চির সুখী জন
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
যারা একটি ফূলকে বাঁচানোর জন্য যুদ্ধ করে এ দেশকে স্বাধীন করেছে, তারা পারে না গাছের পরে গাছ কেটে ফেলতে, যারা একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরেছিল , তরা পারে না পেট্রোল বোমা দিয়ে নীরিহ মানুষকে পুড়িয়ে মারতে। তাহলে কারা পারে? নি:সন্দেহে বাঙালী যাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছিল , সেই সব কালসাপদের ডেও রা।এরা তাদের পুরর্ব পুরুষদের হেরে যাবার গ্লানির জ্বালা জুড়াতে আজ প্রতিশোধ মুথখর হয়েূ গেছে।
প্রতিটি সুস্থ , মানবিক গুন সম্পন্ন মানুষ তা বুঝবেন। বুঝবেন না কারা ? যারা আজ ক্ষমতা হারিয়ে লুলা ল্যাংরা হয়ে বসে আছেন। যাদের রাষ্ট্র ক্ষমতার প্যালা ছাড়া দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই। আর তারাই ঐ কালসাপদের ডেওদের কথায় উঠছে আর বসছে। কারণ তাদদের তো কিছু হারাবার বেদনাও নেই ভয় নেই। তাদের ছেলেমেয়ে সব হাতের না্গালের বাইরে।
নতূবা এই এস, এস,সি পরীক্ষা সামনে কি করে অবরোধ বহাল রেখে ৭২ ঘন্টা হরতাল ডাকেন? তারা কি জানেন না যে কত বিধবা মাতা আজ ১০টা বছর লোকের বাড়ী ঝিগিরি করে তার সন্তানকে পরীক্ষার উপযোগী করেছেন? কত মাতা হয়তো গরু, ছাগল বেঁচে ফরম ফিল আপ করেছে, কত মেয়ের এই পরীক্ষায় পাশ করলে হয়তো একটা ভালো বিয়ে হবে। কতজন আছে এই পরীক্ষায় পাশ করে একটা পিওনের চাকরীর স্বপ্ন বুনছে।
ম্যাডাম না হয় লেখা পড়ার মর্যাদা বুঝেন না্ কারণ তিনি লেখা পড়া না করে ৩ বার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী হয়েছেন। তাঁর ছেলেরা লেখাপড়া না করে যুবরাজের মতো চলন ফিরন করেছে। তিনি আজ সবচেয়ে অসহায় মহিলা।তিনি আজ সবামী হারা, সন্তান হারা, একটি সন্তান থাকলেও সে আজ চোখের বাইরে। এ জনমে তার দেখা পাবেন কিনা তাও আজ অনিশ্চিত। ম্যাডাম স্বামীহারা স্ত্রীদের অসহায়ত্বম, নি:সঙ্গতা এগুলো কিছুই বোঝেন না., কারণ তার স্বামী মারা যাবার পর তার হয়েছিল পোয়াবারো।
এটাতো আমরা একটু চোখ খুলে তাকালেই দেখতে পারি। তাই বলে তার আশে পাশে বহু ব্যারিস্টার. কর্নেল আছেন তারাও কি লেখা পড়া বুঝেন না? তাদের নাড়ীতে কি অভাব অনটনের গন্ধ নেই? তারা কি করে এই সিদ্ধান্ত মেনে নিলেন? শ্লোগান খুব শুনি দলের চেয়ে দেশ বড়। কোথায়? এখন তো ক্ষমতার জন্য হন্নে হয়ে উঠেছে ২০ দলের নেতারা?
আপনারা কি একটু অনূভব করতে পারছেন না? যে মা বাবার ঘরে আজ একটি সন্তান আছে যে এবারে এসএসসি দেবে, সেই মা বাবা কি দুশি্চন্তায় পার করছেন দিন রাত? তার কাছে মনে হচ্ছে ২ তারিখ যেন না আসে। আদরের সন্তান যেন কোল ছাড়া, বুক ছাড়া না হয়।ঈশ্বর যেন ২ কে বিভীষিকাময় না করে।
ম্যাডাম ছিলেন মেজরের বউ। মেজরের বউ রা বড় মেজর হয়। প্রচলিত কথা। তারা নাকি শুধু পেট থেকে ছেলে মেয়ে বের করে দেয়। বাকী সব করে চাকর বাকর। অতএব তার সংগে তো সন্তানের নাড়ীর বাঁধনে বাঁধা না পড়ারই কথা।। কি করে বুঝবেন তিনি সন্তান হারানোর বেদনা? নাহলে তিনি টিসু হাতে ছেলের মরা মুখ দেখতে আসেন?? বিশ্বে এমন ঘটনা বিরল্। আজ মানুষ যে বলছে আল্লাহ বেগম জিয়া কে হাতে হাতে রায় দিয়েছেন্।
তিনি তো চির সুখীজন, ব্যথিতের বেদন বুঝবার ক্ষতা তিনি কোথায় পাবেন। তিনি মেজরের বউ, সেনা প্রধানের বউ, প্রেসিডেন্টর বউ,। ম্যাডাম জিয়া, আপনার বয়স হয়েছে, আপনি আজ অন্যের কথায় চলছেন, তারা আপনাকে আলেয়ার আলো দেখাচ্ছে। দেশের মানুষের কান্না আপনাকে শুনাচ্ছে না।আপনাকে ক্ষমতার মোহে অন্ধ করে ফেলেছে। এভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায় না। আবার নির্বাচন হলেই যে আপনি প্রধান মন্ত্রী হবেন এ নিশ্চয়তা কি জনগন আপনাকে দিয়ে রেখেছে?
তাই আপনার কাছে সবিনয় অনুরোধ আপনি উটপাখীর মতো চোখ বন্ধ করেন থাকরেন ন। চোখ খুলুন দেখুন শত সন্তান হারা মাকে, স্বামী হারা স্ত্রীকে , যান ঢাকা মেডিক্যাল এর বার্ণ ইউনিটে। দেখুন জ্বালা পোড়ার যন্ত্রণাকে।আপনার মরা ছেলেকে নিয়ে তারা রাজনীতি করছে, এর পরেও আপনি আজ নিরব, এখানেও কি আপনি আপোষ হীন? আজ মনে হয় সেই বিখ্যাত সংলাপ, “ একখান কথা ক গুলাপী, একখান কথা ক” ।
সনাতন ধর্মে বিশ্বাসীদের মৃত্যর পর জড় দেহটাকে পুড়ানো হয় । তাই এতেও অনেক হৃদয় ব্যথিত হয়, তারা বলে হিন্দুরা নিষ্ঠর আর এই জীবন্ত, মানুষকে পুড়িয়ে মারাকে আপনার ভাষায় কি বলবেন জানি না।
আপনি চাটুকার মুক্ত হোন, আপনার প্রজ্ঙা, মেধা ধৈর্য আর অভিজ্ঞতা দিয়ে দলকে সু সংগঠিত করে ক্ষমতায় আসুন, জনগণ যখন চাইবে। জোড় করে আসতে চাবেন না।
কেন আপনি বোঝেন না, হরতাল ডেকে আপনার একটা নেতা কর্মী রাস্তায় থাকে না্,ম আপনি যখন সমাবেশে যেতে পারেন না, কেন নেতারা আপনাকে বের করে আনতে পারে না?
রাত পোহালেই শুরু হবে ভাষার মাস । শহীদদের আত্মাও এতে কষ্ট, আপনার স্বামী যদি র্প্রর্কত মুক্তি যোদ্ধা হয়ে থাকেন তাহলে তার আত্মাও শান্তি পাবে না। আজকের শিশুটিকে মায়ের কোলে চড়ে শংকাহীন পথ চলতে দেন। বাবার হাত ধরে বই মেলায় ঘুরে বেড়াতে দিন। এরাই হবে শংকাহীন নাগরিক।
অতএব নেতা, দল বাদ দিয়ে জনগনকে ভালোবাসুন।এই জনগনই পারে আপনাকে আবার প্রধানমন্ত্রী বানাতে। কোন নেতা বা দল নয়।
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=
০১।
চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন
হালহকিকত
ছবি নেট ।
মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।
প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন
মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।
প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন
কুড়ি শব্দের গল্প
জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!
সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন
ধর্ম ও বিজ্ঞান
করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন
তালগোল
তুমি যাও চলে
আমি যাই গলে
চলে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফুরালেই দিনের আলোয় ফর্সা
ঘুরেঘুরে ফিরেতো আসে, আসেতো ফিরে
তুমি চলে যাও, তুমি চলে যাও, আমাকে ঘিরে
জড়ায়ে মোহ বাতাসে মদির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন