আমি অতি সাধারন একজন মানুষ, কিন্তু কিছু ঘটনা ও জিনিস দেখে আমি বড়ই উত্তেক্ত।
“বাংলা ফন্ট” এ লেখায় আমি কিছুটা দুর্বল, তাই ভুল ক্ষমা করবেন। আমি একজন গেমার, বাংলা গেমার এ আছি বাংলা গেমার এর জন্ম থেকে এবং দেশের একটি Leading Gaming Clan এর আমি প্রতিষ্ঠাতা। আমি এবং আমার সমসাময়িক কিছু ছেলে-পেলে বাংলাদেশে main stream/hard core gaming, online gaming এর জন্ম দিয়েছি কিন্তু আজ কিছু পুচকে spoilt brat দের অত্যাচারে নিজেদের তৈরি দুনিয়াতে পা রাখতেই গা ঘিন ঘিন করে উঠে। বাংলা গেমারের পড় অনেক গেমিং সাইট বা ফেসবুক পেজ তৈরি হয়েছে। প্রথম প্রথম ভালই লাগতো, ভাবতাম আমাদের কাজ ও পরিশ্রম সার্থক, গেমিং এর দিক থেকে হয়ত বাংলাদেশ আর পিছিয়ে থাকবেনা।
কিন্তু যতই দিন গেলো, ততই দেখি এতে উস্রিঙ্খলতা বেড়ে গেলো, ভাবতেই বড় অবাক লাগে এখন যে কারো কাছেই কারো জন্য respect নেই। কেউই আর senior-junior মেনে চলেনা।
আমাকে ফেসবুকের গেমার Masquerade Man ভেবে নেয়ার দরকার নেই, নামের মিলটা পুরাই কো-ইন্সিডেনটাল। নতুন যেসব গেমিং গ্রুপ খুলেছে তাদের অনেকগুলো আসলেই ভাল এবং আশা করি ভবিষ্যতে নাম করবে কিন্তু কিছু গ্রুপ খুলেছে যেখানে গেমিং কম আর সমালোচনা, পচানো, মিমি বানানো আর প্রাচুর্যের বড়াই বেশি চলে। এর উৎকৃষ্ট উদাহরন Dhaka Gamers Club/DGC.
এখানের একেকজন মেম্বার হোল ট্রল। সব উস্রিঙ্খল বিগড়ে যাওয়া বড়লোক বাপের ছেলে। এরা ভাবে বাংলাদেশ এ এদের চে উপরে মনে হয় কেও নেই। এখানে গেমিং এর চে বেশি নিজের gadgets নিয়ে দম্ভ বেশি চলে। চলে একজন আরেকজন কে ছোট করার পায়তারা। সাধারন ঘরের কোন ছেলে এই গ্রুপ এ জয়েন করলে তাকে আপাত দৃষ্টিতে পচানো হয় আর বোঝানো হয়, গেমিং গরিবদের জন্য নয়। খুব খারাপ লাগে যখন এসব দেখি। তাদের মেম্বার ফিচার করার ধরন ও আলাদা। জার যত দামি জিনিস সে এখানে তত আগে স্থান পায়। গেমিং এ ভাল কিনা দেখার ব্যাপার না, দেখতে হবে কার বাপের টাকা বেশি আর কার পিসি কত দামি।
এরা সারাদিন পড়ে থাকে ফেসবুকে, লেখাপড়া, অন্য কাজ এবং গেমিং কখন করে তাই বুঝে উঠতে পারিনা। লজ্জার ব্যাপার আমাদের জন্য কারন এদেরকে পথ আমরাই দেখিয়েছি।
তাদের ফিচার করা মেম্বারদের লিস্ট দেখলেই বুঝা যায় তাদের কাছে দামি জিনিস ই ম্যাটার করে, ভালো গেমার না।
এতেই খুব ভাল ভাবে বুঝা যায় এরা নিজেদের দামি জিনিসের বেপারেই আগ্রহি, গেম এর বেপারে না। আমি আরো একটি জিনিস খেয়াল করলাম, ডি,জি,সি তে মোবাইল গেমিং নিয়ে মাঝে মাঝে কথা বার্তা হয়। একটা গেমিং গ্রুপ এর জন্য সবচে হাস্যকর ব্যাপার হোল মোবাইল গেমিং। কিন্তু তাদের দেখাতে তো হবে, কার আই ফোন আছে, কার এন ৮ আছে, কার কয়টা পি, এস, পি আছে। PSP পর্যন্ত তাও মানা যায় কিন্তু ফোনে গেম !!!
সিম্বিয়ান ফোনের এইচডি গেমের একটি লিংক ও দেয়া আছে তাদের গ্রুপ এ।
এর আগের লিস্ট এ আরো মোবাইল, পি,এস,পি এর নাম ছিল কিন্তু প্রেসিডেন্ট সাহেবের টনক নরায় মনে হয় সেসব রিমুভ করে দিয়েছেন।
এরপর আসি গ্রুপ মেম্বার দের কথায়। সবগুলই হুজুগে বাঙ্গাল আর বেয়াদব। র তাদের মাঝে কমন জিনিস, সব বড়লোক বাপের বিগড়ানো পোলা। আমি কয়েকজনের উপর নজর রাখলাম গত কয়েকদিন। যা বুঝলাম তাই বলি। গ্রুপ এর প্রেসিডেন্ট রবিন। ছেলেটাকে আপাত দৃষ্টিতে ভালো মনে হলেও পেটে জিলাপির পেচ। Conflict লাগানর পর কেটে পরায় ওস্তাদ আর ভাবখানা এমন যেন ভাজা মাছটি উলটে খেতে জানেনা, এরপরই আছে যুবাব রাকিন, হা মানুষের নাম ও এমন হয়। রাকিন হোল গ্রুপের বেয়াদব দের সরদার, কাকে কিবাবে পচানো যায়, কিভাবে ছোট করা যায়, কিভাবে কাকে বেইজ্জত করা যায়, সবসময় এসব নিয়ে পড়ে থাকাই এই নবাবের বেটা নবাবের কাজ(and for the record rakin, just because you know how to OC, that doesn’t mean you’re a gamer or you have what it takes to be a real gamer )। এরপর আছে তারেক মুসান্না, আরেক বেয়াদব, বেয়াদবির মাঝে পি,এইচ,ডি ডিগ্রি ধারন করে মাথা উঁচু করা এই ছেলেটাকে বেয়াদব বললে বেয়াদবিকে ইন্সালট করা হবে। এ খুব ফিফা নিয়ে লাফাইতো যে আমি এই স্কোর করি, তমুক করি, আমি মাসখানেক আগে আমার সাথে খেলতে বলেছিলাম আর খেলার পর মুখে চুনকালি মাখিয়ে ফেরত পাঠিয়েছিলাম।এরপর থেকে অন্তত আমার সাথে পুতুর পুতুর বন্ধ।
বদ গুলোর একেকজনের কাজ একেকরকম। দেখলে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়, যখনি কাওকে এরা পচায় তখনি ওই পচানির স্ক্রিনশট পোস্ট করবে এদেরি আরেক গ্রুপ এ। বাংলাদেশ ট্রল ক্লাব এ। হয় স্ক্রিনশট নয়তো নিজেরাই মিমি বানিয়ে ছড়িয়ে দিবে। গতকাল ই দেখলাম একটা ভালো ছেলেকে মিমি বানিয়ে পচালো শ্রেডার নাসিদ । হা ভাই, এইটাও মানুষের ই নাম। এই ছেলের কোন কাজ কাম নাই, সারাদিন ফেসবুকে মানুষকে পচায়ে মিমি বানাবে আর যত রকম ভাবে মানুষকে বেইজ্জত করা যায়, তার পাঁয়তারা করবে। একটা ভালো ছেলেকে খারাপ জিনিস বিক্রি করার মিথ্যে অপবাদ দিয়ে তার ইমেজটা নষ্ট করে দিলো এই বেয়াদব টা। ভাবতে অবাক লাগে এই ছেলে আই, ইউ, টি তে পড়ে।
সাদমান আর আবির বেয়াদবজুগল খুজে বেরায় পুরো ফেসবুক, কোথায় পাওয়া যাবে এমন মানুষ যে ইংরেজিতে কাঁচা, আর পেলেই হোল। তাকে বেইজ্জত করে একের পর এক পোস্ট।
নাফিস, অ্যান্ডারসন, গালিব এই বদ গুলো জীবনে সিঙ্গেল প্লেয়ার গেম ও খেলেছে কিনা সন্দেহ আছে আর এরা করে বেরায় গেমিং নিয়ে দাদাগিরি। একেজনের কথার কি ফুলঝরি, আমরা এই গেম খেলি, তমুক করি, একজন সত্যিকারের গেমার কোনদিন যদি এদের সাথে একমিনিট কথা বলে তবেই বুঝবে এরা কত বড় চিট।
ফারাবি, তুর্য, নাফিস, নাসিদ, সাদমান, সাজ্জাদ, ইমতিয়াজ ছাড়া আর অনেকেই আছে এই বদেদের আখড়ায়। আমি বুঝি না স্কেলেটন প্র এর মত গেমার এখানে কি করে, এটা বুঝিনা নজিব এর মত ছেলে এখানে কি?
সকল বেয়াদব গুলো সুধু তাদের নিজেদের গ্রুপেই না, সব ধরনের গ্রুপ, পেজ এ এসব বেয়াদবি করে বেড়ায়।
আমি আর বেশিদুর কিছু বলতে চাইনা, সবাইকে সাবধান করার ছিল, তাই করে দিলাম। ভালো থাকবেন সবাই আর এদের থেকে দূরে থাকবেন। বাংলাদেশকে গেমিং এর দিক থেকে এগিয়ে নিতে এদের কোন প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন সচেতন মানুষের। প্রয়োজন গেমার এর, গেইমারদের না। এদের উপর ভরসা করলে বাংলাদেশ এ গেমিং আর আগাবেতো না ই, বরং ধংসের দিকে হেলে পড়বে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ১১:৪০