ভাষার মাস চলছে। এই ভাষা অর্জন করতে যে লড়াই হয়েছে সে ভাষার মর্যাদা রক্ষায় কোন লড়াই কি হচ্ছে?
নিজেকেই করছি প্রশ্নটা।
আমরা কি শুধুই আনুষ্ঠানিকতার বৃত্তে আবর্তিত হচ্ছি? দিবস পালনেই কি শেষ করছি? বইমেলা হলো আর দায়িত্ব শেষ?
প্রত্যেক বাঙালীর উচিত বাংলা ভাষার প্রমিত উচ্চারণ জানা। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া প্রত্যেক শিক্ষার্থীর উচিত প্রমিত বাংলা উচ্চারণ শেখা। শুদ্ধ বানান শেখা। প্রতিদিন কতো বানান ভুল হয় সেটা অকল্পনীয়। একটু সাবধান হলেই এই ভুল থেকে মুক্তি মিলবে।
বাঙালী হিসেবে আমাদের অনেক অর্জনই আছে। এই অর্জনটা করতে পারলে আরেকটা ইতিহাস হতো।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কে শেখাবে ওদের? কয়টা প্রতিষ্ঠান আছে? উচিত শিক্ষাই যেখানে হ য ব র ল,সেখানে এটা বাস্তবায়ন করা কঠিন। অসম্ভব নয়। স্ব উদ্যোগে এটা শেখা যেতে পারে। স্কুল পর্যায়েই এটা করা যায়। বাংলা উচ্চারণ নিয়েই একটা আধেয় হতে পারে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উচ্চারণের ক্লাস থাকা মানে সেখানেই আরেকটি শুদ্ধতার চর্চা।
একজন বাঙালী হিসেবে আমার ভাষার প্রমিত উচ্চারণটা না জানলে,সঠিক বানান না জানলে একটা বিরাট অপূর্ণতা থেকে যায়। এই অপূর্ণতা কোন কিছু দিয়েই ঘোচানো যায়না।
এটা অত্যন্ত গর্বের হবে,আমি বাঙালী,আমার ভাষার শুদ্ধরূপ জানি। বানানে এবং উচ্চারণে।
বাংলা একাডেমী আরো বিস্তৃত পরিসরে কোন উদ্যোগ নেবে কি?
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:১০