somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হড় কাহিনী (১)

৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ১১:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিষয়: জাতিগত পরিচয় থেকে ধর্মীয় পরিচয়ে রূপান্তর
---------------
গত কয়েকদিন আগে একজন হড় এইচএসসি পরীক্ষার্থী ইতিহাস পরীক্ষা দিয়ে আসার পরে আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম পরীক্ষা কেমন হলো ?
-সে বলল ভালোই হয়েছে।
হঠাৎ কি মনে করে আবার তাকে জিজ্ঞেস করলাম আচ্ছা আদিবাসীদের, হড়দের ইতিহাস কিছু জানো? তোমাদের সিলেবাসে কি আদিবাসীদের কোন ইতিহাস আছে?
- সেরকম কিছু নাই তবে একজায়গায় সাঁওতাল বিদ্রোহের কথা শুধু বলা আছে বলে সে প্রতিউত্তর দিল।
আমি অাবার জিজ্ঞেস করলাম যে আর কি কি জানো? আচ্ছা বলোতো হড়দের সৃষ্টি কিভাবে হলো, হড়দের সৃষ্টিকর্তার নাম কি? হড়দের কি কি উৎসব আছে?
-সে একেবারে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বললো আমিতো কিছু জানিনা এবং আমাকে উল্টো জিজ্ঞেস করলো যে হড়দেরও সৃ্ষ্টিকর্তা আছে নাকি?
আমি বললাম কেন থাকবে না। পৃথিবীর সকল জাতির কাছেই পৃথিবী সৃষ্টির তত্ত্ব আছে। তাদের নিজেদের ভাষায় সৃষ্টিকর্তার নাম আছে। তারপরে আমি তাকে সরাসরি নামটি না বলে হড়কোরেন মারে হাপড়ামকো রেয়াঃ কাথা বইটি তাকে দিবো বললাম। আর বললাম যে তোমার পরীক্ষা শেষ হলে বইটি পড়ে আমাকে উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর দিও।
-আমার কথা শেষ হতেই সে সহরায় এবং বাহা পরবের কথা বলে উঠল এবং বলল যে আমরা বড়দিনের সময় সহরায় করি এবং পাস্কার (স্টার সানডে) সময় বাহা করি।
এটা শুনে আমার মাথায় আকাশ পড়ার মতো অবস্থা হলো। আমি তাকে বললাম বুঝেছি, খ্রিস্টান ধর্ম প্রচারকরা নিশ্চয় এইটা শিখিয়েছে যে সহরায় ও বড়দিন এক এবং বাহা ও পাস্কা এক তাইনা?
-ছেলেটি বলল তা জানিনা তবে এইভাবেই দেখে আসছি, আমাদের গ্রামে যেটা বড়দিন সেটাই সহরায় আর যেটা পাস্কা সেটাই বাহা।
আরো বেশ কিছু দিন আগের একটি কথা যথন ছেলেটির সাথে প্রথম পরিচয় হলো। তার বাড়ির ঠিকানা বলতে গিয়ে সে বলেছিল "আমার বাড়ি মারিয়ামপুর মিশনে"। তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম এই তোমার বাড়ি কি মিশনের ভিতরেই নাকি।
-সে বলল না না মিশনের ভিতরে হবে কেন?
তাহলে তোমার গ্রামের নাম কি?
-তখন সে বললো শ্যামপুর।
আমি বুঝলাম যে ছেলেটি শুধু ধর্মীয় পরিচয়েই বড় হচ্ছে। খ্রিস্টান ধর্মীয় ব্যবসার জালে এই কেবল বেড়ে উঠা ছেলেটিও ধরা খেয়েছে যেখানে হড়দের সৃষ্টিকর্তা বলে কেউ নেই বলেই তাকে শেখানো হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ১১:৩৬
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×