somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হাংরি আন্দোলন কিছু জানা না জানা ইতিহাস (পর্ব ১)

০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলা সাহিত্যে স্হিতাবস্হা ভাঙার আওআজ তুলে ইশতাহার মাধ্যমে প্রকাশে শিল্প ও সাহিত্যের যে একমাত্র আন্দোলন হয়েছিল তার নাম হলো হাংরি আন্দোলন । যাকে অনেকে বলেন হাংরিয়ালিস্ট বা ক্ষুধিত ও ক্ষুৎকাতর ক্ষুধার্ত আন্দোলন । আর্তি বা কাতরতা শব্দগুলো মতাদশর্টিকে সঠিক তুলে ধরতে পারবে না বলে,, আন্দোলনকারীরা শেষাবধি হাংরি শব্দটি গ্রহণ করেন ।

হাংরি আন্দোলনের এই শব্দবন্ধটি বাংলাভাষায় ঠিক সেইভাবে প্রবেশ করেছে যে ভাবে মুসলিম লিগ এবং কম্ম্যুনিস্ট পার্টি বা কংগ্রেস দল ইত্যাদি সংকরায়িত শব্দবন্ধগুলো এসেছে । উত্তর ঔপনিবেশিক ভারতবর্ষে ডিসকোর্সের সংকরায়ণকে স্বীকৃতি দেয়াই তাঁদের কর্মকাণ্ড গুলো অংশ ছিল । ১৯৬১ সালের নভেম্বরে পাটনা শহর থেকে একটি ইশতাহার প্রকাশের মাধ্যমে হাংরি আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটিয়েছিলেন সমীর রায়চৌধুরী এবং মলয় রায়চৌধুরী ও শক্তি চট্টোপাধ্যায় এবং হারাধন ধাড়া ওরফে দেবী রায় ।

কবিতা সম্পর্কিত ইশতাহারটি ছিল ইংরেজিতে কেন না পাটনায় মলয় রায়চৌধুরী বাংলা প্রেস পাননি । আন্দোলনের প্রভাবটি ব্যাপক ও গভীর হলেও ১৯৬৫ সালে তা প্রকৃত অর্থে হাংরি আন্দোলন ফুরিয়ে যায় । নকশাল আন্দোলনের পর উত্তরবঙ্গ এবং ত্রিপুরাব তরুণ কবিরা আন্দোলনটিকে আবার জীবনদান করার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু তাত্ত্বিক ভিত্তিটি জানা না থাকার কারনে তাঁরা আন্দোলনটিকে বেশি দূর পযন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি ।

আন্দোলনের তাত্ত্বিক ভিত্তি ছিল

হাংরি আন্দোলনকারীরা হাংরি শব্দটি আহরণ করেছিলো ইংরেজি ভাষার কবি জিওফ্রে চসারের ইন দি সাওয়ার হাংরি টাইম বাক্যটি থেকে অর্থাৎ দেশভাগোত্তর বাঙালির কালখণ্ডটিকে তাঁরা হাংরিরূপে চিহ্ণিত করতে চাইলেন । তাত্তিক ভিত্তি সংগ্রহ করা হয়েছিল সমাজতাত্ত্বিক অসওয়াল্ড স্পেংলারের দি ডিক্লাইন অব দি ওয়েস্ট গ্রন্হটির দর্শন থেকে ।

স্পেংলার বলেছিলেন একটি সংস্কৃতি কেবল সরলরেখা বরাবর যায় না তা একযোগে বিভিন্ন দিকে প্রসারিত হয় । তা হল জৈবপ্রক্রিয়া এবং সেকারণে সমাজটির নানা অংশের কারন কোনদিকে বাঁকবদল ঘটবে তা আগাম বলা যায় না । যখন কেবল নিজের সৃজনক্ষমতার ওপর নির্ভর করে তখন তা সংস্কৃতিটি বিকশিত ও সমৃদ্ধ হয় ।

তার সৃজনক্ষমতা ফুরিয়ে গেলে তা বাইরে থেকে যা পায় ত-ই আত্মসাৎ করতে থাকেন খেতে থাকেন তার ক্ষুধা তখন তৃপ্তিহীন । হাংরি আন্দোলনকারীদের মনে হয়েছিল দেশভাগের ফলে ও পরে পশ্চিমবঙ্গ এই ভয়ংকর অবসানের মুখে পড়েছে এবং উনিশ শতকের মণীষীদের পর্যায়ের বাঙালির আবির্ভাব আর সম্ভব নয় ।

সেকারণে হাংরি আন্দোলনকে তঁরা বললেন কাউন্টার কালচারাল আন্দোলন এবং নিজেদের সাহিত্যকৃতিকে কাউন্টার ডিসকোর্স । তাঁরা বললেন ইউরোপের শিল্প-সাহিত্য আন্দোলনগুলো সংঘটিত হয়েছিল একরৈখিক ইতিহাসের ধারণার বনেদের ওপরে কল্লোল বা কৃত্তিবাস গোষ্ঠী যে নবায়ন এনেছিলেন । সেই কাজগুলো ছিল কলোনিয়াল ইসথেটিক রিয়্যালিটি ও ঔপনিবেশিক বাস্তবতার চৌহদ্দির মধ্যে এবং সেগুলো ছিল যুক্তিগ্রন্হনা-নির্ভর । এবং তাদের মনোবীজে অনুমিত ছিল যে ব্যক্তিপ্রতিস্বের চেতনা ব্যাপারটি একক নিটোল ও সমন্বিত ।

এবং তারা বললেন এই ভাবকল্পের প্রধান গলদ হল যে তার সন্দর্ভগুলো নিজেদেরকে পূর্বপুরুষদের তুলনায় উন্নত মনে করে এবং স্হানিকতেকে ও অনুস্তরীয় আস্ফালনকে অবহেলা করে । ওই ভাবকল্পে যে বীজ লুকিয়ে থাকে তা যৌথতাকে বিপন্ন আর বিমূর্ত করার মাধ্যমে যে মননর্স্তাস তৈরি করে তার দরুন প্রজ্ঞাকে যেহেতু কৌমনিরপেক্ষ ব্যক্তিলক্ষণ হিসাবে প্রতিষ্ঠা দেয়া হয় সমাজের সুফল আত্মসাৎ করার প্রবণতায় ব্যক্তিদের মাঝে ইতিহাসগত স্হানাঙ্ক নির্ণয়ের হুড়োহুড়ি পড়ে যায় ।


গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে ব্যক্তিক তত্ত্বসৌধ নির্মাণ গুলো । ঠিক এই একই কারণে ইউরেপীয় শিল্প-সাহিত্য আন্দোলনগুলো খতিয়ে দেখলে দেখা যাবে যে ব্যক্তিপ্রজ্ঞার আধিপত্যের দামামায় সমাজের কান ফেটে এমন রক্তাক্ত যে সমাজের পাত্তাই নেই কোনো । কৃত্তিবাস গোষ্ঠীর দিকে তাকালে দেখা যাবে যে পঁজিবলবান প্রাতিষ্ঠানিকতার দাপটে এবং প্রতিযোগী ব্যক্তিবাদের লালনে শতভিষা গোষ্ঠী যেন অস্তিত্বহীন ।

এমনকি কৃত্তিবাস গোষ্ঠিও সীমিত হয়ে গেছে মাত্র কয়েকজন মেধাসত্তবাধিকারীর নামে । পক্ষান্তরে ঔপনিবেশিক ননগদনতন্ত্রের আগেকার প্রাকঔপনিবেশিক ডিসকোর্সের কথা ভাবা হয় । তাহলে দেখা যাবে যে পদাবলী সাহিত্য নামক ম্যাক্রো পরিসরে সংকুলান ঘটেছে বৈষ্ণব ও শাক্ত কাজ মঙ্গলকাব্য নামক পরিসরে সংকুলান ঘটেছে মনসা,, চণ্ডী,, শিব,, কালিকা বা ধর্মঠাকুরের মাইক্রো পরিসর । লক্ষ্মণিয় যে প্রাকৌপনিবেশিক কালখণ্ডে সন্দর্ভ গুরুত্ত্বপূর্ণ ছিল ।



হাংরি আন্দোলনের প্রসার হয়

১৯৬২ সাল থেকে ৬৩ সালে হাংরি আন্দোলনে যোগদান করেন বিনয় মজুমদার,, সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়,, উৎপলকুমার বসু,, সুবিমল বসাক,, ত্রিদিব মিত্র,, ফালগুনী রায়,, আলো মিত্র,, অনিল করঞ্জাই,, রবীন্দ্র গুহ,, সুভাষ ঘোষ,, করুণানিধান মুখোপাধ্যায়,, প্রদীপ চৌধুরী,, সুবো আচার্য,, অরুপরতন বসু,, বাসুদেব দাশগুপ্ত,, সতীন্দ্র ভৌমিক,, শৈলেশ্বর ঘোষ,, হরনাথ ঘোষ,, নীহার গুহ,, আজিতকুমার ভৌমিক,, অশোক চট্টোপাধ্যায়,, অমৃততনয় গুপ্ত,, ভানু চট্টোপাধ্যায়,, শংকর সেন,, যোগেশ পাণ্ডা,, মনোহর দাশ,, তপন দাশ,, শম্ভু রক্ষিত,, মিহির পাল,, রবীন্দ্র গুহ,, সুকুমার মিত্র,, দেবাশিষ মুখোপাধ্যায় আর অনেকে ।

অনিল এবং করুনাছিলেন চিত্রকর । সত্তর দশকের শেষে যাঁরা পুনরায় আন্দোলনটিকে জিইয়ে তোলার চেষ্টা করেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন অরুণেশ ঘোষ,, অরণি বসু,, অরুণ বণিক,, অলোক গোস্বামী,, আপ্পা বন্দ্যোপাধ্যায়,, নিত্য মালাকার,, কিশোর সাহা,, জামালউদ্দিন,, জীবতোষ দাশ,, দেবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়,, নির্মল হালদার,, দেবজ্যোতি রায়,, পার্থপ্রতিম কাঞ্জিলাল,, প্রিতম মুখোপাধ্যায়,, বিজন রায়,, রবিউল,, সমীরণ ঘোষ,, রতন নন্দী,, রাজা সরকার,, সত্যেন চক্রবর্তী,, সৈকত রক্ষিত,, সুব্রত রায়,, সুব্রত চক্রবর্তী,, রসরাজ নাথ,, সেলিম মোস্তফা,, শঙ্খপল্লব আদিত্য,, সুভাষ কুন্ডু ,, স্বপন মুখোপাধ্যায় ।


মুখপত্র ছিল


হাংরি আন্দোলনকারিরা প্রধানত ভাবে একপৃষ্ঠার বুলেটিন প্রকাশ করতেন । যেগুলো পাটনা থেকে প্রকাশিত হতো এবং সেইগুলো ইংরেজিতে লেখা হয়েছিল । কখনও বা পোস্টকার্ড,, পোস্টার এবং এক ফর্মার পুস্তিকায় মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকতেন ।
এক পাতার বুলেটিনে তারা কবিতা রাজনীতি,, ধর্ম,, অশ্লীলতা,, জীবন,, ছোটগল্প,, নাটক,, উদ্দেশ্য,, দর্শন ইত্যাদি বিষয়ের ওপরে ইশতাহার লেখা ছাড়াও তারা কবিতা, গদ্য, অনুগল্প, স্কেচ ইত্যাদি প্রকাশ করেছিলেন । বুলেটিনগুলো হ্যান্ডবিলের মতন কলকাতার কলেজ স্টিট কফি হাউস,, পত্রিকা দপতর,, কলেজগুলোর বাংলা বিভাগ ও লাইব্রেরি ইত্যাদিতে তাঁরা বিতরন করতেন ।

হাংরি আন্দোলনের কথা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার এইটি ই ছিল প্রধান কারণ বলে মনে করেন গবেষকরা । কিন্তু হ্যান্ডবিলের মতন প্রকাশ করায় তারা নিজেদের ক্ষতি করেছেন । কেন না অধিকাংশ বুলেটিন সংরক্ষণ করা সংগ্রাহকদের পক্ষেও সম্ভব হয়নি ।

কলকাতার লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণাকেন্দ্র বহু চেষ্টায় গোটা দশেক সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন । ঢাকা বাংলা একাডেমিও কয়েকটি সঙগ্রহ করতে পেরেছেন । ১৯৬৩ সাল থেকে ৬৫ সালের মাঝে হাংরি আন্দোলনকারীরা কয়েকটি পত্রিকাও প্রকাশ করা হয়েছি । সেই পত্রিকাগুলো হলঃ সুবিমল বসাক সম্পাদিত প্রতিদ্বন্দ্বী,, ত্রিদিব মিত্র সম্পাদিত উন্মার্গ,, মলয় রায়চৌধুরী সম্পাদিত জেব্রা,, দেবী রায় সম্পাদিত চিহ্ণ,, প্রদীপ চৌধুরী সম্পাদিত ফুঃ সতীন্দ্র ভৌমিক সম্পাদিত এষণা,, এবং আলো মিত্র সম্পাদিত ইংরেজি দি ওয়েস্ট পেপার ।

পত্রিকাগুলোর প্রতিটি সংখ্যা সংরক্ষণের প্রয়াস করার প্রয়োকন মনে হয় তারা করেননি । জানা যায় কলকাতার লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি মাত্র কয়েকটি সংখ্যা সংগ্রহ করতে পেরেছে । বিট আন্দোলনের কবি অ্যালেন গিন্সবার্গ কলকাতায় থাকাকালীন ইংরেজি বুলেটিনগুলো সংগ্রহ করে স্ট্যনফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে দান করে গেছেন বলে বিদেশী গবেষকদের সৌজন্যে এগুলোর অবস্হান জানা যায় ।

সত্তর দশকের শেষাশেষি আন্দোলনটিকে পুনরায় জীবিত করার যখন অসফল প্রবাস করা হয়েছিল,, তখন অরুণেষ ঘোষ প্রকাশ করেন জিরাফ,, অলোক গোস্বামী প্রকাশ করেন কনসেনত্রশান ক্যাম্প,, সুভাষ ঘোষ সম্পাদনা করেন আর্তনাদ,, এবং অন্যান্যরা ক্ষুধার্ত,, ক্ষুধার্ত খবর,, ক্ষুধার্ত প্রতিরোধ,, রোবট,, ধৃতরাষ্ত্র ইত্যাদি ।


১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হালহকিকত

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

ছবি নেট ।

মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।

প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×