somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি গল্প

১২ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




“লোকটার নাম গন্ধরাজ।”
“অ্যা! ফাজলামি নাকি? ব্যাটাচ্ছেলের নাম কখনো ফূলের নামে হয় নাকি?”
সৌরভ একরাশ বিরক্তি নিয়ে এনামের দিকে তাকাল। আমাদের বন্ধুমহলের নতুন সংযোজন হওয়ায় সৌরভ জানে না যে এনামটা একটা আজন্ম মর্কট। হয়তো জন্মের আগে আগে এনামের আম্মার কোন অনিয়ম বা ছেলেবেলায় আয়োডিনের অভাব – সঠিক কারণ কোনটা সেটা আজো আমাদের গবেষণার বিষয় তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে তার বুদ্ধিশুদ্ধি যে জ্যামিতিক হারে লোপ পাচ্ছে এ বিষয়ে তর্কের কোন অবকাশ নেই।
“আব্বেএএএ হালা” জড়ানো কন্ঠ্যে সুমন রামধমক লাগাল, গাজা খেলে সবসময় তার মেজাজ চড়া থাকে ”তুই আরেকবার গল্পের মাঝে বাগড়া দিবি তো ঐ মজনুর দোকানের শিকে ঝুলিয়ে রাখবো তোকে হুঃ।” বলে আবারো গাছের গুড়ির সাথে হেলান দিলো ”আরে তুই আবার থামলি কেন সৌরভ? চালিয়ে যা তোর ঐ হাস্নাহেনা না চামেলীর গল্প।”
“গন্ধরাজ।” হাসান শুধরে দিল, ক্লাসের গুডি বয় সে – ভুল শুধরে দেবার লোভ কখনোই সে সামলাতে পারে না।
“হ্যা গন্ধরাজ।” বিরক্তি ঝেড়ে ফেলে সৌরভ আবার শুরু করল “ তাকে নিয়েই কাহিনী।”
ঈদের ছুটিতে সন্ধ্যাবেলায় সবসময়কারমতো মজনুর দোকানের সামনে গাছতলায় বসে গপ্পো করছি। সৌরভ আমার ভার্সিটির বন্ধু, এ আড্ডার নতুন সংযোজন – বাকিরা সবাই পুরনো বন্ধু। এর মাঝে আমি আর হাসানই কেবল এ্কই ভার্সিটিতে পড়ছি বাকিরা আছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। এই ছমছমে সন্ধ্যাবেলায় গাজার আবেশেই কিনা জানি না সুমন হঠাৎ গোঁ ধরেছে আজ গল্পের আসর হবে। সৌরভ নতুন হয়েও অতি উৎসাহে আগ বাড়িয়ে সবার আগে শুরু করেছে। মজনুর দোকান থেকে গরম গরম তেলেভাজার সুবাস আসছে যা দিয়ে খানিক বাদে আমাদের উদরপূর্তি হবে। চারদিক অন্ধকার, রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা – মোটামুটি গল্প শোনার জন্য আদর্শ পরিবেশ।
“তবে গন্ধরাজ তার পিতৃপ্রদত্ত নাম নয়, এটা তার উপাধি।” সৌরভ বলে চলল “ছোটবেলা থেকেই তার ঘ্রাণেন্দ্রিয়ের প্রখরতা দেখে বিস্মিত হয়ে এলাকাবাসী আদর করে তাকে এ নাম দেয়। তার আসল নাম জাকিউল ইসলাম তালুকদার। নামে তালুকদার হলেও ছোটখাটো কোন জমি কেন, তার পিতা ছমিরুল তালুকদারের বসতভিটা মায় পরণের লুঙ্গিটাও বোধকরি মহাজনের কাছে বন্ধক ছিল। কাজেই ছেলেকে ভাঙিয়ে পয়সা রোজগারের ধান্ধা করায় এলাকাবাসী এবং পরবর্তীতে বড় হয়ে গন্ধরাজ মহাশয় নিজেও তাঁর পরলোকগত পিতাকে কোন দোষারোপ করেন নি। তো কিভাবে খেল দেখাতো ছোট্ট গন্ধরাজ? ব্যাপারটা বেশ মজার। একটা বেশ লম্বা চোঙের মতো ডিব্বা থাকতো গন্ধরাজের কয়েকহাত সামনে, ডিব্বার মাঝে দর্শনার্থীরা কিছু একটা রেখে দিতো আগে থেকেই। আর হাতখানেক দূরে রাখা ডিব্বার ভেতরের বস্তুটি থেকে ভেসে আসা গন্ধ শুকেই সে বলে দিতে পারতো ভেতরে সাপ কি ব্যাঙ কি মিছরির দানা বা নতুন একশ টাকার নোট আছে।”
“দ্রুতই গন্ধরাজের সুনাম ছড়িয়ে পড়ল চারদিকে। এই সুনামে শুনে তাকে দেখতে এলেন ঐ এলাকার বিখ্যাত কবিরাজ জয়দেব। ছোট ছেলেটির ক্ষমতার নমুনা দেখে স্তম্ভিত জয়দেব বুঝলেন একে হাতছাড়া করা চলবে না। ছমিরুলের কাছ থেকে একরকম কিনেই নিলেন তিনি শিশু গন্ধরাজকে, তারপর তাকে বগলদাবা করে নিয়ে চললেন নিজের আস্তানার দিকে। যাত্রাপথে যত ওষধি গাছপালা চোখে পড়ল সেগুলোর গুণাগুণ ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করতে করতেই পথ কেটে যেতে লাগল। গন্ধরাজেরও খুব মজা লাগছিল, কারণ এই প্রথমবারের মতো তাকে একবেলার খাবারের জন্য পুলিশের কুকুরের মতো বসে বসে গন্ধ শুকতে হচ্ছে না। আর খ্যাপাটে বুড়োটাকেও তার মন্দ লাগছে না, সত্যি বলতে কি বাপকে ফেলে চলে আসার ব্যাপারে সে মোটেও দুঃখিত নয়। সে জানে মা’র মরণের পর থেকেই তার বাপ আরেকটা বিয়ের ধান্ধায় ছিল, এখন জয়দেবের দেওয়া টাকাটা খাটিয়ে ঘরে নতুন বউ আনবে। সৎমায়ের ঝাঁটার বাড়ি খাবার আগেই কেটে পড়তে পারছে এই খুশীতেই সে বাপকে ত্যাজ্য করে দিয়েছে সহজেই।”
“জয়দেবের আস্তানায় পৌছেতো গন্ধরাজ অবাক। বিশাল উঁচু উঁচু শেল্ফে হাজারো রকমের লতাপাতা। হাজারো গন্ধের ভিড়, এর অল্প কয়েকটিই কেবল তার চেনা। ঐদিন থেকেই জয়দেবের শিষ্যগিরি শুরু হল তার। একনিষ্ঠ ছাত্র পেয়ে জয়দেবও মহাউৎসাহে তার সকল অভিজ্ঞতার ঝাপিঁ মেলে ধরলেন ছোট্ট ছেলেটির সামনে। তার স্মরণশক্তিও ছিল ঘ্রাণের মতোই প্রখর তাই গন্ধরাজ খুব দ্রুতই শিখতে লাগল। চিকিৎসাও করতে লাগল জোরেশোরে, তার অব্যর্থ রোগনির্ণয় এবং ওষুধপ্রদানের কথা ছড়িয়ে পড়ল চারদিকে। শিষ্যের এ সুনাম বেশিদিন দেখবার সুযোগ হল না জয়দেবের। গন্ধরাজ প্রাণপণ চেষ্টা করেও গুরুকে বঁাচিয়ে রাখতে পারল না। সন্তানহীন জয়দেব তার সমস্ত কিছু পুত্রসম শিষ্যটিকে দিয়ে গিয়েছিলেন। মৃত্যুশয্যায় শায়িত জয়দেব তার প্রিয় শিষ্যকে কাছে ডেকে বললেন, তুই আমার থেকেও বড় কবিরাজ হয়ে গিয়েছিস রে ব্যাটা। একজন গুরুর কাছে এর থেকে বেশি আর কি চাওয়ার থাকতে পারে? শান্ত গলায় গন্ধরাজ বলল, গুরু আমি গন্ধ পাই, আমি রোগির গায়ের গন্ধ থেকে তার রোগ বুঝতে পারি এটাই আমার বিশেষ গুণ যা আমি আপনাকে কখনো বলি নি।”
“আর এই ইতিহাস বলেই গন্ধরাজ তার প্রতিটি রোগীর সাথে তার কথাবার্তার শুরু করে। এবং সেদিনকার রোগী পাবনার শংকর কুন্ডুর বেলাতেও তার ব্যতিক্রম হলো না।”
“অ্যা অ্যা! গল্প তাইলে কেবল শুরু হইল! আমিতো আরো ভাবলাম একটু মুতে আসবো।” সুমনের সতর্কবাণী সত্ত্বেও বোকা এনামটা চ্যাঁ চ্যাঁ করে উঠল।
“তুই যা না, তোকে কেউ ধরে রেখেছে নাকি?” এবার আমিই ধমক দিলাম “হ্যা, সৌরভ তুই বল, বেশ লাগছে।”
“হ্যা তো এভাবেই ইতিহাস দিয়ে গন্ধরাজ শংকরের সাথে বাতচিৎ শুরু করলেন, বুঝলে হে শংকর, এতো বয়স হয়েছে কিন্তু নাক ঠিক সেই ছেলেবেলার মতোই কাজ করছে। এই যে তুমি ঘরে ঢুকবামাত্রই বলে দিলাম তোমার ধাতুদৌর্বল্যের কথা সেটা কি তোমার ঐ ডিগ্রী ধারী ডাক্তাররা হাজারখানেক টেস্ট ছাড়া বলতে পারতো? কক্ষণোই না। এই কবিরাজি জীবন শুরু করবার পর একজন রোগীও আমার সামনে মরে নি। আর দিনে দিনে আমার এই ক্ষমতাটা আরো বাড়ছে প্রতিদিনই যেন আরো নতুন নতুন গন্ধ পাচ্ছি বুঝেছ হে। আরে আরেকবারতো কি হয়েছিল বুঝেছো – বলেই তিনি শুরু করলেন আরেক রোমহর্ষক কাহিনী – আন্দোলনের সময় কিভাবে পেছনে ধেয়ে আসা বুলেটের গন্ধ পেয়ে তিনি লম্ফ দিয়ে নিজের পিতৃদত্ত জীবনখানা রক্ষা করেছিলেন। কথা বলতে বলতেই নিপুণ হাতে তিনি এখান ওখান, এই বোতল ঐ শিশি থেকে একটা পাতা কি শিকড় নিয়ে হামানদিস্তায় পিষে একটা পুরিয়া বানিয়ে ফেললেন। তারপর পুরিয়া খাবার নিয়মকানুন বুঝিয়ে অন্য সকলরোগীর মতোই গন্ধরাজের মহিমায় বিমোহিত শংকরকে বিদায় করে চেয়ারে বসলেন। খানিকটা চিন্তিত। কারণ প্রতিদিন নতুন গন্ধ পাবার বিষয়টা সত্যি। এখন তিনি এমন এমন সব জিনিসের গন্ধ পাচ্ছেন যা জনসমক্ষে বললে লোকে তাকে পাগল ঠাউরে গারদে পুরবে। তিনি এখন রাগের গন্ধ পান, পান অভিমানের গন্ধ, ঘৃণা, অপমান, প্রতারণার গন্ধ। স্ত্রী আর একমাত্র ছেলে ছাড়া কাউকেই তিনি এ নতুন ক্ষমতার কথা বলেন নি। তাঁর স্ত্রী সরলমনে সব কথা বিশ্বাস করলেও বিজ্ঞানপড়ুয়া ছেলে মেনে নেয় নি। সে বলেছিল, বাবা আর লোক হাসিও না। তোমার এসব উদ্ভট কথাবার্তা দিয়ে গ্রামের অশিক্ষিত লোকদের মাথা ভাঙিয়ে খেলেও আমি মানছি না। আমার তো ধারণা তোমার গন্ধ পাবার পুরো ব্যাপারটাই বুজরুকি, একটা প্রথম শ্রেণীর ভন্ডামী। আমি নিজেই তো সবসময় তোমার গা থেকে ভন্ডামীর গন্ধ পাই।
ছেলের কথা মনে হতেই গন্ধরাজের কষ্ট হল। ছেলেটা সবসময়ই তাকে ঘৃণা করেছে, এবং সেটা কথাবার্তা থেকে নয় গন্ধ থেকেই তিনি বুঝতে পারতেন – কেন এ ঘৃণা কে জানে। কিন্তু এটা সত্যি যে তার ছেলে যখন ড্রাগ নেওয়া শুরু করল তখন ড্রাগসের গন্ধ থেকে নয় মিথ্যার গন্ধ থেকেই তিনি প্রথম ধরতে পারেন। বকাঝকা করে কোন লাভ হয় নি, ড্রাগ নেবার হার দিনে দিনে বাড়তে থাকে। আর তিনি চোখের সামনে নিজের ছেলেকে ধ্বংস হতে দেখেন – এখন তাঁর আদেশে ছেলেকে একটা ছোট কামরায় শিকল দিয়ে বেধে রাখা হয়। ছেলেটা এখন বদ্ধ উন্মাদ, তবে বাবার প্রতি ঘৃণা এখনো অটুট আছে। বাবাকে কাছে আসতেই দেয় না, চীৎকার চেঁচামেচি করে একাকার করে। একবারতো ছুটে গিয়ে বটি নিয়ে বাপকে কোপ দিয়ে বসেছিল – ভাগ্যে গন্ধরাজের স্ত্রী ধাক্কা দিয়েছিলেন নয়তো ঐদিনই তাঁর ভবলীলা সাঙ্গ হতো। ঐদিনই তিনি দুটো গন্ধ পেয়েছিলেন। এরমাঝে একটা গন্ধ হলো বিপদের ... যেটা তিনি আগেই সনাক্ত করেছেন। প্রথম বিপদের গন্ধ পেয়েছিলেন জয়দেবের বাড়িতে বিশাল গোখরো সাপের মুখোমুখি পড়ে। কিন্তু অন্য গন্ধটা চিনতেই পারেন নি, একেবারেই যে অজানা তাও না কিন্তু এর আগে কখন সেই গন্ধটা পেয়েছেন তা মনে করতে পারছেন না গন্ধরাজ। বয়সের সাথে ঘ্রাণশক্তি অবিকৃত থাকলেও স্মরণশক্তি ঠিকই ক্ষয় হয়ে গেছে।
কিন্তু আজ তিনি চিন্তিত কেন? কারণ আজ সকাল থেকেই তিনি বিপদের গন্ধ পাচ্ছেন। সময়ের সাথে তা তীব্র হচ্ছে। ফোন ব্যবহার করেন না বলে বাসার খবরও নিতে পারছেন না। কঠোর নিয়মের অনুসারী গন্ধরাজ সন্ধ্যার আগে চেম্বার ছেড়ে বের হন না, তাই প্রাণ ছটফট করলেও ঠায় বসে রইলেন, রোগীও দেখলেন দু চারটে। শেষমেষ মাগরিবের আজান দেওয়ামাত্রই তড়িঘড়ি করে চেম্বারে তালা দিয়ে ঘরের দিকে ছুটলেন। ঘরের যতই কাছে আসছেন আর বিপদের গন্ধের তীব্রতা বাড়ছে, নিসন্দেহে ঘরেই কিছু না কিছু হয়েছে। তার বাড়ির গলিতে পৌছতেই কারেন্ট চলে গেল। দূরের স্ট্রীটলাইটের ক্ষীণ আলোতেই কোনমতে খানাখন্দ এড়িয়ে দু পা ফেলতেই থমকে দাঁড়ালেন। কারণ একটা পরিচিত শরীরের গন্ধ পাচ্ছেন তিনি, কিন্তু সে কিভাবে ছাড়া পেল? সামনে ঠাহর করতে একটা ছায়ামূর্তির আদল স্পষ্ট হল।
তিনি জোর করে গলার স্বর শান্ত রেখে ডাকলেন, কিরে বাসায় সব ঠিক তো?
মূর্তিটি এক পা এগিয়ে এল, এবার বোঝা গেল তার হাতে কিছু একটা রয়েছে। সে জিনিসটার গন্ধ গন্ধরাজের নাকে আসতেই তিনি শিউরে উঠলেন, তিনি বস্তুটা চিনতে পেরেছেন – বাবা, ওটা হাতে কেন? ওটা ফেলে দে – তিনি মিনতি করলেন।
তার ছেলে আরো এক পা এগিয়ে এল। এবার তিনি আরো একটি গন্ধ পেলেন। সেই অচেনা গন্ধটি। তার ছেলের উন্মত্ততার সময় একবার পেয়েছিলেন, কিন্তু এরও আগে যে কোথায় গন্ধটা পেয়েছেন ...
তার ছেলে এবার হাতের ধারালো অস্ত্রটি উঁচু করল। গন্ধরাজ নড়তেও পারছেন না, তার শরীর শক্ত হয়ে গেছে। আর মন প্রাণপণে গন্ধটা চেনার চেষ্টা করছে ...
ছেলে কোপ দেবার জন্য প্রস্তুত, এবার আর ঠেকাবার কেউ নেই। আর তখনি গন্ধরাজের মনে পড়ল কোথায় গন্ধটা পেয়েছিলেন ... তাঁর গুরু জয়দেবের মৃত্যুশয্যায় ...
আর তাই বাবা চেঁচিয়ে উঠলেন, মনে পড়েছেরে সৌর! ওটা মরণের গন্ধ!
ওটাই ছিল গন্ধরাজের শেষ কথা। ”
“স্যার আফনাদের চা আর নাস্তা।” মজনুর দোকানের ছোট ছেলেটি আমাদের ঘোর কাটিয়ে দিল। এনাম আর সুমন দুটোই ঘুমিয়ে পড়েছে – একটা গাজার প্রভাবে আরেকটা ঘিলুর অভাবে। দুটোকেই ডেকে উঠিয়ে সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া সেরে বিদায় নিলাম। আমার আর হাসানের বাসা কাছাকাছি হওয়ায় একসাথে এগোলাম।
অনেক্ষণ কারো কোন কথা নেই, তারপর হাসান বলে উঠল,
“এনাম আর সুমন বোধহয় কিছুই খেয়াল করে নি তাই না?”
“আমিরুল তালুকদার।” আমি হঠাৎ বললাম।
“কি?”
“সৌরভ। সৌরভের ভালো নাম আমিরুল তালুকদার।”
হাসানের মুখ বোয়াল মাছের মতো হাঁ হয়ে গেল, সে খাবি খেতে খেতে বলল
“একটু খোঁজ নিলেই হবে। ওর হলের রেজিস্টারের কাছে গিয়ে ওর বাবার নাম আর ঠিকানা জিজ্ঞেস করে-”
“কোন দরকার নেই।”
“মানে? কি বলছিস তুই, দরকার নেই মানে?”
“একটা ভালো গল্পকে নষ্ট করবার কোন মানে আছে কি?” বলে হতভম্ব হাসানকে ফেলে আমি এগিয়ে গেলাম।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:২১
৩৬টি মন্তব্য ৩৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিশ্বাসীকে লজিকের কথা বলার দরকার কি?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:১৭




হনুমান দেবতা এবং বোরাকে কি লজিক আছে? ধর্ম প্রচারক বলেছেন, বিশ্বাসী বিশ্বাস করেছেন ঘটনা এ পর্যন্ত। তাহলে সবাই অবিশ্বাসী হচ্ছে না কেন? কারণ অবিশ্বাসী বিশ্বাস করার মত কিছু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের শাহেদ জামাল- ৭১

লিখেছেন রাজীব নুর, ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৫৪



শাহেদ জামাল আমার বন্ধু।
খুব ভালো বন্ধু। কাছের বন্ধু। আমরা একসাথেই স্কুল আর কলেজে লেখাপড়া করেছি। ঢাকা শহরে শাহেদের মতো সহজ সরল ভালো ছেলে আর একটা খুজে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভাবছিলাম ২ লক্ষ ব্লগ হিট উপলক্ষে ব্লগে একটু ফান করব আড্ডা দিব, কিন্তু এক কুৎসিত অপব্লগার সেটা হতে দিলোনা।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:০৫



এটি ব্লগে আমার ২৬০ তম পোস্ট। এবং আজকে আমার ব্লগের মোট হিট ২০০০০০ পূর্ণ হয়েছে। আমি আনন্দিত।এই ছোট ছোট বিষয় গুলো সেলিব্রেট করা হয়তো ছেলে মানুষী। কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শয়তান বন্দি থাকলে শয়তানি করে কে?

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:২০



রমজানে নাকি শয়তানকে বেধে রাখা হয়,তাহলে শয়তানি করে কে?

বহুদিন পর পর ব্লগে আসি এটা এখন অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। বেশ কিছু বয়স্ক, মুরুব্বি, সম বয়সি,অল্প বয়সি একটিভ কিছু ব্লগার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বয়কট বাঙালি

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:২৪



কদিন পরপরই আমাদের দেশে বয়কটের ঢল নামে । অবশ্য তাতে খুব একটা কাজ হয় না । বাঙালির জোশ বেশি দিন থাকে না । কোন কিছু নিয়েই বাঙালি কখনই একমত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×