ডুব দেখার পর থেকেই ডুবের চরিত্রগুলোকে চারপাশে অনুভব করছি। ডুবে আছি আহারে জীবন,আহা জীবনে। এমন কিছু মুহুর্ত আছে যেগুলো বারবার ভাবাচ্ছে।
জাভেদ হাসানের সঙ্গে তার মেয়ের বোঝাপড়া। মায়ার সঙ্গে তার দূরত্ব। মায়ার জন্মদিনে আগের ভুল ভাবনা মুছে মেয়ের জাদুকরী মুহূর্ত সৃষ্টি করা। বহুদিন পর ফোনে ছেলেকে জাভেদের আবেগমাখা প্রশ্ন কেমন আছ বাবা,এসবই নাড়া দিয়েছে। বাবার জন্য মেয়ের গ্লাসভর্তি পানি নিয়ে যাওয়া কিংবা মৃত্যুর পর তার কফিন ছুঁয়ে মেয়ের কান্না এক অদ্ভুত হাহাকার জাগিয়েছে। জাভেদ যখন মৃত্যু সম্পর্কিত কথাগুলো বলেন তখন যেন কিছু একটা তাড়িত করেছে মনকে।
সিনেমার ভালো মন্দ না খুঁজে প্রতিটি চরিত্রের সঙ্গে মিশতে চেয়েছি। বুঝতে চেয়েছি তাদের সম্পর্কের নানা জটিলতা,বোঝাপড়া,দূরত্ব,ভালবাসা,স্নেহ,তাদের জীবনবোধ কিংবা পরস্পর থেকে আড়াল হবার বিষয়গুলো। ডুবকে কেমন প্রত্যাশা করেছিলাম তার চেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে ডুবের চরিত্রগুলো উপলব্ধি করতে পেরেছি কিনা,যা বলতে চেয়েছে বুঝতে পেরেছি কিনা,স্পর্শসুখের মুহূর্তগুলো আশপাশে খেলা করছে কিনা। ভাল নাকি মন্দ সে বিতর্ক করাটা কথার অপচয় ছাড়া কিছুই না। একটা সিনেমার চরিত্রেরা আমাকে স্পর্শ করেছে,তাদের নানা ঘটনার সঙ্গে হেসেছি,কেঁদেছি,ভেসেছি,আকুলতার ষোলকলা পূর্ণ করেছি এসবই আমার কাছে মূল বিবেচ্য বিষয়। সিনেমা স্লো নাকি ফাস্ট,গান কয়টা আছে,কার সঙ্গে মিল আছে বা নেই এসব চিন্তা করাটাই সময়ের অপচয়।
ডুব আমাকে আকুলতায় ডুবিয়েছে। এটাই ডুবের সাফল্য।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:২৩