somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এক মায়ের চোখের পানি ভারতের মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হতে প্রেরণা যোগাচ্ছে।

৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


গত দুই বছর আগে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সরকারি মদদে ভারতে মুসলিমদের ওপর নির্যাতন নিপীড়নের মাত্রা ভয়াবহভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্ষমতাসীনদের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন নিয়মিতভাবে মুসলিমদের তুচ্ছ ঘটনায় হত্যা পর্যন্ত করছে। এছাড়াও নানাভাবে নিপীড়নের পাশাপাশি অব্যাবহতভাবে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়িয়ে চলেছে হিন্দুত্ববাদীরা। সরকার ও পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করায় অনেক এলাকায় নির্যাতনের মাত্রা স্থানীয় মুসলিমদের সহ্যের বাইরে চলে গেছে।
সম্প্রতি দিল্লীতে এমনি কয়েকটি ঘটনা ঘটে। দিল্লী পুলিশ কোনো প্রমাণ ছাড়াই স্থানীয় আরএসএস কর্মীদের উস্কানিতে ১৩জন মুসলিম তরুণকে ‘বোমা হামলা’র পরিকল্পনার অভিযোগ তুলে গ্রেফতার করে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি।
প্রকৃতপক্ষে, ওই তরুণরা খুবই সাধারণ পরিবারের ছেলে। তাদের বিরুদ্ধে ছোট খাটো কোনো অপরাধেরও অভিযোগ কখনো ছিল না।
গ্রেফতার হওয়ার পর আটকদের পরিবার যোগাযোগ করেন ভারতের মুসলিম নেতাদের সঙ্গে। তারপর তাদের হস্তক্ষেপে ১১ জন মুক্তি পান। কিন্তু এখনো ২জন আটক রয়েছেন।
আটক ছেলেদের একজনের মা দেখা করেন ভারতে বিখ্যাত বেরলভি পরিবারের সদস্য মাওলানা তৌকির রাজা খানের সাথে। সাহায্য চান তার ছেলেসহ নির্যাতনের শিকার হতে থাকা নিরীহ মুসলিম ছেলেদেরকে রক্ষার জন্য। ওই মায়ের কান্নায় বিচলতি হয়ে পড়েন তৌকির রাজা। বুঝতে পারেন ভারতে মুসলিমদের এমন দূরাবস্থা থেকে উদ্ধারে সকল বিভাজন পেছনে ঠেলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সিদ্ধান্ত নেন ধর্মীয় চিন্তাচেতনায় তার ঘোর বিরোধী দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিমের সাথে সাক্ষাৎ করে করণীয় নিয়ে আলোচনা করবেন।
সে অনুযায়ী গত ১০ মে মুহতামিম মাওলানা আবুল কাসিম নোমানীর সাথে সাক্ষাৎ করেন তার অফিসে গিয়ে। প্রখ্যাত দুই আলেমের এই ঐতিহাসিক সাক্ষাৎ ভারতের মুসলমান, এমনকি অমুসলিমদের মধ্যেও আলোচনার সৃষ্টি করেছে।
সাক্ষাতে তারা উভয়ে ভারতের মুসলিমদের জন্য কাজ করতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই বলে নিজেদের মত ব্যক্ত করেন এবং এক সাথে কাজ করার প্রতিজ্ঞা করেন। নোমানীর সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদেরকে তৌকির রাজা খান বলেন, “এখন সময় এসেছে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এবং যারা আমাদের নিরিহ ছেলেদেরকে জেলে পুরতে চায় তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার।”
দেওবন্দি এবং বেরলভিপন্থীদের এমন ঐক্যের ডাক দেয়ার বিষয়ে ভারতের জামিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়ার ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক স্টাডিজের অধ্যাপক প্রফেসর আখতার উল ওয়াসি বলেন, আমাদের ছেলেদেরকে সিস্টেমেটিক নিপীড়নের টার্গেট বানানো হচ্ছে। তারা আমাদেরকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে হেয় করতে চায়। যদি শত্রুরা আমাদেরকে এক চোখে দেখতে পারে, আমাদের ধর্মীয় মতপার্থক্যকে আমলে না নিয়ে সমানভাবে আমাদের বিরুদ্ধে শত্রুতা করতে পারে, তাহলে আমরা কেন নিজেদের মধ্যে পার্থক্য জিইয়ে রাখবো?”
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ১০:০০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×