somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হোক হরতাল-অবরোধমুক্ত

৩১ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সংঘাতময় হরতাল-অবরোধে আমরা দেখেছি মৃত্যুর মিছিল। হাসপাতালের বার্ন ইউনিটগুলো যেন হাবিয়া দোযখ। এমন অস্থিতিশীল সময়ের মধ্য দিয়েই আমাদের শিক্ষার্থীরা পার করল এসএসসি পরীক্ষা ২০১৫। এরই মধ্যে শুরু হতে যাচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা। এভাবে আর কতদিন। সবুজ-শ্যামল বাংলাকে পাকিস্তান, আফগান, সিরিয়া, ইরাক বানানোর অপচেষ্টা কার বা কাদের স্বার্থে। শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় মাস গিয়ে চতুর্থ মাসে অবস্থান করছে। অথচ কোমলমতি শিক্ষার্থীরা তাদের প্রিয় বিদ্যাপিঠে যেতে পারছে না।
যারা হরতাল-অবরোধ করছেন তাদের হাতে ক্ষমতা চলে গেলেই কি দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে? দেশের কল্যাণ হবে? দেশের সর্বত্র শান্তি বিরাজ করবে? ইতিহাস কিন্তু সেই সাক্ষ্য দেয় না। তাই সরকার এবং সরকারবিরোধীদের নৈতিক জায়গা আরো স্বচ্ছ হওয়া প্রয়োজন। আমাদের রাজনীতিতে যে নতুন অপসংস্কৃতির আগ্রাসন শুরু হয়েছে সেখানে নিত্যপণ্য, শিশুখাদ্য, হাসপাতাল, সংবাদমাধ্যম ইত্যাদির পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও হরতাল-অবরোধমুক্ত হওয়া দরকার।
কারণ, আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের জাতির কর্ণধার। আমাদের রাজনীতিবিদরা দেশের স্বার্থে, মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করেন। তাই তাদের কর্তব্য শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখা।
বর্তমান সরকার সাংবিধানিকভাবেই দেশ শাসন করার অধিকার রাখে। সেই সাথে তারা বিশ্ব রাজনীতির সমর্থনও আদায় করে নিতে সক্ষম হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারবিরোধীরা চাইলেই রাজনৈতিক পট পরিবর্তন করে ফেলতে পারবেন এমনটা নয়। বিগত প্রায় তিন মাসের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তার প্রমাণ। তাই বিরোধী দল নিজেদের অবস্থান বুঝে আন্দোলন সংগ্রাম করবেন এটাই কাম্য। একই সাথে তাদের আন্দোলন সংগ্রাম যেন রাষ্ট্রের এবং জনগণের জন্য পজেটিভ হয় তাও মাথায় রাখতে হবে।
অনুরূপভাবে সরকারের কাছ থেকেও এমন পদক্ষেপ বা আচরণ আশা করছি যা দেশের জন্য কল্যাণকর। এক্ষেত্রে উভয়েরই যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে তা হলোÑ আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন তাদের শিক্ষাজীবন নির্বিঘেœ পার করতে পারে।
একটি দেশের বা জাতির শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাওয়া মানে ওই জাতির মেরুদণ্ড ভেঙে যাওয়া। ইতিহাস অন্তত তাই বলে।
তাই আমাদের জাতীয় স্বার্থে আমাদের শিক্ষা খাত হরতাল-অবরোধমুক্ত হোক এ প্রত্যাশা শিক্ষার্থীদের, শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের, সচেতন অভিভাবকদের, শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সবার এবং দেশের সচেতন প্রতিটি মানুষের।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×