অনেকদিন যাবত কবিতা লিখা হচ্ছেনা।কি লিখবো তা নিয়ে ভাবনাও তেমন নেই।মাঝে মাঝে পুরনো কবিতার খাতা অথবা ডায়েরীগুলোর পাতা উল্টে দেখি।দু একটা পড়ি।কোন কোন কবিতার একটু আধটু পড়াকালীন অযতনে পড়ে থাকা অথবা ভুলে যেতে চাওয়া পুরনো স্মৃতিগুলো ক্রমেই পরিষ্কার হতে থাকে আমার আকাশ থেকে দূরত্বে যেতে থাকা মেঘদলের সমানুপাতিক হয়ে।তখন কবিতার পাঠ থেকে যায় অসমাপ্ত।মুখর হয়ে ঘুড়ি ওড়ানোর মাঝে হঠাৎ নাটাই থেকে সুতো ছিড়ে যাবার মতো।ব্যাপারটা ভেবেও যেন ভাবিনা।নির্ভাবনার স্তুপ জমতে জমতে তা ভাবতে বাধ্য করে।অতশত না নিরূপণ করে বসলাম ফেসবুকে।দিন কতক পর।কত স্ট্যাস ,ছবি ,লাইক ,কমেন্ট।আহা মন ছুটে এসবের পাছে।ছুটতে ছুটতে মাঝপ্রহরে থেমে গেলাম একটি ছবিতে।অনেক চেনা তবুও ইদানিংকালে তাকে অচেনা মনে হয়।তবুও চিনতে চাই।প্রতিবার ,নতুন করে।অনেক চিনতে গিয়ে কিছুটা চেনা হয়েছিলো ,প্রতিবার একই আবেশে।এখন রাতের শূন্যতা জেগে উঠতে শুরু করেছে।আমি ভাবনাহীন।অথচ……………
ছবিটা আবার দেখলাম।মনের ভেতর কিছু একটার আস্ফালন হলো।ইচ্ছে করে দূরে রাখা স্মৃতিগুলোকে কাছে ডাকলাম।ইরাকে দেয়া পেইন্টিংটা আজ আবার আকতে ইচ্ছে হলো।কিন্তু আকলাম আপলোড করা ইরার ছবির রূপ।উপরে আকাশ।একাকী সে।আর শহরের বাড়িগুলো যেন উদাসভীষণ।ইরা প্রথম দিনগুলো থেকেই আমার ভাবনার সূচনা।বলতে পারিনি।ও কিভাবে যেন জেনে গেল একসময়।কিন্তু তখন সময় আর সে চলে গেছে বহুদূর।আর আমি আটকে রইলাম ভাবনাহীন শব্দের রূপান্তরে।
ফেসবুকে কিছু কথা আকিবুকি করে একটা পোষ্ট দিলাম। ইরার ছবিটায় দু মিনিটে কমেন্ট পড়েছে ১৩ টি,আমি ১৪ নং কমেন্ট করলাম।নোটিফিকেশন চেক করে সদ্য দেওয়া আমার স্ট্যাসে দেখি ১৪ টা লাইক পড়েছে।ব্যাপারটা কাকতালীয়। অবচেতনে মনে এলো ১৪ ফেব্রুরীর কথা।আমার কথামালায় ইরার কমেন্টটা পড়ে কিছু বলা হলোনা।কারণ সে লিখেছে যাকে ভেবে লিখেছ সে যেন তোমার হয়।আমি খানিকক্ষণ দীর্ঘশ্বাসের আমন্ত্রণে গেলাম।তাকে যে এই শ্রাবণে ছুঁয়ে যাবার শব্দযুগলের নাম হয়ে যায় অপেক্ষা,বড় একাকী।
ফিরে এসে ভাবছি ইরা কখনোই জানবেনা এটা তার ছবির শব্দদল।ছবির অন্যরূপ।কখনো বইয়ের মলাট উল্টে বলবে ভালো হয়েছে অথবা আরেকটু ভালো হতে পারতো।কিন্তু অভিমান করে কখনোই বলবেনা তুমি একটা ছন্দহীন কবিতা অথবা খুব খারাপ তুমি।uthsorgo পাতায় সব থাকবে ,শুধু থাকবেনা সে আমার shopno ডানার সঙ্গী কথাটি।