সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছে না একটি দেশে বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ড প্রমাণ করে দেশটির বিচার ব্যবস্থা কতোটা ভঙ্গুর এবং দেশের সামগ্রিক গণমানুষের নিরাপত্তা কতোটা বেশী হুমকির মুখে।
যাদেরকে ক্রসফায়ারে দেয়া হল, হতে পারে তারা মাদক ব্যবসায়ী। কিন্ত, একজন পুলিশ অথবা বন্দুকধারী একজন র্যাব কখনোই সেই মানুষকে হত্যা করবার অধিকার রাখে না। মৃত্যুদণ্ড দেবার অধিকার রাখে আদালত। অথচ র্যাবের সদস্যরা যদি একজন মানুষকে হত্যা করে বন্দুকযুদ্ধের নাটক সাজায় তবে আমাদের প্রশ্ন আছে। এখানে র্যাব হত্যাকারী। দেশের প্রচলিত আইনে খুনিকে যেভাবে শাস্তি দেয়া হয়, সেই র্যাব সদস্যদেরও শাস্তি পেতে হবে। প্রচলিত আইনে একজন মাদক ব্যবসায়ীর শাস্তি হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তার ব্যতিরেকে বন্দুকযুদ্ধের নাটক গ্রহণযোগ্য নয়। আওয়ামীলীগ দু'টি কাজের সমাধান করেছে।প্রথমত দেশের সাধারণ অসচেতন সমাজ এই বিচার বহির্ভুত হত্যাকাণ্ডকে বাহবা দিচ্ছে। আর সমাজে এ ধরনের মানুষ বেশী থাকবার কারণে আওয়ামীলীগ তাদের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করতে পারছে। দ্বিতীয়ত যারা আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক অথবা শত্রুভাবাপন্ন বলে প্রতীয়মান হয় তাদেরকে সরিয়ে ফেলবার ব্যবস্থা করে। পুলিশ, র্যাব যে মাদকের সাথে জড়িত তার হাজার হাজার প্রমাণ আমরা পেয়েছি। আমরা দেখেছি মাদকের বড় বড় গডফাদারেরা কেউ কেউ ক্ষমাতাসীন দলের এমপি পর্যন্ত! তাহলে এই নিহত মানুষগুলোর ইঁদুরভাগ্য! কেন র্যাবকে তিন লক্ষ টাকা দিতে হবে হাবিরের পরিবারকে? আবার কেন টাকা দিয়েও বন্দুক যুদ্ধ নামক সাজানো নাটকে প্রাণ হারাতে হবে? কেন ইয়াবা বদিরা এই সমাজে মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকে? আবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার পক্ষে সাফাই গায়!
কিন্তু সমাজের এই অসচেতন মূর্খগোষ্ঠী কোন সাহসে এই সাজানো বিষয়গুলো বিশ্বাস করে? বদিদের ভোট দিয়ে এমপি করে মারা খায়! তারা কি দেখেনা প্রধান বিচারপতিকে কেন অসুস্থতার ভান ধরে বিদেশে পাড়ি জমাতে হয়? তারা কি দেখেনা সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডকে কীভাবে ধামাচাপা দেয়া হয়। তার কী জীবনে কখনো গুম হওয়া মানুষের খবর জানতে চায়নি? কতোটা নষ্ট একটা সমাজ, কতোটা নষ্ট একটা রাষ্ট্র! তারা কি এর খবর রাখেনা?
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২০