আমি যখন
স্কুলে পড়তাম,তখন গিফট
কর্ণারগুলোতে রং বেরংএর
চিঠি লেখার কাগজ
পাওয়া যেত। আমাদের
স্কুলব্যাগে বারবির
স্টিকার আর গ্লিটার
পেনের
সাথে জায়গা করে নিতো সেগুলোও।
চিঠি লেখার কেউ
ছিলোনা বলে আমাদের
উৎসাহে ভাটা পরেনি কখনো।
বন্ধুরাই একজন
আরেকজনকে চিঠি লিখতাম।
প্রায়ই একটা করে নতুন খাম
ব্যাগে ভরে বাসায়
ফিরতাম।
সেখানে হয়তো নিতান্তই
ছেলেমানুষী কিছু
কথা থাকতো - কোন
গল্পের
বইটা ভালো লেগেছে,কোন
কার্টুনটা কতো ভালো,আর
চিঠির
শেষে "তোকে ভালোবাসি"
কথাটাও বাদ
পরতোনা কখনো। একবার
তো আব্বুর হেল্প
নিয়ে মাত্র দুই মাইল
দূরে থাকা প্রিয় বন্ধু
আশার
কাছে একটা চিঠি পোস্টও
করে ফেললাম। ক্যাডেট
কলেজ পড়ুয়া বোনটাও
মাঝেমধ্যে আমার
দু'একটি জ্ঞানপিপাসু
চিঠি পেয়ে খুব
আদুরে ভাষায় সেসবের
উত্তর পাঠিয়ে দিতো।
একদিন বাসায় পুরাতন
বইপত্র
ঘাটাঘাটি করতে চিঠিগুলো পেলাম।
কতো স্মৃতি জড়িয়ে থাকে এক
একটা চিঠির পাতায়! এখন
আর কেউ চিঠি লিখে না।
সোশ্যাল নেটওয়ার্কের
বদৌলতে হাজার হাজার
ক্ষুদেবার্তা আদান-প্রদান
হয়। ইচ্ছা থাকলেও সেসব
হাজার হাজার
ক্ষুদেবার্তা আর একবার
পড়ে দেখা হয়না।
এখানে চিঠির পাতার
মতো ঘ্রাণ
নেওয়া যায়না,একবিন্দু
অশ্রু
এসে ঝাপসা করে দেয়না দু'চারটি অক্ষর।
এখানে কারো কথায় ভীষণ
কষ্ট পেয়ে কেঁদে ফেললেও
একটা হাসির
ইমো দিয়ে সেটাকে আড়াল
করে ফেলা যায়। আবার
মূহুর্তেই ঐ হাজারখানেক
ক্ষুদেবার্তাগুল
ো মুছে ফেলা যায়।
এখানে সহজেই কাছের
বন্ধুটিকে ভুলে নতুন কোন
হাজারের যাত্রা শুরু হয়।
তবে চিঠিগুলো থেকে যায়-
বন্ধুত্বের
হাজারটা স্মৃতি নিয়ে।