মনে পড়ে সেই তোমাকে
পিদিম হাতে তুলসি তলায় সেই যে তুমি
পুঁজো দিতে , সেই তোমাকে মনে পড়ে
মনে পড়ে কাঁসার ঘন্টা, ধূপের ধোঁয়ায় কি অপরূপ
স্বপ্নচারী, তুমিই জানো, কেমন করে স্বপ্নগুলো
খোঁপার কাটায় গেঁথে রেখে ডুব সাঁতারে সবটুকু
জল আঁজলা ভরে ছড়িয়ে দিতে চোখের কোণে
কোন কারণে তুমিই জানো, অমন করে মিথ্যামিথ্যি
একটা ছেলে তুচ্ছ ছেলে টানলে কোলে আপন করে
‘মা’- বলতেই হৃদয়টুকু দিয়ে দিলে উজার করে
কি জানি কী তোমার মনে লুকিয়ে ছিল গহীন ব্যথা
আড়াল করে ধূপের ধোঁয়ায় স্বপ্নচারী তুমি একা
খুঁজে ফেরো পূঁজোর অর্ঘ্যে নিত্য তুমি কি জানি কি?
তুমিই জানো, কে বা তোমার চোখের তারায় বুনলো
আলো, স্বপ্ন রেখা, কি সে আলো তুমিই জানো কোন
সে সত্য, নিত্য যারে পুঁজো তুমি । বললে শুধু অন্তর্যামী,
নিত্য সত্য; নয় দেবতা। আচার কেবল পূঁজোর অর্ঘ্য
ফুলে জলে মানুষ খোঁজে তুলসি তলে হৃদয়টা কৈ
খোঁজেন তিনি, দেয়না মানুষ হৃদয় তারে। এই
মানুষের সেরা কে বা কোন আসমানে কে বা জানে?
মায়ের হৃদয় ছেলে চেনে, ম্লেচ্ছ-যবন মানুক না সব
নেই কো মানা-আমার ছেলে শুধুই ছেলে হোক সে যবন
‘মা’ ডাকে তার অমৃত সুখ এই বসুধায়, জাত-পাত কী
মায়ের আবার, কে বা সূধায়? পৈতে দিয়ে মা চেনা যায়?
কাসার ঘন্টা ধূপের ধোঁয়ায় কি অপরূপ স্বপ্নচারী তুমিই
জানো, পিদিম হাতে তুলসি তলায় সেই যে তুমি, মা জননী।