ভেসে উঠছে মৃত মীনচোখ শাপলার পাটাতনে। পিচ্ছিল রৌদ্র বাঁশবন আইঢালি ঝোপের বেড়া ঘেঁষা বিড়ালের গর্ত থেকে মাত্র বেরিয়ে গেল। মেঘের দল ভাসতে ভাসতে ঘুড়ির সাথে লেজ বাঁধিয়ে ভোকাট্টা দলছুট।
হাড়গজা কাঁটায় পা বাজালাম
পিত শ্যাওলা উঠিয়ে নিল কচুরিপানার নাওয়ে।
ভ্রমর কাল জল শুয়ে র'ল সাপের শরীর নিয়ে।
ইচ্ছে মতন জল ভাঙ্গে না জল শুকিয়ে নোনায় মাখা চোখ
পোড়াদহের ঘুর্নিপাঁকে পড়ল আমার সাত জনমের শরীর
বাশ ঝাড়ের কঞ্চিকাঁটা নাড়ছে ট্যাপাপোনা
মরার মত ভাসতে থাকি জীবন বাঁশের পাতা।
চোখের পাতায় ঘর করেছি ব্যাঙের ছাতার ছাদ
ব্যাঙ্গাচিদের চিঁ হি শুনি বাঁশের বেড়ার ঘরে
জোনাক জ্বলে রাতদুপুরে
আমার কানে ঝিঁ ঝিঁ।
সপ্তপদী সাথ দিয়েছে সাতকাহনের নীড়ে
মাজরা পোকা শিষ কেটেছে আমার চষা জমিন
সোনার ফসল ইঁদুর গাদায়
আমার ভাগে খড়।
অঘ্রানের অকাল বর্ষনে খড়ের গাদার মত ভেসে চললাম। পরজীবী স্বর্ণলতারা ষোল কলা রূপ দেখিয়ে দহলিজে থানকুনি পাতার রস নিংড়ে খাচ্ছে। রায়টলতার পাতা বেটে তারা তাদের অন্দরমহল বন্ধ করে দিয়েছে। দূরবর্তী এঁদো পুকুরে কচুরিপানার নায়ে রক্তচোষা মশকেরা চামড় দোলায়। শুধু বুকের ভেতর কালো কালো জোঁক কামড়ে ঝুলে থাকে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৯:১৫