আরও কিছু ফেইসবুক আপলোড দেখলাম, আরও কিছু শান্তিভঙ্গ করা ছবি, আরও কিছু ক্ষুধার রুচি নষ্ট করে দেয়া ভিডিও, আরও একটা বিষন্ন দিনের শুরু। বাচ্চা গুলোকে মেরেই চলেছে, মারছে, মারতে মারতে মেরেই ফেলছে। বাচ্চাগুলো মরে গিয়েও তাদের অপরূপ ঈশ্বর'এর পবিত্র রূপ ধরে রাখে চেহারায়, আর হারিয়ে যাচ্ছে শয়তানগুলো ভালো মানুষের আদল নিয়ে এই পৃথিবীর আনাচে কানাচে। দেড় হাজার বছর আগে শেষ কারিশমা দেখিয়ে ঈশ্বর তো এখনো নিশ্চুপ। মাঝখান থেকে ঘুম হারাম হচ্ছে আমার, আমার বন্ধু তপুর।
একটা গেম সফটওয়্যার'এ যদি ইনস্টল করা থাকে সৈন্য, বন্দুক, গোলাবারুদ, আমবুশ আর হত্যা; সফটওয়্যার টি'তো তাহলে সেভাবেই কাজ করবে, না কি? তাহলে কি মানবসৃষ্টির শুরু ছিল এক ত্রুটিপূর্ণ উত্পাদন?
তা না হলে ...
একজন আর্জেনটিন ডাক্তার কেন কিউবা'কে স্বাধীন করে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়ে বলিভিয়া 'র জন্য প্রাণ দিবেন?
কেন মাসেডনিয়ান এক নারী জীবন বিলিয়ে দেবেন কলকাতার রাস্তা'র শিশুদের জন্য?
কেনই বা একজন রাজিব আহসান নিজের দেশের শিশুদের জন্য কিসসু না করে ভিনদেশী শিশুদের নিয়ে এই ফাসেবুকেই বসে বসে বড় বড় ভাষণ নিয়ে ব্যস্ত?
আর শিশু হত্যাকারী ওই শয়তানের পুজারী গুলো শান্তিতে ঘুমাচ্ছে কিভাবে?
তাহলে কি ভিন্ন ভিন্ন মালিকের ইচ্ছায় ভিন্ন ভিন্ন কারখানায় তৈরী হচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন আমাদের চিন্তাধারা? তাহলে কি অপশক্তি বেশি শক্তিধর? তাই কি প্রথমে বলি 'শয়তানের কুপ্ররচনা থেকে পানাহ চাই' তারপর পরম করুনাময়ির নাম শুরু করি? অলৌকিক কিছু ঘটনার জন্য এই শ্রেষ্ঠ সময় হে ঈশ্বর।
শান'এ নজুল –
১) বাচ্চাদের ওই সব খুনাখুনি মার্কা ভিডিও গেম কিনে দেবেন না, ধর্ম শেখান, সাহিত্য শেখান, বিজ্ঞান শেখান, বিজ্ঞান ও শারীরিক কসরত ভিত্তিক খেলাধুলা শেখান। উন্মাদ'এ ভরপুর এই সমাজে আরেকটা বিকৃত উন্মাদ উত্পাদন করার প্রয়োজন নাই।
২) পৃথিবীতে অনেক বাচ্চা আপনার অগোচরে বড় হচ্ছে যা আপনার জানা উচিত। ঈশ্বর'এর অংশ হয়ে জন্মানো ঈশ্বর'এর মত দেখতে শিশুটি শয়তান হয়ে যাচ্ছে, তার দায়ভার কিছুটা আপনার উপরেও বর্তায়। আপনার একটি শিশু থাকলে দ্বিতীয়টি কি কোনো সুবিধা বঞ্চিত শিশু হতে পারে না?
উপসংহার - দেহ ব্যবহার করে নয়, আপনার মন, উপলব্ধি আর আত্মা ব্যবহার করে একবার বাবা/মা হয়ে দেখুন। এক রাতের নয়, এক জনমের সুখ পাবেন। বিচারদিনে ঈশ্বর'এর সামনে মাথা উচু করে বলতে পারবেন 'তোমাকে পাবার জন্য শয়তানকে লজ্জিত করেছি, পথ খুলে দাও স্বর্গের পানে'। সৃষ্টিকর্তা আপনাকে আটকাবেনা সেদিন।
কারো ধর্মীয় অনুভুতিতে নাড়া দিয়ে থাকলে, করজোড়ে ক্ষমাপ্রার্থী। আমি শুধুমাত্র আপনার মানবিক অনুভুতিকে জাগাতে চেষ্টা করেছি আমার কষ্টের অনুভুতি দিয়ে, ক্ষমা করবেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:৫২