কান্নার দাগ না শুকাতেই
কান্নার দাগ না শুকাতেই অনেকটা জোর করেই বিয়ের পিড়িতে বসিয়ে দেয়া হলো রুনা ও রত্নাকে। এক সপ্তাহও হয়নি স্মরনকালের ভয়াবহ অগ্নিকান্ড কেড়ে নিয়েছে নিমতলীর রত্না-রুনার পরিবারের স্বজনদের। অথচ দুই দিন না যেতেই তাদের বসিয়ে দেয়া হচ্ছে বিয়ের পিড়িতে। কিন্তু কেন? এত তাড়া কিসের? রুনার স্বামী জামিল বলেছে সে রুনাকে উঠিয়ে নিবে ৪০ দিন পার হওয়ার পর। তাহলে সরকারের এত তাড়া কিসের? কেন তাদেরকে স্বাভাবিক হওয়ার সময়টুকু দিতে পারছেনা? কারন সরকার জানে “তাওয়া গরম থাকতে থাকতেই রুটি সেকতে হবে”। মায়াকান্না দেখানোর এমন মোক্ষম সুযোগ হাতছাড়া করবে কেন?
রত্না-রুনার স্বামীর চাকরিও সরকার দিয়ে দিবে। এটাকে রুনাদের সৌভাগ্য বলবেন না দুর্ভাগ্য? যে সরকার আজ তাদের জন্য এত মায়া দেখাচ্ছে দুদিন আগে তারা কোথায় ছিল? সরকারের যে যে দপ্তর/প্রতিষ্ঠান জনগনের জান-মালের নিরাপত্তা তদারকির জন্য দায়িত্ব প্রাপ্ত ছিল তারা যদি তাদের দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করত তাহলে রুনাদের হয়ত এভাবে স্বজনহারা হতে হতনা। কিন্তু কই আমরা তো দেখলামনা কোন বিভাগীয় মন্ত্রী বা উচ্চপদস্ত কেউ দায় স্বীকার করেছেন, কিংবা পদত্যাগ করেছেন, কিংবা দায়িত্বে অবহেলার জন্য কেউ শাস্তি পেয়েছেন। কারন কার কি দায়িত্ব তারা নিজেরাই জানেননা। এবং জনগনের প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতাও নেই। এমন ঘটনা বার বার ঘটছে এবং ঘটতে থাকবে এবং প্রতিবারই কোন না কোনা রুনা-রত্নার জন্য সরকার মায়াকান্না দেখাবে তারপর সব ভুলে যাবে। আর আমরা জনগনও চোখ মুছতে মুছতে আবার যার যার কাজে ব্যস্ত হব।
সরকার আজ খুব ব্যস্ত রুনা-রত্নার বিয়ে দেয়ার জন্য। অথচ মাত্রই বেগুনবাড়ীতে ঘটে গেছে আরেক ভয়াবহ দুর্ঘটনা। সেখানেও ২৫ জনের মত নিরপরাধ মানুষ জীবন দিল। কিন্তু কই সরকার তাদের জন্য কি করেছে? সেখানে কি সরকার রুনা-রত্নাকে দেখতে পায়না? প্রতিবছর লঞ্চ ডুবছে আর শত শত পরিবার হারাচ্ছে তাদের প্রিয় স্বজন, প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছে, আজও আইলায় সর্বস্ব হারানো হাজার হাজার মানুষ একটু সাহায্যের আশায় পথ চেয়ে বসে আছে; সরকার তাদের মাঝে রুনা-রত্নাকে দেখতে পায়না। তাদের সেই চোখ নেই।
সরকারী সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য তাহলে আমাদের প্রত্যেককেই কোন না কোন প্রিয়জনকে হারাতে হবে, কি বলেন?
আলোচিত ব্লগ
আমার কিছু ভুল!
১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...
অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা
আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************
যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন
কুড়ি শব্দের গল্প
জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!
সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন