে এবং এটা জরুরিও, তবে শালীনতা বজায় রেখে জাগতে অসুবিধা কোথায় !
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৫১
১২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×